হেযবুত তওহীদ একটি অরাজনৈতিক, ধর্মীয় সংস্কারমূলক আন্দোলন। উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের করটিয়ার জমিদার পন্নী পরিবারের উত্তরসূরী জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে এই আন্দোলনটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা এদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শতধাবিভক্ত মানবজাতিকে আলস্নাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি। ধর্মব্যবসা, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, গুজব, হুজুগ, নারী নির্যাতনসহ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী আদর্শ আমরা জাতির সামনে উপস্থাপন করে যাচ্ছি।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্ণ হয়। আন্দোলনের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ২৫ ফেব্ররুয়ারী আমরা একটি কেন্দ্রীয় একটি সম্মেলন করার উদ্যোগ নিই। রাজধানীর উত্তরায় মাননীয় এমামুয্যামানের বাড়ির নিকটবর্তী ১৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির মাঠে অনুষ্ঠানটি করার অনুমতিও আমরা পাই। মাঠ-কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, ট্রাফিক কন্ট্রোল পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশিস্নষ্ট সকলের লিখিত অনুমতি ও সহযোগিতার অঙ্গীকার পেয়ে আমরা প্রায় একমাস আগে থেকেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করি।
সারাদেশ থেকে আমাদের সদস্য-সদস্যাগণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সর্বপ্রকার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাক্সক্ষীদের দাওয়াত দেওয়া, নতুন পোশাক কেনা, বাস ভাড়া করা, স্থানীয় কার্যালয়গুলো আলোকসজ্জিত করা ইত্যাদি মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় হেযবুত তওহীদের সদস্য ও সমর্থকদের ঘরে ঘরে। অনুষ্ঠানের দিনটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করার জন্য নেওয়া হয় বহুবিধ বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিশেষ স্মারক “অদম্য ২৫” প্রকাশ করা হয়। পরিধানের জন্য তৈরি করা হয় টুপি, গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, শার্ট, হেডব্যান্ড ইত্যাদি। প্রচারের জন্য ছাপানো হয় লিফলেট, দাওয়াত কার্ড, পোস্টার। শত শত ব্যানার, পস্ন্যাকার্ড, ফেস্টুনে আর রঙিন পতাকায় হেযবুত তওহীদের আদর্শ তুলে ধরা হয়। মাননীয় এমামুয্যামানের পুরো বাড়িকে একটি সমন্বিত ফটোগ্যালারি ও জাদুঘরের রূপ দেওয়া হয় যেন দর্শনার্থীরা এসে তাঁর সুমহান জীবন ও কর্ম সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন।
দেশের সকল শাখা থেকে অনুষ্ঠানে মোট তিরিশ হাজার অতিথির উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছিল। সে মোতাবেক ৩০ হাজার মানুষের একবেলা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। এজন্য উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় করা হয় রান্নার আয়োজন। কয়েক দিন থেকে শতাধিক সদস্য কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন রান্নার যোগাড়যন্ত্রে। চারশতাধিক ডেকচিতে করা হয় রান্না। ২৩ টন জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করে ৬ টনের অধিক পোলাওয়ের চাল, ৯,০০০ টি মুরগি, ৩৩,০০০ পিস ডিম ইত্যাদি রান্না সম্পন্ন করে ফেলা হয় অনুষ্ঠানের দিন সকালের আগেই। নাশতা হিসাবে বিপুল পরিমাণ শুকনো খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়।অনুষ্ঠানের ২ দিন আগে থেকে ২০ হাজার লোকের বসার জন্য চেয়ার সুবিন্যস্ত করা হয়। বিশেষ অতিথিদের জন্য রাখা হয় সোফার ব্যবস্থা। বক্তব্যকে শ্রুতিবান্ধব করার জন্য উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম, দেখার জন্য বহুসংখ্যক এলইডি স্ক্রিন ভাড়া করা হয়। ভাড়া করা হয় ২০০ স্ট্যান্ড ফ্যান ও পোর্টেবল এয়ার কন্ডিশান।
মাঠের চারদিকে সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ পানির ব্যবস্থা, ফায়ার সার্ভিসের ব্যবস্থা ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়। নির্মাণ করা হয় বিশাল আকৃতির সুদৃশ্য মঞ্চ যা প্রায় তিন তলা বিল্ডিং এর সমান উঁচু। মাঠের চতুর্পার্শ্বে নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা হয় সিসি ক্যামেরা, পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার, চারটি প্রশাসনিক নিরাপত্তা পোস্ট ও চারটি নিজস্ব সিকিউরিটি গেট। হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম নিজে সমস্ত প্রস্তুতি তদারক করেন। রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের এ সুশৃঙ্খল প্রস্তুতি কৌতূহলী করে তুলেছিল এলাকাবাসীকেও। তাই ধারণা করা হয়েছিল এর দর্শকসংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। তবে এ প্রস্তুতি যথারীতি ইবলিশেরও নজর এড়ায়নি। অনুষ্ঠানের লগ্ন এগিয়ে আসতে না আসতেই শুরু হয়ে গেল তার ষড়যন্ত্রের জাল বোনা। ধর্মব্যবসায়ী আলেম দাবিদার গোষ্ঠীটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু করে দিল অপপ্রচার ও অনুষ্ঠান বন্ধের তৎপরতা। তারা স্থানীয় মসজিদ আর মাদ্রাসাগুলোতে বসে ঘোঁট পাকাতে লাগল। মাইকিং করে কান ভারী করে তুলল জনগণ ও প্রশাসনের।
একটি গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে যেখানে আমাদের প্রত্যেকের কথা বলার অধিকার সংবিধান দ্বারা সুরক্ষতী, সেখানে অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগের দিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে জানানো হলো- কওমীপন্থী ও তাবলিগ জামায়াতের জুবায়েরপন্থী এক শ্রেণির আলেম-ওলামা আমাদের এত বড় একটি আয়োজন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। আমরা বললাম, “আমরা তো এখানে কোনো রাষ্ট্র বা ধর্মবিরোধী কোনো কাজ করতে যাচ্ছি না, আমরা ইসলামের কথাই বলব, কোর’আন হাদিসের কথাই বলব। তাহলে তারা কেন বাধা দেবেন?” প্রশাসনের কর্মকর্তারা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, “আলেম ওলামারা বলছেন যে তারা বাধা দেবেন। আপনারা তো জানেন, তারা কোনো কথা শুনেন না।”
ফজরের নামাজের পর পরই তারা অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে ভিড় জমাতে লাগল, উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ফতোয়াবাজি আর উস্কানিপূর্ণ বক্তব্য দিলে লাগলেন কথিত মুফতি মওলানারা। ফোন করে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে শত শত অল্প বয়সী বালকদের নিয়ে আসা হয় সহিংসতায় ব্যবহার করার জন্য। তারা দলে দলে মিছিল করে আসতে লাগল। হামলার হাতিয়ার হিসাবে গাড়িতে করে আঁটি বেঁধে নিয়ে আসলো লাঠিসোটা। রাস্তায় ব্যারিকেড দিতে লাগলো যেন আমাদের লোকজন ও মালামাল অনুষ্ঠানস্থলের দিকে অগ্রসর হতে না পারে। কথিত এক মুফতি হুমকি দিতে শুরু করল যে, হেযবুত তওহীদের অনুষ্ঠান বন্ধ না করা হলে এখানে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের এসব বে-আইনী অপতৎপরতা বন্ধ করার কোনো ইচ্ছা বা সাহস দেখা গেল না। এরই মধ্যে কুষ্টিয়া থেকে উত্তরায় এসে পৌঁছনো একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের সামনের কাচ ইট মেরে গুড়িয়ে দিল উশৃঙ্খল, অসভ্য, ধর্মান্ধ, বর্বর মানুষগুলো। তারা নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধসহ গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিল। হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে পরে এজন্য প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন হিসাবে বাস কর্তৃপক্ষকে প্রদান করতে হয়েছে। ধর্মব্যবসায়ীদের এহেন হুঙ্কার, আস্ফালন ও দানবীয় শক্তির প্রদর্শনী দেখে চিন্তিত হয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ যোগাযোগ করেন মাননীয় এমামের সঙ্গে। তারা পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং মাননীয় এমামের সিদ্ধান্ত জানতে চান।
এমতাবস্থায় আমাদের এমাম গভীরভাবে ভেবে দেখলেন, এখানে আমাদের হাজার হাজার নিমন্ত্রিত অতিথি মূলত উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন, যাদের অনেকেই হেযবুত তওহীদের সদস্য নয়। যদি তাদের উপর হামলা হয় তাহলে উভয়পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হবে। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ভাড়া আনা কোটি কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি, আসবাব গুড়িয়ে দেওয়া হবে, যার ক্ষতিপূরণ হেযবুত তওহীদকেই দিতে হবে। সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্বভাবতই আশপাশের দোকানপাট ভাঙচুর হবে, অগ্নিসংযোগ হবে। কথিত আলেম ওলামাদের তৈরি করা সহিংসতায় বলির পাঠা হবে মাদ্রাসাপড়য়া ছোট ছোট ছাত্ররা। অতীতেও তাদের শ্রদ্ধেয় তাদেরকে দাঙ্গাময় পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন। তারা হেযবুত তওহীদের বক্তব্য সম্পর্কে সত্যিকার অর্থে কিছুই জানে না। তাদেরকে আমাদের বিষয়ে একটি ভয়ানক ভুল ধারণা দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে আমাদের হাজার হাজার কর্মী উপস্থিত ছিলেন, যারা যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে এমামের হুকুমের অপেক্ষা করছিলেন।
এমাম দেখলেন, যদি সংঘর্ষ বাঁধে, তাহলে দাড়ি-টুপিওয়ালা আক্রমণকারীদের কেউ কেউ আহত হতেই পারে। তখন তাদের রক্তাক্ত ছবি প্রচার করে বলা হবে যে, হেযবুত তওহীদ ইসলামের শত্রু, দেখো কীভাবে আলেম ওলামাদের গায়ে হাত তুলেছে। প্রকৃত হামলাকারী কারা সেটা আর সাধারণ মানুষ খতিয়ে দেখবে না। গোটা জাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে হেযবুত তওহীদবিরোধী একটি সেন্টিমেন্ট, একটি ভীতি (Phobia)। আমাদের সদস্যরা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তাদের এলাকাগুলোতে নিষ্ঠুর ধর্মোন্মাদনার (Mob violence and lynching) শিকার হবে। এসকল হুজুগে ধর্মোন্মাদনা সৃষ্টির জন্য তাদের প্রয়োজন হেযবুত তওহীদের কোনো কর্মীর আঘাতে আহত কোনো আরবি লেবাসধারীর ছবি, যাকে তারা আলেম বলে চালিয়ে দিতে পারবে। এই ছবি নিয়ে তারা রাজনীতি করবে, রাজপথ গরম করবে, সারাদেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেবে, ইসলামের জন্য মায়াকান্না করবে। তাদের প্রয়োজন হবে কিছু লাশ।
সংঘর্ষ হলে কত মায়ের বুক খালি হবে, কত নারী বিধবা হবে, কত শিশু এতিম হবে, কত মানুষ হতাহত হবে, তাদের কওমী মাদ্রাসার কত এতিম শিশু আহত-পঙ্গু হবে, তা তাদের বিবেচ্য নয়। ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে দাঙ্গাপরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের সম্মান ধুলায় মিশে যাবে, বাংলাদেশকে একটি ঘোর মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী, উগ্রপন্থী ইসলামের দেশ হিসাবে চিহ্নিত করা হবে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হবে বাংলাদেশের মুসলমানেরা নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করছে (Sectarian strife)। আর ধর্মবিদ্বেষীরা দূরে বসে তামাশা দেখবে আর বলবে- দেখো, এই হলো তোমাদের ইসলাম ধর্ম। আমাদের এমাম চাইলেন না হেযবুত তওহীদকে কেন্দ্র করে এত বড় কালিমা মাতৃভূমির ললাটে লিপ্ত করতে। তাই তিনি ধর্মব্যবসায়ীদের পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে, আন্দোলনের লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি স্বীকার করেও অনুষ্ঠান স্থগিত করলেন। তাঁর সিদ্ধান্ত বিনা বাক্যব্যয়ে হেযবুত তওহীদের হাজার হাজার কর্মী মেনে নিলেন, যে বাসগুলো ঢাকা অভিমুখে আসছিল তারা গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরতি পথে চলে গেল।
মাঠের আয়োজনে যারা দিনরাত শ্রম দিচ্ছিলেন তাদের কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়লেন। আমাদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাকর্মীরা, বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা অসামান্য ধৈর্য্যরে পরিচয় দিলেন। তাদেরকে সহিংসতায় জড়ানোর জন্য ধর্মব্যবসায়ীরা যতই উস্কানিমূলক কথা বলুক না কেন, তারা মাননীয় এমামের হুকুমে নিশ্চুপ হয়ে থাকলেন এবং আয়োজন গুটিয়ে নিলেন। ত্রিশ হাজার মানুষের খাবার পড়ে রইল, যা বিলিয়ে দেওয়া হলো আশপাশের কয়েকটি এতিমখানায় এবং আশপাশের বাড়িতে। হেযবুত তওহীদের সকল সদস্যের রক্ত পানি করা অর্থে যে আয়োজন করা হয়েছিল তা নস্যাৎ করে দিল একদল উগ্রবাদী, ধর্মান্ধ মানুষ। তাদের চোখ রাঙানির সামনে নতজানু হয়ে গেল মহাশক্তিধর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার, সংবিধান, আইন-কানুন, স্বাধীনতার অহঙ্কার। মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার, বাক-স্বাধীনতা, সংগঠন, সভা-সমাবেশ করার অধিকার ইত্যাদি কথাগুলো যে নিছক ফাঁকা বুলি তাই আবার প্রমাণিত হলো।
ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণির এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ৫ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে হেযবুত তওহীদ। সেখানে বক্তারা বলেন, অনুষ্ঠানটি আয়োজনের এক মাস সময় ধরে সরকারের সংশিস্নষ্ট বিভাগগুলো হেযবুত তওহীদের বিষয়ে যাচাই বাছাই করে লিখিত অনুমোদন প্রদান করে। কিন্তু সেসব অনুমোদন অর্থহীন প্রমাণিত হলো। প্রমাণিত হলো, এদেশে সরকারের চেয়েও শক্তিশালী হচ্ছে হুজুগ ও ধর্মোন্মাদনা। বক্তারা জাতির উদ্দেশে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। তারা বলেন, এভাবে যদি ধর্মান্ধ শক্তির উত্থান ঘটতে থাকে তাহলে ইসলামের নাম করে মানুষের উপর জুলুম করা হবে, যার পরিণামে মানুষ আরো ইসলামবিদ্বেষী হয়ে পড়বে। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার বদলে তালেবানী ইসলামের, মোলস্নাতন্ত্রের জয়জয়কার হবে, যুক্তিহীনতার চর্চা হবে, সভ্যতা প্রগতি মুখ থুবড়ে পড়বে। উন্নয়নের সকল অহঙ্কারকে ধুলিসাৎ করে দেবে এই ধর্মোন্মাদ, বিশৃঙ্খল ধর্মের লেবাসধারী অধর্মের ধারকেরা।