মাননীয় এমামুযযামানের লেখা থেকে সম্পাদিত:
আল্লাহর শেষ নবী (দ:) ইসলামের যে শেষ সংস্করণটি নিয়ে এসেছেন তা যে অত্যন্ত সহজ, সরল এবং ভারসাম্যযুক্ত তা আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত (দ:) কোর’আনে ও হাদিসে বারবার উল্লেখ কোরেছেন। বারবার উল্লেখ কোরেছেন এই জন্য যে, এই সহজ সরলতা, এই ভারসাম্য ইসলামের প্রাণ, মর্মবাণী। যে বা যারা এ থেকে চ্যুত হবে তারা আর এই ইসলামের গণ্ডীর মধ্যে নেই, কারণ যে উদ্দেশ্যে এই দীন, জীবনব্যবস্থা প্রেরিত হোয়েছে সেই উদ্দেশ্যই তখন ব্যর্থ হবে। এই হোচ্ছে মহানবী (দ:) বর্ণিত পুলসেরাত। তলোয়ারের ধারের মত সূক্ষ্ম একটি সেতু, যে সেতু পার না হোয়ে জান্নাতে পৌঁছানো যাবে না। একটি অতি সূক্ষ্ম সেতু পার হোতে গেলে কোন জিনিসটি অবধারিত? অতি নিশ্চিত উত্তর হোচ্ছে ভারাসাম্য (ইধষধহপব) এর কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। ঐ ভারসাম্যের কথাই আল্লাহ বহুবার বোলেছেন তাঁর কোর’আনে, তাঁর রসুল (দ:) বোলছেন তাঁর বহু হাদিসে। সেই ভারসাম্য যেটা আমি বারবার এখানে জোর দিচ্ছি, দেহের ও আত্মার, মস্তিস্কের আর মনের, দুনিয়া ও আখেরাতের ভারসাম্য। যে বা যারা যে কোন দিকে কাত হোয়ে এই ভারসাম্য নষ্ট কোরবেন তিনি মহা পণ্ডিত, মহা আলেম হোতে পারেন, মহা সাধক, মহা সুফী হোতে পারেন কিন্তু মোহাম্মদের (দ:) মাধ্যমে প্রেরিত শেষ ইসলামে নেই। ইহুদীদের রাব্বাই, সাদ্দুসাইরা শেষ ইসলামের আলেমদের চেয়ে পাণ্ডিত্যে কম ছিলেন না, কিন্তু আল্লাহর চোখে তারা তাঁর নবী ঈসার (আ:) বিরোধী ও শত্র“, সুতরাং আল্লাহর শত্র“। আর অন্যান্য ধর্মের মহা সাধকরাও ্আমাদের মহা সুফীদের চেয়ে আধ্যাত্ম শক্তিতে কোন কম যান নি। যারা জানেন না তারা দয়া কোরে পড়াশোনা কোরে দেখুন। কিন্তু ওগুলো এই শেষ ইসলাম নয়। এই সত্য ভালো কোরে মানুষকে বোঝাবার জন্য বিশ্বনবী (দ:) একটি সোজা লাইন টেনে বোললেন এই হোচ্ছে সহজ, সরল পথ, সেরাতুল মোস্তাকীম। তারপর ঐ লাইন থেকে ডান দিকে কতকগুলি ও বামদিকে কতকগুলি আড়াআড়ি লাইন টেনে বোললেন, এই সেরাতুল মোস্তাকীম ছেড়ে শয়তানের ডাকে ডান দিকে আর বামদিকে কতক লোক চলে যাবে। এই বোলে তিনি কোর’আনের আয়াত পড়লেন যাতে সেরাতুল মোস্তাকীমের গুরুত্ব উল্লেখ করা হোয়েছে। এই হাদিসটি পেছনে উল্লেখ কোরে এসেছি।
আদম (আ:) থেকে শুরু কোরে শেষ নবী মোহাম্মদ (দ:) পর্যন্ত ইসলামের অর্থাৎ দীনুল কাইয়্যেমার মর্মবাণী তওহীদ- এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো তৈরি জীবন-বিধান মানি না, স্বীকার কোরি না। এই সেরাতুল মোস্তাকীম, সহজ-সরল পথ ছেড়ে মহাপণ্ডিতরা দীনের চুলচেরা বিশ্লেষণ কোরে এই কোরলেন যে, সহজ-সরল পথটি হোয়ে গেলো একটি অত্যন্ত দুর্বোধ্য জীবন-ব্যবস্থা, খুঁটিনাটি মসলা-মাসায়েলের জটিল জাল। এই জটিল জালে আটকা পড়ে সমস্ত জাতিটাই মাকড়সার জালে আটকা পড়া মাছির মত অসহায়, স্থবির হোয়ে গেলো। ঐ স্থবিরতার অবশ্যম্ভাবী ফল হোয়েছে শত্র“র ঘৃণিত গোলামি ও বর্তমান অবস্থা; যেখানে অজ্ঞানতায়, অশিক্ষায়, কুশিক্ষায় ইসলামের আগের জাহেলিয়াতের অবস্থাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই জাতির আলেম সমাজ আজ কুয়োর ব্যাঙ। দুনিয়ার খবর যারা রাখেন তাদের চোখে এরা অবজ্ঞার পাত্র, হাসির খোরাক। আসমানের মত বিরাট উদাত্ত দীনকে এরা তাদের লম্বা কোর্তার পকেটে পুরে মিলাদ পড়ে, বাড়ি বাড়ি দাওয়াত খেয়ে আর সুর কোরে ওয়াজ কোরে বেড়ান। তবু যদি তাদের ওয়াজের মধ্যে অন্তত কিছু সার কথা থাকতো! তাও নেই, কারণ দীনের মর্মকথা, এর উদ্দেশ্য, প্রক্রিয়া এ সবের কিছুই তাদের জানা নেই। আসল দিক অর্থাৎ জাতীয় জীবনের দিকটাকে সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দিয়ে ব্যক্তি দিকটার সামান্য যে বাহ্যিক অংশকে এরা আঁকড়ে ধোরে আছেন তা পর্যন্ত ভুল। যে দাড়ি রাখাকে এরা দীনের অতি প্রয়োজনীয় কর্তব্য বোলে মনে করেন, প্রতি ওয়াজে প্রতি উপদেশে যারা দাড়ির প্রয়োজনীয়তার উপর অনেক সময় নষ্ট করেন সেই দাড়িকেই ধরুন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ লোকই দাড়িকে তার নিজের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিয়েছেন, যেটা বাড়তে বাড়তে সারা বুক ছেয়ে যায়। এই দাড়ি এই দীনের দাড়ি নয়। এ দাড়ি ইহুদিদের দাড়ি এবং এ রকম দাড়ি রাখা যে মহানবীর (দ:) নিষেধ তা তারা জনেন না। তাঁর (দ:) নির্দেশিত দাড়ি নিচের ঠোঁটের নিচ থেকে, অর্থাৎ যেখান থেকে দাড়ি গজায় সেখান থেকে একমুষ্ঠি মাত্র, এর বেশি হোলেই তা ছেটে ফেলার নিয়ম। ফকীহদেরও অধিকাংশের মত হোচ্ছে চার আঙ্গুল লম্বা দাড়ি হোচ্ছে শরিয়াহ অনুযায়ী। ইহুদিদের রাব্বাইরা লম্বা আলখেল্লা পরেন ও মাথায় লম্বা টুপি লাগান, লম্বা দাড়ি তো প্রত্যেকেরই আছে। কাজেই একদল রাব্বাইদের মধ্যে আমাদের একদল ‘ধর্মীয়’ নেতাদের দাঁড় কোরিয়ে দিলে তাদের আলাদা কোরে চেনা যাবে না। এই উড়ন্ত দাড়ির সঙ্গে তারা যোগ করেন ন্যাড়া মাথা। তারা বলেন, আল্লাহর রসুলকে (দ:) মাথা ন্যাড়া অবস্থায় দেখা গেছে বোলে হাদিসে আছে, কাজেই ন্যাড়া করাও সুন্নাহ। এ সিদ্ধান্তও ভুল। মহানবী (দ:) সব সময়ই লম্বা চুল অর্থাৎ আমরা যাকে বাবরী বোলি তাই রাখতেন এবং তা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যে দেখেছেন স্বভাবতঃই। আম্মা আয়েশা (রা:) বর্ণনা কোরেছেন, “পবিত্র কানের নিচ থেকে কাঁধ পর্যন্ত” অর্থাৎ সময়ে লম্বা হোয়ে পবিত্র কাঁধ পর্যন্ত এসেছে এবং তখন ছেটে ফেললে আবার কানের নিচ পর্যন্ত ছোট হোয়েছে। যারা তাকে মাথা কামানো অবস্থায় দেখেছেন, তারা দেখেছেন হজ্বের সময়- যখন সবাইকে মাথার চুল কামিয়ে ফেলতে হয় হজ্বের আরকান হিসাবে। যেহেতু হজ্বের সময়ই একত্রে বহু সংখ্যক লোক তাকে মাথা কামানো অবস্থায় দেখেছেন এবং পরে বর্ণনা কোরেছেন যে, “আমি রসুলাল্লাহকে (দ:) মাথা কামানো অবস্থায় দেখেছি,” তাই তার মাথা কামানো অবস্থার কথা হাদিসে এবং সীরাতে স্থান পেয়েছে। কিন্তু এটা তার স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্নাহ নয়, হজ্বে তো সবাইকে মাথা কামাতে হবে। কিন্তু ঐ বর্ণনাগুলিকে ভিত্তি কোরে এরা একদিকে মাথা কামিয়ে, অন্যদিকে হাওয়ায় উড়ন্ত বিশাল ইহুদি দাড়ি রেখে এক ভয়াবহ চেহারা সৃষ্টি করেন।
এই দীনের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে এরা যেমন উল্টো কোরে ফেলেছেন তেমনি এর বাহ্যিক দিকটাও এরা এদের অপরিসীম অজ্ঞতায় উল্টে ফেলেছেন। দাড়ি রাখা, বাহ্যিক পোষাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি এই দীনের বুনিয়াদী কোন ব্যাপার নয় এবং বুনিয়াদী নয় বোলেই কোর’আনে আল্লাহ কোথাও দাড়ি বা কাপড়-চোপড় সম্বন্ধে কোনো নির্দেশ দেন নি। বরং বোলেছেন- আমি মানুষের কাপড়-চোপড়, পোশাক-পরিচ্ছদ দেখি না, আমি দেখি মানুষের অন্তর। আসলে এই শেষ দীনে কোনো নির্দিষ্ট পোষাক হোতে পারে না, কারণ এটা এসেছে সমস্ত পৃথিবীর মানুষের জন্য। পৃথিবীর মানুষ প্রচণ্ড গরমের দেশে, প্রচণ্ড শীতের দেশে, নাতিশীতোষ্ণ দেশে, অর্থাৎ সর্বরকম আবহাওয়ায় বাস করে, এদের সবার জন্য এক রকম পোষাক নির্দেশ করা অসম্ভব। তা কোরলে এ দীন সমস্ত মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য হোতে পারতো না, সীমিত হোয়ে যেতো। তাই আল্লাহ ও তাঁর রসুল (দ:) তা করেনও নি। বিশ্বনবীর (দ:) সময়ে তাঁর নিজের এবং সাহাবাদের পোষাক-পরিচ্ছদ ও তখনকার আরবের মোশরেক ও কাফেরদের পরিচ্ছদ একই ছিলো। বর্তমানেও আরবে মোসলেম আরব, খ্রিস্টান আরব ও ইহুদি আরবদের একই পোষাক-পরিচ্ছদ। দেখলে বলা যাবে না কে মোসলেম, কে খ্রিস্টান আর কে ইহুদি।
কোনো সন্দেহ নেই, বিশ্বনবী (দ:) তাঁর অনুসারীদের একটা নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের দাড়ি রাখতে বোলেছেন। কেন বোলেছেন? এই জন্য বোলেছেন যে, তিনি যে জাতিটি, উম্মাহ সৃষ্টি কোরলেন তা যেমন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি তেমনি বাইরে থেকে দেখতেও যেন এই উম্মাহর মানুষগুলি সুন্দর হয়। আদিকাল থেকে দাড়ি মানুষের পৌরুষ ও সৌন্দর্যের প্রতীক হোয়ে আছে। সিংহের যেমন কেশর, ময়ূরের যেমন লেজ, হাতির যেমন দাঁত, হরিণের যেমন শিং, তেমনি দাড়ি মানুষের প্রাকৃতিক পৌরুষ সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্য নষ্ট না করার উদ্দেশ্যেই দাড়ি রাখার নির্দেশ। আরও একটা প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্য আছে দাড়ি রাখার নির্দেশের। পূর্ববর্তী ধর্ম, দীন, জীবন-বিধানগুলি বিকৃত হোয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার ফলে যখন সেগুলির মধ্যে একপেশে আধ্যাত্মবাদ, সন্ন্যাসবাদ ইত্যাদি প্রবল হোয়ে দাঁড়ালো তখন তারা মাথার চুল, দাড়ি মোছ ইত্যাদি কামিয়ে ফেলে কৌপীন পরে সংসার ত্যাগ কোরল। অর্থাৎ দাড়ি-মোছ ইত্যাদি কামিয়ে ফেলা হোল বৈরাগ্যের চিহ্ন, সংসার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার চিহ্ন। কিন্তু মহানবী (দ:) যে উম্মাহ সৃষ্টি কোরলেন তার উদ্দেশ্য হোল সংগ্রামের মাধ্যমে সমস্ত পৃথিবীকে এই দীনের মধ্যে এনে সুবিচার, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা। তাহলে স্বভাবতঃই এই উম্মাহর সমস্ত কর্মপ্রবাহ সংগ্রামী, প্রকাশ্য ও বহির্মুখী হোতে বাধ্য এ কথা সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায়। সুতরাং এই উম্মাহর লোকজনের চেহারাও অবশ্যই সংসার বৈরাগী সন্ন্যাসীর ছাপ থাকবে না এবং ছাপ না রাখার জন্য দাড়ি রেখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে এই পৃথিবীরই সংসারী লোকজনের মত দেখাবার নির্দেশ। মহানবীর (দ:) সময়ে খ্রিস্টান সন্ন্যাসীরা (রাহেব) এক দল দাড়ি-মোচ বা চুলে কাচি লাগাতো না, ওগুলো ইচ্ছামত বাড়তো, আরেক দল সব কামিয়ে ফেলতো, ইহুদিরা বিরাট বিরাট দাড়ি রাখতো আর বৌদ্ধরা সব কামিয়ে ফেলতো। সবগুলোই ছিলো বৈরাগ্য, সংসার ত্যাগের বাহ্যিক প্রকাশ রূপে। এই বৈরাগ্যের মানসিকতার বিরোধিতা কোরে বিশ্বনবী (দ:) তাঁর নিজের জাতিকে নির্দেশ দিলেন- আমার এই দীনে সন্ন্যাস, বৈরাগ্য নেই (লা রোহবানীয়াতা ফিল ইসলাম)। তোমরা ঐ সব সংসার ত্যাগী সন্ন্যাসীদের বিপরীত কোরবে অর্থাৎ দাড়ি ও মোচ রাখবে এবং ইহুদিদের বিপরীত কোরবে অর্থাৎ দাড়ি ও মোচ ছেটে ছোট কোরে রাখবে। উদ্দেশ্য হোল ঐ কাজ কোরে তারা দেখাবে যে তারা সন্ন্যাসী নয়, সংসার বিমুখ নয় বরং ঘোর সংসারী, এই সংসারে এই পৃথিবীতে মানবজীবনে স্রষ্টার দেয়া রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক আইন, দণ্ডবিধি চালু কোরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সংগ্রামী জাতি তারা। জাতিকে সুন্দর দেখানো শেখানোর জন্য মহানবী (দ:) নিজে পরিষ্কার সুন্দর কাপড় পরতেন, দাড়ি-মোচ সুন্দর কোরে ছেটে রাখতেন। তিনি সফরে গেলেও তাঁর সঙ্গে কাচি, চিরুনী ও আয়না থাকতো। একদিন মসজিদে একজন উস্কো-খুস্কো চুলওয়ালা লোককে দেখে তিনি তখনই তাকে নির্দেশ দিলেন মাথার চুল চিরুনী কোরে সুবিন্যস্ত করার জন্য (হাদিস- আতা বিন ইয়াসার (রা:) থেকে মালেক, মেশকাত)। বয়স হোলে মাথার চুল যখন পেকে যায় সেটাকে রং করা, অর্থাৎ কম বয়সের দেখানো চেষ্টা করা দুনিয়াদারীর মানসিকতা, না বৈরাগ্যের, ধার্মিকতার মানসিকতা? মক্কা জয়ের পর পরই আবু বকর (রা:) তার অতি বৃদ্ধ বাপকে- যিনি তখনও মোশরেক ছিলেন, সুতরাং মক্কাতেই ছিলেন- মহানবীর (দ:) কাছে নিয়ে এলেন। বাপ তখন এত বৃদ্ধ যে তিনি চোখেও দেখতে পাননা। আবু বকরের (রা:) বাপ বিশ্বনবীর (দ:) হাতে ইসলাম গ্রহণের পর রসুলাল্লাহ (দ:) তখনই হুকুম দিলেন তার শুভ্র চুল দাড়ি মেহেন্দী দিয়ে রং কোরে দিতে এবং তখনই তা কোরে দেওয়া হোল (সীরাত রসুলাল্লাহ (দ:) ইবনে ইসহাক)। একটি অন্ধ, অতি বৃদ্ধের চুল দাড়ি রং করা এবং আজকের ‘ধার্মিক’ মোসলেমদের নানাভাবে বৈরাগ্য প্রকাশ করার মধ্যে রোয়েছে সত্যিকার ও পথভ্রষ্ট ইসলামের আকীদার তফাৎ- দু’টি বিপরীতমুখী আকীদা। আজ বিকৃত আক
ীদার ‘ধার্মিক’রা অনিয়ন্ত্রিত উলোঝুলো দাড়ি উড়িয়ে, মাথা ন্যাড়া কোরে বিশ্রী কাপড় পড়ে দেখাতে চান যে তাদের মন দুনিয়া বিমুখ হোয়ে আল্লাহর দিকে গেছে- ঠিক যেমন কোরে ঐ খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা বোঝায়। অর্থাৎ মহানবী (দ:) যে উদ্দেশ্যে দাড়ি মোচ সুন্দর কোরে ছেটে রাখতে বোলেছেন, অর্থাৎ সুন্দর দেখাতে, তার ঠিক বিপরীত উদ্দেশ্যে।