রকীব আল হাসান
আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ত্যাগ করে এই জাতিটি বর্তমানে নামাজ, রোজা, হজ্বসহ বহুরকম ব্যক্তিগত এবাদতসর্বস্ব একটি ধর্ম পালন করছে আর জাতীয়ভাবে পাশ্চাত্যদের বিধান দিয়ে জীবন পরিচালিত করছে। বিভিন্ন ফেরকা, মাযহাবসহ হাজার হাজার দল উপদলে বিভক্ত হয়ে বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত, লক্ষ্যহীন একটি জনসংখ্যায় পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্য, অন্যায়, অবিচার, অন্যান্য জাতির মান, অপমান, ঘৃণা আজ এ জাতির নিত্যসঙ্গী। পরকালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ জাহান্নাম। কোন সন্দেহ নেই যে এই জাতিটা ইউরোপের দাসে পরিণত হবার পরও বহু লোক আল্লাহ ও তাঁর রসুলে (স.) পরিপূর্ণ বিশ্বাসী ছিল, কিন্তু সে বিশ্বাস ছিল ব্যক্তিগতভাবে, জাতিগতভাবে নয়। কারণ জাতিগতভাবে তাদের রাজনৈতিক আর্থসমাজিক ও শিক্ষাব্যবস্থা তো তখন ইউরোপিয়ান খ্রিষ্টানদের হাতে এবং তারা ইসলামী ব্যবস্থা বদলে নিজেদের তৈরি ব্যবস্থা এই জাতির জীবনে প্রতিষ্ঠা করেছে। জাতীয় জীবন থেকে আল্লাহর দেয়া রাজনৈতিক, আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা কেটে ফেলে শুধু ব্যক্তিগত জীবনে তা বজায় রাখলে আল্লাহর চোখে মুসলিম বা মুমিন থাকা যায় কিনা তা প্রশ্ন আসতেই পারে। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেছেন- তোমরা কি আল্লাহর নাজেল করা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস কর, আর কিছু অংশ বিশ্বাস কর না? যারা তা করে (অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ সমূহের এক অংশ বিশ্বাস করে না বা তার উপর আমল করে না) তাদের প্রতিফল হচ্ছে এই পৃথিবীতে অপমান, লাঞ্ছনা এবং কেয়ামতের দিনে কঠিন শাস্তি। তোমরা কী করছ সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখেয়াল নন (কোর’আন- সুরা আল বাকারা ৮৫)। তাঁর আদেশ নিষেধগুলির কতকগুলি মেনে নেয়া আর কতকগুলিকে না মানার অর্থ আল্লাহকে আংশিকভাবে মানা অর্থাৎ শেরক। তারপর বলছেন এর প্রতিফল শুধু পরকালেই হবে না এই দুনিয়াতেও হবে আর তা হবে অপমান ও হীনতা। অপরপক্ষে আল্লাহ মুমিনদের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন উভয় দুনিয়াতে অন্য সবার উপর স্থান ও সম্মান।