হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো

রিয়াদুল হাসান:

আগুনের শিখা যেমন সবকিছু পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারে তেমনি আবার আগুনের শিখাই মানুষকে রাতের অন্ধকারে পথ দেখাতে পারে। আগুনে পুড়িয়েই সোনাকে নিখাঁদ করা হয়। অর্থাৎ ব্যবহারের উপর নির্ভর করে এটি মানুষের ¶তিসাধন করবে নাকি উপকারে আসবে। তরুণ সমাজই জাতির প্রাণশক্তি। তারা জাতি গঠনের কাজ করবে নাকি অপশক্তির দ্বারা দেশধ্বংসের কাজে ব্যবহৃত হবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব যারা সমাজের নিয়ন্ত্রক তাদের। এই গুরুতর সিদ্ধান্ত তরুণদের হাতে ছেড়ে দিলে তা কখনওই সুফল বয়ে আনবে না। প্রত্যেক শক্তিরই উপকারিতা ও ক্ষতি ব্যবহার করে শক্তিকে কোন কাজে ব্যবহার করা হবে তার উপর। তারুণ্যও এক প্রকার শক্তি যাকে সুপথে ব্যবহার করবেন সমাজ পরিচালকগণ।

বস্তুবাদী আত্মাহীন শিক্ষার প্রভাবে তরুণ সমাজ আজ নিদারুণ নৈতিক অবক্ষয়ের শিকার। একদা যে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার আলোয় স্লান করে সে মানুষের মতো মানুষ হতো, সে ধর্ম আজ তাদের কাছে অনাদৃত, আবেদনহীন, ফ্যাকাশে। তাদের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা হচ্ছে, ধার্মিক হতে দাড়ি, টুপি, জোব্বা পরিধান করতে হবে। তাই বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যু যখন নিকটবর্তী হবে তখনই ধর্মকর্ম করা যাবে। কিন্তু আসলেই কি ধর্ম বার্ধক্যের অবলম্বন?

না। প্রকৃতপক্ষে ধর্মের অপর নাম মানুষের কল্যাণ সাধন করা, কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। আর মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করা বৃদ্ধের কাজ নয়। যে নবী-রসুল ও অবতারগণ ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াই করে ইতিহাস ও সভ্যতা নির্মাণ করে গেছেন তারা কি বৃদ্ধ বয়সে এ কাজ করেছিলেন? মহাভারত উপাখ্যানের পঞ্চপাণ্ডব, শ্রীকৃষ্ণ, রাম-লক্ষ্মণ, গৌতম বুদ্ধ, বেথেলহামের ঈসা (আ.), শেষ নবী মোহাম্মদ (সা.)-সহ অন্যান্য মহামানবদের অধিকাংশই যুবক বয়সেই একটি আলোকিত ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। নবী-রসুল ছাড়াও প্রতিটি দেশে ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ে যে মানুষগুলো নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য সমাজ পরিবর্তনে বিপ্লবী ভূমিকা রেখেছেন তাদের অধিকাংশই ছিলেন তরুণ যুবক। দুই শত বছর ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম করেছেন তরুণেরা, বায়ান্নতে ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে তরুণেরা, একাত্তর সনে যুদ্ধ করে এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন তরুণেরা।

অথচ আমাদের এই দ্বিধাগ্রস্ত, দেউলিয়া সমাজ তারুণ্যের সেই অমিত শক্তিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তিলে তিলে, তাদের জীবনকে করে দিচ্ছে লক্ষ্যহীন, গন্তব্যহীন, ছন্নছাড়া। তাদের সামনে কোনো অনুসরণীয় নেতা নেই, কলেজে সিট নেই, অফিসে চাকরি নেই, কারখানায় কাজ নেই, খেলবার মাঠ নেই, কোথা থেকে এসেছে সেই অতীতের স্মৃতি নেই, শেকড়ের সন্ধান জানা নেই, যে বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছে সেই বর্তমানে গতি নেই, কোথায় চলেছে নেই সেই ভবিষ্যতের ঠিকানা। অথচ চারিদিক থেকে সহস্র হায়েনা হা করে আছে তরুণদের এই শক্তিকে গ্রাস করে নেওয়ার জন্য। একদিকে ভোগবাদী সভ্যতার প্রলোভন, অপরদিকে অপরাধ জগতের হাতছানি।

মাদকের কালো থাবা তার তারুণ্যকে নিষ্প্রাণ করছে, অপরাজনীতির সন্ত্রাসী ক্যাডারে পরিণত হচ্ছে সে, বখে যাচ্ছে সে, কিশোর গ্যাং হচ্ছে, ছাত্র রাজনীতির বলি হচ্ছে সে, সে হচ্ছে জঙ্গিবাদীদের হাতিয়ার, গণতন্ত্র বা ধর্মান্ধতার বড়ি খেয়ে সে হুজুগে মাতাল হয়ে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। তরুণ হচ্ছে অশ্লীল অপসংস্কৃতির শিকার, সে হচ্ছে ধর্মবিদ্বেষী চরমপন্থী নাস্তিক। সে কখনো মদ খেয়ে মাতাল, কখনো ক্রিকেট রসে মাতাল। তরুণ হয়ে যাচ্ছে অমানবিক আত্মকেন্দ্রিক টাকার মেশিন। তার জীবন দর্শন হচ্ছে কেবল খাও দাও ফুর্তি করো, প্রেম করো, আড্ডাবাজি করো। সে শিক্ষিত হয়ে হচ্ছে দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, দেশবিক্রেতা। তরুণ নিজের জীবনকে অপচয় করছে, সম্পদের অপচয় করছে, হৃদয়ের অপচয় করছে। সে আসক্ত হয়ে গেছে পশ্চিমা চাকচিক্যে, বুঁদ হয়েছে ফেসবুকে। তার সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক আর টিভির পর্দায়। বেকারত্ব তাকে নিয়ে গেছে হতাশার অন্ধকারে।

পশ্চিমা বস্তুবাদী ‘সভ্যতা’ হ্যামেলিনের বাঁশি বাজিয়ে আমাদের কিশোর-তরুণদেরকে কোন গহ্বরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তা ভাবার সময় এসেছে। পশ্চিমা দুনিয়া দুশ বছর যেভাবে আমাদেরকে শোষণ করে অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছে, এখন তারা সেই টাকায় ভোগবাদী পণ্যের বাজার খুলে বসেছে। তারা সমগ্র বিশ্বের মানুষকে ভোগবাদী হতে উদ্বুদ্ধ করছে। তাদের হাজারো পণ্যের বাহারি বিজ্ঞাপনে মানুষ অপ্রয়োজনীয় বস্তুকে মহা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে আর সেই চাহিদা পূরণের জন্য দিনরাত অর্থের পিছনে ছুটছে। শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ উপার্জন, ভোগবিলাস- কেতাবি ভাষায় যাকে বলা হয় জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। শিক্ষাজীবনের শুরুতেই কচি মাথায় ঢেলে দেওয়া হচ্ছে বিষমন্ত্র – লেখা পড়া করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে। যেন লেখা পড়ার উদ্দেশ্যই গাড়ি-ঘোড়ায় চড়া। তারা এখন সার্টিফিকেট চায়, কিছু জানতে চায় না। কেউ কিছু জানাতে গেলে ভাবে জ্ঞান দিচ্ছে, আমি কি কম জানি।

এই ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের পরিণাম হচ্ছে এই যে, জাতির সামনে যখন ঘোর দুর্যোগ, জাতির অস্তিত্বই যখন বিপন্ন, তখনও জাতিকে রক্ষার জন্য তরুণমনে কোনো চেতনা জাগছে না। কারণ তাদের সনদ হাসিলের শিক্ষা তাদেরকে দেশ নিয়ে ভাবতে শেখায় না। পরিবার সমাজ রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ জন্ম না নেওয়ায় ইতোমধ্যেই জাতীয় অঙ্গনে তরুণ নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। যারাও বা পারিবারিক সূত্র ধরে রাজনীতিতে আসছেন তাদের উদ্দেশ্য দেশসেবা নয়, কালোটাকা ও ক্ষমতা। তারা যেন পুরো দেশটাকেই গিলে খেতে চায়, এতই তাদের ক্ষুধা, অল্প বয়সেই তারা টাকার কুমির বনে যাচ্ছে। আজ বাদে কাল যখন এই নৈতিক চরিত্রহীন, আদর্শহীন, আত্মাহীন তরুণরাই দেশের হাল ধরবে তারা এদেশকে কোথায় নিয়ে যাবে?

পশ্চিমা ষড়যন্ত্র, অপরাজনীতি আর ধর্মব্যবসার আক্রমণে পিছু হটতে হটতে আমরা এখন গহীন খাদের কিনারায়। চূড়ান্ত পতন থেকে এ জাতিকে রক্ষা করতে পারে শুধু তরুণ সমাজ। তাদেরকে এখনই জেগে উঠতে হবে। যুদ্ধ করতে হবে ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আমাদেরকে এই আহ্বান করেছেন চিরতরুণ, চিরযুবক এক বিপ্লবী পুরুষ, এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। সকল মিথ্যা ও অন্ধত্বের বিরুদ্ধে যাঁর কলম বজ্রশক্তিতে আঘাত হেনেছে। তাঁর উদাত্ত কণ্ঠের আহ্বানে আমরা হেযবুত তওহীদের সদস্যরা বাড়িঘর, সহায় সম্পত্তি পেছনে ফেলে অসহায় মানুষের চোখের জল মুছিয়ে দেওয়ার সংগ্রামে নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছি। আমরা বুঝতে পেরেছি যে, ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে একটি কল্যাণ-সমাজ প্রতিষ্ঠা। অথচ বর্তমানে ধর্ম মানেই যেন হাজারো বিধিনিষেধ, এটা করা যাবে না, ওটা পরা যাবে না, সেটা খাওয়া যাবে না। মনে হয় যেন মানুষের জীবনযাপনকে কঠিন করে তোলাই ধর্মের উদ্দেশ্য। কোথাও কোনো আনন্দ নেই, স্বাধীনতা নেই, নির্দিষ্ট পোশাক, নির্দিষ্ট ধাঁচের দাড়ি-টুপি-লেবাসে আবৃত এক নিরানন্দ জীবনের নাম ধর্ম। আসলে কিন্তু তা নয়। ধর্মের যে রূপটি বর্তমানে আমরা দেখছি, সেটা প্রকৃত ধর্ম নয়। শত শত বছরে আলেম নামধারী ধর্মব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে ধর্মের ব্যাখ্যাকে বিকৃত করে ফেলেছেন। প্রকৃত ধর্ম কখনোই মানুষের চলাফেরা, ব্যক্তিস্বাধীনতা, পছন্দ-অপছন্দ, রুচির অভিরুচির উপর হস্তক্ষেপ করে না। তবে বৈজ্ঞানিকভাবেই সব খাদ্য যেমন শরীরের জন্য উপকারী নয়, সব শিক্ষাও মানবসমাজের জন্য উপকারী নয়। ধর্ম কেবল এই ভালো ও মন্দের পার্থক্য প্রকাশ করে, কিন্তু তা মানা বা না মানার ব্যাপারে কারো প্রতি জবরদস্তি করে না। আর অপরের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা, অন্যের শান্তি বিনষ্ট করা কেবল ধর্মের দৃষ্টিতে নয়, যে কোনো জীবনব্যবস্থাতেই অপরাধ।

আমাদের তরুণ সমাজ ধর্মবিশ্বাসী, কিন্তু ধর্মের অপব্যবহার দেখে, ধর্মব্যবসায়ীদের সৃষ্ট অনাচার দেখে তারা ধর্ম সম্পর্কে আকর্ষণ হারিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এড়িয়ে চলাই কি যথেষ্ট? না। এই বিকৃত ধর্মের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা সকলের ঈমানী দায়িত্ব এবং সামাজিক কর্তব্য। কারণ বিকৃত ধর্মের ধারক বাহকদের দ্বারা ভুল পথে পরিচালিত হয়ে মানুষের দুনিয়া ও আখেরাত দুটোই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাদের এত নামাজ-রোজা, হজ্ব, যাকাত, যিকির আজগার কোনো কিছুরই কোনো প্রতিদান তারা আল্লাহর কাছ থেকে পাবে না। কারণ একটি জালনোট দেখতে প্রায় আসল নোটের মতো হলেও তা বিনিময়যোগ্য নয়। এই সমাজে, এই দেশে আপনি বড় হয়েছেন, শিক্ষিত হয়েছেন। তাই এ দেশের প্রতি আপনার দায়বদ্ধতা রয়েছে। ধর্ম ও রাজনীতির নামে প্রচলিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণমানুষকে সচেতন করে তোলা আপনার সামাজিক দায়িত্ব। আমরা ধর্মের প্রকৃত রূপ মানুষের সামনে তুলে ধরছি। বর্তমানে ধর্ম কী, এবাদত কী, স্রষ্টার চাওয়া কী তা তুলে ধরছি যেন আমরা সবাই প্রকৃত ধার্মিক হতে পারি, প্রকৃত এবাদত করতে পারি, স্রষ্টার চাওয়া পূর্ণ করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি।

প্রকৃতপক্ষে স্রষ্টা চান মানুষ যেন শান্তিতে থাকে। তাই যে কাজটি করলে মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর হবে সেটা করাই মানুষের এবাদত। তিনি চান না যে, বান্দা উপাসনালয়ের চার দেওয়ালের মধ্যে বসে থাকুক আর উপাসনালয়ের বাইরে নিরাশ্রয় মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করুক। বরং তিনি চান মানুষ এমন একটি সমাজ গড়ে তুলুক যেখানে দারিদ্র্য থাকবে না, কেউ কারো সম্পদ লুটে নেবে না, প্রতিটি মানুষ এক পরিবারের মতো মিলে মিশে বাস করবে, একের বিপদে অন্যে এগিয়ে যাবে, কেউ কারো থেকে ক্ষতির আশঙ্কা করবে না, সন্দেহ করবে না, কাউকে শত্রুর নজরে দেখবে না। মানুষ নিশ্চিন্তে দরজা খুলে ঘুমাবে। কেউ ভুল করলে সেটা তার সামনে বলবে, পেছনে বলে বেড়াবে না, ষড়যন্ত্র করবে না, জাতির ঐক্য নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ সে করবে না।

এমন একটি সমাজ কল্পনা করা দুষ্কর হলেও এটা সম্ভব, যদি আমরা এই শতধাবিচ্ছিন্ন জাতিটিকে ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। আজ এমন একটি স্বার্থকেন্দ্রিক সমাজ আমরা গড়ে তুলেছি যেখানে কেউ নিরাপদ নয়, কারণ কেউ কারো বিপদে এগিয়ে যায় না। এখানে দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে নির্মমভাবে মানুষ হত্যা করে, আর শত শত মানুষ নির্বিকার দাঁড়িয়ে দেখে। তারাই আবার আজান দিলে মসজিদে ছোটে। তারাও নিজেদেরকে ধার্মিক বলেই মনে করে, কিন্তু তাদের কাছে ধর্মের মানে নামাজ, রোজা, হজ্ব, যিকির ইত্যাদি। বিপদগ্রস্তকে বাঁচানো তাদের ধর্মের অংশ নয়। তাদের আঁকড়ে থাকা এ ধর্ম আত্মাহীন, মৃত ধর্ম, এ ধর্ম জীবিত মানুষের তেমন কোনো কাজে লাগে না। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, যে ঈমান দুনিয়াতে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগে না, সে ঈমান কাউকে জান্নাতেও নিতে পারবে না। প্রকৃত ধর্মের শিক্ষা হচ্ছে, রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়া যেমন সওয়াবের কাজ, রাত জেগে মানুষের চলাচলকে নির্বিঘ্ন করার জন্য রাস্তা পাহারা দেওয়া আরো বড় সওয়াবের কাজ।

কবি বলেছেন, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। সেই যুদ্ধ দেশ গড়ার যুদ্ধ। রসুলাল্লাহ বলেছেন, যৌবনের ইবাদত আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়। আসুন, সমাজ থেকে সকল অন্যায় অবিচারকে নির্মূল করে নতুন সমাজ গড়ে তোলার সংগ্রামে অবতীর্ণ হই। এটাই প্রকৃত এবাদত। স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই জাতির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করা হয়েছে যেন আমরা চিরকাল ভিক্ষুকের জাতি হয়ে থাকি। এ ষড়যন্ত্রের জাল আমাদের কাটতে হবে। আমাদেরকে বুঝতে হবে মানবজীবন কত মূল্যবান। আমি পশু হয়ে জন্মাতে পারতাম, তা না হয়ে আমি মানুষ হয়েছি। তবু আমি কেন পশুর মতো জীবনযাপন করছি? খাচ্ছি, ভোগ করছি, বংশবিস্তার করে মরে যাচ্ছি। এটাতো পশুর জীবন। মানুষ তো সেই, যে অন্যের জন্য বাঁচে। যে অসহায় মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে, নিজের জীবন ও সম্পদ মানবতার কল্যাণে উৎসর্গ করে তারই মানবজন্ম সার্থক হয়। সেই তো অমর জীবন লাভ করে, সেই হয় পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...