মুস্তাফিজ শিহাব
কিছুদিন আগেই ১ম বিশ্বযুদ্ধ অবসানের শতবর্ষ পালিত হল। শতর্বষ পালনের পর ফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ব নেতারা সমবেত হলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্য শুরু করলেন এবং বক্তব্যে সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে কথা শুরু করতেই দেখা গেল সিরিয়ায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এই হামলার প্রেক্ষিতে বলেছিলেন, সিরিয়ায় আপনারা যা শুরু করেছেন তাতে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আশংকা প্রবল, যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগে তবে পুরো মানবজাতি বিনাশ হয়ে যেতে পারে।
মানবজাতি বহু পথ অতিক্রম করে বর্তমান সময়ে এসে উপনীত হয়েছে। এই অতিক্রমায় অনেক কিছু লাভ করার পাশাপাশি অনেক কিছু হারাতেও হয়েছে। একবিংশ শতাব্দিতে এসে তাই প্রশ্ন তুলতেই হয়, বর্তমান মানবজাতির অবস্থা কী? সমগ্র মানবজাতি আজ চরম অশান্তির মধ্যে নিমজ্জিত। সমস্ত দুনিয়া আজ এক নরককু-। পৃথিবীজুড়ে চলছে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার, দরিদ্রের উপর ধনীর বঞ্চনা, শাসিতের উপর শাসকের জুলুম, ন্যায়ের উপর অন্যায়ের আধিপত্য। এ পর্যন্ত দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গিয়েছে যেখানে ১৩ কোটি আদম সন্তান নিহত হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর লীগ অব নেশনস থাকা সত্ত্বেও যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হল তখন জাতিসংঘ গঠণ করা হল। কিন্তু জাতিসংঘও পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সমর্থ হয়নি। বন্ধ হয়নি যুদ্ধ-বিগ্রহ। ভিয়েতনাম, কোরিয়ার যুদ্ধ, ইরাক-ইরান যুদ্ধ ইত্যাদি যুদ্ধ হয়েছে। সিরিয়া, আফগানিস্তানে আজ আগুন জ্বলছে।
এই সংকট যাতে না হয় সে জন্যই তো জাতিসংঘ নির্মাণ হয়েছিল, যদি সেই সংকটই বজায় থাকে তবে জাতিসংঘ নির্মাণ করে লাভ কী? বাংলাদেশে বসে লিখলেও আমাকে আজ সমগ্র মানবজাতির কথাই বিবেচনায় আনতে হবে। এর কারণ হচ্ছে শুধু আমার দেশে নিয়েই চিন্তা করে আমি ক্ষান্ত হতে পারি না। আমি এই গোটা মানবজাতির একটি অংশ। সামাজিক দিক থেকে দেখলে আমরা বর্তমান সময় কে ‘বিশ্বগ্রাম’ ‘Global Village’ বলে সম্বোধন করা হয়। প্রযুক্তির প্রভাবে আমরা আজ সকলেই একটি সুতোয় বাঁধা। এছাড়াও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বললে সকল মানুষই এক আদম ও হাওয়ার সন্তান। অতএব সামাজিকভাবে হোক বা ধর্মীয় দিক থেকে এ পৃথিবী পুরোটাই আমার পরিবার। আমরা সবাই ‘একটি জাতি’, ‘One Nation’। এই ‘এক জাতি’ হবার কারণে আমাদের চিন্তার গন্ডিকে সংকুচিত করে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থচিন্তায় ব্যস্ত রাখতে পারি না।
এই দেশ, এই মাটি আমার। এই মাটি আমাকে লালন পালন করছে। আমি এই দেশের আলো-বাতাসে বড় হয়েছি। এ মাটিকে রক্ষা করতে আমরা জীবন দিয়েছি, তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছি এই দেশের স্বাধীনতা রক্ষায়। সেই সময় আমাদের স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন, অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন করার। যেখানে কোনো ভেদ থাকবে না, হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, পাহাড়ি-বাঙালি সবার এক পরিচয়, এই দেশের সন্তান, এই মাটির সন্তান। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৮ বছর পার হয়ে গেলেও আমরা এখনও আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নে সফলতা অর্জন করতে পারিনি।
আজও এখানে ধর্মের নামে অধর্ম চলে, একদল লোক ধর্মের নামে স্বার্থোদ্ধার করছে, অপরাজনীতি করছে, ধর্মের নামে ব্যবসা করছে, সন্ত্রাসবাদী কর্মকা- করছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মুসলমানদের ঈমানী শক্তিকে হাইজ্যাক করছে, জঙ্গিবাদী কর্মকা-ের প্রতি অনুপ্রাণিত করছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে আমরা এ ধরনের কর্মকা- দেখি না। একটি দেশের বা জাতির সংস্কৃতি একদিনে গড়ে উঠে না। দীর্ঘদিনের লালিত শিক্ষা, চিন্তা-ভাবনা, ধ্যান-ধারণা, আচার-আচরণ, খাদ্যাভাস, রুচি-অভিরুচি, ধর্মীয় নীতিমালা, ভাষা ইত্যাদি সব কিছুর সমন্বয়ে গড়ে উঠে সংস্কৃতি। বংশপরম্পরায় এই সংস্কৃতি অতিত প্রজন্ম থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছায়, আবার সমাজে প্রচলিত ভাবধারা থেকেও আমরা এই সংস্কৃতির ধারা অর্জন করি।
আমাদের সামনে এখন বিরাট বড় সংকট। বর্তমানে আমরা যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি তাকে ইংরেজিতে বলে ‘Point of no return’। মার্কিং বিজ্ঞানী স্যমুয়েল পি হকিংটন তার ÔThe Clash of Civilizations?’ বইয়ে ‘সভ্যতার সংকট’-এর কথা উল্লেখ করেন যে সংকটে আজ গোটা পৃথিবী নিমজ্জিত। তিনি সেখানে আগামীর সংকট হিসেবে ¯œায়যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেন। এই আসন্ন ‘সভ্যতার দ্বন্দ’ থেকে নিজেদের এই প্রিয় দেশকে রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রস্ততি গ্রহণ করতে হবে।
আরেকটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ধর্ম নাম্বার ওয়ান ইস্যু। ধর্মকে নিয়ে শুধু আমাদের দেশেই নয় পৃথিবীজুড়ে স্বার্থোদ্ধার চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথাই চিন্তা করি। সেখানে ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদী গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত কিন্তু সেখানেও ধর্ম দিয়ে ফায়দা হাসিল করা হচ্ছে। এই কিছুদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে, জনগণকে উসকে দিয়ে, ক্ষমতায় আসলেন। ক্ষমতায় আসার জন্য ব্যবহার করা হলো ধর্মকে। ইউরোপের দিকে তাকালে দেখা যাবে, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, স্পেন ইত্যাদি দেশগুলোতে ধর্মের, বিশেষ করে ইসলামের, বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। সেখানে তারা খ্রিষ্টান নীতিকে কাজে লাগাচ্ছে। জনমনে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয় সৃষ্টি করছে। অনেকেই বলছেন আগামী নির্বাচনে ফ্রান্স ও জার্মানীসহ আরো কয়েকটি দেশে ধর্মভিত্তিক দলগুলি ক্ষমতায় আসতে পারে।
পাশ্ববর্তী ভারতের দিকে তাকালেও বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়। একশ বছরের পুরাতন ধর্ম নিরপেক্ষবাদী ‘কংগ্রেস’কে তুলার মতো উড়িয়ে দিয়ে ক্ষমতায় আসলো ধর্মভিত্তিক দল ‘ভারতীয় জনতা পাটি’। এখানেও ধর্মকে ব্যবহার করেই রাজনীতি করা হচ্ছে। পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের দিকে তাকাই, সেখানে তারা দাবি করলো মিয়ানমারে শুধু বৌদ্ধরাই থাকতে পারবে। সেখানে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ করে মুসলমানদের কোন জায়গা নেই। সে কারণে দশ লক্ষ মুসলমানকে জোর করে বের করে দেয়া হলো। মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া ও সুন্নিদের দ্বন্দ্ব আজ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে ঠেকেছে। ধর্মকে মূল কারণ হিসেবে নিয়ে, ধর্মকে ইস্যু করে পুরো বিশ্বে ভয়ানক তা-ব চলছে, চলছে ভয়ংকর মর্মান্তিক যুদ্ধ। উদাহারণস্বরূপ আমরা আফগান যুদ্ধের কথাই ধরতে পারি।
কমিউনিস্ট রাশিয়ার ইতিহাস দেখুন। যে রাশিয়ান কমিউনিস্টরা ধর্মকে নির্বাসিত করেছিল সেই তারাই এখন পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মসজিদ, একসাথে দশ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারবেন, নির্মাণ করছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন নিজে ঐ মসজিদ উদ্বোধন করেছেন। এর কারণ কী? এর কারণ একটিই রাজনৈতিক স্বার্থ। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো আকৃষ্ট হবে এবং হয়েছেও। সৌদি বাদশাহ বিশাল বহর নিয়ে রাশিয়া সফরে গিয়েছেন, অস্ত্র কিনেছে এবং অস্ত্রচুক্তিও করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে ধর্মকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে অনেক কিছু হয়েছে যা সম্পর্কে আপনারা জানেন। সরকারগুলিকে উৎখাত করার জন্য ধর্মকেই এক নাম্বার ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারকে নাস্তিক, ধর্মদ্রোহী ফতোয়া দিয়ে জনমনে উস্কানী সৃষ্টি আমাদের দেশে নতুন কিছু নয়।
যেহেতু ধর্ম আজ বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ইস্যু তাই ধর্মকে বাদ দিয়ে এ সংকটকে সমাধানের পথ চিন্তা করাটাই বোকামী হবে। ব্যাপারটা তখন দাঁড়াবে বিপদ থেকে বাঁচার জন্য উটপাখির মতো বালিতে মাথা ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার মত। তাই আমাদের এখন সমস্যাগুলো ধরে ধরে এর সমাধানের দিক চিন্তা করতে হবে। পূর্বেও বলেছি আমরা ধর্মান্ধতা ও কূপম-ুকতার সাগরে নিমজ্জিত। এদেশের মানুষের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা পূর্ব থেকেই। এই চেতনার সঠিক ব্যবহার করতে হবে।
ধর্ম এসেছে মানুষের কল্যাণে, মানবতার কল্যাণে। সেই ধর্ম যখন একদল স্বার্থান্বেষীর কাছে কুক্ষিগত হয়ে পড়ে তখন সেই ধর্ম তার প্রকৃত রূপ হারিয়ে ফেলে। বর্তমান ধর্মগুলোর সাথে ঠিক এমনটিই ঘটেছে। একদিকে আমরা শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, তথ্য-প্রযুক্তি, জ্ঞান-বিজ্ঞান এক কথায় সব দিক থেকে এগিয়ে গিয়েছি কিন্তু এই একটি দিকে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। এর মূল কারণই হচ্ছে সেই স্বার্থান্বেষী মহল। তাই সর্বপ্রথম আমাদের ধর্মের প্রকৃত রূপ জনসম্মুখে উন্মোচিত করতে হবে।
আমরা ‘এক জাতি’ ‘One Nation’ এই কথাটির উপর আমাদের গুরুত্বারোপ করতে হবে। এক জাতি হয়ে আমরা নিজেরা নিজেরা হানহানিতে লিপ্ত হতে পারি না। কিন্তু আমরা দেখে আসছি স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের মধ্যে চলছে অভ্যন্তরীণ সংঘাত। প্রচলিত ব্যবস্থার শুভঙ্করের ফাঁকি আমরা ধরতে পারছি না বিধায় আমাদের মধ্যে এই সংঘাত ও অস্থিতিশীল অবস্থা বারবার তৈরি হচ্ছে। আমরা শত চেষ্টা করেও একজাতি হতে পারছি না। যেহেতু ধর্ম নাম্বার ওয়ান ইস্যু তাই আমরা এই ধর্মের মাধ্যমেই এবার ঐক্যবদ্ধ হবো।
সকল ধর্মের লোকেরাই বিশ্বাস করেন আল্লাহ, ¯্রষ্টা, ঈশ্বর এক। ইসলামে যেরূপ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো হুকুমদাতা নেই, তেমনি সনাতন ধর্মেও ‘একমেবাদ্বিতীয়াম’ অর্থাৎ এক ব্যতিত দুই নেই। প্রতিটি ধর্ম মতেই আদি পিতা ও আদি মাতা একই। তাদের থেকেই আমাদের মানবজাতি। অতএব আমরা সবাই একই বাবা-মায়ের সন্তান। এই ¯্রষ্টা এক ও আমরা সবাই একই পরিবারে অন্তর্ভুক্ত এই কথার উপর ভিত্তি করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল ধর্মবিশ্বাসী লোকের জন্য এই কথা দুটো সত্য। যারা ধর্মবিশ্বাসী নন, নিজেদের নাস্তিক বলে আখ্যা দেন তাদের জন্যই ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। তারা ঐক্যবদ্ধ হবেন দেশের জন্য, মাটির জন্য, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে।
যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করছে, স্বার্থোদ্ধার করছে, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এরা কথায় কথায় ফতোয়ার বান ছুঁড়ে। গান-বাজনাকে হারাম বলে ঘোষণা দেয়, কখনো নারী প্রগতির বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। দেশ ও দশের মঙ্গলের জন্য নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপে এরা নিজেদের স্বার্থকে অধিক প্রাধান্য দেয় এবং সে অনুযায়ী ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা করে। তাই এদের সামনে ইসলামের সঠিক রূপ তুলে ধরতে হবে। তাদের বোঝা উচিত মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয়। আল্লাহ বা তার রসুল গোশত হারাম করেন নি, শুকরের গোশতকে হারাম করেছেন কারণ শুকরের গোশততে মানবদেহের উপকারী উপাদানের তুলনায় অপকারী উপাদানই বেশি যা বিজ্ঞানসম্মত। যদি তারা তাদের এইসকল মনোভাব বন্ধ করে জাতির স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে তবে উত্তম, নয়তো এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্যান্সার থেকে পুরো দেহকে রক্ষা করার জন্য কোনো একটি অঙ্গকে কেটে ফেলাই শ্রেয়, নয়তো সেই অঙ্গ থেকে সারা দেহে ক্যান্সার ছড়িয়ে সম্পূর্ণ দেহকে অকেজো করে দিতে পারে।
অতএব আমাদের এখন সচেতন হওয়াটা খুব জরুরি। আমরা ১৬ কোটি জনতা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি তবে একদিন আমরা এই বিশ্বকে লিড দিব। আমাদের ভাষা, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের জাতিকে অনুসরণ করবে গোটা বিশ্ব। কিন্তু সেই পর্যায়ে যেতে হলে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে, নিজেদের সর্বাত্মক বিলিয়ে দিয়ে হলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে, প্রচলিত ঘুঁণে ধরা সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে ও ধর্মব্যবসায়ী, স্বার্থন্বেষী মহলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সংগ্রামই পারবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে।
(মুস্তাফিজ শিহাব: সহকারী সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক বজ্রশক্তি)