হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার কারা করে, কেন করে?

রিয়াদুল হাসান

আমরা হেযবুত তওহীদ একটি ধর্মীয় সংস্কারমূলক অরাজনৈতিক আন্দোলন। আমরা বিগত ২৫ বছর যাবত জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসা, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের নামে অপরাজনীতি ইত্যাদির বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। মানবজাতিকে আহ্বান করছি সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পড়্গে ঐক্যবদ্ধ হতে। আমাদের এই সংগ্রামের পথকে বারবার রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে দুইটি শ্রেণি। প্রথমত, ধর্মব্যবসায়ী একটি শ্রেণি যারা ইসলামের নামে, ধর্মের নামে স্বার্থ উদ্ধার করে। দ্বিতীয়ত, ধর্মবিদ্বেষী আরেকটি শ্রেণি।

ধর্মব্যবসায়ীরা কেন অপপ্রচার করে?
হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী কোর’আন ও হাদিস থেকে অকাট্যভাবে প্রমাণ দিয়েছেন যে, ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত, গোষ্ঠীগত, অর্থনৈতিক, বৈষয়িক বা রাজনৈতিক ইত্যাদি যে কোনোরকমের পার্থিব স্বার্থ হাসিল করা সম্পূর্ণ হারাম, নিষিদ্ধ। হেযবুত তওহীদের এই বক্তব্য স্বভাবতই সেই শ্রেণিটির বিরুদ্ধে গেছে যারা এই মুসলিম দাবিদার জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মের নামে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকসহ বিবিধ স্বার্থ হাসিল করছে। ফলে তারা এখন আমাদের বিরম্নদ্ধে লেগেছে। তারা দেখল যে, সর্বনাশ! এই আদর্শ, এই দলিল যদি জনগণ পেয়ে যায় তাহলে তো আর ধর্মের কাজ করে টাকা কামাই করা চলবে না, স্বার্থ উদ্ধার করা চলবে না, ইসলামের নাম ব্যবহার করে স্বার্থের রাজনীতি করা চলবে না। তারা একজোট হলো হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে । অপপ্রচার শুরু করল যে হেযবুত তওহীদ ইসলামের শত্রু, আলেমদের শত্রু, নাস্তিক, মুরতাদ, ইহুদি-খ্রিষ্টানের দালাল, সরকারের দালাল, ভারতের দালাল ইত্যাদি।তাদের এসব অপপ্রচার যে সর্বাংশে মিথ্যা তা এখন অনেকেই জানতে পারছেন এবং হেযবুত তওহীদের বক্তব্য এখন অপপ্রচারের বর্ম ভেদ করে জনগণের হৃদয়ে প্রবেশ করছে।

ধর্মবিদ্বেষীরা কেন অপপ্রচার করে?

হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে থাকে অপর যে শ্রেণিটি তারা হলো ধর্মবিদ্বেষী শ্রেণি। তারা আসলে ধর্মকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা স্রষ্টায় বিশ্বাসী নয়। তারা ধরেই নিয়েছে যে, ধর্ম মানেই খারাপ, এতে কল্যাণকর ও ইতিবাচক কিছুই নেই। মুসলমানমাত্রই জঙ্গি, সন্ত্রাসী, উগ্রবাদী, বর্বর, আইনবিরোধী ইত্যাদি। আমাদের বিরোধিতা করার জন্য আমাদের সংগঠনের আরবিতে রাখা নামটাই তাদের কাছে যথেষ্ট। তারা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেনি যে, আমরা কারা, আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী, আমাদের কর্মসূচি কী, আমাদের মনোভাব কী, অভিপ্রায় ও অভিমুখ কী। আমরা কি অন্ধত্ব ও কূপমন্ডপ চেতনা লালন করি নাকি নৈতিক চেতনাসমৃদ্ধ আধুনিক ও প্রগতিশীল সমাজের স্বপ্ন দেখি? কোনোকিছু না জেনেই আমাদেরকে শত্রুতার কাতারে ফেলে দিয়ে বিগত ২৫ বছর যাবৎ কী পরিমাণ হয়রানি, অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার আমাদেরকে করা হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।

ধর্মব্যবসায়ীদের মিথ্যাচার থেকে এই ধর্মবিদ্বেষীদের মিথ্যাচার একটু ভিন্ন মাত্রার। এরা এটা খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে যে, কোনো দলকে জঙ্গি হিসাবে পরিচিত করতে পারলে সেই দলের পক্ষে কার্যক্রম চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই কৌশলটিই তারা নিয়েছিল। তারা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও গণমাধ্যমে হেযবুত তওহীদকে জঙ্গি দল হিসাবে সাব্যস্ত করতে থাকল। হাজার হাজার বার তারা হেযবুত তওহীদকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিসাবে তাদের পত্রিকায় ও টিভি মিডিয়ায় প্রচার করেছে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি, হেযবুত তওহীদের বৈধতা দলিল তাদের সামনে মেলে ধরেছি। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। তাদের চোখের সামনে পড়ে ছিল বিদ্বেষের কালো পর্দা, যার দরুন সাদা ও কালোর তফাৎ তারা করতে পারেনি। তারা ধরেই নিয়েছে যে, আমরা জঙ্গি এবং আজ না হলেও কাল আমরা ঠিকই জঙ্গিবাদী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হয়ে যাব। গণমাধ্যমে আমাদের নামে প্রচারিত ডাহা মিথ্যাচারের প্রতিবাদ প্রকাশেরও প্রয়োজনবোধ করেনি তারা।

আমরা যেটা নীতি হিসাবে নিয়েছি সেটা হলো, যে কোনো পরিস্থিতিতে সত্য প্রচার করে যাওয়া। কারণ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যতই আমাদেরকে দোষী বানিযে রাখা হোক না কেন আমাদের ধারণকৃত ও প্রচারিত মহাসত্য একদিন সকল মিথ্যাকে মিথ্যা বলে চিহ্নিত করে দেবে। মিথ্যার দেওয়াল সত্যের মোকাবেলায় খুবই দুর্বল।সকলের প্রতি আমাদের বিনীত আরজ থাকবে, আমাদের বিষয়ে কোথাও নেতিবাচক কোনো কথা শুনলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলাতেই আমাদের কার্যালয় আছে। আমাদের বই পড়েন, অনলাইনে আমাদের বক্তব্য দেখুন। তৃতীয় পক্ষেরে কথাকে আমাদের কথা বলে গ্রহণ করবেন না। আমাদের কথা আমাদের মুখে শুনুন। আমরা যেটা আকিদা, আমরা সেটাই বলব। যেহেতু আমরা স্বার্থ হাসিল করছি না, তাই কোনো সত্যকে আড়াল করার কোনো প্রয়োজন আমাদের হয় না, হবে না ইনশাল্লাহ।

 

লেখাটি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে

Email
Facebook
Twitter
Skype
WhatsApp
সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...