রিয়াদুল হাসান:
এই পৃথিবীতে মানুষ নামে যে প্রাণীটি তার আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে সে নিষ্ফল অহংকারে ভাবছে যে সে আজ সভ্যতার চূড়ায় বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে ভাবছে তার লক্ষ লক্ষ বছরের অস্তিত্বের মধ্যে আজকের মতো সার্বিক সফলতা তার আর কখনো হয় নি। তার পেছনের লক্ষ বছরের অতীতের দিকে সে কৃপা আর অনুকম্পার দৃষ্টি দিয়ে চেয়ে দেখছে। আকাশের বিদ্যুতকে সে বেঁধে চাকরের মতো কাজ করাচ্ছে, নদীর গতিকে সে মোড় ফিরিয়ে ফসল ফলাচ্ছে, তার গতি রুদ্ধ করে বিদ্যুৎ তৈরি করছে, সে লক্ষ লক্ষ মাইল দূরের চাঁদে গিয়ে ফিরে এসেছে। শুধু তাই নয়, সে জানে আর কিছু দিন পর সে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ঘুরে বেড়াবে।
মানুষ নামের এই প্রাণীটিকে কে বোলে দেবে যে- যে সভ্যতার অহঙ্কারে তুমি বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছ সে সভ্যতাতো শুধু ঐটুকুই করে নি, সে আরও করেছে। সে তোমাকেই ধ্বংস করার জন্য পারমাণবিক বোমা তৈরি করেছে, সে সভ্যতাই কয়েক মিনিটের মধ্যে হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে তোমার কয়েক লক্ষ বৃদ্ধ, যুবক, নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে, সেই সভ্যতাই মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে দুইটি মহাযুদ্ধে তোমাদেরই এগার কোটি মানুষকে হত্যা করেছে।
পৃথিবীর মানুষ আজ বিক্ষুদ্ধ। বাইরে যত সফলতার অহংকার থাকুক মনের গভীরে মানুষ আজ দেউলিয়া, দিশাহারা। যে কোন দিনের সংবাদপত্র খুলুন, দেখবেন পৃথিবীময় অশান্তি, ক্রোধ, রক্তারক্তি, অন্যায়, অবিচার আর হাহাকারের বর্ণনা। রাষ্ট্রগতভাবে যুদ্ধ, দলগতভাবে হানাহানি, ব্যক্তিগতভাবে সংঘাত আর রক্তারক্তির হৃদয়বিদারী বর্ণনা। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে, বিশেষ করে যে সব দেশ এই যান্ত্রিক সভ্যতাকে গ্রহণ করেছে, সে গুলোতে প্রতি বছর খুন, জখম, ডাকাতি, ধর্ষণ, বোমাবাজি আর অপহরণের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। এমন কি বেগুনাহ, নিষ্পাপ শিশুরা পর্যন্ত এই মানুষরূপী শয়তানদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এক দিক দিয়ে মানুষ যেমন বিজ্ঞানের শিখরে উঠছে অন্য দিক দিয়ে ঠিক তেমনি ভাবে সে সব রকমের অন্যায়ের চূড়ান্তে গিয়ে পৌঁছুচ্ছে। মানুষের আত্মা আজ ত্রাহী সুরে চিৎকার করছে কেন? কেন মানুষ তার জ্ঞান আর বিজ্ঞানের প্রগতিকে মনুষ্যত্বের উন্নতির পরিবর্তে তাকে অবনতির গভীর অতলে নিয়ে যাচ্ছে? শুধু বিংশ শতাব্দীতে সে যত মানুষের প্রাণ হত্যা করেছে, গত দশ শতাব্দীর সমস্ত যুদ্ধ বিগ্রহে তার ভগ্নাংশও করে নি। শুধু হত্যা নয়, অন্যায়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে সে তার পূর্ব পুরুষদের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছে। আত্মার এই নিদারুণ পতনের সঙ্গে বিজ্ঞানের প্রযুক্তির ধ্বংসকারী শক্তির যোগের পরিণতি চিন্তা করে মানুষ আজ শিউরে উঠছে। এই অবস্থা প্রমাণ করছে যে মানব জাতি আজ পর্যন্ত এমন একটা জীবনব্যবস্থা তার নিজের জন্য সৃষ্টি বা প্রণয়ন কোরতে পারে নি যেটা পালন কোরলে যান্ত্রিক উন্নতি সত্ত্বেও মানুষ এই পৃথিবীতে শান্তিতে বাস কোরতে পারে।
তাহোলে উপায় কী? মানুষের ভবিষ্যৎ নিদারুণ পরিণতিকে এড়াবার পথ কী?
পথ আছে, উপায় আছে। কিন্তু সে পথ গ্রহণ করার সময় খুব বেশি নেই। সেই পথেরই সন্ধান দিচ্ছে হেযবুত তওহীদ; যে পথে চোললে, যে জীবন ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রতিষ্ঠা কোরলে মানুষ জাতি অপ্রতিরোধ্যভাবে তার আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যাবে না, তার বুদ্ধি ও মনের, দেহের ও আত্মার এমন একটা সুষ্ঠু, ভারসাম্য মিশ্রণ দেবে যা তাকে দু’দিকেই উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে।
আল্লাহর রসুল বলেন, প্রত্যেক মানব শিশু জন্ম নেয় ফেতরাত অর্থাৎ প্রকৃতির উপর অতঃপর তার বাবা মা তাকে ইহুদি, খৃস্টান অথবা জরোথুস্ট্রিয়ান বানিয়ে ফেলে [আবু হোরায়রা রা. থেকে বোখারী]। একইভাবে কখনও কোন মানুষ মায়ের গর্ভ থেকে চোর, ডাকাত বা দুর্নীতিবাজ হোয়ে জন্ম নেয় না, সমাজকাঠামোই তাদেরকে অপরাধপ্রবণ করে তোলে। যারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি কোরতে যান তাদের অনেকেই এই অভিপ্রায় নিয়ে যান না যে ইচ্ছা মতো ঘুষ খাবেন। যারা ব্যবসা কোরতে যান তারাও নিশ্চয়ই পণ্যে ভেজাল দেওয়ার নিয়তে ব্যবসা কোরতে যান না; কিন্তু এক সময় তাকে অসততার বাজারে টিকে থাকার জন্য সততা বিসর্জন দিতে হয়। রাজনীতিতে যারা যান তারাও হয়তো এই মানসিকতা নিয়ে যান না যে দুর্নীতি কোরবেন, সন্ত্রাসী লালন কোরবেন, জনগণের সম্পদ লুট কোরবেন, বিদেশে টাকা পাচার কোরবেন। তাহোলে কেন মানুষগুলো অবধারিতভাবে সততা হারিয়ে দুর্নীতিবাজ, ওয়াদা খেলাফকারী হোয়ে যায়, সন্ত্রাসী, মিথ্যাবাদী, মানুষের সম্পদ লুণ্ঠনকারী হোয়ে যান? যে ছাত্ররা শিক্ষাগুরুর পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নিত, শিক্ষককে দেবতুল্য জ্ঞান কোরত, সেই ছাত্ররাই এখন কেন শিক্ষককে মারধোর করে? যে ছাত্রদের শিক্ষা অর্জন করে মানবসেবার জন্য আত্মনিয়োগ করার কথা, সেই ছাত্ররা টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী, বোমাবাজি, ছাত্রাবাসের আধিপত্য নিয়ে পরস্পরকে খুন করে, রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসী হিসাবে ভাড়া খাটে। এই সব প্রশ্নের একটাই জবাব, প্রচলিত সিস্টেমই তাদেরকে এমন বানায়। মানুষ প্রকৃতপক্ষে কাদা মাটির ন্যায়। এই কাদামাটিকে যে ডাইসের মধ্যে ফেলা হবে, কাদা মাটি সেই ডাইসের রূপ বা আকৃতি ধারণ কোরবে। একইভাবে সমাজব্যবস্থাও এমন একটি সিস্টেম যা মানুষকে নিজস্ব কাঠামো অনুযায়ী গড়ে তোলে। ধোরুন, কোন চালক যদি চেষ্টা করে একটা গাড়িকে সোজা চালাতে, কিন্তু রাস্তাটা যদি বাঁকা হয় তবে সে শত ইচ্ছা করেও সোজা চালাতে পারবে না। চালাতে গেলে সে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে যাবে। একইভাবে যদি রাস্তা সোজা থাকে তাহোলে সে চাইলেও আঁকা-বাঁকা হোয়ে চোলতে পারবে না, রাস্তাই তাকে সোজা চোলতে বাধ্য কোরবে। সুতরাং ত্র“টিপূর্ণ সিস্টেমের মধ্যে বসবাস করে শত চাইলেও আপনি ভাল থাকতে পারবেন না। তাহোলে এই অনিবার্য অধঃপতন থেকে বাঁচার উপায় কী?
সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে মানবজাতি যেন সুখে, শান্তিতে থাকতে পারে, সমৃদ্ধশালী জীবন গড়তে পারে এজন্য যুগে যুগে স্রষ্টা প্রতিটি জনপদে পথ প্রদর্শক অর্থাৎ নবী এবং রসুলগণকে পাঠান। তাঁদের কাজই ছিল মানবজাতিকে একটি নিখুঁত সিস্টেমের সন্ধান দেওয়া। সেই সিস্টেম প্রতিষ্ঠার ফলে সমাজে সৃষ্টি হয় অনাবিল সুখ, শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তা। মানুষ যখন স্রষ্টার দেয়া সেই জীবন ব্যবস্থাকে বিকৃত করে ফেলে তখন তারা পতিত হয় চরম অন্যায় অশান্তিতে। আল্লাহ আবার সেই জাতিকে অন্যায় অশান্তি থেকে মুক্তির জন্য সঠিক সিস্টেমসহ নবী রসুল প্রেরণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪০০ বছর আগে আরবের অন্ধকার যুগে আল্লাহ পাঠালেন মহাসত্যের আলোকবর্তিকা, বিশ্বজাহানের রহমত, খাতেমুন নাবীয়্যিন মোহাম্মদ (দ:) কে। তাঁর উপর দায়িত্ব সমস্ত পৃথিবীতে আল্লাহর সত্যদীন, দীনুল হক প্রতিষ্ঠা যার মাধ্যমে অন্যায়, অশান্তি, অপরাধ সমাজ থেকে নির্মূল হোয়ে যাবে এবং মানুষ একটি সুখি সমৃদ্ধ প্রগতিশীল পৃথিবীতে বসবাস কোরতে পারবে। রসুলাল্লাহ, তাঁর আসহাবগণ এবং তাঁদের পরবর্তী মো’মেনরা পার্থিব সবকিছু কোরবান করে কঠোর ও সর্বাত্মক সংগ্রামের মাধ্যমে মাত্র ৬০/৭০ বছরের মধ্যে অর্ধ দুনিয়ায় স্রষ্টার দেয়া সেই নিখুঁত জীবন ব্যবস্থা বা সিস্টেম প্রতিষ্ঠা কোরলেন। ফলে মানুষের জীবন এবং সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হোল। একজন যুবতী সারা গায়ে অলঙ্কার পরে একা শত শত মাইল পথ ভ্রমণ কোরতে পারতো, তার মনে কোন ক্ষতির আশঙ্কাও জাগ্রত হোত না। মানুষ রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব কোরত না। আদালতগুলিতে মাসের পর মাস কোন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা আসতো না, এমন কি বহুক্ষেত্রে অপরাধী নিজেই বিচারকের কাছে এসে অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি প্রার্থনা কোরত, উকিল বা সাক্ষী কিছুরই প্রয়োজন পড়তো না। অর্থনৈতিক মুক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, দান অথবা যাকাতের টাকা গ্রহণ করার কেউ ছিল না। শাসক শাসনকার্যকে এবাদত মনে কোরত, আর জনগণের সম্পদকে মনে কোরত পবিত্র আমানত। প্রতিটি মানুষ আল্লাহর দেয়া সিস্টেমে বাস করার ফলে সত্যবাদীতা, আমানতদারী, পরোপকার, মেহমানদারী, উদারতা, ত্যাগ দানশীলতা, ইত্যাদি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ হোয়ে গিয়েছিল। শিক্ষাদানকে মনে কোরত এবাদত, আর সমাজে শিক্ষকের সম্মান ছিল পিতার মতো। নারীরা পূর্ণ সম্মান ও মর্যাদার সাথে জাতীয় ও সামাজিক প্রয়োজনে নিশ্চিন্তে, নির্বিঘেœ যে কোন ভূমিকা রাখতে পারতো, কোন ফতোয়ার চোখ রাঙানী ছিল না। স্রষ্টার দেয়া সেই সিস্টেম সার্বক্ষণিক দ্বন্দ্ব বিবাদ, মারামারি, কাটাকাটিতে নিমজ্জিত সমাজের মানুষগুলিকে সোনার মানুষে রূপান্তরিত কোরল। শুধু সমাজটিই সুন্দর হোল না, জাহেলি যুগে যারা নিজের কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিত তারা হোয়ে গেল একেকজন সোনার মানুষ।
তারপরে এই উম্মাহর মধ্যে এলো দুর্ভাগ্যজনক আকিদা বিকৃতি। তারা ভুলে গেলেন এই জাতিকে সৃষ্টিই করা হোয়েছে সংগ্রামের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে আল্লাহর দেওয়া সিস্টেমকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আকিদার বিকৃতিতে তারা সেই সংগ্রাম ত্যাগ করে ভোগ বিলাসে মত্ত হোয়ে পড়লেন। তাদের মধ্যে সৃষ্টি হোল আলেম শ্রেণি যারা দীনের শরিয়তের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে জাতিকে শত শত মাজহাব ফেরকায় বিভক্ত করে ফেলল। অপরদিকে ভারসাম্যহীন সুফিবাদীরা অসংখ্য সুফি তরিকার দ্বারা জাতিকে অন্তর্মুখী, অসাড় করে দিলো। জাতি তার সকল গতিশীলতা হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লো। এভাবে কয়েকশো বছর কাটলো, আল্লাহর সত্যদীন বিকৃত হোতে হোতে একেবারে বিপরীত রূপ ধারণ কোরল। আল্লাহ এই উম্মাহর প্রতি কঠোর সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছিলেন, “যদি তোমরা আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার অভিযানে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দেবেন এবং তোমাদের উপরে অন্য জাতি চাপিয়ে দেবেন। (সুরা তওবা ৩৮-৩৯)।” জেহাদ ত্যাগের ফলে আল্লাহর প্রতিশ্র“ত সেই শাস্তি এসে গেল।
ইউরোপীয় খ্রিস্টানরা কঠিন শাস্তি দিয়ে সামরিক শক্তিবলে মোসলেম বিশ্বের অধিকাংশ ভূখণ্ড দখল করে নিল এবং তাদের নিজেদের তৈরি আত্মাহীন, জড়বাদী জীবন ব্যবস্থা বা সিস্টেম মোসলেম নামক জাতিটির উপরে চাপিয়ে দিল। তখন এ জাতির এলাহ, হুকুমদাতা হোয়ে দাঁড়ালো খ্রিস্টান শাসকরা, ফলে মোসলেম নামক জনসংখ্যাটি কার্যত কাফের ও মোশরেকে পরিণত হোল। অপরদিকে, স্রষ্টার দেয়া সিস্টেম পরিত্যাগ করার ফলে তারা সীমাহীন অন্যায় অশান্তিতে নিমজ্জিত হোল, যে অশান্তি আজও চোলছে।
এই অশান্তি থেকে মুক্তির পথ আবারও সেই হারিয়ে যাওয়া শান্তিময় সিস্টেমটি মানবজীবনে প্রতিষ্ঠা করা। ১৩০০ বছরে ইসলাম বিকৃত হোয়ে যাওয়ার কারণে সেই প্রকৃত ইসলাম দুনিয়া থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার সেই সুযোগ ফিরে এসেছে। মহান আল্লাহ দয়া করে এ যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর মাধ্যমে তাঁর সেই অবিকৃত ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা আবার মানবজাতির কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমরা শান্তির আশায় একটার পর একটা ব্যবস্থা পরিবর্তন কোরছি। রাজতন্ত্র, সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্রের পর গণতন্ত্রের ব্যর্থতাও প্রমাণিত হোয়ে গেছে। প্রকৃত সত্য হোল, ভুল সিস্টেম বজায় রেখে নেতৃত্ব পরিবর্তন কোরলে লাভ নেই, এখন মানবজাতিকে বাঁচতে হোলে এই সিস্টেমটা প্রত্যাখ্যান করে স্রষ্টার দেওয়া শান্তিময় সিস্টেমটি গ্রহণ কোরতে হবে। সারা পৃথিবীতে অবাধে বিচরণ, ব্যবসা বাণিজ্য, বিবাহ ও বসবাস কোরতে পারা মানুষের সৃষ্টিগত অধিকার। এই অধিকার মানুষ ফিরে পাবে। পাশাপাশি যে শিল্প মানুষের কল্যাণে আসে এবং মানুষের মেধার ইতিবাচক বিকাশ ঘটায় সেই শিল্প চর্চার পথ উন্মুক্ত হবে।
সুতরাং আসুন, আমরা আর দেরি না করে যামানার এমামের আহ্বানে ঐক্যবদ্ধ হই। বর্তমানের এই অশান্তিময় সিস্টেমটাকে বদলিয়ে স্রষ্টার দেয়া নিখুঁত সিস্টেম মানব জাতির জীবনে প্রতিষ্ঠা করি এবং পৃথিবীকে স্বর্গরাজ্যে পরিণত করি।