সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
ধর্মব্যবসা, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও দাঙ্গা ভুলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৬ কোটি বাঙ্গালির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আদর্শকে সামনে রেখে দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগে সুনামগঞ্জ জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ ও গুণীজনদের নিয়ে গতকাল সুনামগঞ্জ শহীদ জগৎজ্যোতী পাঠাগারে (পাবলিক লাইব্রেরি) এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দেশেরপত্রের জেলা প্রতিনিধি মোতালেব খানের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. জনাব সুরেশ চন্দ্র দাস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইচ এম পি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধূর্যটি কুমার বসু, সুনামগঞ্জ জাজকোর্টের আইনজীবী অ্যাড. স্বপন কুমার দেব, বুলচান্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক যোগেশ্বর দাশ, দৈনিক দেশেরপত্রের সাবএডিটর শেখ মনিরুল ইসলাম, অ্যাড. মলয় চক্রবর্তী রাজু, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, মোহনা টেলিভিশনের কুলেন্দু শেখর দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দৈনিক নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মো জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে দৈনিক দেশেরপত্রের প্রতিনিধি বক্তারা দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সেখানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন দেশেরপত্রের সাবএডিটর শেখ মনিরুল ইসলাম। তিনি হিন্দু ও মুসলিমদের পরস্পরের ভাই হিসেবে উল্লেখ করে নিজেদের মধ্যকার জাতিগত বিদ্বেষ দূর করে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সকল ধর্ম এসেছে মানবতার কল্যাণে। সকল ধর্মের অবতারগণ স্রষ্টার পক্ষ থেকেই এসেছেন। প্রত্যেক নবী, রসুল ও অবতারই মানুষকে সত্যের পক্ষে, শান্তিময় সমাজব্যবস্থার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। কোনো ধর্মই অন্য ধর্মের মানুষকে ছোট করে দেখার শিক্ষা দেয় না। সকল মানবই এক আদি পিতা ও আদি মাতার সন্তান। অথচ আজকে ধর্মের নামে বিভেদের সুবিশাল প্রাচীর সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। এই কাজটি করেছে ধর্মব্যবসায়ীরা। এই ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণিটি বর্তমানে প্রচলিত বিকৃত ইসলামে যেমন আছে, সনাতনেও আছে। এরা নিজেরা মনগড়া ফতোয়া দিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি নিজ নিজ ধর্মের অনুসারীদের বিদ্বেষী করে তুলেছে। আর তারা এই কাজটি করেছে গত দুই শত বছরের শাসক ইংরেজদের প্রত্যক্ষ মদদে। এই জাতিগত বিদ্বেষের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী পশ্চিমা শক্তি এই জাতির মধ্যে বিভেদের একটি চিরন্তন বীজ বপণ করে দিয়ে গেছে, যার ফল আজ আমরা ভোগ করছি।