গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাবে পিনাকল স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃবিভাগীয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা স্পোর্টস ইউনিয়ন। বিভিন্ন জেলার মোট নয়টি দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলেও বিভিন্ন রাউন্ডে জয়লাভ করে ফাইনাল ম্যাচে লড়াই করতে নামেন ঢাকা স্পোর্টস ইউনিয়ন বনাম খুলনার শহীদ রাবেয়া স্পোর্টিং ক্লাব। খেলায় তিন গেমেই জয় লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা স্পোর্টস ইউনিয়ন।
.
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম, পিনাকল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশন কর্ণধার ড. মাহফুজ আলম ও সভাপতি রিয়াল তালুকদার, দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, দৈনিক বজ্রশক্তির সম্পাদক এবং পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, সেলিম ক্লিনিকের চেয়ারম্যান উম্মুত তিজান মাখদুমা পন্নী, উত্তরা ৩নং সেক্টর কল্যাণ সমিতির ত্রাণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুস সাত্তারসহ আরও অনেকে।
.
এ সময় খেলায় অংশগ্রহণকারী দলের খেলোয়াড়, রেফারীসহ, আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে বক্তব্য দেন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেহ-আত্মার সম্বনয়ে মানুষ। সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য মানুষকে শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক দিয়েই সুস্থতা প্রয়োজন। শারীরিক সুস্থতার জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। আমাদের দেশের মানুষ খেলাধুলা, কৃষ্টি-কালচার, সংস্কৃতিপ্রিয়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, পর্যাপ্ত খেলার মাঠের অভাব, ব্যবস্থাপনার অভাব, অপসংস্কৃতি, অপরাজনীতি, উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী তাণ্ডব, ছাত্ররাজনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন দিকে ঝুঁকে আমাদের যুব সমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে মাদকের কালো থাবা, বন্যার ঢলের মত দেশে মাদক পাচারের ফলে যখন তরুণ সমাজের দেশের কল্যাণে, সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য ইসলামের জন্য কাজ করার কথা তখন তারা মাদকে বুঁদ হয়ে তাদের জীবনকে শেষ করে দিচ্ছে।
.
এই অবস্থায় এসে আমরা পিনাকল স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশন আমাদের দেশের বিলুপ্তপ্রায়- ঐতিহ্যবাহী কাবাডি ও হাডুডু খেলাকে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা শীতকালীন ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করি। সারা বাংলাদেশে আমাদের অনন্ত ২০টির অধিক ক্লাব রয়েছে।
.
তিনি আরো বলেন, আমি গত বছর মেহেরপুরে যাই। সেখানে আমার নামেই একটি ফুটবল টুর্নাামেন্টের আয়োজন করা হয়। সেখানে আমি দেখেছি, লক্ষাধিক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। তারা আমাকে বলেছে, আমরা এ ধরনের খেলাধুলায় আরো অংশগ্রহণ করতে চাই। কিন্তু দিন দিন এধরণের পরিবেশ আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আর খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায় না। সেখানে মারামারি হয়, সংঘর্ষ হয়। এসব কিছু বিবেচনায় প্রশাসন আর খেলাধুলা অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতে চায় না। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই অবস্থা কেন হল? এটা তো কাম্য নয়। তো আমাদের এই ধারাকে ভাঙতে হবে। এই অসুস্থ পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য খেলাধুলা, এমন উদ্যোগের কোন বিকল্প নেই। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এই উদ্যোগগুলো নেওয়া শুরু করেছি এবং ইতিবাচক সারা পাচ্ছি।
.
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে টুর্নামেন্টে বিজয়ী দল এবং খেলোয়াড়দের মাঝে বিজয়ী ক্রেস্ট এবং পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরষ্কার বিতরণীর পর ফটোসেশনের মাধ্যমে টুর্নামেন্টটি শেষ হয়।