মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেল রাজধানীর উত্তরায় হুজুগ, গুজব ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে হেযবুত তওহীদের আয়োজনে একটি জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের মুখ্য বক্তা ছিলেন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম জানাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলার নতুন যোগদানকারী কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ এ আলোচনা সভায় যোগদান করেন।
বিকেল ৪টা নাগাদ হলরুম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দের স্বাগত বক্তব্যের পর বিকেল ৫টায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শুরু হয়। হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম তাঁর বক্তব্যে মানুষের প্রকৃত পরিচয়, মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, তার দায়িত্ব ও কর্তব্য কী তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। সমগ্র মানবজাতি এক পিতামাতার সন্তান। এ হিসাবে সকল মানুষ ভাই ভাই। সাদাকালো, বাদামি, তামাটে গায়ের রঙের ফারাক হয়েছে ভৌগোলিক কারণে, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে। এসবের ভিত্তিতে মানবজাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই।’.তিনি বলেন, ‘আল্লাহর আদেশ আমরা সবাই কোর’আন পড়লেই বুঝতে পারব। তিনি কোনো অস্পষ্ট আদেশ দেন নি। যেমন সুদ হারাম এটা কোর’আনে আছে আর সবাই সেটা জানেও। এই সংক্রান্ত আয়াতের হাজার হাজার তাফসির করা হয়েছে, এ নিয়ে লক্ষ লক্ষ ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে সারা দুনিয়ায় চলছে সুদের অর্থনীতি। কোর’আন যে উদ্দেশ্যে নাজিল করা হয়েছে সেটা এখন আর এই জাতির মনে-মগজে নাই। এরা ভাবছে যে কোর’আন তেলাওয়াত করার জন্য দেওয়া হয়েছে। অথচ জাতির আকিদা যদি সঠিক থাকত তাহলে সুদ যে হারাম এই কথাটা একবার পড়াই যথেষ্ট ছিল।’
অনুষ্ঠানটি ছিল দর্শক ও অতিথিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত। মাগরিবের সালাতের পর প্রধান অতিথি তাদের বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর দেন। তাঁর বক্তব্যের পর প্রায় একশ জন অতিথি অঙ্গীকারপত্রে সাক্ষর করে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হন। .
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের নারী বিভাগ ও শিল্প-বাণিজ্য বিভাগের সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী। প্রকৃত ইসলামের ছোঁয়ায় আরবের আইয়্যামে জাহেলিয়াতের নির্যাতিত অধিকার বঞ্চিত নারীরা কীভাবে মানবতার কল্যাণে আত্মনিবেদিত দুর্বার সংগ্রামী নারীতে পরিণত হয়েছিল সে ইতিহাস তিনি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় আমির ডা. মাহবুব আলম মাহফুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থাপনা করেন জেটিভি অনলাইনের সংবাদকর্মী মো. রফিকুল ইসলাম।