মোহাম্মদ আসাদ আলী
২০০১ সালের আজকের এই দিনে পরাশক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ঘটে যায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা, যা ৯/১১ হামলা নামে খ্যাত। প্রায় ৩০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ওই হামলায়। হামলার জন্য অভিযুক্ত করা হয় আন্তর্জাতিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আল কায়েদাকে।
হামলার পটভূমি
আল কায়েদার উত্থানের জন্য অনেক বিশ্লেষক যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করে থাকেন। কেননা গত শতাব্দীর আশির দশকে আফগানিস্তানে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন সামরিক আগ্রাসন চালালে যুক্তরাষ্ট্রই তখন আল কায়েদার মত গোষ্ঠীকে অর্থ, অস্ত্র ও অন্যান্য সমর্থন দিয়ে সহায়তা করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। ওই যুদ্ধকে জেহাদ হিসেবে প্রচার করাটাও যুক্তরাষ্ট্রের একটি কৌশল ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। ওই দফায় যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাশ হতে হয়নি, কারণ সত্যিই আল কায়েদাসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর তথাকথিত “মুজাহিদিনরা” আফগানিস্তানে এক দশকের যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নকে পিছু হঠতে বাধ্য করে। তখন আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো- যে কাঁটা দিয়ে সে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঘায়েল করেছে সেই কাঁটা পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের শরীরে বিঁধতে শুরু করেছিল। আল কায়েদার মত সশস্ত্র সংগঠনগুলো আফগানিস্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, সারা বিশ্বে তথাকথিত জিহাদী নেটওয়ার্ক তৈরি করে দেশে দেশে জিহাদ রপ্তানী করা শুরু করে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রকেও শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা শুরু করে আল কায়েদা।
আল কায়েদা কেন যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল তার ব্যাখ্যা দিয়ে ২০০২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ‘লেটার টু আমেরিকা’তে যে যুক্তি দেখান তার অন্যতম হলো- ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, সোমালিয়ায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, মরো সংঘর্ষে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনকে সমর্থন, লেবাননে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে ইসরায়েলকে সমর্থন, চেচনিয়ায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রে রুশদের সমর্থন, মুসলমানদের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে প্রো-মার্কিন সরকার, কাশ্মীরে ভারতকে সমর্থন, সৌদি আরবের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ইত্যাদি। (তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া)
এসব কারণে আল কায়েদার কথিত জেহাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় যুক্তরাষ্ট্র। আর তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আল কায়েদা ৯/১১ এর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
এক নজরে ৯/১১ হামলা
দিনটি ছিল ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার। হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল যাত্রীবাহী চারটি বিমান ছিনতাই করে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আছড়ে ফেলা। ছিনতাইকারীরা ছোট ছোট দলে পূর্ব আমেরিকার আকাশপথ দিয়ে ওড়া চারটি বিমান একইসাথে ছিনতাই করে। তারপর বিমানগুলি তারা ব্যবহার করে নিউইয়র্ক আর ওয়াশিংটনের গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আঘাত হানার জন্য বিশাল ও নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র হিসাবে। দুটি বিমান বিধ্বস্ত করা হয় নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে।
প্রথম বিমানটি আঘাত হানে নর্থ টাওয়ারে আমেরিকার পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে। দ্বিতীয় বিমানটি সাউথ টাওয়ারে বিধ্বস্ত করা হয় এর অল্পক্ষণ পর, সকাল ৯টা ৩ মিনিটে। দুটি ভবনেই আগুন ধরে যায়। ভবন দুটির উপরতলায় মানুষজন আটকা পড়ে যায়। শহরের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। দুটি টাওয়ার ভবনই ছিল ১১০ তলা। মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে দুটি ভবনই বিশাল ধুলার ঝড় তুলে মাটিতে ভেঙে গুঁড়িয়ে পড়ে।
তৃতীয় বিমানটি পেন্টাগনের সদর দপ্তরের পশ্চিম অংশে আঘাত হানে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উপকণ্ঠে ছিল আমেরিকান প্রতিরক্ষা বিভাগের বিশাল এই সদর দপ্তর পেন্টাগন ভবন। এরপর, সকাল ১০টা ৩ মিনিটে চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভেনিয়ার এক মাঠে। ছিনতাই হওয়া চতুর্থ বিমানের যাত্রীরা ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পর সেটি পেনসিলভেনিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। ধারণা করা হয় ছিনতাইকারীরা চতুর্থ বিমানটি দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল ভবনের ওপর আঘাত হানতে চেয়েছিল। এসব হামলায় সব মিলিয়ে মারা গিয়েছিল ২,৯৭৭ জন। এই হিসাবের মধ্যে ১৯ জন ছিনতাইকারী অন্তর্ভুক্ত নেই। নিহতদের বেশিরভাগই ছিল নিউইয়র্কের লোক।
৯/১১ এর সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ডাব্লিউ বুশ। তিনি এই হামলার জবাবে এমন এক যুদ্ধে সারা বিশ্বকে জড়িয়ে ফেলেন, যা গত ২০ বছর ধরে চলছে। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন- ‘আমাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আল কায়েদাকে দিয়ে শুরু। কিন্তু তা এখানেই শেষ হবে না।’
২০ বছরের যুদ্ধের ফলাফল কী?
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ৯/১১ এর হামলাটি নিঃসন্দেহে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। নির্বিচারে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যা কোনো সুস্থ চিন্তার মানুষ করতে পারে না। পৃথিবীর কোনো আইন বা ধর্মীয় বিধান এই হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে না। স্বভাবতই, এই হামলার বিরুদ্ধে দেশে দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে।
কিন্তু বিশ্লেষকদের ধারণা- যুক্তরাষ্ট্র দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষের সেই সহানুভূতি ধরে রাখতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে, ঢাকঢোল পিটিয়ে, আফগানিস্তান ও ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে তাকেও “সন্ত্রাসী আচরণ” হিসেবে অনেকে ব্যাখ্যা করে থাকেন।
হামলার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র শুরু করে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ২০০১ সালে আফগানিস্তান আক্রমণ দিয়ে সেই যুদ্ধের শুরু হলেও কেউ জানত না সেই যুদ্ধের শেষ কোথায় গিয়ে ঠেকবে। যুদ্ধের ছিল না কোনো সুনির্দিষ্ট সীমানা, ছিল না কোনো সুনির্দিষ্ট শত্রুও। এ এমন এক যুদ্ধ- যা কেবল কথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। প্রাণ হারায় লক্ষ লক্ষ বেসামরিক মানুষ। যুদ্ধের সাথে জড়িত নয় এমন নারী, শিশু ও বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির পরিমাণ এত বেশি যে, যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকতে পারেনি। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের শুধু ইরাক দখলের পরিণতিতেই অন্তত দশ লক্ষ ইরাকী প্রাণ হারিয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ। শুধু তাই নয়, সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর সেই ইরাকেই আন্তর্জাতিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আইএসের উত্থান হয়, যাদেরকে দমনের নামে আবারও যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা শুরু করে এবং আবারও হাজার হাজার নির্দোষ মানুষ মারা যায়। উদ্বাস্তু হয় লক্ষ লক্ষ ইরাকী। এখানেও আইএসের উত্থানের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ দায় আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে আফগানিস্তানেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসন ও পরবর্তীতে বিশ বছর ধরে চলা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের হাতে হাজার হাজার নির্দোষ আফগান প্রাণ হারিয়েছে। হাজার হাজার শিশু এতিম হয়েছে, নারীরা বিধবা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলা নিয়ে বহুবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দেশটিকে। আফগানিস্তান ছাড়াও পাকিস্তানের তালেবান অধ্যুষিত এলাকাতে ড্রোন হামলা চালিয়ে বহু নির্দোষ মানুষকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে তাদের ড্রোন হামলাগুলো কেবল জঙ্গি ঘাঁটিকে টার্গেট করে হয়ে থাকে।
সর্বশেষ আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা চলে যাবার একদিন আগে গত ২৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আফগানিস্তানের কাবুলে একটি নির্দোষ পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭জনই ছিল শিশু। এভাবেই বছরের পর বছর কথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের মাশুল দিতে হয়েছে লক্ষ লক্ষ নির্দোষ মানুষকে নির্বিচারে জীবন দেওয়ার মাধ্যমে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের খেসারত হিসেবে নির্দোষ মানুষের প্রাণ ঝরেছে!
এমনকি এই যুদ্ধের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার। অনেকে বলার চেষ্টা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইটা যতটা না সন্ত্রাস নির্মূলের লক্ষ্যে, তারচেয়ে অনেক বেশি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ ও তেল-গ্যাসনির্ভর অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে। এ ধরনের অভিযোগ ওঠার পেছনে শক্ত যুক্তি-প্রমাণও আছে। কেননা যুক্তরাষ্ট্র বেছে বেছে কেবল ওইসব দেশকেই টার্গেট করছিল যারা যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ্য হয়েছিল। যেমন আফগানিস্তান, ইরাক ইত্যাদি। ইরাক দখলের পর বিষয়টি অনেকের কাছেই পরিষ্কার হয়ে যায়। ২০০৩ সালে কোনো শক্ত তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমর্থন ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে আক্রমণ চালায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী সাদ্দাম হোসেনের সরকারকে উৎখাত করে। এরপর দশকের পর দশক ইরাকে গৃহযুদ্ধ, রক্তপাত ইত্যাদি চলতে থাকে। পক্ষান্তরে এমন কিছু রাষ্ট্র ছিল প্রত্যক্ষভাবে উগ্রবাদ বিস্তারে ইন্ধন যোগালেও ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও যুক্তরাষ্ট্র ওইসব দেশে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। কেননা, ওইসব দেশের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহক।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শেষ হয়েছে এমন ঘোষণা এখনও দেশটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। তবে এ যুদ্ধের পরিসর সীমিত হয়ে আসছে ক্রমশই। পরিহাসের বিষয় হলো- ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র যেখান থেকে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু করেছিল, আফগানিস্তান এখন সেখানেই ফেরত গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম শেষ হবার আগেই তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে ফেলেছে। যে তালেবান যোদ্ধারা গত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের দৃষ্টিতে “সন্ত্রাসী” “জঙ্গি” বলে অভিহিত হয়েছে, তারাই এখন আফগানিস্তানের সরকার গঠন করছে এবং ধারণা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিলেও দিতে পারে!
অর্থাৎ বিশ বছরের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ করে আফগানিস্তানের কোনোকিছুই পরিবর্তন করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমত- তালেবান আবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছে, দ্বিতীয়ত- আল কায়েদার নেটওয়ার্ক এখন আরও সম্প্রসারিত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং তৃতীয়ত- নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তানের আইএসকেপি উগ্রগোষ্ঠী। তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্জন কী? এত প্রাণহানি করে কী লাভ হলো?
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যা চেয়েছিল সেটা ঠিকই আদায় করে নিয়েছে। ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও আফগানিস্তানের দখলদারিত্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রচুর লাভবান হয়েছে, এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ-সহিংসতার প্রসার ঘটিয়ে অস্ত্রব্যবসার বাজারও জমিয়েছে ভালোই। এটাই যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে দেশটি যে সফল হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।