রিয়াদুল হাসান:
দেহ-আত্মার সমন্বয়ে যেমন মানুষ, তেমনি দুনিয়া ও পরকালের ভারসাম্যপূর্ণ দীন হচ্ছে ইসলাম। এই ভারসাম্য যতদিন অটুট ছিল ততদিন মুসলিমরা না ছিল ভোগবাদী, আর না বৈরাগ্যবাদী। তাদের জীবন ছিল ভারসাম্যপূর্ণ। এরপর দীনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে জাতির মধ্যে দুইটি শ্রেণির জন্ম হয়, যার একটি ভাগ সম্পূর্ণভাবে দুনিয়া ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র আত্মা নিয়ে ঘষামাজা করতে লাগল, অপরটি জীবন থেকে তাসাউফের লেশমাত্রও ছুঁড়ে ফেলে ভোগ-বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিল। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ মুসলিম দেশগুলো ঐ ভোগবাদী ভাগটির উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
আল্লাহর রসুল (স.) আরবদেশে জন্ম নিয়েছিলেন কিন্তু তিনি আরব-অনারব সকলের নবী ছিলেন। তিনি আরবকেন্দ্রিক ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে যান নি। তিনি বিদায় হজ্বের ভাষণে এই দীনের নীতিগুলো সুস্পষ্টভাবে বলে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি এও বলেছিলেন যে, আরবদের উপর অনারবদের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, অনারবদের উপর আরবদেরও কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। কিন্তু আল্লাহর রসুল বিদায় নেওয়ার কিছুদিন না যেতেই আরবরা এই কথাটি ভুলে গেল। তারা আবারো পূর্বের সেই জাহেলিয়াতের মূল্যবোধ, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ফিরিয়ে নিয়ে এল। তারা আবার দাসত্বপ্রথা চালু করল, যে দাসপ্রথার বিরুদ্ধে আল্লাহর রসুল আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন। তাদের এই কাজের পরিণামে মুসলিম বংশজাত, মুসলিম নামধারী রাজ-বাদশাহ, আমীর-ওমরাহগণ আবারও পুরোদমে ক্রীতদাস প্রথা প্রচলন করেছিল যার কলঙ্ক স্বভাবতই ইসলামের উপর বর্তেছে। এভাবে আরবরা বহুভাবে ইসলামকে কলঙ্কিত করেছে। তবুও যেহেতু তারা ছিল শাসকের আসনে, মানুষ তাদেরকে অনুসরণ করেছে। শাসকের ভাষাকে বরণ করেছে, শাসকের পোশাক-আষাক, খাওয়া-দাওয়া, রুচি-অভিরুচি সবই মানুষ অনুকরণ করেছে। যেগুলো ভালো সেগুলোও যেমন নিয়েছে, যেগুলো খারাপ সেগুলোও বাদ দেয় নি। সমস্যা হয়েছে যেটা, পরবর্তী সময়ে আরবরাই ইসলামের প্রতিভূ হিসাবে দাঁড়িয়ে গেছে। আরবের ভাষা হয়ে গেছে ইসলামের ভাষা, আরবের খাদ্য খেজুর হয়ে গেছে ‘সুন্নতি খাবার’, আরবীয় জোব্বা হয়ে গেছে ইসলামের ‘লেবাস’, আরব্য মুসলিম শাসকদের দাড়ি হয়ে গেছে ইসলামের ‘অপরিহার্য’ বিষয়। আল্লাহর রসুল আরব-অনারবের ঊর্ধ্বে ছিলেন কিন্তু ইসলামটা আর সেভাবে সার্বজনীন হতে পারল না, সেখানে আরবের গন্ধ লেগে গেল।
আর আরবের লোকেরা এটাকে তাদের শ্রেষ্ঠত্বের সূচক হিসাবে দাঁড় করিয়ে ফেলল। আজও বাকি পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলমান মনে করেন, আরবে যেটা চলে সেটাই ইসলামের নমুনা। মক্কা-মদীনার ইমাম সাহেব, মুফতি সাহেব যেটা বলেছেন সেটা কোনোভাবেই ভ্রান্ত হতে পারে না। আরবদের অনুকরণে আমাদের দেশের আলেম সাহেবরা ওয়াজ মাহফিলে, বড় বড় অনুষ্ঠানে আরবীয় অভিজাত শ্রেণির ব্যবহৃত ‘আবায়া’ পরে বসে থাকেন, মাথায় বাঁধেন পাগড়ি, ঘাড়ে চেক রুমাল। মানুষ মনে করে তারাই মূর্তিমান ইসলাম বা ইসলামের প্রতিক ।
মুসলমানেরা আরবদেশকে নবীজীর জন্মস্থান হিসাবে অপরিসীম শ্রদ্ধা করে এবং করবে এটাই স্বাভাবিক, এটা যৌক্তিক। কিন্তু আরবদেরকে ইসলামের মানদ- ‘ঐবধফ ড়ভ ৎবষরমরড়হ’ মনে করা একটি বিরাট পথভ্রষ্টতা। ইসলামের মানদ- হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রসুল। এই মানদ-ে আরব অনারব সবাইকে উত্তীর্ণ হয়েই মুসলিম হতে হবে। বর্তমানে আরবে রাজতন্ত্র চলছে অথচ আল্লাহর রসুল তো রাজতন্ত্র নিষিদ্ধ করে গেছেন। রসুলাল্লাহ (সা.) নিজেও মালিক (রাজা) বা সুলতান উপাধি ধারণ করেন নি, তাঁর পরবর্তী খলিফারাও তা করেন নি। খলিফাদেরকে ‘আমীরুল মো’মেনীন’ বা মো’মেনদের নেতা বলা হতো। তারা রাজা-বাদশাহ ছিলেন না, অন্যান্য মো’মেনগণ যে জীবনযাপন করতেন, আমীরুল মো’মেনীনগণও সেই একই মানের জীবনযাপন করতেন। তাদের কোনো দেহরক্ষীও ছিল না। কিন্তু আজ আরব রাজপুত্রদের দেহরক্ষীদের দাবড়ানিতে হজ্ব করতে আসা অর্ধ লক্ষ হাজী পদদলিত হয়ে মারা যায়। মুসলিমদের মধ্যে যে দুঃখজনক বিভক্তি বিরাজ করছে তার মূল কেন্দ্রবিন্দুু হচ্ছে আরবদের মিথ্যা ধার্মিকতার মোড়ক (ঋধষংব ঃযবড়ষড়মরপধষ পড়াবৎ)। মুসলিমদের গোটা ইতিহাস এর সাক্ষ্য দেয়।
মুসলিমদের দুটো পবিত্র স্থান মক্কা ও মদীনা আরবদেশে অবস্থিত, তার মানে এই নয় যে ওদুটো আরবের সম্পত্তি। আল্লাহর রসুল আরব বলে আলাদা দেশ রেখে যান নি, তাঁর মিশন ছিল সমগ্র পৃথিবীকে এক আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ছায়াতলে নিয়ে আসা। ভৌগোলিক বিভক্তি, জাতিগত বিভক্ত, ধর্মীয় বিভক্তি এক কথায় মানুষে মানুষে যে কোনো প্রকার বিভক্তি ইসলামে কেবল নিষিদ্ধই নয়, একেবারে কুফর। আরবের মুসলমানেরা অনারব মুসলমানদেরকে মিসকিন বলে সম্বোধন করে, দাস বলে বিশ্বাস করে। অথচ আল্লাহ বলেছেন, মো’মেনরা ভাই ভাই। ইসলাম আসার আগে আরবদের মূল বাণিজ্যই ছিল হজ্ব। আর বর্তমানে তারা একে একেবারে পর্যটন শিল্পে রূপ দিয়েছে। মক্কা-মদীনা এখন ফাইভ স্টার, সেভেন স্টার হোটেল দিয়ে পূর্ণ। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা এজেন্টদের মাধ্যমে, বিভিন্ন দলের মাধ্যমে হাজী সংগ্রহ করে।
বাকি মুসলিম দুনিয়ার রাজনৈতিক নেতারাও নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য ঘন ঘন হজ-ওমরা পালন করেন আর দেশ চালান ব্রিটিশদের তৈরি আইন-কানুন আর জীবনবিধান দিয়ে। মাঝেমধ্যে তারা আরব থেকে দু একজন ‘শায়েখ’ ভাড়া এনে নিজেদের মুসলমানিত্বকে সত্যায়ন করিয়ে নেন। আরব বাদশাহরাও কাবার পুরোনো গেলাফ উপহার দিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রনায়কদের ধন্য করে দেন। কেউ এ প্রশ্ন তোলেন না যে, যখন মুসলিম বিশ্বের বহু দেশ, সোমালিয়া, ইয়েমেন দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত, সাড়ে ছয় কোটি মুসলমান উদ্বাস্তু শিবিরে অনাহারে দিন যাপন করছে, তখন নিজেরা বহুমূল্য লেবাস ধারণ করে নিজেদেরকে ইসলামের ধারক-বাহক প্রমাণ করা এবাদত, নাকি নিরন্ন, নির্বস্ত্র মানুষকে অন্ন-বস্ত্র-আশ্রয় দেওয়া এবাদত?
আরব রাজতন্ত্র বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ইসলামের নামে, বিভিন্ন জঙ্গিবাদী দল, আমলের দাওয়াত প্রদানকারী দলের নামে বিকৃত ওয়াহাবী/সালাফি মতবাদের প্রসার ঘটিয়েছে সে সম্পর্কে সচেতন মানুষমাত্রই অবগত আছেন। তারাই আফগান রাশিয়া যুদ্ধের সময় সারা পৃথিবী থেকে মুসলিমদের আফগানের মাটিতে সমবেত করেছিল এবং আরব ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীর দ্বারা জঙ্গিবাদের দীক্ষায় দীক্ষিত করে তুলেছিল। মুসলিম তরুণ-যুবকরা জেহাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছিল কিন্তু সেখানে তারা জীবন দিয়ে আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করেছে। ইসলামের চার আনাও উপকার হয় নাই। উল্টো জঙ্গিবাদের মত এক জঘন্য মিথ্যা মতবাদের ভুত মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাঁধে চেপে বসেছে। এখন সেই ভুত তাড়ানোর নামে ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ করে মুসলমান জনগোষ্ঠীকেই নির্মূল করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে পশ্চিমা পরাশক্তিধর সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো। শিয়া-সুন্নী বিরোধকে কেন্দ্র করে এখন দুনিয়া তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। ইরাক, ইরান, সিরিয়া, আফগানিস্তান, লেবানন, লিবিয়া, ফিলিস্তিন, কুয়েত প্রতিটি দেশে গত দশকগুলোতে যে যুদ্ধগুলো সংঘটিত হয়ে লক্ষ লক্ষ মুসলমানের প্রাণ গেছে, সেই রক্তের দাগ যেমন পাশ্চাত্যের পরাশক্তিগুলোর হাতে লেগে আছে, তেমনি লেগে আছে আরবের সেই ইসলামের ধ্বজাধারীদের হাতেও। তারা আজ পর্যন্ত একজন মুসলিম উদ্বাস্তুকেও তাদের দেশে আশ্রয় দেয় নি। উল্টো এসব যুদ্ধে তারা মার্কিনদের থেকে হাজার হাজার বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনে সেগুলো মুসলিমদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করেছে। এসবই তারা করছে কেবল নিজেদের পার্থিব ভোগবিলাস আর সিংহাসন টিকিয়ে রাখার লোভে।
এই সেদিনও জাতির এই অংশটি অত্যন্ত ভুখা-নাঙ্গা জীবনযাপন করত। শুকনো মরুভূমিতে উপার্জনের বড় একটা ক্ষেত্র ছিল না তাদের। অনেকেই কেবল দূর-দূরান্ত থেকে আগত হাজ্বীদের পানি পান করিয়ে সংসার চালাত। ভারতবর্ষের বহু অবস্থাস¤পন্ন ব্যক্তি আরবে গিয়ে কূপ খনন, সরাইখানা নির্মান ইত্যাদি করে দিতেন। সেই আরবে গত শতাব্দীতে হঠাৎ ভুগর্ভস্থ তেলস¤পদের সন্ধান মেলার পর রাতারাতি জীবনমানে পরিবর্তন আসে। তারা এখন স¤পদ খরচ করার জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না। অঢেল স¤পদের একটা অংশ এর ব্যয় করছে পাশ্চাত্যের অনুকরণ করে দেশের রাস্তাঘাট, পুল, হাসপাতাল, বিদ্যালয়, বিরাট বিরাট প্রাসাদ, হোটেল, ফ্লাইওয়ে ইত্যাদি তৈরি করে। অঢেল টাকা ব্যয় করে এগুলো এমনভাবে তৈরি করছে যে, ইউরোপের, আমেরিকার মানুষরাও দেখে আশ্চর্য হচ্ছে, হিংসা করছে। অগুনতি রাজকীয় প্রাসাদ, হোটেল, সমস্ত ইমারত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। শাদ্দাদ আল্লাহর সঙ্গে নাকি পাল্লা দিয়ে জান্নাত বানিয়েছিলো। সে আজ কবর থেকে উঠে এসে এদের শহর, নগর, পথ-ঘাট, হোটেল আর প্রাসাদগুলি দেখলে বলবে- আমি আর কি বানিয়েছিলাম! স¤পদের অন্যভাগ তারা ব্যয় করছে অবিশ্বাস্য বিলাসিতায়, স্থূল জীবন উপভোগে, ইউরোপে, আমেরিকায়, জাপানে। দৈহিক ভোগে এরা কি পরিমাণ স¤পদ ব্যয় করে তা আমাদের মত গরীব দেশগুলির মুসলিমরা ধারণাও করতে পারবে না, লক্ষ লক্ষ ডলার তাদের কাছে কিছু নয়। তাদের ঐ অঢেল স¤পদের একটা মোটা ভাগ চলে যায় ঐ ইউরোপ, আমেরিকায়, জাপান ইত্যাদি দেশের কাছে, বিলাসিতার সামগ্রীর দাম হিসাবে। পৃথিবীর সবচেয়ে দামী গাড়ীগুলো কেনে এরাই। শুধু তাই নয়, রোলস, মার্সিডিস, আলফা-রোমিও, সিট্রন, ক্যাডিলাক ইত্যাদি গাড়ী শুধু কিনেই তারা খুশী নয়, এই গাড়ীগুলির বা¤পার লাইনিং ইত্যাদি তারা খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দেয়। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ইউরোপের দেশে দেশে তাদের বিলাসবহুল প্রাসাদ তৈরি করে রাখা আছে অবকাশ যাপনের জন্য যে প্রাসাদগুলোতে কম করে হলেও শতাধিক কামরাই থাকে এবং কামরাগুলো ইউরোপের দামী দামী আসবাবপত্র দিয়ে সজ্জিত রাখা হয়। এদের বাদশাহ, প্রিন্সরা সেখানে বেড়াতে গিয়ে দুই হাতে টাকা উড়িয়েও শেষ করতে পারে না। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য পাবলিক সমুদ্রসৈকত ভাড়া করে নেওয়ারও নজির আছে। নিজের ও পরিবারের ব্যবহারের জন্য তাদের যে বিমানগুলো আছে সেগুলোর এক একটির দাম কয়েকশ’ কোটি টাকা। এভাবে এদের বিলাসিতার বীভৎসতার সম্বন্ধে লিখতে গেলে আলাদা বই হয়ে যাবে। এদের মধ্যে তাসাওয়াফের কিছুমাত্র প্রভাবও থাকলে এরা এমন কদর্য বিলাসিতায় নিজেদের ডুবিয়ে দিতে পারতেন না। নিজেদের অতি উৎকৃষ্ট মুসলিম বলে মনে করলেও এবং তা প্রচার করলেও আসলে ইউরোপ, আমেরিকার বস্তুতান্ত্রিকদের সাথে তাদের কার্যতঃ কোন তফাৎ নেই। এরা এই উম্মাহর কেন্দ্র কাবা এবং নেতার (সা.) রওযা মোবারকের হেফাযতকারী হলেও এই উম্মাহর জন্য তাদের মনে কিছুমাত্র সহানুভূতি নেই। তার প্রমাণ হচ্ছে এই যে, নিজেদের ঘৃণ্য বিলাসিতার সামগ্রী কিনতে তাদের বিপুল সম্পদ চলে যায় ইউরোপ, আমেরিকা আর জাপানে। তারপরও যে বিরাট সম্পদ তাদের থেকে যায় তা বিনিয়োগ করেন সেই ইউরোপ, আমেরিকা ইত্যাদির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে, শিল্পে। টাকা জমা রাখেন ঐসব দেশের ব্যাংকেই যা থেকে লাভবান হয় ঐসব অমুসলিম দেশ ও জাতিগুলিই। ইসলাম ও মুসলিম জাতির প্রতি তাদের কিছুমাত্র ভালোবাসা যদি থাকতো তবে ঐ বিরাট সম্পদ তারা অমুসলিম দেশগুলিতে বিনিয়োগ না কোরে গরীব মুসলিম ভৌগোলিক রাষ্ট্রগুলিতে বিনিয়োগ করতেন। এতে অন্তত পার্থিব দিক দিয়ে এই হতভাগ্য জাতির কিছু অংশ উপকৃত হতে পারত।