-মসীহ উর রহমান, আমীর, হেযবুত তওহীদ:
আমরা যামানার এমাম, এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর অনুসারীরা মানবতার কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে নিজেদের নিয়োজিত করেছি। স্রষ্টা প্রেরিত সকল ধর্মেই মানবতার জয়গান করা হয়েছে। মানবতার কল্যাণই হলো সকল ধর্মের মর্মকথা। মাননীয় এমামুযযামান আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন- মানুষ শান্তি পায়, সমাজে সাম্য-মৈত্রী স্থাপিত হয় এমন কাজকে স্রষ্টা সর্বাধিক ভালোবাসেন। কারণ, সাম্য-মৈত্রী প্রতিষ্ঠিত হলে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ও প্রিয় সৃষ্টি মানুষ পৃথিবীতে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। এই কাজটিই সংগ্রামের মাধ্যমে করে গেছেন শেষ নবী হজরত মোহাম্মদ (স:)। এই সাম্য-মৈত্রী স্থাপন তথা মানবতার মুক্তির জন্য আমরা হেযবুত তওহীদ বর্তমানে এদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, মুসলিম সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক মনোভাব ও বিদ্বেষ দূর করে তাদের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করার জন্য আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ধর্ম ব্যবসায়ী শ্রেণি এবং ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতিকরা নিজেদের হীন স্বার্থে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গার সৃষ্টি করে, ঘৃণার বিস্তার ঘটায়। আমরা মনে করি, এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন কেবল শক্তিপ্রয়োগে নির্মূলযোগ্য নয়। কারণ এর দ্বারা হৃদয়ের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ দূর হয় না। যদি সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে এটা বোঝানো যায় যে, সকল ধর্মই একই স্রষ্টার প্রেরিত, সকল মানুষই একই বাবা-মা আদম হাওয়ার সন্তান, সকল ধর্মগ্রন্থই পবিত্র, কাজেই নিজ ধর্মগ্রন্থ এবং ধর্ম প্রবর্তককে যেমন শ্রদ্ধা, সম্মান করা হয় তেমনি অন্য ধর্মের প্রবর্তক এবং পবিত্র গ্রন্থকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা কর্তব্য; এই শিক্ষা যদি জাতির মধ্যে প্রবেশ করানো সম্ভব হয় তাহলেই সত্যিকার অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন করা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্য সামনে নিয়ে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশজুড়ে সর্বধর্মীয় সম্মেলন করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে আমাদের অনেকগুলি বৈঠক হয়েছে। বহু মন্দির, মঠ ও চার্চের পরিচালকবৃন্দ আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার মানুষ আমাদের বক্তব্য শুনে আবেগাপ্লুত হয়েছেন, আমাদেরকে ভাই ও বন্ধু হিসাবে সাদরে বরণ করে নিয়েছেন। গত কয়েক মাস যাবৎ আমরা যামানার এমামের অনুসারীরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে ত্রিশ হাজারেরও বেশি সভা, সমাবেশ ও সেমিনার করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী যে, যারা আমাদের বক্তব্য শুনে, ডকুমেন্টারি ফিল্ম দেখে আমাদের সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন বা করছেন তাদের ধর্মীয় আবেগকে আর কেউ অনৈতিক সন্ত্রাসমূলক কাজে বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ব্যবহার করতে পারবে না। বিভিন্ন ধর্মের যে সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমাদের বক্তব্য জেনেছেন তারাই আমাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় অনুরূপ সেমিনার করে ডকুমেন্টারি দেখানোর জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, যেন তাদের সম্প্রদায়ের অন্যরাও এই মহাসত্য জানতে পারে। আমরাও তাদের আমন্ত্রণে এবং অনুমতিতে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পরিষদের মিলনায়তন, মন্দির, গীর্জা, মঠের প্রাঙ্গন, স্কুলের মাঠ, হলরুম ইত্যাদি স্থানে সেমিনার করেছি। সবখানেই উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বসাধারণের কাছ থেকে আমরা যে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি তা অবশ্যই আমাদের চলার পথকে প্রশস্ত করবে। অচীরেই আমরা এদেশের ষোল কোটি মানুষকে ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হবো এনশাআল্লাহ।