কাজী নজরুল ইসলাম, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক। তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ জন্মগ্রহণ করেন, গতকাল ছিল তাঁর ১১৫তম জন্মবার্ষিকী। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ- দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে।
ধার্মিক মুসলিম সমাজ এবং অবহেলিত ভারতীয় জনগণের সাথে তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন। ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলা কাব্যে তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। এটি হল ইসলামী সঙ্গীত তথা গজল, এর পাশাপাশি তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামাসংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও রচনা করেন। নজরুল প্রায় ৩০০০ গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা “নজরুল গীতি” নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়।
নজরুল ইসলামকে অনেকে ইসলাম বিদ্বেষী, কাফের ইত্যাদি ফতোয়া দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দূরে রাখতে চেয়েছেন। তার ব্যাপারে অনেক অপপ্রচারও হয়েছে। কিন্তু তিনি ইসলামের সঠিকরূপ অনেকটাই বুঝতে পেরেছিলেন, এজন্য তিনি ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা, স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসাবে ইসলামকে ব্যবহার ও নানা ধর্মীয় গোঁড়ামী ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এ কারণে অনেকে বলে থাকেন নজরুল আলেমদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, সুতরাং সে ধর্মবিদ্বেষী। উদাহারণ হিসাবে দেখানো হয়-
মৌ-লোভী যত মোলবী আর মোল্লারা কন হাত নেড়ে
দেব-দেবী নাম মুখে আনে সবে দাও পাজিটার যাত মেরে।
এখানে মৌলবীদের নজরুল “মৌ-লোভী” বলেছেন। যারা এতে অসন্তুষ্ট তাদের এই কবিতাটা হয়ত নজরে পড়েনি:
শিক্ষা দিয়ে দীক্ষা দিয়ে
ঢাকেন মোদের সকল আয়েব
পাক কদমে সালাম জানাই
নবীর নায়েব, মৌলবী সাহেব।
আসল কথা হলো তিনি সত্যনিষ্ঠ আলেমদের বিরোধিতা করেন নি। তিনি বিরোধিতা করেছেন ধর্মজীবী মোল্লা ও পুরোহিত শ্রেণির, যারা ধর্মের কাজের বিনিময়ে অর্থগ্রহণ করে ও মানুষকে স্রষ্টার সান্নিধ্য পাইয়ে দিতে চায়।
তিনি বিশ্বাস করতেন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদি সবাই একই আদম-হাওয়ার সন্তান। একই জায়গা থেকে তাদের উৎপত্তি। মৃত্যুর পর সবাইকে এক আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে হবে। ধর্মের ভিত্তিতে যে বিভক্তি করা হোয়েছে তা নিছক গুটি কয়েক লোকের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে। সকল ধর্মই এক স্রষ্টা থেকে আগত, তাই সব ধর্মই একই কথা অর্থাৎ মানবতার কথা বলে। অথচ বর্তমানে ধর্মকে অতি বিশ্লেষণ কোরে, যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ কোরে মানুষ এবং স্রষ্টার মধ্যবর্তী এক মাধ্যম হিসাবে আবির্ভূত হোয়েছে মোল্লা পুরোহিত শ্রেণি। ধর্ম সবার জন্য, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার সবার জন্য সমান। বর্তমানে সময় এসেছে এসকল মোল্লা-পুরোহিতদের কবল থেকে ধর্মকে রক্ষা করার। তাই কবি নজরুল বিপ্লবের ডাক দিয়ে বোলেছেন-
তব মসজিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী,
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী!
কোথা চেঙ্গিস গজনী-মামুদ, কোথায় কালা পাহাড়?
ভেঙে ফেল ঐ ভজনালয়ের যতো তালা-দেওয়া-দ্বার!
খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?
সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা!
এদের কূপমণ্ডূকতা এবং ব্যক্তি স্বার্থের কবলে পড়ে বর্তমানে হিন্দুরা দাবি কোরছেন ‘ভগবান’ তাদের, মোসলেমরা মনে কোরছেন ‘আল্লাহ’ তাদের, খ্রিস্টানরা মনে কোরছেন ‘গড’ শুধুই তাদের, ইহুদিরাও মনে করে ‘এলী’ শুধু তাদের। কিন্তু ভগবান, আল্লাহ, গড এবং এলী যে নামেই ডাকা হোক তিনি মূলত একজনই। তিনি প্রতিটি স্থান এবং কালের জন্য যে জীবনবিধান পাঠিয়েছেন তার উদ্দেশ্যও এক; আর তা হোল- অন্যায়, অত্যাচার, বিভেদ-ব্যবধান ভুলে এক আদম-হাওয়া দম্পতি থেকে আগত মানবজাতি যেন সুখে ও শান্তিতে বসবাস কোরতে পারে।
তিনি বিদ্রোহ করেছেন মিথ্যার বিরুদ্ধে, কোন ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। তিনি বলেন, “আমি বিদ্রোহ করেরেছি, বিদ্রোহের গান গেয়েছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে, যা মিথ্যা, কলুষিত, পুরাতন, পঁচা সেই মিথ্যা সনাতনের বিরুদ্ধে, ধর্মের নামে ভণ্ডামি, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।”
কবি “আমার কৈফিয়ত” কবিতায় ব্রিটিশ শাসক ও শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কণ্ঠে বলেছেন-
পরোয়া করি না, বাঁচি বা না-বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে,
মাথায় উপরে জ্বলিছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে।
প্রার্থনা ক’রো যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস,
যেন লেখা হয় আমার রক্ত-লেখায় তাদের সর্বনাশ!
তিনি হিন্দুধর্ম অর্থাৎ সনাতন ধর্ম গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন হিন্দুধর্মও স্রষ্টার নিকট থেকে আগত কিন্তু হিন্দু ধর্মের মিথ্যা দিকগুলি যেমন মূর্তিপূজা পছন্দ করতেন না। অনেকে তাকে কালীমূর্তির পূজারী বলে অপপ্রচার করে থাকেন কিন্তু তা সঠিক নয়। ‘অতীত দিনের স্মৃতি’ বই এর ৪২ পৃষ্ঠায় লেখক নিতাই ঘটক উল্লেখ করেছেন, “সীতানাথ রোডে থাকাকালীন কবিকে হিন্দুশাস্ত্র বিশেষভাবে চর্চা করতে দেখেছি। অনেকে বলেন কালীমূর্তি নিয়ে কবি মত্ত হয়েছিলেন- একথা ঠিক নয়। আমি কখনো তাঁকে এভাবে দেখিনি।”
তিনি বুঝেছিলেন ইসলাম ও সনাতন ধর্ম উভয়ই স্রষ্টার কাছ থেকে আগত, তাই তিনি হিন্দু ও মুসলমানদেরকে এক করতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেছেন, “আমি হিন্দু-মুসলমানের মিলনে পরিপূর্ণ বিশ্বাসী। তাই তাদের কুসংস্কারে আঘাত হানার জন্যই মুসলমানী শব্দ ব্যবহার করি, বা হিন্দু দেব-দেবীর নাম নিই। অবশ্য এর জন্য অনেক জায়গায় আমার সৌন্দর্যের হানি হয়েছে। তবু আমি জেনে শুনেই তা করেছি।” [শব্দ-ধানুকী নজরুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন আহমদ, পৃষ্ঠা ২৩৬,২৩৭]
এখানে নজরুল স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন হিন্দু মুসলমানের মিলনের জন্য তিনি এ কাজ করেছেন। তখনকার রাজনৈতিক আবহাওয়া সম্বন্ধে যাদের ধারণা আছে তারা জানেন কি প্রচণ্ড হিন্দু মুসলিম বিরোধ তখন বিরাজমান ছিল।
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই ডিসেম্বর রবিবার কলিকাতা এলবার্ট হলে বাংলার হিন্দু-মুসলমানের পক্ষ থেকে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বিপুল সমারোহ ও আন্তরিকতা সহকারে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। সেখানে তিনি বলেন, “কেউ বলেন, আমার বাণী যবন, কেউ বলেন, কাফের। আমি বলি ও দুটোর কিছুই নয়। আমি শুধুমাত্র হিন্দু-মুসলমানকে এক জায়গায় ধরে এনে হ্যান্ডশেক করাবার চেষ্টা করেছি, গালাগালিকে গলাগলিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছি। [নজরুল রচনাবলী – ৮, পৃষ্ঠা ৩, ৫]
ইসলাম সম্পর্কে নজরুলের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল তার একটা উদাহারণ দিচ্ছি- ‘আমার লীগ কংগ্রেস’ প্রবন্ধের ৬১ পৃষ্ঠায় নজরুল ইসলাম লিখেছেন “আমার আল্লাহ নিত্য-পূর্ণ -পরম- অভেদ, নিত্য পরম-প্রেমময়, নিত্য সর্বদ্বন্দ্বাতীত। ‘ইসলাম’ ধর্ম এসেছে পৃথিবীতে পূর্ণ শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে- কোরান মজিদে এই মাহাবাণীই উত্থিত হয়েছে। এক আল্লাহ ছাড়া আমার কেউ প্রভু নাই। তাঁর আদেশ পালন করাই আমার একমাত্র মানবধর্ম (অর্থাৎ আল্লাহকে হুকুমদাতা হিসাবে মানাই হলো একমাত্র মানবধর্ম, এটা সকল ধর্মে মানুষের জন্যই কর্তব্য)। আল্লাহ লা-শরিক, একমেবাদ্বিতীয়ম। আল্লাহ আমার প্রভু, রসূলের আমি উম্মত, আল-কোরআন আমার পথ-প্রদর্শক। আমার কবিতা যাঁরা পড়ছেন, তাঁরাই সাক্ষী: আমি মুসলিমকে সঙ্ঘবদ্ধ করার জন্য তাদের জড়ত্ব, আলস্য, কর্মবিমূখতা, ক্লৈব্য, অবিশ্বাস দূর করার জন্য আজীবন চেষ্টা করেছি।”
ইব্রাহিম খাঁ-র একটি চিঠির জবাবে নজরুল বলেছেন, “যাঁরা মনে করেন-আমি ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বা তার সত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছি, তাঁরা অনর্থক এ ভুল করেন। ইসলামের নামে যে সব কুসংস্কার মিথ্যা আবর্জনা স্তুপীকৃত হয়ে উঠেছে তাকে ইসলাম বলে না মানা কি ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযান? এ ভুল যাঁরা করেন, তাঁরা যেন আমার লেখাগুলো মন দিয়ে পড়েন দয়া করে-এ ছাড়া আমার আর কি বলবার থাকতে পারে?” [ইসলাম ও নজরুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, পৃষ্ঠা ৯৫]
ইসলামের মধ্যে গত ১৩০০ বছরে যে বিকৃতি এসেছে, কুসংস্কার প্রবেশ করেছে কাজী নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। বর্তমানে ধর্মের নামে নারীদেরকে যেভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয় তার বিরুদ্ধেও নজরুল ইসলাম কলম চালিয়েছেন।
সাম্যের গান গাই –
আমার চক্ষে পুরুষ-রমনী কোনো ভেদাভেদ নাই।
বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্র“বারি
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
তার লেখালেখির শেষ জীবনে তিনি চেয়েছিলেন প্রকৃত ইসলামের জন্য কিছু করতে, প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজের জীবন-সম্পদ উৎসর্গ করতে। তিনি প্রকৃত ইসলাম বলতে বর্তমানের ইসলাম বোঝেন নি, তিনি বুঝেছিলেন প্রকৃত ইসলাম ছিল আবুবকর (রা:), উমরদের (রা:) ইসলাম। নজরুলের জীবনের একমাত্র সাক্ষাৎকার যেটা উনি ১৯৪০ সনে দিয়েছিলেন, চিরদিনের জন্য অসুস্থ হয়ে যাবার কিছুদিন আগে- সেখানে উনি বলেছিলেন,
“মুসলমানরা যে একদিন দুনিয়াজোড়া বাদশাহি করতে সমর্থ হয়েছিল সে তাদের ইমানের বলে। আজ আমরা ইমান হারিয়ে ফেলেছি। আমি মওলানা আকরম খাঁ ও মৌলবি ফজলুল হক সাহেবকে বলেছিলাম যে, আসুন, আপনারা সমস্ত ত্যাগ করে (বিকৃত ইসলাম ত্যাগ করে) হজরত ওমর (রাঃ) ও আবুবকরের (রাঃ) আদর্শ (অর্থাৎ প্রকৃত ইসলামের আদর্শ) সামনে রেখে সমাজে লাগি, আমি আমার সব কিছু ছেড়ে কওমের খেদমতে লাগতে রাজি আছি (অর্থাৎ জীবন ও সম্পদ কোরবান করতে রাজী আছি।” [অতীত দিনের স্মৃতি, সম্পাদনা – আব্দুল মান্নান সৈয়দ পৃষ্ঠা ১৯২, ১৯৩]
বিকৃত ইসলাম ছুড়ে ফেলে প্রকৃত ইসলামের তেজদীপ্ত কণ্ঠে কাজী নজরুল ইসলাম মুসলমানদেরকে জাগরণের ডাক দিয়ে বলেছেন-
জাগি যদি মোরা, দুনিয়া আবার
কাঁপিবে চরণে টালমাটাল
দিকে দিকে পুন জ্বলিয়া উঠেছে
দ্বীন ই ইসলামি লাল মশাল।
কাজী নজরুল ইসলাম আজও বিদ্রোহ করে চলেছেন, লক্ষ-কোটি মানুষের অন্তরে তিনি বেঁচে আছেন বিদ্রোহী বেশে। প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে অত্যাচরির খড়গ কৃপাণ যতদিন এ ধরা থেকে মুছে না যাবে, যত দিন উৎপীড়িতে ক্রন্দন-রোল মুছে না যাবে ততোদিন সত্যপথে সংগ্রামী সকল মানুষের হৃদয়ে কাজী নজরুল বেঁচে থাকবেন আর বিদ্রোহের গান গেয়ে যাবেন।
মহা- বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না