হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

বিভক্ত ও অনৈক্যের জন্য দায়ী ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচার; ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তাগণ

Untitled-61ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
‘মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ’ স্লোগানকে ধারণ ও মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে চলা দৈনিক দেশেরপত্রের ঠাকুরগাঁও কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন। গত সোমবার রাতে সরকার পাড়া, বঙ্গবন্ধু রোডস্থ কার্যালয়টি ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন সংরক্ষিত মহিলা আসন-১ এর সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের সাথে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দেশেরপত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. সাদেক কুরাইশী, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল করিম, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জিতেন্দ্রনাথ রায়, ঠাকুরগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু জাফর শামসউদ্দিন। এছাড়াও প্রধান আলোচকের ভূমিকায় বক্তব্য রাখেন দেশেরপত্রের উপদেষ্টা মসীহ উর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক দেশেরপত্রের রংপুর বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান আশেক মাহমুদ।
প্রধান আলোচক মসীহ উর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা জানতাম না, আমরা বুঝতাম না কোন পথে মানুষের মুক্তি আসবে, কোন পথে আসবে কল্যাণ। আমাদের প্রাণপ্রিয় এমাম, টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পন্নী পরিবারের সন্তান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর কাছ থেকে আমরা সঠিক পথের সন্ধান লাভ করেছি। আমরা তাঁরই আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এই আদর্শকে প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য দৈনিক দেশেরপত্র প্রকাশ করে যাচ্ছি। আমরা এ কাজ করতে গিয়ে দেখলাম এক শ্রেণির ধর্মীয় মোল্লারা আমাদের বিরোধী হয়ে দাঁড়ালো। এর কারণ হচ্ছে, আমাদের এমামুয্যামান হাদিস কোর’আনের আলোকে প্রমাণ করে দিয়েছেন ইসলামে ধর্মব্যবসা ও ধর্মের বিনিময় নেওয়া কোনভাবেই বৈধ নয়। ইসলামে ধর্মের নামে রাজনীতি, মিছিল, মিটিং ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে কোনভাবে সমর্থন দেয় না। ইসলাম এসেছে মানুষের কল্যাণের জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য। একই সাথে ইসলামের জন্য যারা কাজ করবে তারা তা করবে নিঃস্বার্থভাবে, নিজের জান-মাল দিয়ে, সম্পদ খরচ করে। এ থেকে বিনিময় নিতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ কাজে নেমে আরো দেখলাম, এদেশের সাধারণ মানুষ অত্যন্ত ধর্মভীরু এবং সহজ সরল। তারা ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেনা। তাই ধর্মীয় ব্যাপারে ধর্মের আলেম, মোল্লাদের কাছে তারা এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছে। সাধারণ মানুষজন তাদেরকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে। এই বিশ্বাস এবং সরলতাকে কাজে লাগিয়ে এরা তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে। রাজনীতির নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি, হরতাল-অবরোধ, গণপরিবহনে অগ্নি-সংযোগ, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা, গাছ উপড়ে ফেলা ইত্যাদি ইসলাম বিরোধী কাজ করতে তারা নির্দেশ ও ইন্ধন যুগিয়ে যাচ্ছে। তাদের সৃষ্ট অপপ্রচারে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত হয়ে সাধারণ মানুষ দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের মুখোশ উন্মোচনের মাধ্যমে এ সকল অবৈধ কাজ বন্ধ করতে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার লক্ষেই দেশেরপত্র নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু হাজার বছর যাবত মানুষের মন-মগজ ও অস্থি-মজ্জায় গেঁড়ে থাকা এ বিশ্বাস দূর করার জন্য এ প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। আমরা একটি আন্দোলন, একটি সংগঠনমাত্র। কোন সংগঠনের পক্ষেই এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তা করা সম্ভবও নয়। এটা রাষ্ট্রের কাজ। সুতরাং এ কাজকে পূর্ণতা দান করতে রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. সাদেক কুরাইশী বলেন, ‘আমি মনে করি যারা ধর্মব্যবসায়ী, বক ধার্মিক, ধর্ম নিয়ে যারা অপরাজনীতি করে, ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা ক্ষমতায় যেতে চায়, যারা ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে মানব কল্যাণে নয়, ধ্বংসের জন্য নিয়োজিত আছে তাদের বিরুদ্ধে দৈনিক দেশেরপত্র একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বেই ধর্মোন্মাদ, ধর্মব্যবসায়ীরা জাতিতে জাতিতে সামাজিক বিশৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে তারই একটি চিত্র এখানে উপস্থান করা হয়েছে (প্রদর্শিত প্রামাণ্যচিত্রে)। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দল অর্থাৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনুসারীগণ যে আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি করি, আমরা শুরু থেকেই এই ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ছিলাম এবং এখনো আছি। ১৯৭১ সালে আমরা আমাদের দেশকে একটি অসাম্প্রদায়ীক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একতাবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। আমাদের চাওয়া ছিলো এদেশের সব ধর্মের মানুষ মিলে মিশে অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণভাবে যার যার ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখনো সেই ভিত্তির উপর অনড় আছে।’
দৈনিক দেশেরপত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী বলেন, ‘দেশেরপত্র আমার মহামান্য পিতা, যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর আদর্শে উজ্জীবিত। যামানার এমাম মানবজাতির সামনে হারিয়ে যাওয়া প্রকৃত ইসলামের স্বরূপ তুলে ধরেছেন। তাছাড়া তিনি ইসলামকে যারা বিকৃত করেছে, ব্যবসার হাতিয়ার করে নিয়েছে তাদের স্বরূপও চিহ্নিত করেছেন। মহামান্য এমামুয্যামান আরো প্রমাণ করে দিয়েছেন ধর্মব্যবসায়ী এবং যারা ধর্মের নামে অপ-রাজনীতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে তারা প্রকৃত পক্ষে ইসলামে নেই, বরং তারা ইসলামের মহাশত্র“। তিনি একাজ করতে গিয়ে একশ্রেণির ধর্মব্যবসায়ীদের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি এই মহৎ কাজে তাঁর উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এবং উপার্জিত সকল সম্পত্তি ব্যয় করে গেছেন।’ ধর্মব্যবসায়ীদের অভিশাপ থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে দেশেরপত্রের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ‘প্রকৃত ইসলাম পৃথিবীর যে অংশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অনাবিল শান্তি। অথচ আজকের বিকৃত ইসলাম মানুষে মানুষে বিভক্তি শেখাচ্ছে। রাজনীতির নামে জ্বালাও পোড়াও, বোমাবাজি, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যাকে বৈধতা দিচ্ছে। দেশেরপত্র যামানার এমামের কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে প্রকাশ করে বলছে এই ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। প্রকৃত ইসলাম কোনটা তা এই এর মাধ্যমে প্রকাশ করে যাচ্ছি।’
পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ তার বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নীর বক্তব্যের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘সুরা বাকারার ৪২ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন- তোমরা আমাকে ভয় করো এবং আমার আয়াতকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করো না। এই কথা যখন আমি কাউকে বলি তখন তারা বলে – আল্লাহতো তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করতে না করেছেন। ঠিক আছে তাহলে বেশি মূল্য দেন, একশ’ টাকার স্থলে দুইশ’ টাকা দেন।’ দর্শক অতিথিদের প্রতি বলেন, ‘দেখুন আমরা কোথায় চলে গেছি! এর পরেই আল্লাহ বলছেন- তোমরা সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করো না এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করো না। তুমি যে সত্যতা জান তা গোপন করো না- এর চাইতে পরিষ্কার কথা আর কী হতে পারে?’ তিনি বলেন, ‘মানুষ যদি শুধু আল্লাহর এই কথাটা মেনে চলত তাহলে আজকে কোর্ট-কাচারি, আদালত- ফৌজদারি এসবের দরকার হতো না।’ দেশেরপত্র সম্বন্ধে তিনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত পত্রিকাটি পড়ি। দেশেরপত্র আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দিয়েছে। অন্যান্য পত্রিকার সাথে এই পত্রিকার অভাবনীয় একটি পার্থক্য রয়েছে। অন্যান্য পত্রিকার তুলনায় এ পত্রিকাটিতে পড়ার মত অনেক বিষয় থাকে। দেশের সমসাময়িক অন্যান্য যে পত্রিকা আছে সবগুলোকে দেখা যায় এক লেভেলে একই ধারায় লিখে যায়। এদের মধ্যে ডিফারেন্ট (বৈচিত্র ) কিছু পাওয়া যায় না। কিন্তু এই পত্রিকায় ডিফারেন্ট জিনিস পাওয়া যায়। দেশেরপত্র অত্যন্ত সাহসের সাথে যে বিষয়গুলো তুলে ধরছে তা অত্যন্ত বিষ্ময়কর।’ এরপর তিনি দর্শকদের সাথে পত্রিকার বিভিন্ন নিবন্ধ তুলে ধরে প্রশংসা করেন। বিশেষ করে ঐদিন প্রকাশিত ‘রামরাজ্য কেন উপেক্ষিত’ এই নিবন্ধটি সম্পর্কে বলেন, ‘দেশের বড় বড় প্রগতিশীল মানসিকতার অধিকারীরাও এমন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবে না। কেননা আমরা জানি দেশেরপত্র একটি ইসলামিক পত্রিকা। অথচ সেখানে রাম রাজ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। বলা হচ্ছে আল্লাহর দীন কায়েম হলেই কাক্সিক্ষত রামরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে।’ তিনি দেশেরপত্রের এই উদারতার ব্যাপক প্রশংসা করেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসন-১ এর সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য দেশেরপত্রের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশের সংবিধান এদেশের মানুষকে যার যার ধর্মীয় স্বাধীনতা পালনের অধিকার দিয়েছে। কিন্তু কতিপয় ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মের অপব্যবহার করছে। এই শ্রেণিটি ধর্মকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে। কিন্তু আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই এদেশের সকল ধর্মের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করুক এবং ধর্ম প্রচার করুক।’ তিনি ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নীর বক্তব্যকে উদৃত করে বলেন, ‘তার পিতা সত্য প্রচার করতে গিয়ে তাঁর সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি আল্লাহর রাস্তায় সব কিছু দান করে ধর্মব্যবসায়ীদের পথরোধ করে দিয়ে মানবতার সেবায় নেমেছেন। অনুরূপ আমার বাবাও এমন একজন মানুষ ছিলেন যাকে নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। তিনি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১৬০০ বিঘা জমি গণমানুষের কল্যাণে ব্যয় করে এ এলাকার আওয়ামী লীগের পাশে ছিলেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে আমি ধর্ম বিশ্বাসী এবং আমি দুই দুইবার ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অনেক কাজ করেছি। অনেক মানুষের উপকার করেছি, কিন্তু তার জন্য কোন বিনিময় গ্রহণ করিনি। আমি আল্লাহর কাছে শপথ করেছি ভবিষ্যতেও আমি সততার সাথে কাজ করে যাব। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐ ধর্মব্যসায়ী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিটি বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ১৯৭১ সালে এই দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বলেই আজকে আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পেরেছি। বিভিন্ন জন বিভিন্ন পদ লাভ করতে পেরেছি। তা যদি না হতো তাহলে আমাদেরকে পরাধীনতার গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকতে হতো। তাই আজকেও আমাদেরকে কোন শক্তি তাদের ইচ্ছেমত ব্যবহার করতে পারবে না।’ তিনি দৈনিক দেশেরপত্রের কাছে আশা প্রকাশ করেন যে, দেশেরপত্র সুন্দর ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর সঠিক চিত্র তুলে ধরে তাদের উন্নয়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। একই সাথে সকল ধর্মব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে এবং সঠিক বিষয়গুলো তদন্তের প্রকাশ করবে।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...