গত বছরের ১৪মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়ি-ঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শরীয়তপুর জেলা হেযবুত তওহীদ। গত ২৪ মার্চ, ২০১৭ তারিখ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় দৈনিক বজ্রশক্তি’র জেলা কার্যালয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনকি সম্পাদক ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ।
তিনি বলেন, গত বছর ১৪ মার্চ স্থানীয় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আলেমরা নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে তাদের ছাত্রদের নিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে আক্রমণ করে। সেখানে গত পনের বছর থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে যে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা নামাজ পড়ে না, তারা খ্রিস্টান ইত্যাদি। গত বছরের ১৪ মার্চ আমাদের নির্মাণাধীন একটি মসজিদকে গির্জা অ্যাখ্যা দিয়ে স্থানীয় জামায়াত, শিবির, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামের সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসার উন্মত্ত ছাত্র-শিক্ষকগণ নির্মাণাধীন মসজিদটিকে তারা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল। তারা হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম এবং স্থানীয় সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে সবগুলো বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। আমাদের শতাধিক কর্মীকে গুরুতর আহত করে এবং দু’জনকে হত্যা করে তাদের গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ এসে বাকিদের উদ্ধার করে। এমনকি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পথে এবং পরে থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের হেফাজতে থাকা গুরুতর আহত মানুষগুলোকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে তারা।
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন যে, তাদের দায়েরকৃত মামলার মোট ৮৩ জন আসামির মধ্য থেকে অল্প কয়েকজনকে আজ পর্যন্ত আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তারা সবাই এখন জামিনেই আছে এবং সকল আসামিই এলাকায় দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আবারো অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে অপরাধীরা ভবিষ্যতে নতুন করে এমন ঘটনার জন্ম দেবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি রাষ্ট্রকে ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে। “ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি সংগঠনকে খ্রিস্টান ফতোয়া দিয়ে তাদের সদস্যদের হত্যা করার পরও যদি সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়, তবে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জীবনের নিরাপত্তা কতটুকু?” প্রশ্ন রাখেন মাহবুব আলম মাহফুজ।
সম্মেলনে শরীয়তপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. ফারুক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. জাভেদ শেখসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।