রিয়াদুল হাসান
আজ থেকে কয়েক শতাব্দী আগে পৃথিবীর যে দেশগুলিই দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইউরোপীয় জাতিগুলির পদানত হয়েছিল সেই দেশগুলির বর্তমান জনগোষ্ঠীর দিকে তাকালে আমরা একটি সাধারণ দৃশ্য দেখতে পাই। আর তা হলো: এই জনগোষ্ঠী ভয়াবহ নৈতিক অধঃপতনের শিকার। সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা, দেশপ্রেম ইত্যাদি নৈতিক গুণাবলী ক্রমেই তাদের ভেতর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশের কথাই যদি ধরা হয়, তাহলে দেশে প্রস্তুত যাবতীয় পণ্যের ভেজালের কথা সর্বাগ্রে বিবেচনার দাবি রাখে। প্রতিটি কর্মে ও বচনে আমাদের মধ্যে ভেজাল ঢুকেছে। আমরা নেহায়েত কিছু আর্থিক সুবিধার আশা করে সত্যকে মিথ্যা, আর মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করি। এ কারণে দেখা যায়, খাঁটি সাক্ষী-প্রমাণ ছাড়া কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে রাজি নয়। দেশি পণ্য শুনলেই প্রত্যেকের মনে পণ্যের মান সম্পর্কে একটি সন্দেহের সৃষ্টি হয়। অথচ ইউরোপের যে কোন জিনিসে Made in England বা German লেখা থাকলেই অসংকোচে ধরে নেই যে, জিনিসটি খাঁটি হবে। এ বিষয়ে কেউ সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে আগ্রহ দেখায় না। কারণ সে ব্যাপারে সকলেই প্রায় একরকম নিশ্চিত থাকি যে, ইউরোপ-আমেরিকার মানুষের দ্বারা আর যাই হোক ভেজাল ব্যবসা করা সম্ভব নয়।
কিন্তু আমাদের পূর্ব পুরুষের ইতিহাস কি এমন ছিল? আমরা যদি আমাদের পেছনের ইতিহাস দেখি তাহলে অবাক হতে হবে এই দেখে যে, আমাদের পূর্বপুরুষরা অধিকাংশই কথা ও কাজে নির্ভেজাল ছিলেন। মিথ্যা বলা, কপটতার আশ্রয় নেওয়া বা মানুষের ক্ষতি হবে এমন কোন কাজ তারা কখনই করতেন না। বহু মানুষ সমাজে ছিলেন যারা মিথ্যা কথা বলতেই পারতেন না। কিন্তু আমরা তাদের এই সত্যবাদিতা, ন্যায়-পরায়ণতা ও সরলতা নিয়ে কটাক্ষ করতে দ্বিধা করি না, যদিও আমাদের উচিত ছিল তাদের মানবিক গুণাবলী নিয়ে গর্ব করা। মানুষ কতটা বড় তা বোঝা যায় তখনই যখন কথায় ও কাজে সে খাঁটি থাকে। আমাদের পূর্বপুরুষগণ সেই পরীক্ষায় বরাবরই উত্তীর্ণ ছিলেন।
অথচ আজ আমাদের এত করুণ অবস্থায় দিনানিপাত করতে হচ্ছে। এর পেছনে বহু খ্যাতনামা পন্ডিত বহু ব্যখ্যা দাঁড় করাতে পারেন, আলোচনা-সমালোচনা বা গবেষণা করে এক বা একাধিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন, তবে গোড়ার কথায় গেলে এটা সবাই মানতে বাধ্য থাকবেন যে, আমাদের যাবতীয় নৈতিক অধঃপতন শুরু হয়েছে এবং বিস্তার লাভ করেছে মূলত ইংরেজ শাসনামলে, আর তারই চূড়ান্ত বিস্তার আমরা প্রত্যক্ষ করছি বর্তমানে এসে। ইংরেজের শাসনে প্রায় দুইশ’ বছর থেকে আমরা আমাদের অনেক কিছুর সঙ্গে সত্যবাদিতাও হারিয়ে ফেলেছি। এটা কেবল সময়ের কালচক্রে সংঘটিত মানুষের সামাজিকীকরণের ফল নয়, এটা একটা ষড়যন্ত্রের ফসল। সাম্রজ্যবাদীদের সাম্রাজ্যকে স্থায়ী করার নিমিত্তে প্রজাদের মনোবল বা আত্মিক শক্তি বিনষ্টকরণ হচ্ছে একটি ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত উপকরণ। ইতিহাসে এর যথেষ্ট ব্যবহার হয়েছে। এরই পুনরাবৃত্তি হিসেবে ইংরেজরা কিভাবে আমাদেরকে মিথ্যা বলার ও নানারূপ চরিত্রহীনতার দিকে ঠেলে নিয়ে গেছে, তার কিছু দলিল আমরা তুলে ধরছি। তথ্য সংগ্রহের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রকাশিত বিশিষ্ট ঐতিহাসিক হায়দার আলী চৌধুরী ওরফে আহসানউদ্দিন মুহম্মদ রচিত পলাশী যুদ্ধোত্তর আযাদী সংগ্রামের পাদপীঠ গ্রন্থের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।
মাদক সেবনে মানসিক শক্তির কত সাংঘাতিক বিকৃতি সাধিত হয়, তা কারও অজানা নয়। তাই কোন শাসকই চায় না তার জাতি এই মাদকের সংস্পর্শে আসুক এবং পরিণামে জাতির নৈতিক বিকৃতি সাধিত হোক। কিন্তু সা¤্রাজ্যবাদী ব্রিটিশরা তা-ই চেয়েছিল কারণ এই উপমহাদেশের জাতিগোষ্ঠিগুলোর নৈতিকতা বা অনৈতিকতার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক ছিল না। বরং আমাদের নৈতিক অধঃপতন ছিল তাদের কাম্য, কেননা এতে করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে সক্ষম হবো না। আমাদের চরিত্রের উৎকর্ষ বা অধঃপতন থেকে তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল ব্যবসায়ীক লাভ-লোকসানের বিষয়। আমাদের এই উপমহাদেশে আফিমের সর্বপ্রথম উৎপাদন শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে, যা ছিল সম্পূর্ণ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়। আফিম চাষে আমাদের দেশের কৃষকদের বিশেষ করে মুসলিম জাতির কখনই বিশেষ কোন আগ্রহ ছিল না, বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা এই কাজ করতে বিরাগ প্রদর্শন করত। কিন্তু ভারতে আসীন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসন দরিদ্র কৃষকদেরকে টাকার ও অন্যবিধ প্রলোভন দেখিয়ে মুগ্ধ করে আফিমের চাষে লিপ্ত করতে চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, ক্ষেত্রবিশেষে কৃষকদেরকে আফিম চাষ করতে এক প্রকার বাধ্য করা হোত।
বঙ্গের ভূতপূর্ব ছোটলাট স্যার সিসিল বিডন বিলাতের ফাইন্যান্স কমিটির সমক্ষে সাক্ষ্য দানকালে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন: The Government would probably not be deterred from adopting such a course by any consideration as to be deleterious effect which opium might produce on the people to whom it was sold. অর্থাৎ, ‘আফিম সেবনে প্রজার চরিত্রবল বিনষ্ট হবে, এই শঙ্কায় সরকার কখনই এই লাভজনক ব্যবসা পরিত্যাগ করতে পারে না।’
মূলতঃ ইংরেজরা এই উপমহাদেশে এসেছিল ব্যবসা করার জন্যই, তারা এতদঞ্চলের জনসাধারণের সেবা করার আশা নিয়ে আসে নি। আর তাই ইতিহাসে পাওয়া যায়, ইংরেজরা এই উপমহাদেশের কৃষকদেরকে আফিম চাষে ঋণ দিয়েই ক্ষান্ত হয় নি, এ দেশবাসী যুবকদের যাতে আফিমে আসক্তি জন্মে, তার জন্য অনেক গর্হিত উপায়ও অবলম্বন করেছিল।
ব্রহ্মদেশের ভূতপূর্ব সহকারী কমিশনার মি: হাইন্ড বলেন-
Organized efforts are made by Bengal agents to introduce the use of the drug and create taste for it among the rising generation.
অর্থাৎ, “এজেন্ট নিযুক্ত করে বাংলায় আফিমের প্রচার বৃদ্ধির জন্য যথারীতি চেষ্টা করা হয়েছিল। তাছাড়া আফিমের সেবনে তরুণ যুবকদের যাতে আসক্তি জন্মে, তার জন্যও যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছিল।”
এই চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রথমেই গ্রামে গ্রামে আফিমের দোকান খোলা হয়েছিল। অতঃপর পল্লীবাসী যুবকদেরকে দোকানে ডেকে বিনামূল্যে আফিম বিতরণের ব্যবস্থা করা হলো। কিছুদিন পরে যখন তাদের আফিম সেবনে অভ্যাস জন্মাল, তখন অতি অল্পমূল্যে তা বিক্রি শুরু হতে লাগলো, তারপর চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ক্রমেই মূল্য বৃদ্ধি হতে লাগলো। এভাবে অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশের নানা স্থানে আফিমের প্রচার বাড়লো এবং পল্লীবাসী যুবক আফিমে আসক্ত হয়ে নৈতিক অধঃপতনের শিকার হলো। যে মদ এদেশে লোকের ‘হারাম’, ‘অপেয়’ ও ‘অস্পৃশ্য’ ছিল, তার স্রোতে আজকাল সমাজ ভেসে যাচ্ছে। যে ঘৃণিত উপায়ে এদেশে আফিমের ঘাটতি বাড়ানো হলো, মদের ঘাটতি বাড়াবার জন্যও যে প্রথমে সেইরূপ নিন্দনীয় উপায়ই অবলম্বিত হয়েছিল, সিসিল বিডন এ কথা বিদেশে গিয়ে প্রকাশ করেছেন। বঙ্গীয় রেভিনিউ বোর্ডের পুরাতন রিপোর্টসমূহ পাঠ করলে প্রমাণ পাওয়া যায়, প্রতি বছর মদের ঘাটতি না বাড়াতে পারলে কালেক্টর ও ডেপুটি কালেক্টরদেরকে প্রকাশ্যভাবে তিরস্কার করা হোত। রাজস্ব বৃদ্ধির আশায় কর্তৃপক্ষ পাঞ্জাবে সুরার প্রচলন বিষয়ে এরূপ আগ্রহাধিক্য প্রকাশ করেন যে, তাতে হিতে বিপরীত হয়। বহু প্রদেশ মদ্যপানের বিষময় পরিণামে জনশূন্য হয়ে গেল, সরকারি রাজস্ব কমে গেল।
এই বিষয়ে পাঞ্জাবের তদানীন্তন ছোট লাট স্যার ম্যাকলিয়তের উক্তি এই:
In the Nerbudda territories I have known whole districts depopulated in consequence of the action of our spirit contractors, they used to send people all over the journey to reduce these poor simple folk and utterly demoralize them. They got on their books, and after being sold out of house and home, they absconded in thousand.
অর্থাৎ নর্বুদ্দ রাজ্যে আমি দেখেছি পুরো জেলা আমাদের নিয়োজিত মাদক-এজেন্টদের কর্মতৎপরতার ফলে জনশূন্য হয়ে গেছে। তারা বলপূর্বক সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীদেরকে এলাকা থেকে উৎখাত করে দিত এবং নৈতিকতা-পরিশূন্য করে ফেলত। এক পর্যায়ে তারা হাজারে হাজারে বাড়ি ঘর বেচে দিয়ে ফেরারি হয়ে যেত।
আবগারি বিভাগের আয় বাড়াবার জন্য, ভারতীয় সমাজের চরিত্রবল হরণ কোরবার জন্য কর্তৃপক্ষের যত্নের ত্রুটি ছিল না। সরকারি রিপোর্টে দৃষ্টিপাত করলে উপলব্ধি হয় যে, প্রতি বৎসরই মাদক দ্রব্যের বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন:
১৯০৩ সালে গড়ে প্রত্যেক ভারতবাসীর নিকট কর্তৃপক্ষ মাদক বিক্রয় হিসাবে সাড়ে পাঁচ আনা করে লাভ পেয়েছেন। আবগারির আয় বাড়াতে কর্তৃপক্ষের যেরূপ যত্ন, দেশে সুশিক্ষা বিস্তরে সেরূপ যত্ন নেই, এ থেকে লাঞ্ছনাকর, লজ্জাস্কর বিষয় আর কী হতে পারে! ‘সুসভ্য’ ইংরেজের এই বিসদৃশ কার্য প্রণালীর ফল কিরূপ ভীষণ হয়েছে, মি: কস্ট মহোদয় নিম্নোক্ত মন্তব্যে তা ব্যক্ত করেছেন:
“ভারতবর্ষে ইংরেজরা যে শাসননীতি অবলম্বন করেছেন, তাতে দেশবাসীর চরিত্র দিন দিন হীন হবে; স্যার জন শোর ও ক্যাম্পবেল মহোদয়ের এই ভবিষ্যদ্বাণী সফল হয়েছে।
অপেক্ষাকৃত অল্প দিনের মধ্যেই ব্রিটিশ শাসনে ভারতবাসীর স্বাভাবিক সত্যপ্রিয়তা ও সাধুতা হ্রাস পেয়েছে। প্রত্যেক ভারতবাসীই এখন বলে- আজকালকার দিনে ভালো লোক পাওয়া অসম্ভব। আমাদের আইন, শাসন ও শিক্ষা ভারতবাসীকে ধূর্ত, অধার্মিক ও মামলাবাজ করে তুলেছে। এখন কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে চায় না। পূর্বে লোকের মুখের কথা দলিলের ন্যায় অটল বলিয়া বিবেচিত হত, পরে দলিল বিশ্বাসের আধার হলো। এখন দলিলেও কেউ বিশ্বাস করে না। কোনও বুদ্ধিমান ব্যক্তিই আর স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক না পেলে টাকা ধার দিতে অগ্রসর হয় না। যে সকল অঞ্চলে ইংরেজ শাসন ও শিক্ষা বদ্ধমূল হয় নি, সে সকল অঞ্চলে সাধুতা ও সত্যপ্রিয়তার নিদর্শন এখনও পাওয়া যায়। নববিজিত পাঞ্জাবের সাথে বঙ্গদেশ ও মাদ্রাজ প্রদেশের লোকের তুলনা করলেই এ কথার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। সুসভ্য হিসেবে পরিচিত ইংরেজের সংসর্গে ভারতবাসীর চরিত্রের দিন দিন উন্নতি হওয়াই ছিল স্বাভাবিক, কিন্তু বাস্তব্যে হয়েছে অবনতি।
দীর্ঘকালের মুসলিম শাসনেও ভারতীয় সমাজের যে চরিত্রগত অবনতি ঘটে নি, স্বল্প দিনের ইংরেজ শাসনে তাই ঘটেছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো, ইংরেজদের সেই কৌশলী এবং নীতিবিবর্জিত শাসন এবং শিক্ষাব্যবস্থা আজও আমাদের উপমহাদেশের সর্বত্রই অপরিবর্তিত রয়েছে। এই দোষবহুল শাসননীতির পরিবর্তন না ঘটলে চরিত্রাবনতির স্রোত ক্রমেই বেগবান হবে, সন্দেহ নেই (সূত্র: ‘দেশের কথা’, পঞ্চম সংস্করণ: কলিকাতা, অগ্রহায়ণ ১৩১৫ সাল, প্রণীত শ্রী সখারাম গনেশ দেউঙ্কর, পৃ: ৬৪-৬৮)।
ইংরেজ রাজত্বে আমরা কিভাবে চরিত্র হারালাম তা স্পষ্টভাবে উপরের উদ্ধৃতিগুলিতেই বোঝা যাচ্ছে। আমাদের শিল্প-বাণিজ্য যেমন ইংরেজ শাসনে ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, চরিত্রও তেমনি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ চালিত সরকারের উদ্দেশ্য ছিল আমাদেরকে অমানুষ করা, মানুষ করা নয়। আর সে আশাও বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী সরকারের কাছে করা যেতে পারে না। যারা ইংরেজ রাজত্বের মহিমা ও প্রশংসায় পঞ্চমুখ তারা যে জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করছেন তাতে সন্দেহ নেই। তাদের কথা যে কতটা অযৌক্তিক, অসত্য, অমূলক, হীনম্মন্যতায় আচ্ছন্ন ও ভিত্তি-বর্জিত তার প্রমাণ আশা করি দিতে পেরেছি।
প্রায় দু’শ বছরের ইংরেজ শাসনের গুণে, কোর্ট, কাছারি, অফিস, আদালত, রাজনৈতিক ইশতেহারে, বিজ্ঞাপনে, মঞ্চে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, চলনে-বলনে, ধর্মের নামে সবখানে আজ মিথ্যা আর দুর্নীতির ছড়াছড়ি। মিথ্যা দিয়ে মুষ্টিমেয় লোক লাভবান হতে পারে, কিন্তু দেশ ও জাতি চরিত্রহীনতার কারণে আজ সব দিক দিয়ে ক্ষতির মধ্যে নিপতিত। এই নৈতিকতা বর্জিত জাতিগুলো কীভাবে কোনকিছু সৃষ্টি করবে? আমাদের পূর্বপুরুষদের যত অশিক্ষিত, মূর্খ বলা হোক না কেন, তাদের মধ্যে যে সত্যবাদিতা ও সাধুতা ছিল, তা জাতির পক্ষে ছিল অমূল্য সম্পদ। শিক্ষিত হয়ে এই যে মিথ্যা বলা, চুরি করা, পরস্বপহরণ করা, এটা কোন জাতীয় সুস্থতা ও উন্নতির লক্ষণ?