রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৮ মে ২০১৮ তারিখ যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক রোডস্থ চন্দনকোটা কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় সঙ্ক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। তিনি পবিত্র রমজানের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করেন এবং ব্যক্তিগত থেকে জাতীয় জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগানোর তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ অনলাইন টেলিভিশন এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জেটিভি অনলাইনের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান, ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. আলী হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাহাবুব আলম মাহফুজ, হেযবুত তওহীদের সাহিত্য সম্পাদক রিয়াদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী শাখা সভাপতি মো. সজল খান, সূত্রাপুর থানা সভাপতি তাহের আলী ব্যাপারী, কদমতলী থানা সভাপতি কামাল হোসেন মীর, শ্যামপুর থানা সভাপতি বিল্লাল হোসেন, যাত্রাবাড়ী খাজা গরীবে নেওয়াজ মার্কেটের সভাপতি বিনুত বাবুল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. তাহের আহমেদ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন হেযবুত তওহীদ সদস্য মাহমুদুল হাসান।
মুখ্য আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, পবিত্র মাহে রমজান মাসে আমরা সকলেই সিয়াম সাধনা করি। এই রমজান আমাদেরকে ত্যাগ ও সাম্যের শিক্ষা দেয়। এই এক মাসের শিক্ষার প্রতিফলন আমাদেরকে বছরের বাকি সময়গুলোতেও করতে হবে। সমাজ থেকে সর্বপ্রকার অন্যায়-অবিচার দূর করতে আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে হবে মানবতার কল্যাণে। তিনি আরও বলেন, আজ পৃথিবীর সর্বত্র অন্যায়, অত্যাচার আর জুলুমের রাজত্ব। পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে, উদ্বাস্তুর জীবন যাপন করছে অসংখ্য মানুষ। চারদিক থেকে আর্তমানবতার হাহাকার উঠছে ‘শান্তি চাই, শান্তি চাই’। কিন্তু সেই কাক্সিক্ষত শান্তি মেলেনি। যতদিন পর্যন্ত না আমরা ধর্মের প্রকৃত আদর্শের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজের সর্বপ্রকার অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবো ততদিন কাক্সিক্ষত সেই শান্তি মিলবে না।
অনুষ্ঠানে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষের ব্যাপক সমাগম ঘটে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হলরুম। স্থানীয় সুধীবৃন্দ ও সামাজিক-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এতে অংশগ্রহণ করেন। সবশেষে মোনাজাত ও উপস্থিতদের মধ্যে ইফতার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।