মসীহ উর রহমান:
মিডিয়া বা গণমাধ্যম হলো জনগণের কাছে তথ্য বা সংবাদ পৌঁছানোর একটি অতুলনীয় মাধ্যম। একটা সমাজ কোন দিকে পরিচালিত হবে, মানুষ কী চিন্তা করবে সেটা গণমাধ্যমে পরিবেশিত তথ্যের উপর নির্ভর করে। এদিক দিয়ে তথ্য পরিবেশনকারীদের অর্থাৎ সংবাদকর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তারা আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো নন। তারা একদিকে যেমন জাতির কাছে দায়বদ্ধ, নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ, তেমন স্রষ্টার কাছেও দায়বদ্ধ। মিডিয়া দ্বারা জাতি পথপ্রাপ্ত হয়ে উন্নতির সোপানে আরোহন করতে পারে, আবার ঐ মিডিয়ার দ্বারাই বিভ্রান্ত হয়ে একে অপরের অনিষ্ট সাধনে ব্রত হতে পারে। তাই মিডিয়াকে বলা হয় জাতির দর্পন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মিডিয়ার অবদান অতুলনীয়। ৭১ এ সাড়ে সাত কোটি বাঙালির ঐক্যের পেছনে মিডিয়া যে ভূমিকা রেখেছে তা এ জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে।
এক সময় সংবাদকর্মীদের নৈতিক মনোবল ছিল অতি সুদৃঢ়। তারা যা কিছু করতেন সবই করতেন মানবতার মুক্তির জন্য। কোনোরূপ স্বার্থসিদ্ধির জন্য মানুষ এ পেশাকে বেছে নিতো না। তাই অতীতে দৃষ্টি দিলে দেখা যায়, সাংবাদিকরা ছেঁড়া ছ্যান্ডেল পরতেন, স্বল্পমূল্যের পোশাক পরতেন, কিন্তু সমাজে তাদের সম্মান-মর্যাদার কোনো ঘাটতি ছিল না। কারণ তাদের অর্থ-প্রাচুর্য না থাকলেও নৈতিক শক্তি ছিল। তারা একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী, অসাম্প্রদায়িক, ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কায়মনোবাক্যে সংগ্রাম করে যেতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকে মিডিয়া কুক্ষিগত হয়ে গেছে গুটিকতক পুজিপতি ব্যবসায়ী শ্রেণির কাছে। সংবাদমাধ্যম পরিণত হয়েছে এক প্রকার কর্পোরেট বাণিজ্যক্ষেত্রে। বাণিজ্যের প্রয়োজনে যার উৎপত্তি হয়, বাণিজ্যের প্রয়োজনেই পরিচালিত হয়। তাই যারা মিডিয়াতে কাজ করতে আসছেন তারাও মিডিয়াকে বাণিজ্যের বাইরে চিন্তা ভাবনা করতে সক্ষম হচ্ছেন না। তারা সংবাদ সংগ্রহ করছেন, প্রক্রিয়াজাত করছেন, প্রকাশ করছেন আর বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করছেন। অর্থাৎ সাংবাদিকতা এখন আর কোনো আদর্শ নয়, ব্যবসা। ফলে মিডিয়াকর্মীদের মধ্যে অতীতের ঐ নৈতিক শক্তি এখন অনুপস্থিত। সত্যের পক্ষে মিথ্যার বিরুদ্ধে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর শক্তি আজকের সাংবাদিকদের মধ্যে খুব কম জনেরই আছে। এ ব্যাপারে আশা করি কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন না।
আমরা দৈনিক দেশেরপত্র এই প্রচলিত ধারার বাইরে গণমাধ্যমে নতুন ধারার প্রবর্তন করতে চাই। প্রতিটা মানুষের শিক্ষক আছে। কারো না কারো প্রেরণায় মানুষ উজ্জীবিত হয়। কারো বাবা, কারো মা, কারো প্রতিবেশী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি। আমাদের জীবনেও বিভিন্ন শিক্ষক আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। তারমধ্যে একজন মহান শিক্ষক আমাদেরকে স্রষ্টার পরিচয় শিক্ষা দিয়েছেন, প্রকৃত সত্য শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন এই যামানার এমাম, এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। আমরা মানবজাতি কে, কোথা থেকে আসলাম, কে আমাদের সৃষ্টি করলেন, কেন করলেন, মানুষ হিসেবে আমার কী দায়িত্ব- তিনি আমাদের এসব শিক্ষা প্রদান করেছেন। তিনি শিখিয়েছেন যে, এ পরিবারে, সমাজে আমি বড় হয়েছি, এ মানুষের মধ্যে আমি বড় হয়েছি। কাজেই পরিবারের প্রতি, সমাজের প্রতি, মানবতার প্রতি আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। কবির ভাষায় বলতে গেলে-আপনাকে লয়ে বিব্রত রহিতে আসেনি কেহ অবনী পরে/ সকলের তরে সকলে মোরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।
কবির এই কবিতা আমরা ছোটবেলায় পড়েছি। বইয়ের এই ভাষা বইয়ের পাতাতেই রয়ে গেছে। আজ কয়জন লোক আমরা পরের তরে আছি তা গবেষণার বিষয়। প্রত্যেকে আজ আমরা নিজের তরে। স্বার্থ ছাড়া আজ কেউ একটি কথা চিন্তা করতে পারি না।
এমামুযযামান আমাদেরকে প্রকৃত ধর্মজ্ঞান প্রদান করেছেন। ধর্ম কি? ধর্ম হলো কোনো বস্তুর অভ্যন্তরীণ শক্তি, গুণ বা স্বভাব, যা তাকে তার বৈশিষ্ট্যে অটল রাখে। আগুনের ধর্ম হলো পোড়ানো, পানির ধর্ম ভেজানো, তেমনি মানুষের ধর্ম হলো মানবতা। এটা যদি হারিয়ে যায় মানুষ ধর্মহীন হয়ে যায়। আজকে দাড়ি, টুপি, পাগড়ী, গেরুয়া বসন, তিলক-চন্দন ইত্যাদি লাগালে, হাদিস, কোর’আন বা শাস্ত্র মুখস্থ করলে বা পড়লে মনে করা হয় ধার্মিক। কিন্তু না, সে ধার্মিক নয়। ধার্মিক হলো সেই ব্যক্তি যিনি মানবতাকে লালন করেন, মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেন। পৃথিবীতে প্রকৃত ধার্মিকের আজ বড়ই অভাব। লেবাসের অভাব নেই, ধর্মব্যবসায়ীর অভাব নেই, কিন্তু ধর্ম তথা মানবতার জন্য জীবন উৎসর্গকারীর বড়ই অভাব। প্রত্যেকে যদি তার নিজ নিজ ধর্মকে সুচারুরূপে পালন করতেন তাহলে আজকের পৃথিবী এত অশান্তিময় হতো না। চারিদিকে এত দুঃখ, কষ্ট, ক্রন্দন আর হাহাকার হতো না। আমরা চাই প্রত্যেকে প্রকৃত ধর্মজ্ঞান লাভ করে সে ধর্ম পালন করুক।
আল কোর’আনে স্রষ্টা বলছেন, আমি মানুষকে এবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছি। কথা হলো এবাদত কী? শুধু মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডায় মশগুল হয়ে চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকলেই কি এবাদত করা হয়? না। এবাদত হচ্ছে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। মানুষের শান্তির জন্য কাজ করা। মানুষ যেন শান্তিতে দরজা খুলে ঘুমাতে পারে, মানুষ যেন দু’মুঠো খেয়ে জীবন ধারণ করতে পারে এই নিশ্চয়তা বিধান করাই এবাদত। আজ মনে করা হয় স্রষ্টা বুঝি মক্কায় আছেন, গয়া-কাশিতে আছেন, রোম-বেথেলহেমে আছেন। কিন্তু না, স্রষ্টা ওখানে নেই। স্রষ্টা নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের পাশে আছেন। সমাজের নিপীড়ন-নির্যাতন দূর করার জন্য যিনি চেষ্টা করবেন তিনিই স্রষ্টার সান্নিধ্য পাবেন। তার মানে এই নয় যে, নামাজ-রোজা-উপাসনা-প্রার্থনার দরকার নেই, বস্তুত যিনি মানবতার কল্যাণে কাজ করবেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করবেন তার জন্যই এবাদত-উপাসনা, নামাজ-রোজা, পূজা-প্রার্থনা, অন্য কারও জন্য নয়।
সুতরাং মানবতার জন্য কাজ করাই হলো মানুষের প্রধান কাজ, এবাদত বা ধর্মকর্ম। স্বাভাবিকভাবেই এ কাজের দায়ভার অনেকটাই মিডিয়ার উপর বর্তায়। মানবতার কল্যাণ সাধনের গুরুদায়িত্ব মিডিয়া অস্বীকার করতে পারে না। পাশাপাশি তাদের পক্ষে এ কাজ তুলনামূলক সহজও বটে। কারণ মানুষ মিডিয়ার কথা বিশ্বাস করে, মিডিয়া দ্বারা সহজে প্রভাবিত হয়। তাই যে খবর প্রচার করলে, যে কথা লিখলে, যে উদ্যোগ গ্রহণ করলে মানবতার কল্যাণ হয়, অন্যায়-অবিচার, অশান্তি থেকে মানুষ পরিত্রাণ পায় তেমনটা করাই মিডিয়ার প্রধান কাজ বিবেচিত হওয়া উচিত। এই লক্ষ্যেই আমরা যামানার এমামের অনুসারীরা এমন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যে গণমাধ্যমের দ্বারা মানুষ তার দৃষ্টি ফিরে পাবে, প্রকৃত সত্য জানবে, ফলে তারা সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায় যাচাই বাছাই করার সুযোগ পাবে।
পৃথিবী আজ পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতা দাজ্জালের গোলাম। দাজ্জালের Divide and Rule নীতির কারণে মানবজাতি শত-সহস্রভাগে বিভক্ত। এমনকি মানুষ নিজেই নিজের সাথে সার্বক্ষণিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত। দলে দলে, ধর্মে ধর্মে, দেশে দেশে, সমাজে সমাজে, মানুষে মানুষে এই বিভাজন যতদিন থাকবে ততদিন মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়। তাই আমরা যামানার এমামের অনুসারীরা মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা পুরো মানবজাতিকে একটা কথার উপর ঐক্যবদ্ধ করতে চাই- আমরা একই স্রষ্টার সৃষ্টি, একই বাবা-মা আদম-হাওয়ার সন্তান। একই স্রষ্টা প্রদত্ত ধর্মগ্রন্থের অনুসারী। কাজেই আমরা সবাই ভাই বোন। আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ নেই।
এ কাজে আমাদের কোনো রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক স্বার্থ নেই। আমরা কোনো পার্থিব বিনিময়ের আশাও করি না। কারণ, আমরা মানবতার কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। এটা করতে গিয়ে আমরা আমাদের সমস্ত সম্পদ অকাতরে দান করছি। তাই আমাদের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করার কোনো কারণ নেই। আমরা আমাদের এই জাতিটাকে বিশ্বের দরবারে একটা সমৃদ্ধশালী-শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন, জাতীয় জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরি, জাতীয় প্রেসক্লাব, শিল্পকলা একাডেমি, জেলা-উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনসহ সারা দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায়ে আমাদের অসংখ্য সেমিনার, আলোচনা সভা, গোলটেবিল বৈঠক ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। আমরা মানুষকে ঐক্যের পথে, শান্তির পথে, সমৃদ্ধির পথে আহ্বান করছি। পত্রিকা, বই-পুস্তক, প্রামাণ্যচিত্র, সংকলন, হ্যান্ডবিল বিতরণ ইত্যাদি সকল উপায়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। যতদিন মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, অন্যায়-অবিচার, অশান্তি, হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, রক্তপাত নির্মূল হয়ে মানবজাতি এক জাতি না হবে ততদিন আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এনশাআল্লাহ। আমরা সরকারের কাছে আমাদের এই প্রস্তাব পেশ করেছি। বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আমাদের আয়োজিত সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ করে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তারা বিভিন্নভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করে চলেছেন।
এটা জানা কথা যে, একটা মহৎ কাজ করতে গেলে সবাই একমত হবে না, পক্ষে-বিপক্ষে লোক থাকবেই। মহৎ কাজের বিপক্ষে তারাই অবস্থান নেয় যারা মানবতার কল্যাণ চায় না, অর্থাৎ স্বার্থবাদীরা। এরা সর্বপ্রকারে চেষ্টা করে যে কোনো মহৎ উদ্যোগকে ভেস্তে দিতে। তার জন্য যত ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, অপবাদ আরোপ করা প্রয়োজন সবই তারা করে। আমাদের ক্ষেত্রেও তেমনটি হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় এটাই যে, আমাদের সম্পর্কে না বুঝে, না জেনে, শুধুমাত্র ধর্মব্যবসায়ীদের ঐ মিথ্যা প্রচারণায় প্রভাবিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিডিয়াতে অনেক অপপ্রচার করা হয়েছে, এখনও করা হচ্ছে। এর অধিকাংশই করা হয়েছে শুধুই অজ্ঞতাবশত। তাই মিডিয়ার উদ্দেশে আমাদের মূল বক্তব্য হলো, ‘আপনারা আমাদের সম্পর্কে যাচাই করুন। কোর’আনে আল্লাহ বলেছেন- ‘যাচাই না করে তোমরা কারো সংবাদ বিশ্বাস করো না।’ আমাদের প্রেস কাউন্সিল এ্যাক্টেও বলা আছে- সংবাদ প্রকাশের নীতিমালা হলো উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করা। কাজেই স্বার্থবাদী ধর্মব্যবসায়ীদের কথায় কর্ণপাত না করে আসল ঘটনা যাচাই-বাছাই করুন। আমরা কী বলতে চাই সেটা আগে জানুন, বোঝার চেষ্টা করুন। তারপর লিখতে হলে লিখবেন। তখন যদি আমাদের কাজে কোনো আপত্তিজনক কিছু দেখেন তাহলে তা তুলে ধরুন। কিন্তু দয়া করে ধর্মব্যবসায়ী স্বার্থবাদীদের প্রচারণায় বিভ্রান্ত হবেন না। সংবাদকর্মীরা হলো জাতির বিবেক। আপনারা জাতিকে যা শেখাবেন, জাতি তা-ই শিখবে, যা ভাবাবেন তা-ই ভাববে, যা দেখাবেন তা-ই দেখবে। আপনারাই পারেন এই জাতিটাকে অন্ধকারের অতল গহ্বর থেকে উদ্ধার করতে। বস্তুত আমরা যে কাজে আত্মনিয়োগ করেছি তা আমাদের একার কাজ নয়, এ কাজ আপনার-আমার সকলের। কাজেই এতে আপনারাও যথাসাধ্য ভূমিকা রাখুন। কে কি বলল, কে কি করল ইত্যাদি না দেখে আমাদের বই আছে, পত্রিকা আছে, সংকলন আছে, সেগুলো পড়–ন। প্রায় প্রতিটি জেলাতেই আমাদের পত্রিকা অফিস আছে। আমাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন। আমাদের সম্পর্কে কোনো বিষয় জানার প্রয়োজন হলে অন্য কোনো মাধ্যমের শরণাগত না হয়ে সরাসরি আমাদের কাছে আসুন। যদি আসতে না চান আমাদেরকে ডাকুন। আমরাই আসবো। আপনারা যখনই আমাদেরকে ডাকবেন এনশাআল্লাহ আমাদেরকে পাবেন। আমরা ভাই ভাই হয়ে আপনাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমাদের উদ্দেশ্য মহৎ, কিন্তু চলার পথে ত্র“টি থাকতে পারে। কারণ, আমরাও মানুষ, ভুলের ঊর্ধ্বে নই। কাজেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদেরকে পরামর্শ দিন। এতে আমরা অনেক উপকৃত হব, মানবজাতি উপকৃত হবে, মানবতার কল্যাণে কাজ করার পথ সুগম হবে, শান্তি প্রতিষ্ঠা দ্রুততর হবে।
লেখক: আমীর, হেযবুত তওহীদ;