ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৫ আগস্ট শুক্রবার সকাল নয় ঘটিকায় রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রধান ও দপ্তর সম্পাদক খাদিজা খাতুন, নারী এবং শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, আপন শিশু বিকাশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা সুলতানা রাজিয়া, প্রচার ও গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক এস এম শামসুল হুদা, সাহিত্য সম্পাদক মো. রিয়াদুল হাসান প্রমুখ।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে হেযবুত তওহীদের সদস্য ও নেতাকর্মীগণ উপস্থিত হতে থাকেন। মূল হলরুমে প্রবেশ করার পূর্বে সকলকেই যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্ত হলরুম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। সকাল ১০টার দিকে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমেই পবিত্র কোর’আন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। অতঃপর বাজানো হয় হেযবুত তওহীদের দলীয় সঙ্গীত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘আল্লাহতে যার পূর্ণ ঈমান, কোথা সে মুসলমান’। তারপর একে একে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা সভাপতিগণ। ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠানস্থলে এসে প্রবেশ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা বিভাগ হেযবুত তওহীদের আমির ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ হেযবুত তওহীদের এমামকে প্রবেশদ্বারে স্বাগত জানান। সভাপতির আহ্বানে মঞ্চে আসন গ্রহণ করার পর সকলের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় আমির ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ। তিনি অনুষ্ঠানের সার্বিক সফলতা কামনা করে অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যের পর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যার জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষায় ছিলেন উপস্থিত নেতাকর্মীগন। সকলের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সকাল দশটা ৫৫ মিনিটে হেযবুত তওহীদের এমাম তার মূল্যবান বক্তব্য প্রদান শুরু করেন। শুরুতেই তিনি হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগের কর্মীদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। তাদের ঈমান-আকিদা ও পাঁচ দফা কর্মসূচির বিষয়গুলো ভালোভাবে ব্যাখ্যা করেন। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আল্লাহর দেওয়া বিধান না মানার ফলে আজ সমাজের রন্ধ্রে রান্ধ্রে দুর্নীতি, অবিচার, অন্যায়, জুলুম বৃদ্ধি পেয়েছে। আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থার বিপরীতে মানুষ আজ পর্যন্ত যত তন্ত্র-মন্ত্র, বাদ-মতবাদ নিজেরা তৈরি করেছে, সবগুলোই অনিবার্যভাবে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও হিংসা-বিদ্বেষকে উস্কে দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিনি সবাইকে জান ও মাল আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করে সংগ্রাম করার আহ্বান জানান। বক্তব্য শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানস্থলে একাধিক প্রজেক্টরের মাধ্যমে হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন কার্যক্রমের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। নোয়াখালীতে অবস্থিত শহীদী জামে মসজিদের উপর একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও ২০২২ সালে দলের বিভিন্ন কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ৩৩ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মাটি মিউজিকের সৌজন্যে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।