আল্লাহ মানবজাতিকে শ্রমনির্ভর ও সামাজিক জীব হিসাবে সৃষ্টি করেছেন (সুরা বালাদ ৪)। তাই মানুষ যখন শ্রমনির্ভর না হয়ে পরনির্ভর হয়, সামাজিক না হয়ে স্বার্থকেন্দ্রিক হয় তখন অবধারিতভাবে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং অপ্রাকৃতিক অবস্থার সৃষ্টি হয়। আর যে কোনো অপ্রাকৃতিক অবস্থাই অশান্তি ও বিপর্যয়ের কারণ হয়ে থাকে। এ কারণেই আমাদের সমাজে শ্রমবিমুখতা, শ্রমের অবমূল্যায়ন ও বেকারত্ব একটি বৃহৎ সমস্যা।
আমাদের সমাজের রাজনীতিকদের অনেকেই শ্রমিকের অধিকার নিয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে মে দিবস এলে তারা বেশি বেশি সভা-সমাবেশ করে নিজেদের নেতৃত্ব ও ক্ষমতাকে শানিয়ে নেন। সে তুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষিত আলেম দাবিদার শ্রেণিটিকে আমরা শ্রমিকের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে নীরব অবস্থানেই দেখতে পাই। তাদের এই নিষ্পৃহতার কারণ হচ্ছে, প্রথমত, তারা ধর্ম বলতে নামাজ, রোজা, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল ইত্যাদিকে বুঝে থাকেন। সমাজের অন্যায় অবিচার, বঞ্চিত শ্রেণির দুঃখ যন্ত্রণা লাঘব করার প্রচেষ্টার চেয়ে তসবিহর দানা গুণে গুণে আমলের পাল্লা ভারী করাকেই তারা নাজাতের কার্যকরী পথ বলে বিশ্বাস করেন। তারা শ্রমিকদের কষ্ট দূর করার মতো নিছক দুনিয়াবি কাজের চেয়ে শ্রমিকদের মসজিদে এনে নামাজ পড়াতেই বেশি সচেষ্ট। এবাদত, ধর্ম, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ ইত্যাদি সম্পর্কে বিকৃত ও বিপরীতমুখী ধারণার কারণে আলেমরা শ্রমিকদের দুঃখ, কষ্ট নিয়ে চিন্তিত নন।
দ্বিতীয়ত, পেশাদার আলেমগণ কেবল মাদ্রাসা-শিক্ষার বদৌলতে, কিছু দোয়া-কালাম, মাসলা মাসায়েল শিখে সেটাকে পুঁজি করে আরাম আয়েশে দিন কাটাতে চান এবং কাটিয়ে যাচ্ছেন। যারা বিনা পরিশ্রমে ঘরে বসে মুরগির রান খেয়ে অভ্যস্ত তারা শ্রমিকের হাড়ভাঙা খাটুনির মূল্য কীভাবে বুঝবেন? যাকে অন্ন সংস্থানের জন্য কখনো মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় না, শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি কেন পরিশোধ করতে হবে সেটা তিনি কী করে বুঝবেন?
তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস আলেম ওলামাদের দৃষ্টিতে ইসলামের সঙ্গেই সম্পৃক্ত নয়, যেহেতু এর উদ্ভবের সঙ্গে ইসলামের ইতিহাস বা মুসলিম উম্মাহর কোনো যোগসূত্র নেই। তাই মুসলিমদের জন্য মে দিবস পালন করাকে আলেম সাহেবরা কাফের মোশরেকদের অনুসরণ বা বেদাত বা অপ্রয়োজনীয় বলেই জ্ঞান করে থাকেন। সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তারা এ মহাসত্যটি বুঝতে অক্ষম যে, ইসলাম এসেছে সমগ্র মানবজাতির জন্য। তাই সমগ্র মানবজাতির সুখ, শান্তি নিয়ে কাজ করা ইসলামেরই কাজ। তারা ভুলে যান যে, সমাজের শ্রমজীবী বঞ্চিত শ্রেণিকে মনুষ্যত্বের মর্যাদা দান করার মধ্যেই রয়েছে ইসলামের মাহাত্ম্য। আল্লাহর শেষ রসুল সেটাই করে গেছেন, মারিয়া কিবতিয়াকে (রা.) নিজের স্ত্রী রূপে বরণ করেছেন, উম্মে আয়মান ও যায়েদকে (রা.) দাসত্বের অবমাননা থেকে মুক্ত করে নিজের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, অর্ধনগ্ন হাবশি বেলালকে (রা.) উঠিয়েছে বায়তুল্লাহর শীর্ষে। সুতরাং বঞ্চিত শ্রেণির মুক্তি জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য অপরিহার্য কাজ, এটাই তাদের এবাদত।
আল্লাহর রসুল পরনির্ভরশীলতার বিরুদ্ধে আজীবন সোচ্চার ছিলেন। তিনি নিজেও জীবিকার জন্য পরিশ্রমের কাজ করতেন, রুটির বিনিময়ে একজন ইহুদির কুয়া থেকে তিনি পানি তুলে দিয়েছেন। তা ছাড়াও জেহাদের প্রয়োজনে সবচেয়ে বেশি কায়িক শ্রমের কাজগুলোতে তিনি সর্বাগ্রে থাকতেন। মসজিদে নববী নির্মাণ, খন্দক খননের সময় আমরা রসুলাল্লাহকে হাতুড়ি দিয়ে পাথর ভাঙতে, মাটি খনন করতে এবং মাথায় করে ইট ও মাটি বহন করতে দেখি। আমাদের আলেম সাহেবরা রসুলের এই সুন্নাহ পালনের প্রতি কতটুকু মনোযোগী?
আমাদের আদিপিতা আদমকে (আ.) সেই আদিম পৃথিবীর অনাবাদি জমিকে কৃষিজমিতে পরিণত করতে হয়েছে এবং কঠোর পরিশ্রম করে জীবনধারণ করতে হয়েছে। পবিত্র বাইবেলে বর্ণিত আছে, “তারপর প্রভু ঈশ্বর পুরুষকে (আদম) বললেন, “…ভূমি তোমাদের যে খাদ্য দেবে তার জন্যে এখন থেকে সারাজীবন তোমার অতি কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। ভূমি তোমার জন্য কাঁটাঝোপ জন্ম দেবে এবং তোমাকে বুনো গাছপালা খেতে হবে। তোমার খাদ্যের জন্যে তুমি কঠোর পরিশ্রম করবে যে পর্যন্ত না মুখ ঘামে ভরে যায়। তুমি মরণ পর্যন্ত পরিশ্রম করবে, তারপর পুনরায় ধূলি হয়ে যাবে। আমি ধূলি থেকে তোমায় সৃষ্টি করেছি এবং মৃত্যু হবে পুনরায় তুমি ধূলিতে পরিণত হবে।”
সুতরাং আদমের সন্তানদেরও এই কাজই কর্তব্য যে তারা পরিশ্রম করে রোজগার করবে এবং পরিবারকে প্রতিপালন করবে। নামাজ (সালাহ) পড়ানোর বিনিময়ে বা অন্য যে কোনো ধর্মীয় কাজের বিনিময়ে অন্ন সংগ্রহ করা আল্লাহ হারাম করেছেন এবং একে আগুন খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন (সুরা বাকারা ১৭৪)। আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যে, ‘হে মো’মেনগণ! জুমার দিনে যখন সালাতের জন্য আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ত্বরা কর এবং বেচা কেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ। অতঃপর সালাহ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহ কে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও (সুরা জুমা ৯, ১০)”। এ আয়াতটিতে (ক) মো’মেনদেরকে ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি উপায়ে রেজেক অন্বেষণের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে, (খ) সালাতের সময় ব্যবসা-বাণিজ্য সাময়িকভাবে বন্ধ রেখে সালাহ কায়েম করতে বলা হয়েছে, (গ) সালাহ শেষে আবার রেজেকের অন্বেষণে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে বলা হয়েছে। লক্ষণীয় যে, হুজরাখানায় বসে থেকে মুসল্লিদের বাড়ি থেকে রেজেক আসার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয় নি। এমন কি জুম্মার দিনেও আল্লাহ মো’মেনদের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন নি।
প্রকৃতপক্ষে ইসলামসহ সকল ধর্মই কর্মের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করেছে। বৈরাগ্যবাদ ও আলস্য উভয়ই ইসলাম নিষিদ্ধ করে, কারণ এতে সমাজের ভারসাম্য ধ্বংস হয়ে যায়। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা যদি মানুষ পায় তবে তারা প্রচণ্ড গতিশীল ও কর্মমুখী হবেই। কোনো ধর্মেই ধর্মব্যবসা বা রাজননীতির নামে ব্যবসা করার করার স্থান নেই। মহানবী বলেছেন, “হে মানুষ! আমি তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি, জীবিকা হাসিল করার জন্য সম্ভাব্য সকল উপায়ে জোর চেষ্টা কর এবং তোমাদের প্রচেষ্টার পরিপূর্ণতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কর। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে, কোনো মো’মেনের সত্তাকে দুনিয়ায় বেকার এবং অনর্থক সৃষ্টি করা হয় নি। বরং তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কর্ম ও কর্তব্যের সঙ্গে সংযুক্ত। কর্ম ও প্রচেষ্টার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। অল্পে সন্তুষ্টি এবং আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতার অর্থ এ নয় যে, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা এবং নিজের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়া। নিশ্চয় আল্লাহর উপর ভরসা রাখা আমাদের প্রধান কর্তব্য। কিন্তু রেযেক হাসিল করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা নিতান্তই জরুরি বিষয়।
আমি তোমাদেরকে অবহিত করছি যে, দুনিয়ায় যত নবী-রসুল এসেছেন তাদের সবাই জীবিকা উপার্জনের জন্য চেষ্টা-সাধনা করতেন এবং নিজেদের বোঝা অন্যের চাপিয়ে দিতেন না। অতএব, তোমরাও জীবিকা উপার্জনের জন্য কঠোর প্রচেষ্টা কর। কায়িক শ্রম, কুলির কাজ করা এবং লাকড়ির বোঝা নিজের মাথায় ওঠানো অন্যের কাছে হাত পাতার চেয়ে উত্তম। যার জীবিকা উপার্জনের সামর্থ্য রয়েছে অন্যের কাছে চাওয়া তার জন্য খুবই অপমানজনক। সে দুনিয়াতেও লাঞ্ছিত এবং শেষ বিচারের দিনও তাকে এমন অবস্থায় হাযির করা হবে যে তার চেহারায় গোশত থাকবে না। আমি পরিষ্কারভাবে তোমাদের বলছি, যার কাছে একদিনের খাদ্যও মজুদ রয়েছে তার জন্য হাত পাতা অবশ্যই হারাম। আমি জানি কোনো কোনো পীর ভিক্ষাবৃত্তিকে জায়েয বলেন, কিন্তু ইসলাম হাত-পা গুটিয়ে বসা এবং ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। ইসলাম আমাদের হুকুম দিয়েছে যে, ‘দুনিয়ায় ছড়িয়ে যাও এবং আল্লাহর করুণা সন্ধান করো (সূরা জুমাহ-১০)।’ যে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বাঁচবে, নিজের পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ করা ও প্রতিবেশীর সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য হালাল উপায়ে জীবিকা হাসিল করবে সে কেয়ামতের দিন পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল চেহারা নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবে। দুনিয়াতেও তার জন্য সম্মান ও প্রতিপত্তি রয়েছে।” (ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত মহানবীর ভাষণ বই থেকে)। সুতরাং ধর্মের কাজ করার বিনিময়ে রোজগার করা একাধারে ভিক্ষাবৃত্তি ও ধর্মব্যসা যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ তথা হারাম।
গীতায় বলা হয়েছে, “তুমি নিয়ত কর্ম কর; কর্মশূন্যতা (বেকারত্ব, কর্মবিমুখতা) অপেক্ষা কর্ম শ্রেষ্ঠ, কর্ম না করিলে তোমার দেহযাত্রাও নির্বাহ হইতে পারে না।” (কর্মযোগ অধ্যায়- শ্লোক-৮)।
ঈসা (আ.) বলেছেন- “আল্লাহ মানুষের শ্রম বিনিয়োগকে কপালের লিখন করে দিয়েছেন। আইয়ুব, যিনি আল্লাহর নবী বন্ধু ছিলেন তাঁর কথায়, ‘পাখির জন্ম যেমন উড়ে বেড়াবার জন্য, সাঁতার কাটার জন্য মৎস্যকুল, ঠিক তেমনি মানুষের সৃষ্টি হয়েছে শ্রমিকরূপে, কর্ম করে যাবার জন্য। অতএব যে মানুষ নয় সেই-ই শুধু এই নির্দেশের ঊর্ধ্বে।” (বার্নাবাসের বাইবেল- অধ্যায়-১১৪)। সুতরাং যে মানুষ শ্রম দিবে না, সে দুনিয়াতেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আখেরাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সকল ধর্মগ্রন্থে অর্থাৎ সকল নবী শ্রমের মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। শ্রমিক শ্রেণি আলেমদের দৃষ্টিতে ‘অধার্মিক’ হয়েও ধর্মের সেই শাশ্বত নির্দেশ মান্য করছেন। কিন্তু যারা ধর্মের ধ্বজাধারী তারা সেই নির্দেশকে আজীবন লংঘন করে যাচ্ছেন এবং পরনির্ভরশীলতাকেই ধর্ম বলে কার্যত প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন। শ্রমিকের মর্যাদা বোঝার সাধ্য তার নেই। শ্রমিকের রক্ত যখন ঘাম হয়ে টপ টপ করে ঝরে পড়ে, তখনই যদি তার হাতে তার প্রাপ্য মজুরি তুলে দেওয়া হয়, তার চিত্তে যে আনন্দের ফল্গুধারা বয়ে যায় সেটা কেবল আরেকজন শ্রমিকই অনুভব করতে পারেন। এই হিসাবে একজন শ্রমজীবী কখনোই আরেকজন শ্রমিককে বঞ্চিত করবে না।
দ্বিতীয়ত, শ্রমিককে তার ন্যায্য অধিকার প্রদানের জন্য আল্লাহর প্রদত্ত হুকুম যে মান্য করবে সেও কখনো শ্রমিককে বঞ্চিত করবে না। এই দুটি চেতনার সমন্বয় না হলে কোনোদিন শ্রমিক তার প্রাপ্য অধিকার লাভ করবে না।
কেবল ধর্মজীবীরাই নয়, রাজনীতিজীবীরাও একটি পরনির্ভরশীল শ্রেণি। তাই তারা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে যে রাজনীতিক বক্তব্য দিয়ে থাকেন সেটাও প্রবঞ্চনামূলক। এর পেছনে নিজেদের স্বার্থই তারা চরিতার্থ করতে চান। শ্রমিকদের হতাশা, বঞ্চনা, দুর্ভোগ, অসহায়ত্ব এই রাজনীতিকদের জীবিকার পুঁজিমাত্র। এই মহাসত্য সর্বাগ্রে শ্রমিকশ্রেণিকে অনুধাবন করতে হবে, যেন তারা আর এই প্রতারকদের ক্রীড়নক হিসাবে ব্যবহৃত না হন। আর পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতার অনুসারীদেরও মনে রাখা উচিত যে, তারাই শ্রমিকদেরকে যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বঞ্চিত করেছে, শ্রমিদেরকে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার দেয় নি। যখন তাদের যুগসঞ্চিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, তারা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিবাদী হয়েছে তখনই তাদের বুকে চালানো হয়েছে গুলি। তাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে শোষক শ্রেণি ঝকঝকে মেঝে। সেই পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতাই আবার মে দিবস পালনের নামে শ্রমিকদের নিয়ে নির্মম রাজনীতির সূচনা করেছে। কিন্তু, কার্যত এতে শ্রমিকদের যে কোনোই লাভ হয় নি, বরং দিন দিন তাদের বঞ্চনা ও হাহাকার বৃদ্ধি পাচ্ছে তা যে কোনো পরিসংখ্যান দেখলেই সুস্পষ্ট হয়ে যাবে।