হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

রসুলাল্লাহর (সা.) ঈদ বনাম বর্তমানের ঈদ

[লেখক: প্রাবন্ধিক ও শিক্ষার্থী, ইংরেজী সাহিত্য, তিতুমীর কলেজ, ঢাকা; যোগাযোগ: ০১৬৭০১৭৪৬৪৩, ০১৭১১৫৭১৫৮১, ০১৭১১০০৫০২৫]

রসুলাল্লাহর (সা.) ঈদ বনাম বর্তমানের ঈদ

এ ইতিহাস সকলেই জানেন, মক্কার তেরো বছর রসুলাল্লাহ কোনো ঈদ উদযাপন করেন নি, তখন ঈদের হুকুমও আসেনি। রসুলাল্লাহ সর্বপ্রথম দ্বিতীয় হিজরীতে মদিনায় আল্লাহর নির্দেশ রমজানের সওম পালন ও ঈদ উদযাপন করেন। কেননা তখন ইসলামের বিজয় পতাকা পতপত করে উড়ছে, মদিনাবাসী রসুলাল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, একটি ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে হলেও আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আল্লাহর দীন চর্চা হতে শুরু করেছে, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার বন্ধ হয়েছে। তখন রসুলাল্লাহ প্রথম ঈদ উদযাপন করলেন, আনন্দ করলেন। পরাধীন ও নির্যাতিত জাতির আনন্দ করা সাজে না, আনন্দ করার জন্য স্বাধীন সার্বভৌম জাতিসত্তা প্রয়োজন হয়।

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলাল্লাহ (সা.) যখন মদিনায় আগমন করেন, তখন তাদের দুটি দিন ছিল, যাতে তারা উৎসব পালন করত। তিনি জিজ্ঞেস করেন, এ দুটি কিসের দিন? তারা বলল, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিন খেলাধুলা ইত্যাদি উৎসব পালন করতাম। এ নিয়মই চলে আসছে। রসুলাল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য এ দুটির পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। তা হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১১৩৬; মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১৩৬৪৭)। এভাবেই দ্বিতীয় হিজরী মোতাবেক ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে মদিনায় সর্বপ্রথম ঈদ উদযাপন হয়।

মদিনায় রসুলাল্লাহর (সা.) ঈদের সারাটা দিনকে পর্যায়ক্রমে সাজালে দেখা যায়, তিনি ঈদের দিন সকালে উঠে গোসল করে সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করে সকলকে নিয়ে ঈদগাহে ঈদের সালাত আদায় করতে যেতেন। সালাতের পর রসুলাল্লাহ জাতির উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করতেন। সেখানে তিনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতেন। (সহিহ বোখারি, হাদিস নং-৯০৮ এর আলোকে)। বিষয়গুলো যেন সবাই জানতে পারে সেজন্য ঈদের ময়দানে জাতির সকল সদস্যের অংশগ্রহণ করার জন্য জোর তাগিদ দেয়া হত।

ঈদগাহে উপস্থিত নারীরাও যেন তাঁর কথা ভালোভাবে বুঝতে পারেন এজন্য তিনি নারীদের কাতারের সামনে এসে আবারও বক্তব্য দিতেন। ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, এক ব্যাক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি রসুলাল্লাহর (সা.) সঙ্গে কখনো ঈদের মাঠে গমন করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, গিয়েছি। তবে তাঁর কাছে আমার যে মর্যাদা ছিল তা না থাকলে আমি অল্প বয়স্ক হওয়ার কারণে সেখানে যেতে পারতাম না। রসুলাল্লাহ কাসীর ইবনু সালাতের বাড়ির কাছে যে নিশানা ছিল সেখানে আসলেন, সালাতের পরে খুতবা দিলেন। এরপর মহিলাদের নিকট গিয়ে তিনি তাদের উদ্দেশে ভাষণ ও উপদেশ প্রদান করেন। তিনি তাদেরকে দান করতে নির্দেশ দেন। ফলে মহিলারা তাঁদের হাতের আংটি খুলে বিলাল (রা.) এর কাপড়ের মধ্যে ফেলতে লাগলেন। এরপর নবী করিম (সা.) ও বিলাল (রা.) বাড়ি চলে এলেন। (সহিহ বোখারি, হাদিস নং ৮২১)।

গরিব দুঃখীরাও যেন সমানভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, পরিবার নিয়ে আনন্দে কাটাতে পারে তাই রমজান মাসে ফেতরা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। ঈদের সালাতের পূর্ব পর্যন্ত এই ফেতরা প্রদান করা যেত। আর ঈদুল আজহার দিন ঈদের সালাতের পরই সামর্থ্যবান সাহাবীরা উট-বকরি কোরবানি করতেন। রসুলাল্লাহ নিজেই তাঁর কোরবানির পশু জবেহ করতেন।

রসুলাল্লাহ ঈদের দিন পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ খবর নিতেন। সকলের সুখে দুঃখে পাশে থাকতেন। তাছাড়া ইয়াতিম শিশুদের প্রতি রসুলাল্লাহর ছিল অগাধ স্নেহ ও মমতা। রসুলাল্লাহর (সা.) সঙ্গে দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে গিয়ে বহু সাহাবি শহীদ হয়েছেন। ঈদের দিনে তিনি সেই শহীদদের সন্তানদের ও তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। একটি ঈদের দিন রসুলাল্লাহ (সা.) এমনই এক শিশুকে একাকী দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখেন। তিনি শিশুটিকে নিজের সঙ্গে ঘরে নিয়ে আসলেন আর বললেন, ‘তুমি কাঁদবে না। আমি তোমার পিতা আর আয়েশা তোমার মাতা, ফাতেমা তোমার বোন আর হাসান-হোসাইন তোমার খেলার সাথি।’

প্রতিটি উৎসবকেই আনন্দমুখর করে তোলার জন্য অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে সংগীত ও খেলাধুলা। তৎকালীন মদিনাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। অনেকে মনে করে থাকেন, সংগীত, খেলাধুলা এসব মনে হয় ইসলামে হারাম। অথচ এ ব্যাপারে আল্লাহ বা তার রসুল কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ তো করেনই নাই বরং রসুলাল্লাহ তা উপভোগ করেছেন।

এই প্রসঙ্গে আয়েশা (রা.) বলেন, “(একদিন আমার ঘরে) আবু বকর (রা.) এলেন তখন আমার নিকট আনসারী দু’টি মেয়ে বু‘আস যুদ্ধের দিন আনসারীগণ পরস্পর যা বলেছিলেন সে সম্পর্কে গান গাইছিল। তিনি বলেন, তারা কোন পেশাধারী গায়িকা ছিল না। আবু বকর (রা.) বললেন, আল্লাহর রসুল (সা.) এর ঘরে শয়তানী বাদ্যযন্ত্র। আর এটি ছিল ঈদের দিন। তখন আল্লাহর রসুল (সা.) বললেন, হে আবু বকর! প্রত্যেক জাতির জন্যই আনন্দ উৎসব (ঈদ) রয়েছে আর এ হলো আমাদের আনন্দ”। (বোখারি পর্ব ১৩ : /৩ হাঃ ৯৫২, মুসলিম ৮/৪ হাঃ ৮৯২)

আয়েশা (রা.) আরো বলেন, “আর ঈদের দিন সুদানী সাহাবিরা বর্শা ও ঢালের দ্বারা খেলা করত। আমি নিজে (একবার) রসুলাল্লাহকে (সা.)  জিজ্ঞেস করেছিলাম অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন, তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম, হ্যাঁ, অতঃপর তিনি আমাকে তাঁর পিছনে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গাল ছিল তাঁর গালের সাথে লাগান। তিনি তাদের বললেন, তোমরা যা করছিলে তা করতে থাক, হে বনূ আরফিদা। পরিশেষে আমি যখন ক্লান্ত হয়ে পড়লাম, তখন তিনি আমাকে বললেন, তোমার কি (দেখা) শেষ হয়েছে? আমি বললাম, হ্যাঁ, তিনি বললেন, তা হলে চলে যাও”। (বোখারি পর্ব ১৩ : /২ হাঃ ৯৪৯, ৯৫০, মুসলিম ৮/৪, হাঃ ৮৯২)

এখানে লক্ষণীয় যে, ঈদের দিন রসুলাল্লাহ (সা.) একা সঙ্গীত বা খেলাধুলা উপভোগ করেননি, বরং তিনি তাঁর স্ত্রীদেরকেও সঙ্গে রেখেছেন। অথচ বর্তমানে সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্রকে হারাম বানিয়ে রাখা হয়েছে, আর খেলাধুলাকে নিরুৎসাহিত করে দীন থেকে একপ্রকার বাদ দেওয়া দেওয়া হয়েছে। রসুলাল্লাহ(সা.)  এমন নিরানন্দ ইসলাম মানুষের উপর চাপিয়ে দেননি। মূলত আল্লাহ হারাম করেছে যাবতীয় অশ্লীলতাকে, যাবতীয় মিথ্যা, আল্লাহর নাফরমানিকে, শেরক ও কুফরকে (সুরা আরাফ ৩৩)। শালীনতার সাথে সকল বিনোদনমূলক কার্যক্রমকে ইসলাম উৎসাহিত করে।

রসুলাল্লাহ (সা.)  ঈদের জামাতেও নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। উম্মু আতিয়্যাহ (রা.) বলেন, “ঈদের দিন আমাদের বের হবার আদেশ দেয়া হত। এমন কি আমরা কুমারী মেয়েদেরকেও অন্দর মহল হতে বের করতাম এবং ঋতুবতী মেয়েদেরকেও। তারা পুরুষদের পিছনে থাকতো এবং তাদের তাকবীরের সাথে তাকবীর বলতো এবং তাদের দু’আর সাথে দু’আ করত- সে দিনের বরকত এবং পবিত্রতা তারা আশা করত।” (সহীহ বোখারি)

তিনি আরো বলেন, “দুই ঈদের দিনে ঋতুবতী ও পর্দানশীন মহিলাদেরকে মুসলিমদের জামা‘আতে ও দু‘আয় অংশ নিতে বের করে নেবার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হলো। তবে ঋতুবতীগণ যেন সালাতের জায়গা হতে সরে বসেন। একজন মহিলা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহ্র রসুল! আমাদের কারো কারো ওড়না নেই। তিনি বললেন, তাঁর সাথী-বান্ধবী তাঁকে আপন ওড়না প্রদান করবে। (বোখারি, মুসলিম)।

অর্থাৎ এই দুইটি হাদিস থেকেও এটাই স্পষ্ট হয় যে, রসুলাল্লাহ প্রতিটি সামাজিক ও জাতীয় কার্যক্রমে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। নারীদের শরয়ী ওজর থাকলেও তিনি কোন জাতীয় কার্যক্রম থেকে তাদের অংশগ্রহণকে বিরত রাখেন নাই। অথচ আজকে আমাদের এক শ্রেণির আলেম কিসের ভিত্তিতে নারীদেরকে গৃহবন্দী করে রাখতে চায়, তারা মসজিদের সাইনবোর্ডে টানিয়ে দেয়, “মসজিদে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ”।

এখন দেখি আমাদের সমাজে ঈদের চিত্র: 
বর্তমান ঈদ আমাদের সমাজে শুধু একটি বিশেষ শ্রেণির জন্যই আনন্দের সুযোগ নিয়ে আসে। তারা হচ্ছে অর্থশালী শ্রেণিটি। তাদের সেই অর্থের উৎস কী, সেটা হালাল না হারাম সে প্রশ্নও কেউ করে না। অন্যদিকে সমাজের অধিকাংশ মানুষ বছরের বাকি দিনগুলোর মতই নিরানন্দে দিন কাটায়। ঈদের দিনটা যেন তাদের কাছে একটি বাড়তি বোঝা। এই মাসে তাদের অতিরিক্ত উপার্জন না থাকলেও ব্যয় করতে হয় বহুগুণ বেশি। ঈদের খরচ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তাদের কপালে দেখা যায় দুশ্চিন্তার বলিরেখা। বর্তমানে আমাদের ঈদগুলোও হয়ে গেছে লোক দেখানো। কেউ কোরবানি করছে খাওয়ার জন্য, কেউ বা প্রথা পালনের জন্য, কেউ করছে নিজের সম্পদ প্রদর্শনের জন্য। যে সমাজে অন্যায় অবিচার হত্যা গুম রাহাজানি দুর্নীতি, ধর্ষণ প্রতিনিয়ত ধাঁই ধাঁই করে বেড়ে চলেছে সেই সমাজে ঈদ পালন কোনো তাৎপর্য বহন করে কি? রসুলাল্লাহ (সা.) কখন ও কেন ঈদ করেছেন সেটা কেউ ভেবে দেখছেন না।

আগেই বলে এসেছি যে, যখন মদিনায় আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হলো, রসুলাল্লাহর (সা.) হাতে খেলাফত আসলো তখন তিনি ঈদ উদযাপন করলেন। আর আজ মুসলিম জাতি সংখ্যায় ১৮০ কোটি হয়েও অন্য জাতির গোলাম, পদানত দাস হয়ে বেঁচে আছে। ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, মায়ানমারসহ একের পর এক দেশ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে মুসলমানদের। শতাব্দির পর শতাব্দি তারা অন্য জাতির মার খেয়ে, অপমানিত, লাঞ্ছিত হয়ে তাদের নারীরা ধর্ষিত হয়ে, আট কোটি উদ্বাস্তু হয়ে টিকে আছে। পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো তাদের একটি পর একটি ভূখণ্ড কেড়ে নিচ্ছে, বোমার আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন করে দিচ্ছে তাদের শিশু সন্তানদের, তাদের পরিবারগুলোকে সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছে, বাঁচার তাগিদে ইউরোপের রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করতে হচ্ছে। এদিকে জাতির আলেম, ফকিহ, পণ্ডিতরা দীনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে করে জাতির ঐক্য টুকরো টুকরো করে দিয়েছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে ঈদ উদযাপন কতটা যুক্তিসঙ্গত ও সময়োপযোগী? ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী ঈদকে ব্যবহার করে অর্থ রুজি করে যাচ্ছে, তাই মুসলিম জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। ঈদ বেঁচে থাকলে তাদের অর্থনীতি সচল থাকে।

আজ মুসলিম জাতি সম্মিলিতভাবে আল্লাহর দেওয়া হুকুমকে প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের তৈরি জীবনব্যবস্থা দিয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সামষ্টিক, রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবন পরিচালনা করছে। তারা ব্যক্তিগত ধর্ম কর্ম হিসেবে নামাজ রোজা, হজ, জাকাতসহ বহু আমল করে যাচ্ছে আর সার্বিক জীবনে ইলাহ অর্থাৎ হুকুমদাতা হিসেবে মানছে পাশ্চাত্য বস্তুবাদী সভ্যতাকে। আল্লাহও তাঁর পূর্বঘোষণা মোতাবেক মুসলিম জাতিকে অন্য জাতির গোলামে, পদানত দাসে পরিণত করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “যদি তোমরা আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রামে বের না হও তাহলে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং তোমাদের উপরে অন্য জাতি চাপিয়ে দেবেন (সুরা তওবা ৩৯)।”

তাই বলা যায়, এখন মুসলিম জাতির ঈদ পালন বা আনন্দ করার সময় নয়। এখন তাদের প্রথম কর্তব্য হল তওহীদের উপর অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম মানি না এই কথার উপর ইস্পাতকঠিনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং তারপর পেটে পাথর বেঁধে, দাঁতে দাঁত চেপে, খেয়ে না খেয়ে দুনিয়াব্যাপী চলমান জুলুম অত্যাচার দূর করে আল্লাহর দীন সামগ্রিক জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করা। তাহলে তারা হবে মো’মেন। এই মো’মেনের চরিত্র তৈরি করবে সালাহ ও সওম। মো’মেন জাতির ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ফলে আল্লাহ তাদের হারানো গৌরব ফিরিয়ে দিবেন। তখন মুসলিম জাতির জন্য ঈদের আনন্দ করা হবে যুক্তিসঙ্গত।

লেখাটি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে

Email
Facebook
Twitter
Skype
WhatsApp
সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...