ইসলামের উপর অপবাদ দেওয়া হয় যে, ইসলামে নাকি দাসপ্রথাকে উৎসাহিত করা হোয়েছে, এখানে নাকি যুদ্ধবন্দীদের দাস-দাসীরূপে ব্যবহার করা যায়। অপবাদআরোপকারীরা এ প্রসঙ্গে কোর’আনের কিছু আয়াতও তুলে ধরেন। এসব আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধোরতে ব্যর্থ আমাদের সমাজের আলেম সাহেবরা দুর্বল প্রতিবাদ করেন যে, ‘হ্যাঁ, দাসপ্রথা আছে, কিন্তু ইসলাম দাসদেরকে অনেক অধিকারও দিয়েছে।’ অথচ প্রকৃত সত্য হোল, ইসলাম দাসপ্রথা বিলুপ্ত কোরেছে আর ইহুদি খ্রিস্টান বস্তুবাদী ‘সভ্যতা’ তথা দাজ্জাল এর বিশ্বায়ন কোরেছে। প্রকৃত ইসলামের সমাজব্যবস্থা হোচ্ছে সেবাভিত্তিক। সেখানে মানুষ মানুষকে ভালোবেসে সেবা কোরে যায়, অন্যকে সাহায্য কোরে, দান কোরে, খাইয়ে তৃপ্তি লাভ করে। অপরপক্ষে দাজ্জাল সর্বপ্রকার সেবাকেই দাসত্বে এবং পণ্যে রূপান্তরিত কোরেছে। ফলে গোটা সমাজব্যবস্থা হোয়ে গেছে চরম স্বার্থকেন্দ্রিক। রাস্তায় কেউ মরে পড়ে থাকলেও কেউ ফিরে তাকায় না। যে শ্রমব্যবস্থা অনুসরণের ফলে এমন রাষ্ট্রনায়ক সৃষ্টি হোয়েছে যিনি দীর্ঘ মরুপথের অর্ধেক রাস্তা ভৃত্যকে উটের পিঠে বসিয়ে রশি ধোরে হেঁটে চোলেছেন, সেই শ্রমব্যবস্থার রূপরেখা মানবজাতিকে উপহার দেওয়াই এই বইটির লক্ষ্য।