সারকথা
ঢাকা, খিলক্ষেত থানার জিডি- ৮৭২, তারিখ- ১৯/০৯/২০০৮ ইং, ধারা- ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪।
সন্দিগ্ধ আসামী ১. মোঃ আব্দুস সালাম (৩৮),
২. মোঃ শাহজাহান আলী (২৫) এবং
৩. মোঃ মনিরুজ্জামান @ মনির (২৮),
প্রকৃত ঘটনাঃ হেয্বুত তওহীদ সদস্যগণ ঢাকা আব্দুল্লাহপুর টু মহাখালী ও রামপুরা রুটে চলাচলকারী বাসে শান্তিপূর্ণউপায়ে হকারী করে প্রকাশ্যে জনসমক্ষে ২০০৮ সালের রেকর্ড সৃষ্টিকারী মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী লিখিত “দাজ্জাল? ইহুদী-খ্রীষ্টান সভ্যতা!!! নামক বই বিক্রি করতে করতে উক্ত থানাধীন নিকুঞ্জ-২ নামক এলাকায় হেযবুত তওহীদের উক্ত তিন জন সদস্য একে অপরকে দেখে সৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলার সময় নিকুঞ্জ-২ এলাকায় টহলরত র্যাব-১ সদস্যরা তাদেরকে গ্রেফতার করে র্যাব-১ ক্যাম্পে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদসহ রাত্রে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ব্যাপক শারিরীক নির্যাতন করে। অতঃপর গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যাপক তদন্ত করেও অপরাধমূলক কোন কিছু না পেয়েও নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য সন্দেহে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করলে, ও/সি, খিলক্ষেত থানার নির্দেশে এস.আই মোঃ মশিউর রহমান আটককৃতদের সন্দিগ্ধ আসামী হিসাবে আদালতে সোপর্দ করে।
পুলিশ ফরোয়ার্ডি-এর বক্তব্যঃ কতিপয় ব্যক্তি খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ-২ এলাকায় হোটেল রিজেন্সির পিছনে অবস্থান নিয়ে ধর্মীয় বিষয়ে বিরুদ্ধ মনোভাব সৃষ্টি করতঃ অরাজকতা ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে মর্মে র্যাব-১, ইনটেলিজেন্স উইংসের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ বিশেষ দল কর্তৃক আসামীরা ধৃত হয়। আসামীদের আচরণ, কথাবার্তা, কার্যক্রমে তারা কোন নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের সদস্য হিসাবে নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় সমবেত হয়েছিল কি-না তা বিশদ তদন্তের স্বার্থে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আসামীরা কোন জ্ঙগীবাদের সহিত জড়িত কি-না তাও তদন্ত করা হচ্ছে।
তদন্ত প্রতিবেদনঃ আমার সার্বিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মত প্রয়োজনীয় তথ্য বা স্বাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নি বা আল্লাহ প্রদত্ত আইন প্রতিষ্ঠার আড়ালে তারা কোন ইসলামী জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত থাকার স্বপক্ষে বা তাদের সংগঠন হেযবুত তওহীদ নিষিদ্ধ মর্মেও কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২০/১০/২০০৮ ইং