হেযবুত তওহীদ
আমরা একটা দৃশ্য সর্বত্র দেখতে পাই, শহর-গ্রাম, পাড়া-মহল্লাসহ সব জায়গাতেই মানুষ টুপি-পাঞ্জাবী পরে মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছে, ওয়াজ-মাহফিল শুনছে, কোর’আন তেলাওয়াত করছে, যিকির-আসগর করছে। অর্থাৎ আমরা বুঝাতে চাইছি আমরা পাক্কা মুসলমান। কিন্তু কিভাবে? এই যে নামাজ পড়ছি, কোর’আন পড়ছি, টুপি পাঞ্জাবী পরছি, কেউ কেউ হজ্ব করে আসছি। আমাদেরকে কে বলে দেবে এই জাতি আল্লাহর হুকুম, বিধান বাদ দেওয়ার কারণে এরা আর মো’মেনই না, পাক্কা মুসলিমও না? এই সরল প্রশ্নের উত্তর কে দেবে যে, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কোর’আনের হুকুম বাদ দিয়ে কী করে পাক্কা মুসলিম দাবি করা যায়? এ জাতি যে দিন থেকে পৃথিবীময় সত্যদীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাদ দিয়েছে তখনই তাদেরকে আল্লাহ মো’মেন এর খাতা থেকে বাদ দিয়েছেন। অতঃপর অন্য জাতির (এই উপমহাদেশে ব্রিটিশ জাতির) গোলাম হওয়ার পর মুসলিম থেকেই বহিষ্কার; তাদের তৈরি আইন-বিধান, দ-বিধি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি অর্থাৎ এক কথায় জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করার পর চূড়ান্তরূপে কাফের, জালেম, ফাসেক হয়ে যায় (সুরা মায়েদা ৪৪, ৪৫, ৪৭)। কাজেই এখন আগে আল্লাহর কলেমা, তওহীদ অর্থাৎ আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়ে মো’মেন হওয়া জরুরি। তারপরে যত পারা যায় ঐসব আমল। আজ দাঙ্গা, হাঙ্গামা, সন্ত্রাস, আতঙ্ক, হত্যা, ডাকাতি, ঘুষ, দুর্নীতি অর্থাৎ সর্বত্র এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সেই পশ্চিমা প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দেওয়া হচ্ছে। একবারের জন্যও এ জাতি চিন্তা করে না যে, আমরা এই যে সংকটে পড়েছি এর মূল কারণ তো আল্লাহর শাস্তি, আল্লাহর লানৎ। আল্লাহ আমাদেরকে এই শাস্তি, অভিশাপ দেওয়ার কারণ: আমরা মুখে দাবি করি মুসলমান, আইন-বিধান, হুকুম মানি এবং অনুসরণ করি ইহুদি খ্রিষ্টান সভ্যতা দাজ্জালের। এখন এই লানৎ, শাস্তি থেকে পরিত্রাণের একটাই পথ আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া। সেই প্রকৃত, অনাবিল, শান্তিদায়ক, নিখুঁত, ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা কোথায় পাওয়া যাবে?
সেটা আল্লাহ হেযবুত তওহীদকে দান করেছেন। আজ সারা পৃথিবীতে যে ইসলামটি চর্চা করা হচ্ছে, মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তবে, খানকায় যে ইসলামটা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে সেটা আল্লাহর দেওয়া প্রকৃত ইসলাম নয়। এই ইসলাম ১৬০ কোটির এই জনসংখ্যাকে শান্তি দিতে পারে নি, অন্য জাতির গোলামি থেকে রক্ষাও করতে পারে নি। আমরা এমন এক ইসলামের কথা বলছি, যে ইসলাম সমস্ত মানবজাতিকে পরিপূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারবে, সমস্ত মানবজাতিকে একটি পরিবারে পরিণত করবে, ইনশা’আল্লাহ।