সারকথা
মেহেরপুর, গাংণী থানার জিডি- ৪৭৮, তারিখ- ১৫/০৫/২০১২ ইং, ধারা- ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪।
সন্দিগ্ধ আসামী ১. মোঃ ইউছুফ আলী (২৯),
২. মোঃ জীবন আহম্মেদ (২১)
প্রকৃত ঘটনাঃ এ যামানার এমাম এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী’র উক্ত অনুসারীদ্বয় গাংণী থানা সদরস্থ হাসপাতাল বাজারে শান্তিপূর্ণউপায়ে প্রকাশ্যে জনসমক্ষে আল্লাহর মোজে’জা হেযবুত তওহীদের বিজয় ঘোষণাসহ বার্তা পৌঁছানোসহ মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী রচিত ধর্মীয় বইপুস্তক বিক্রির সময় লেবাসধারী কয়েকজন মোল্লা স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল ও বখাটে প্রকৃতির কতক যুবককে সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হেযবুত তওহীদ সদস্যদ্বয়কে আটক করে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের দু’জন জঙ্গিদের আটকে রেখেছি বলে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ নিষিদ্ধ সংগঠনের জঙ্গিরা এসলাম পরিপন্থী প্রচারণা চালাচ্ছে বলে র্যাব-৬, খুলনা’র অধীনস্থ গাংণী র্যাব ক্যাম্পের টহলরত র্যাব সদস্যদের তথ্য দিলে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে যেয়ে মোজাহেদদের কাছে থাকা আন্দোলন ও প্রকাশনার বৈধ কাগজাদি দেখে বেআইনী কোন কিছু না পেয়েও তাদের আটক করে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত আছে সন্দেহে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করলে থানা কর্তৃপক্ষ সন্দিগ্ধ আসামী হিসাবে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করে।
পুলিশ ফরোয়ার্ডি-এর বক্তব্যঃ র্যাব-৬, গাংণী ক্যাম্পের এস/আই মোঃ মশিউর রহমান গোপন সংবাদে জানিতে পারেন যে, দুই জন লোক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের লিফলেট এবং বই বিতরণ করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গাংণী হাসপাতাল বাজার এলাকায় পৌছিয়া উপরোক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। আসামীদ্বয় কোন সন্ত্রাসী ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর জন্য বই, লিফলেট ও সিডি বিতরণ করিতেছিল বলিয়া প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এ সংক্রান্তে র্যাব ও পুলিসের তদন্ত চলিতেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনঃ জব্দকৃত আলামত সম্পর্কে ও/সি গাংণী থানা একটি প্রতিঃ দাখিল করিয়াছেন। উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করিয়াছেন যে, বই, লিফলেট পড়ে ও সিডি দেখে রাষ্ট্র দ্রোহিতামূলক কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।
আদেশ নং :- ০৫, তাং- ০২/০৭/২০১২ ইং।