হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে কিছু তথ্য

প্রতিষ্ঠাতা:

মাননীয় এমামুযযমান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। তিনি ১৯২৫ সনের ১১ মার্চ পবিত্র শবে বরাতে টাঙ্গাইলের করটিয়ার বিখ্যাত পন্নী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এমন একটি পরিবারের সন্তান যাদের এ উপমহাদেশে শিক্ষা, ধর্মবিস্তার, সংস্কৃতি, শাসন, সমাজসেবায় বিপুল অবদান রয়েছে, যাদের দ্বারা উপকৃত হয়েছে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষ। মাননীয় এমামুযযামানের মতো সৎ, বিশ্বস্ত, আমানতদার, পরোপকারী এমন একজন মহামানব বর্তমান দুনিয়ায় অনুপস্থিত, যাঁর সারাটা জীবন কেটেছে মানুষের শান্তি ও মুক্তির সংগ্রামে। ১৬ জানুয়ারি ২০১২ ঈসায়ী তারিখে তিনি প্রত্যক্ষ দুনিয়া থেকে পর্দা গ্রহণ করেন।
প্রতিষ্ঠা: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ ঈসায়ী; করটিয়া, টাঙ্গাইল।

মাননীয় এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী
মাননীয় এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী



উদ্দেশ্য: 
হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংস্কারমূলক আন্দোলন যার মূল কাজই হলো মানবজাতিকে ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করা এবং মানবজাতির অশান্তির মূল কারণ দাজ্জালকে প্রতিহত করে মানবজীবন থেকে সর্ব প্রকার অন্যায়, অশান্তি, যুদ্ধ-রক্তপাত ইত্যাদি বন্ধ করে ন্যায় সুবিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
আনুগত্যের ধারাবাহিকতা:
এমাম-আমীর-সদস্য
বর্তমান এমাম: জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম
পিতা: জনাব নুরুল হক
গ্রাম: পোরকরা, উপজেলা: সোনাইমুড়ি, জেলা: নোয়াখালী
হেযবুত তওহীদ সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ স্বয়ং, তিনিই একে গত ২০ বছর ধরে পরিচালনা করে আসছেন। এই আন্দোলন প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ মানবজাতির মধ্য থেকে মাননীয় এমামুযযামানকে এ যুগের নেতা হিসাবে মনোনীত করেছেন।
তাঁর মহাপ্রয়াণের পর থেকে আন্দোলনের এমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। তাঁর জন্ম ১৯৭২ সনে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসএস পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেন।
মূলনীতি:

  • হেযবুত তওহীদ চেষ্টা করবে আল্লাহর রসুলের প্রতিটি পদক্ষেপকে অনুসরণ করতে।
  • হেযবুত তওহীদের কোন গোপন কার্যক্রম থাকবে না, সবকিছু হবে প্রকাশ্য এবং দিনের আলোর মত পরিষ্কার।
  • হেযবুত তওহীদের কেউ কোন আইনভঙ্গ করবে না, অবৈধ অস্ত্রের সংস্পর্শে যাবে না, গেলে তাকে এমাম নিজেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেবেন।
  • যারা হেযবুত তওহীদের সদস্য নয়, তাদের থেকে কোনরূপ অর্থ গ্রহণ করা হবে না।
  • হেযবুত তওহীদের কোন সদস্য কোন প্রচলিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে পারবে না।
  • কর্মক্ষম কেউ বেকার থাকতে পারবে না, বৈধ উপায়ে রেযেক হাসিলের চেষ্টা করবে।

কর্মপ্রক্রিয়া:
হেযবুত তওহীদ রাষ্ট্রীয় আইনকে পূর্ণরূপে মান্য করে গত ২০ বছর ধরে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে। যে কোনো এলাকায় কাজ করার আগে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা সেই এলাকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদেরকে অবগত করে থাকে যাতে করে কাজ করার সময় কোনো ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ না থাকে। যেহেতু হেযবুত তওহীদের কোনো রাজনীতিক কর্মকাণ্ড নেই, তাই রাজনীতিক কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে না
মানবজাতিকে স্রষ্টার সার্বভৌমত্বের দিকে আহ্বান করার জন্য হেযবুত তওহীদ মাননীয় এমামুযযামানের বক্তব্য ও লেখা সম্বলিত হ্যান্ডবিল, বই, পত্রিকা, প্রামাণ্যচিত্র ইত্যাদি সর্বশ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকে। এরই অংশ হিসাবে বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে, রাস্তাঘাটে এই প্রকাশনা সামগ্রীগুলি বিক্রয়, বই মেলায় স্টল গ্রহণ, শিল্পকলা একাডেমী, পৌর মিলনায়তন, জাতীয় প্রেসক্লাব, পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হল, জাতীয় যাদুঘরের সেমিনার কক্ষসহ বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের উপস্থিতিতে, সকল ধর্মের সম্মানিত ব্যক্তি ও ধর্মগুরুদের নিয়ে মতবিনিময়ের মাধ্যমে, এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে আমাদের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে নিয়মিতভাবে অবহিত করে থাকি এবং প্রকাশনাসমূহ দিয়ে আমাদের বক্তব্য সম্পর্কে জানিয়ে থাকি। হেযবুত তওহীদের প্রকাশনাগুলি আন্দোলন ও পত্রিকার ওয়েবসাইটগুলিতেও প্রকাশ করা হয়।
অর্থের উৎস:
হেযবুত তওহীদের সদস্যরা নিজেদের উপার্জিত বা অর্জিত সম্পদ ব্যয় করে আন্দোলনের কাজ করে থাকেন।
মো’জেজা:
২ ফেব্র“য়ারি ২০০৮ তারিখে আল্লাহ এক মহান মোজেজা সংঘটন করেন যার দ্বারা তিনি তিনটি বিষয় সত্যায়ন করেন। যথা: হেযবুত তওহীদ হক (সত্য), এর এমাম আল্লাহর মনোনীত হক এমাম, হেযবুত তওহীদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে সত্য, ন্যায়, শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।


অনন্যতা:
হেযবুত তওহীদ গত ২০ বছরে দেশের একটিও আইনভঙ্গ করে নি, এর কোন সদস্য একটিও অপরাধ করে নি। এর প্রমাণ গত ২০ বছরে এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে ৪৬০টির অধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে কিন্তু একটি মামলাতেও এর কোন একজন সদস্যেরও কোন আইনভঙ্গের নিদর্শন পাওয়া যায় নি। সুতরাং তাদের কেউ সাজাপ্রাপ্ত হন নি। আইন মান্য করার এরূপ দৃষ্টান্ত দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলির একটিও দেখাতে পারে নি।


বর্তমান কার্যক্রম:
বর্তমানে হেযবুত তওহীদ সারাদেশে জঙ্গিবাদ ও ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য পথ সভা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, সেমিনার, জনসভা, প্রচারপত্র বিলি, পত্রিকা প্রকাশ ইত্যাদি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...