দৈনিক বজ্রশক্তি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এসএম শামসুল হুদা বলেছেন, ‘যারা জঙ্গিবাদী কর্মকা-ে লিপ্ত তারা দুনিয়া ও আখিরাত দুই’ই হারাচ্ছে। জঙ্গিরা ইসলামের কেউ নয় বরং তারা ইসলামের শত্রু। শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকা-ে ইসলামের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে মানুষ দিন দিন ইসলামের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হচ্ছে, অপরদিকে ইসলামবিদ্বেষীরা ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর নতুন নতুন হাতিয়ার পাচ্ছে।’
গত ১২ আগস্ট শুক্রবার রাজধানীর গুলশান থানাধীন নর্দ্দা কালাচাদঁপুর ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও এর অংগসংগঠন এর প্রধান কার্যালয়ে র্যালিপূর্বক ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় যারা ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি করছে, ইসলামের দোহাই দিয়ে যারা মানুষ হত্যা করছে তাদেরকে ইসলামের সঠিক আদর্শ ধারণ করে আবার ইসলামে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৮নং ওয়ার্ড কমিশনার জাকির হোসেন বাবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন শিমুল, ঢাকা মহানগর (উত্তর) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান সুজন, হেযবুত তওহীদের ঢাকা মহানগরীর আমির মো. আলী হোসেন, বাংলাদেশ হকার্সলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী, হেযবুত তওহীদের সহকারী সাহিত্য সম্পাদক মো. রাকিব আল হাসান প্রমুখ। হেযবুত তওহীদের রামপুরা শাখা আমির ফরিদ উদ্দিন রাব্বানির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা মাহানগর আমির মো. আলী হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনার জাকির হোসেন বাবুল বলেন, ‘জঙ্গিবাদ কারও একার পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে। তিনি হেযবুত তওহীদের জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের সহকারী সাহিত্য সম্পাদক মো. রাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ একটি অন্যায়, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হলে আগে নিজেদেরকে ন্যায়ের উপর দ-ায়মান হতে হবে। যে জঙ্গিবাদের করাল থাবায় ধ্বংস হয়ে গেছে ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও লিবিয়া ইত্যাদি একটার পর একটা মুসলিম দেশ সেই একই জঙ্গিবাদ হানা দিয়েছে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে। হোলি আর্টিজানে ও শোলাকিয়া ঈদের জামাতের গেইটে জঙ্গি হামলার পর এটা সকলেই উপলব্ধি করেছে যে, জঙ্গিবাদের উত্থান বাংলাদেশে ভালোমতই হয়েছে। এখন অনেকেই এর বিরুদ্ধে কথা বলছে কিন্তু বিগত চার বছর যাবৎ আমরা হেযবুত তওহীদ ৪০ হাজারেরও বেশি সভা, সেমিনার, পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে এই আশঙ্কাই প্রকাশ করে আসছিলাম। এখন এর বিরুদ্ধে কেবল সরকার বা আইন, শৃঙ্খলা বাহিনীর একক প্রচেষ্টা নয় বরং আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই জঙ্গিবাদকে সমূলে উৎপাটন করে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’