নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের নিজ বাসভবনের কনফারেন্স হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড, জ্বালাও-পোড়াও ও লুটপাটের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে অবহিতকরণ’ প্রসঙ্গে এই ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে হেযবুত তওহীদের এমাম ও তাঁর পরিবার সহ কর্মী সমর্থকদের উপর দীর্ঘদিন ধরে চলা হামলা, লুটপাট ও নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। এসময় ২০১৬ সালের ১৪ মার্চে তাঁর বাড়িতে নির্মাণাধীন মসজিদকে গীর্জা বলে গুজব রটিয়ে হামলা ও দুই জন সদস্যকে জবাই করে হত্যার রোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা ও তথ্যচিত্র তুলে ধরেন তিনি। একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে অপব্যবহার করে এই ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আরেকটি গোষ্ঠী পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলার নেপথ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইন্ধন যুগিয়েছে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই এসময় নৃশংস এই হামলার বর্ণনা ও আহত শিশুসহ অন্যান্য সদস্যদের দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এসময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে মাননীয় এমাম বলেন, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার বিপরীতে ইসলামেরে সঠিক আদর্শ তুলে ধরতে দেশব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে হেযবুত তওহীদ। আর এ কারণেই বারবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী অপশক্তির টার্গেট হয়েছেন আন্দোলনের নেতা কর্মীরা। হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান মাননীয় এমাম। পাশাপাশি হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে সোনাইমুড়িতে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
আলোচনা শেষে তিনি চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের গরুর খামার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, তৃপ্তি ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানির কারখানাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গণমাধ্যমকর্মীদেরকে ঘুরে দেখান। হেযবুত তওহীদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় আমির নিজাম উদ্দীনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।