হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

আল্লাহর মো’জেজা: হেযবুত তওহীদ দিয়েই সমস্ত পৃথিবীতে আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠিত হবে (ইনশা’ল্লাহ)

মো’জেজা কী?

মো’জেজা ইসলামের ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আল্লাহ যুগে যুগে প্রতিটি মানব সম্প্রদায়ে নবী রসুল প্রেরণ কোরেছেন, তাঁরা এসে আল্লাহকে একমাত্র এলাহ (হুকুমদাতা) হিসাবে মেনে নেওয়ার জন্য মানুষকে আহ্বান কোরেছেন। আল্লাহর এই নবী ও রসুলগণ যখন তাঁদের সম্প্রদায়ের নিকট গিয়ে বোলতেন, “আমাকে আল্লাহ নবী কোরে পাঠিয়েছেন”, তখন অধিকাংশ মানুষই তাঁদেরকে বিশ্বাস কোরত না, বোলত, “তুমি যে নবী তার প্রমাণ কি?” মানুষের কাছে নবী হিসাবে তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টির জন্য আল্লাহ নবীগণকে কিছু অলৌকিক ঘটনা বা মো’জেজা সংঘটনের ক্ষমতা দান কোরতেন। অলৌকিক এ ঘটনাগুলি আল্লাহই ঘটাতেন, তবে নবীদের মাধ্যমে। অর্থাৎ নবী রসুলগণ যে সত্যিই আল্লাহর তরফ থেকে মনোনীত ও নবুয়্যত প্রাপ্ত ব্যক্তি তা সত্যায়নের জন্য যে অসাধারণ ও অলৌকিক ঘটনা তাঁরা আল্লাহর হুকুমে ঘোটিয়ে দেখাতেন সেগুলোই হোচ্ছে মো’জেজা। পবিত্র কোর’আনে মো’জেজা শব্দটিই নেই, এ প্রসঙ্গে আল্লাহ যে শব্দটি ব্যবহার কোরেছেন তা হোচ্ছে- আয়াহ, অর্থাৎ চিহ্ন (সুরা শুয়ারা-১৫২)। নবীদের দ্বারা সংঘটিত প্রতিটি অলৌকিক ঘটনা হোচ্ছে তাঁদের সত্যতার চিহ্ন। এ চিহ্ন দেখেই মানুষ বুঝতে পারে যে, এ লোকটি নিশ্চয়ই আল্লাহর রসুল, নইলে সে যা কোরছে তা কিভাবে কোরছে? একাজ কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভবই নয়। সুতরাং সে যা বোলছে তা-ও সত্য, হক।
দুইভাবে সত্য বোঝা যায়, উপলব্ধি করা যায়। (ক) যুক্তি, বুদ্ধি, জ্ঞান, দলিল প্রমাণ ইত্যাদির মাধ্যমে, (খ) চাক্ষুস অর্থাৎ নিজের চোখে দেখে। সমাজে কিছু লোক আছে যারা তাদের যুক্তি, বুদ্ধি, জ্ঞান দ্বারা সত্যকে বুঝতে পারে না, তখন মহান আল্লাহ মো’জেজা ঘটান যেন আল্লাহর দেওয়া ঐ বিষয়কে প্রত্যাখ্যান করার আর কোন কারণ থাকতে না পারে। বিভিন্ন নবীর মো’জেজাগুলি পর্যবেক্ষণ কোরলে আমরা তার মধ্যেও এ বিষয়টি লক্ষ্য কোরতে পারি। তা হোচ্ছে, যে নবীকে আল্লাহ যে সময়ে ও যে সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরণ কোরেছেন, তাঁকে সেই সময়ের লোকদের বুদ্ধিবৃত্তি ও পারিপার্শ্বিকতা অনুযায়ী মো’জেজা দান কোরেছেন। স্থান কাল পাত্রভেদে মো’জেজার ধরণের মধ্যেও বহু পার্থক্য এসেছে। যেমন মুসা (আ:) এর সময় মিশরে খুব যাদুর প্রচলন ছিলো। তাই মুসা (আ:) এর মো’জেজাও ছিলো যাদুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাঁকে মো’জেজার মাধ্যমে যাদুকরদের মোকাবেলা কোরতে হোয়েছিল। আমাদের নবীর সময়ে আরবে কাব্যচর্চা খুবই সমৃদ্ধি অর্জন কোরেছিল, তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কোর’আনকে কোরেছেন ছন্দবদ্ধ ও কাব্যময়। যখন মানুষের যুক্তিবোধ ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা কম ছিলো, তখন আল্লাহ যে মো’জেজাগুলি নবীগণকে প্রদান কোরেছেন সেগুলো ছিলো একেবারে প্রত্যক্ষ অর্থাৎ যুক্তি, বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্লেষণের কোন প্রয়োজন হোত না, চোখে দেখাই যথেষ্ট হোত এবং স্থুল বুদ্ধি দিয়েই বুঝতে পারা যেতো। যেমন: সালেহ (আ:) এর নির্দেশে পাথর ভেদ কোরে উটের আবির্ভাব হওয়া, পাথর থেকে ঝর্ণা সৃষ্টি হওয়া, ঈসার (আ:) মৃতকে জীবিত করা, মাটির পাখিতে প্রাণ প্রবিষ্ট করা ইত্যাদি। যখন মানুষের যুক্তিবোধ ও চিন্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেল সে সময়ের নবীদের মো’জেজাগুলিও হোয়ে গেলো খানিকটা চিন্তা এবং যুক্তিভিত্তিক। যেমন আমাদের রসুলের শ্রেষ্ঠ মো’জেজা হোচ্ছে আল কোর’আন। কোর’আন যে মানুষের রচনা নয় তা যুক্তি-বুদ্ধি প্রয়োগ কোরেই বুঝতে হয়। হাজারটা প্রমাণ দেওয়া যাবে যা দিয়ে বোঝা যায় যে কোর’আন কোন মানুষের তৈরি হোতে পারে না, তবে সবগুলো প্রমাণই বুদ্ধিবৃত্তিক।
একবিংশ শতাব্দীতে মো’জেজার প্রাসঙ্গিকতা
আল্লাহর রসুল বিদায় নেওয়ার পর থেকে এই দীর্ঘ সময়ে ইসলাম বিকৃত হোতে হোতে এখন প্রকৃত ইসলামের আর বিকৃত কঙ্কালটি ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই। এমন সময় আল্লাহর রহমে এ যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী আবার সেই হারিয়ে যাওয়া প্রকৃত ইসলাম বুঝতে পেরেছেন। তিনি বোলছেন, বর্তমানে সারা দুনিয়ায় ইসলাম হিসাবে যে ধর্মটি চালু আছে সেটি আল্লাহর দেওয়া প্রকৃত ইসলাম নয়, বরং প্রকৃত ইসলামের সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রকৃত ইসলামটা কি তাও তিনি মানবজাতির সামনে পেশ কোরেছেন। এখন প্রশ্ন হোল, তাঁর এই কথা সত্য না অসত্য তা আমরা কি কোরে বুঝবো? বর্তমানে চালু থাকা হাজার হাজার ইসলামী মতবাদের ভিড়ে তাঁরটাই যে সত্য সে ব্যাপারে কি কোরে নিঃসন্দেহ হবো? এর একমাত্র পথ – আল্লাহ যদি পূর্বের মতো কোন মো’জেজা ঘোটিয়ে জানিয়ে দেন সেক্ষেত্রেই আমরা তা বুঝতে পারবো। কিন্তু আমাদের এমাম নবী রসুল নন যে আল্লাহ তাঁর মাধ্যমে মো’জেজা ঘটাবেন, তাই এখন কোন বিষয়কে সত্যায়ন করার প্রয়োজন হোলে স্বয়ং আল্লাহর নিজেকেই মো’জেজা প্রদর্শন করা ছাড়া আর কোন পথ নেই।
তাই গত ২ ফেব্র“য়ারি, ২০০৮ তারিখে হেযবুত তওহীদ ও তাঁর এমামকে সত্যায়ন করার জন্য আল্লাহই মো’জেজা সংঘটিত কোরলেন। গত ১৪০০ বছরে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির অভাবনীয় অগ্রগতি হোয়েছে। তাই এ মো’জেজার ঘটনাটিও সেই অগ্রসর বুদ্ধিবৃত্তির উপযোগী কোরেই আল্লাহ সংঘটন কোরেছেন। এই মো’জেজার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তা’আলা মানবজাতিকে জানিয়ে দিলেন যে: হেযবুত তওহীদ হক, সত্য; হেযবুত তওহীদের এমাম হক, অর্থাৎ আল্লাহর মনোনীত, এবং এই হেযবুত তওহীদ দিয়েই সমস্ত পৃথিবীতে তাঁর সত্যদীন প্রতিষ্ঠা কোরবেন।
বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহর সেদিনের মো’জেজা
২৪ মহররম ১৪২৯ হেজরী মোতাবেক ২ ফেব্র“য়ারি ২০০৮ ঈসায়ী। এই দিন একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হোয়েছিল ছাদের ওপর প্যান্ডেল টানিয়ে; ওপরে এবং চারিদিকে কাপড় দিয়ে ঘেরা। অনুষ্ঠানে ২৭৫ জন মোজাহেদ-মোজাহেদা ও ৪৩টির মতো বাচ্চা ও শিশু, যাদের মধ্যে ৩ মাস থেকে ১ বছর বয়সের অন্ততঃ ৩ টি কোলের শিশু থেকে ১০-১২ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে মেয়ে উপস্থিত ছিলো। ছাদের ওপর এতগুলি মানুষের স্থান সংকুলানের সমস্যা হোচ্ছিল। এমামুযযামানের বক্তব্য প্রদানের পূর্ব মুহূর্তে ছাদের পরিবেশ ছিলো খুবই হট্টগোলপূর্ণ। ৪৩টি বাচ্চার চিৎকার, চেঁচামেচি তো আছেই নিকটেই কোন মসজিদ বা ওয়াজ মাহফিল থেকে লাউড স্পিকারের আওয়াজ আসছিলো। বাড়িটি বিশ্বরোড সংলগ্ন হওয়ায় গাড়ির হর্নের ক্রমাগত আওয়াজ তো ছিলোই। কাছেই কোথাও একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে লাউড স্পিকারে বাজানো গান-বাজনার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। বাইরে ছিলো প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ। প্রচণ্ড বাতাসে প্যান্ডেলের কাপড় পত পত কোরে শব্দ কোরছিল। সেদিন ছিলো ঐ বছরের অন্যতম শীতল দিন। সবার শীতে খুব কষ্ট হোচ্ছিল। এরই মধ্যে এমামুযযামান সবার উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১০ মিনিটের একটি ভাষণ দিলেন, সেই ভাষণ লাউড স্পিকারে শোনানো হোল। যখন এমামুযযামান তাঁর ভাষণ আরম্ভ কোরলেন তখন পরিবেশ পুরো অন্যরকম হোয়ে গেল। পরে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে যামানার এমামের ঐ ভাষণের সময় আল্লাহ ন্যূনতম আটটি মো’জেজা ঘটান। এ মো’জেজাগুলির উদ্দেশ্য ছিলো প্রধানত উপস্থিত সকলে যেন এমামুযযামানের বক্তব্যটি সুস্পষ্টভাবে শুনতে পায়, কারণ ঐ ভাষণেই রোয়েছে হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা। অতি সংক্ষেপে মো’জেজাগুলি হোল:
১) এমামুযযামানের ভাষণ আরম্ভ হওয়ার মুহূর্ত থেকে চারিদিকে একটি অদ্ভুত পিনপতন নীরবতা, নিস্তব্ধতা নেমে এলো। মনে হোচ্ছিল পৃথিবীর সমস্ত শব্দ থেমে গেছে। কোথাও সামান্যতম শব্দ নেই, শুধু এমামুযযামানের বলিষ্ঠ, সুন্দর কন্ঠ শোনা যাচ্ছে এবং প্রতিটি শব্দ এত পরিষ্কারভাবে শোনা যাচ্ছে যে, পরে অনেকে বোলেছেন তাঁর সামনে বোসে তাঁর কথা কোনও দিন এত পরিষ্কারভাবে শোনা যায় নি। তাঁর ভাষণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গোলমাল শুরু হোল।
২) সেখানে ৪৩টি বিভিন্ন বয়সের শিশু ছিলো, যারা একটু আগেও তুমুল হৈ চৈ হট্টগোল কোরছিল। এমামের ভাষণ শুরু হোতেই তারা কি আল্লাহর ইচ্ছায় সবাই চুপ হোয়ে গেলো এবং ১০ মিনিট ধোরে চুপ রোইল। অথচ ৩/৪ টা বাচ্চাকে ২ মিনিট চুপ কোরিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব। এই অসম্ভব ঘটনাই সেদিন ঘোটল।
৩) ঠান্ডা হাওয়া বন্ধ হোয়ে যাওয়া। ঠাণ্ডা বাতাসের মধ্যে মিটিং করাই দুঃসাধ্য হোয়ে উঠেছিল। কিন্তু এমামের ভাষণের ঐ ১০ মিনিট শৈত্যপ্রবাহ পর্যন্ত বন্ধ হোয়ে গিয়েছিল। বাতাসের ধাক্কায় প্যান্ডেলের কাপড়ে যে আওয়াজ হোচ্ছিল তখন তাও বন্ধ হোয়ে গিয়েছিল। তখন যে পরিবেশটি তৈরি হোয়েছিল তা ছিলো সকলের জন্য আরামদায়ক।
৪) এমামের ভাষণ আরম্ভের একটু আগে পর্যন্তও অনুষ্ঠানের লাউড স্পিকার তিনটি শব্দ ছিলো অস্পষ্ট, খুব খেয়াল কোরে বুঝতে হোচ্ছিল। তিনটি স্পিকার তিন ধরণের হওয়ায় টিউন করা খুব কঠিন ছিলো, পুরো সাউন্ড সিস্টেমটাই ছিলো প্রায় অকেজো, পুরানো। কিন্তু এমাম কথা বলার সামান্য আগেই হঠাৎ লাউড স্পিকারের শব্দ একদম পরিষ্কার হোয়ে যায়। অনেকে বলেন, ‘আমরা লাউডস্পিকারের যে আওয়াজ শুনেছি তেমন আগে কখনো শুনি নাই, পরেও শুনি নাই।’
৫) অনুষ্ঠানস্থলে মোট ৫২টি মোবাইল ফোন চালু ছিলো। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সারাদেশের আমীরগণ, যাদের প্রত্যেকের ফোনে প্রচুর কল আসে। কিন্তু এমামের ভাষণের সময় একটিতেও কোন রিং বাজে নাই, কোন কল আসে নাই।
৬) সময় সংকোচন। এমাম ১০ মিনিট ৯ সেকেন্ড কথা বোলেছেন, অথচ সকলের কাছে মনে হোয়েছে মাত্র দু-এক মিনিট, সর্বোচ্চ তিন মিনিট।
৭) সবার অখণ্ড মনোযোগ। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মো’জেজা হোচ্ছে সকলের মনকে আল্লাহ পৃথিবীর সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন কোরে এমামুযযামানের ভাষণের প্রতি নিবিষ্ট কোরে দিয়েছিলেন। কেউ বোলেছেন, মনে হোল যেন গভীর পানির মধ্যে বোসে এমামের কথা শুনছি, কেউ বোলেছেন, তখন মনে হোয়েছে পৃথিবীতে কেবল আমি আর এমাম আছি। আগের সবগুলি মো’জেজার একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিলো মোজাহেদেরকে এমামের ভাষণটা শোনানো। এ সময় কারো মনোযোগে যেন সামান্য বিচ্যুতি না ঘটে সেজন্য আল্লাহ পুরো পরিবেশটা এমন কোরে দিয়েছিলেন।
৮) ঘটনার চারমাস পরে আমরা উদ্ঘাটন কোরি যে, এই ভাষণে এমামুযযামানের কথাগুলির মধ্যে আল্লাহ তিন (৩) সংখ্যার একটি অভূতপূর্ব সমন্বয় সাধন কোরেছেন। ভাষণের অন্তত ৩০টির অধিক বিষয় তিনবার কোরে এসেছে বা ৩ দ্বারা বিভাজ্য। যেমন: এমামুযযামান শুরুতে দোয়া করেন তিনটি, শেষে দোয়া করেন তিনটি, দোয়া চান তিনটি বিষয়ের জন্য, ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনটি, ভাষণে জান্নাত শব্দটি আছে তিনবার, জাহান্নাম তিনবার, মোট উপস্থিতি ৩১৮ জন ইত্যাদি। ঠিক যেমনভাবে তিনি কোর’আনকে ১৯ সংখ্যা দিয়ে বেঁধেছেন। কোন মানুষের পক্ষে সারাজীবনের সাধনাতেও এটা করা সম্ভব নয়।
এই আটটি মো’জেজার মধ্যে সাতটি মো’জেজা আল্লাহ এমনভাবে ঘটালেন যেগুলি কেবলমাত্র ঐ সময়ে ঐ স্থানে যারা উপস্থিত ছিলেন তারাই দেখতে পেলেন, অন্যরা সেটা দেখতে পায় নি। তাহোলে প্রশ্ন আসে, বাকি যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না, বা যারা পরবর্তীতে আসবেন তারা কী কোরে ঐ মো’জেজার ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন? তাই তাদের এবং তাদের পরবর্তী সকল মানুষের জন্য আল্লাহ সেখানে একটি মো’জেজা ঘটালেন এমনভাবে যেটি ঐ স্থান-কাল-পাত্রের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, অন্যরাও এটা দেখতে পাবে। এটি আল্লাহ ঘটালেন কোর’আনের সংখ্যা সংক্রান্ত মো’জেজাটির সাথে মিল রেখে। সমস্ত কোর’আনকে আল্লাহ যেভাবে উনিশ সংখ্যার জালে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধেছেন, ঠিক একইভাবে সেদিন এমামের সংক্ষিপ্ত ভাষণটিকে আল্লাহ বাঁধলেন তিন সংখ্যার জাল দিয়ে। উদ্দেশ্যও এক অর্থাৎ সত্যায়ন। এর দ্বারা আল্লাহ এটাই প্রকাশ কোরছেন যে, ‘ঐ ভাষণে যে কথাগুলো বলা হোয়েছে এগুলো যে মানুষটি বোলছেন তাঁর স্বরচিত নয়, এগুলো আমারই (আল্লাহর) কথা এবং তিনি আমারই মনোনীত ব্যক্তি।’

[সমস্ত পৃথিবীময় অন্যায়, অবিচার, যুদ্ধ ও রক্তপাত ইত্যাদি নির্মূল করে ন্যায়, সুবিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সনে এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী হেযবুত তওহীদ নামক আন্দোলনটি প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহ তাঁকে প্রকৃত ইসলামের যে জ্ঞান দান করেছেন তা তিনি যতটা সম্ভব হোয়েছে বই-পুস্তক লিখে, বক্তব্যের মাধ্যমে প্রচারের চেষ্টা করেছেন। এই নিবন্ধটি লেখকের বিভিন্ন লেখা ও বক্তব্য থেকে সম্পাদিত। মো’জেজা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পড়–ন “আল্লাহর মোজেজা: হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণা” নামের বইটি।

লেখাটি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে

Email
Facebook
Twitter
Skype
WhatsApp
সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...