সারকথা
ঢাকা, আশুলিয়া থানার জিডি- ১৫৫৪, তারিখ- ২৩/১০/২০১০ ইং, ধারা- ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪।
সন্দিগ্ধ আসামী ১. মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২০) ও
২. মোঃ সামছুল হক (২৬)
প্রকৃত ঘটনাঃ হেয্বুত তওহীদ সদস্যদ্বয় অত্র থানাধীন নিরিবিলি বাজার এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রকাশ্যে সর্ব সাধারণের মাঝে দাজ্জালের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশসহ প্রকৃত এসলাম প্রচার করাকালীন নিরিবিলি বাজার মসজিদের মোল্লা বেআইনী ও উস্কানী মূলক ফতোয়া দিয়ে মুসল্লিদের প্রভাবিত করে। অতঃপর উক্ত মোল্লা মুসল্লিদের সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে হেযবুত তওহীদ সদস্যদের আটক করে নিষিদ্ধ সংগঠনের দুই জন জঙ্গি সদস্য আটক করেছি বলে থানায় তথ্য দিলে থানা পুলিশ এসে মসজিদের মোল্লার কবল থেকে হেযবুত তওহীদ সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদসহ অনুসন্ধান করে আন্দোলন ও প্রকাশনাসমুহের বৈধতা সংক্রান্ত সকল কাগজাদি দেখে বেআইনী কোন কিছু না পেয়েও অবৈধ উৎকচের আশায় আইন বহির্ভূতভাবে ৫২ (বায়ান্ন) ঘণ্টা থানা হাজতে আটক রাখার পর উৎকচ না পেয়ে ক্রুদ্ধ হয়ে তাদেরকে সন্দিগ্ধ আসামী হিসাবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।
পুলিশ ফরোয়ার্ডি-এর বক্তব্যঃ …….. উক্ত আসামীদ্বয় ইসলামী মৌলবাদী সংগঠন হেযবুত তওহীদের সক্রিয় সদস্য। অত্র থানাধীন (আশুলিয়া থানা, ঢাকা) নিরিবিলি বাজার এলাকায় উক্ত মৌলবাদী সংগঠনের লিফলেট, সিডি ক্যাসেট ও বই বিতরণ করাকালীন তাহাদেরকে ধৃত করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় যে, আসামীদ্বয় উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের সদস্য। তাহারা নাশকতামূলক কার্যকলাপের সাথে জড়িত। তাহারা কোন ধর্তব্য অপরাধের সহিত জড়িত বা ধর্তব্য অপরাধ করার ষড়যন্ত্রে উল্লেখিত স্থানে আগমন করিয়াছিল।
তদন্ত প্রতিবেদনঃ প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় যে, আসামীরা উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের সদস্য। তাহাদের সহিত জে.এম.বি সংগঠনের সম্পৃক্ততা রহিয়াছে। তদন্তকালে জানা যায় যে, আসামীদ্বয় ইসলামী সংগঠন হেযবুত তওহীদের সদস্য। আসামীদ্বয়ের সাথে তদন্তকালে জঙ্গি সম্পৃক্ততা খুজিয়া পওয়া যায় নাই।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২৭/১১/২০১০ ইং।