অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। গত মাসের মাঝামাঝিতে কোটা সংস্কারের যোক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর যখন রাষ্ট্রীয় দমন পীড়ন শুরু হয়েছিল, তখনই আমি আমার এই ফেসবুক পেজ থেকে জরুরি লাইভ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলাম এবং ছাত্রদের উদ্দীপনাকে সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। আমি ফেসবুক লাইভ করে বলেছিলাম যে, আমাদের ছাত্ররা প্রমাণ রেখেছেন তাদের প্রতিবাদী চেতনা ফুরিয়ে যায়নি। তারা অতীতের মতোই আজও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারুদের মতো জ্বলে উঠতে জানে।
যাহোক, অবশেষে ছাত্র-জনতার মহাজাগরণ হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে কোনো জাগরণকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একটা উগ্রবাদী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সারা দেশে হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। . আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে রাখতে চাই, হেযবুত তওহীদ একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আমরা প্রচলিত রাজনীতির সাথে জড়িত নই। আমরা দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষকে তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য ডাক দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মূল বক্তব্য একটাই- আল্লাহর দেয়া বিধান ছাড়া অর্থাৎ দ্বীন প্রতিষ্ঠা ছাড়া পৃথিবীতে শান্তি আসবে না।
হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠার পর ২৯ বছর পেরিয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময় বহুবার বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সরকারই আল্লাহর হুকুম দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেনি। সুতরাং সংগত কারণেই হেযবুত তওহীদ কখনই কোনো সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার প্রয়োজনবোধ করেনি। এই আন্দোলন শুধু সর্বশক্তি দিয়ে জনগণের মাঝে আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে চলেছে। কাজেই চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা কথা প্রচার করে কেউ যেন হেযবুত তওহীদের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একটি সন্ত্রাসী সুযোগ সন্ধানী গোষ্ঠী বর্তমান পরিস্থিতিতে হেযবুত তওহীদের নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর অবস্থানে ধ্বংসযজ্ঞ ও লুটপাট চালানোর পায়তারা করছে। এমতাবস্থায় অতি দ্রুত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করছি।