অপপ্রচার, হত্যার হুমকি, হামলার উস্কানি ও ফতোয়া দিয়ে দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে গাজীপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে হেযবুত তওহীদ। ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার গাজীপুর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি বলেন, ‘হেযবুত তওহীদ আইন মান্যকারী সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি আন্দোলন। হেযবুত তওহীদ মানবতার কল্যাণে সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাকে মানুষের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-ধর্মব্যবসা-অপরাজনীতি-মাদক ইত্যাদির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আদর্শিক সংগ্রাম করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে সেই শ্রেণিটি যারা ইসলামকে তাদের রুটি-রুজির মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে এবং যারা অপরাজনীতিতে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জাতিবিনাশী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এ শ্রেণিটি জনগণের কাছে হাজারো বিভ্রান্তিমূলক অসত্য তথ্য, গুজব, বানোয়াট বক্তব্য প্রচার করে হেযবুত তওহীদের মতো মহান একটি আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত তারা আমাদের চারজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রমাগত হুমকির প্রেক্ষিতে কয়েকটি জেলায় আমরা মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অথচ আইন সবার জন্যই সমান। আলেম-ওলামা নাম নিলেই কেউ আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যায় না। আমাদের দাবি- আইসিটি আইন লঙ্ঘনকারী এবং মসজিদ-মাদ্রাসা ও ওয়াজ-মাহফিলের মত যেসব স্থানে ধর্মপ্রাণ মানুষ ধর্মীয় কর্তব্য পালনার্থে যায়, সেসব দায়িত্বপূর্ণ স্থানকে অপব্যবহারকারী যে কোন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হোক এবং ইতঃপূর্বে দায়েরকৃত মামলায় আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।’ তিনি এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন, তথ্য সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, গাজীপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি সেলিম হোসেন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।