মসীহ উর রহমান:
গতকাল এক বিবৃতিতে হেযবুত তওহীদের আমির মসীহ উর রহমান বলেন- বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কে সকলেই অবগত আছেন। সাম্রাজ্যবাদী অস্ত্রব্যবসায়ী পরাশক্তিগুলো অস্ত্রের বাজার সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন অজুহাতে, বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক নাটক মঞ্চায়িত করে একের পর এক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে হামলা চালিয়েছে। তাদের আধিপত্যকে বিস্তৃত করছে, অস্ত্র বিক্রির নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করছে। তারা একে একে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ফিলিস্তিনসহ বহু মুসলিম দেশ এভাবে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। আমরা হেযবুত তওহীদ আন্দোলন দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে বলে আসছি, ইসলাম ধর্ম ও মুসলিমপ্রধান ভূখণ্ডগুলো এই সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। কোনো মুসলিম ব্যক্তি বা দেশ এই ষড়যন্ত্রের বাইরে নয়। এই সংকটের ভয়াবহতা তাদের খুব কম সংখ্যকই উপলব্ধি করতে পারছে ফলে তারা এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না, প্রস্তুতিও নিতে পারছে না। অথচ তারা যদি নিজেদের মধ্যকার যাবতীয় অনৈক্য, বিভাজন, হানাহানি ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে তাহলে তাদেরও মর্মান্তিক পরিণতি ভোগ করা লাগতে পারে।
আমাদের এ বক্তব্যের মর্মার্থ অনেকেই তখন বুঝতে পারেন নি কিংবা বিশ্বাস করেন নি। আজকে আমাদের পার্শ¦বর্তী দেশ মিয়ানমারের লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানকে (কিছু হিন্দুও আছে) তাদের পিতৃপুরুষের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে কী ভয়ানক পৈশাচিক হত্যাকাÐ ঘটানো হচ্ছে, কীভাবে নির্বিচারে জ্বালাও-পোড়াও, নির্যাতন, ধর্ষণ চলছে, তা আমরা সবাই গণমাধ্যমে দেখছি। ভিটে-মাটি ছেড়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মুখে নির্যাতনের যে বর্ণনা আমরা পাচ্ছি, তাতে যে কোনো সুস্থ মস্তিষ্ক মানুষ আতঙ্কিত হতে বাধ্য। শুধু তাই নয়, এ ঘটনাকে ইস্যু করে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ আজ বড় ধরনের হুমকির মুখোমুখি। অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকেই হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমরা মনে করি যে, এ ইস্যুতে প্রধানত দু’টি কারণে আমাদের দেশ হুমকির মুখে পড়েছে। প্রথমত, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য করা ও উপর্যুপরিভাবে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করাসহ নানাভাবে বাংলাদেশকে হুমকি ও উস্কানি প্রদান করা। তাদের এ ধরনের তৎপরতায় এটা স্পষ্ট যে, তারা এখানে একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য মুখিয়ে আছে, কারণ তারা জানে এখানে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারলে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর কেউই মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে না। আর দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীগুলোকে এই ঘটনাগুলোর সাথে সম্পর্কিত করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটা যদি সম্ভব হয় তাহলে সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিগুলো এখানেও ইরাক, সিরিয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
এই মুহূর্তে সাড়ে ছয় কোটি মানুষ উদ্বাস্তু। তাদের প্রায় সবাই মুসলমান। তারা ইউরোপের রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে, উদ্বাস্তু শিবিরে সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে, ক্ষুধার জ্বালায় নিজেদের ইজ্জত বিক্রি করছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের দেশ, ধর্ম ও ঈমানকে নিরাপদ রাখতে আমাদের প্রত্যেক দেশপ্রেমিক নাগরিকের সচেতন হওয়া উচিত। ঐক্য চিরকাল অনৈক্যের উপর শক্তিশালী। একটি ঐক্যবদ্ধ, লক্ষ্যের প্রতি অবিচল জাতিকে কখনওই পদানত করা কিংবা উদ্বাস্তু শিবিরের লাঞ্ছনাময় জীবনের দিকে ঠেলে দেওয়ার সাধ্য কারো নেই। সুতরাং এই ঐক্যই হতে পারে আমাদের একমাত্র রক্ষাকবচ। আমরা বলেছি, দু’টি বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে আমরা গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। প্রথমত মানুষের ধর্মবিশ্বাস তথা ঈমানী চেতনা, আর দ্বিতীয়ত দেশপ্রেম।
এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। আজকের পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় কী সে শিক্ষা আমরা স্বয়ং রসুলের জীবনী থেকেই গ্রহণ করতে পারি। নবী করিম (সা.) যখন মদিনায় আসলেন তখন শত্রুরা মদিনাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে একের পর এক হামলা চালিয়েছে। তখন রসুলাল্লাহ তাঁর সঙ্গী-সাথীদের পাশাপাশি মদিনায় বসবাসরত ইহুদি, পৌত্তলিকসহ প্রতিটি ধর্ম-বর্ণ ও গোত্রের মানুষকে নিয়ে মদিনা রক্ষার জন্য একটি চুক্তি করেন, ইতিহাসে যা ‘মদিনা সনদ’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা ও বহিঃশত্রুর হাত থেকে রাষ্ট্রকে রক্ষার প্রয়োজনে তিনি বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী প্রতিটি মানবসন্তানকে সেদিন ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলে রসুলাল্লাহর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। একটি ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে তারা পেটে পাথর বেঁধেছিলেন, না খেয়ে ছিলেন। তাদের লক্ষ্যের প্রতি এই অবিচলতা, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা সেদিন বহুগুণ শক্তিশালী ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সম্মিলিত শত্রুবাহিনীকে আল্লাহর সাহায্যে রুখে দিয়েছিল, মদিনাকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। একজন মো’মেনের আত্মকেন্দ্রিক জীবনযাপন করার এবং শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই। একটি জাতির প্রত্যেক সদস্য যখন নিজের জীবন ও সম্পদ জাতির জন্য, মানবতার জন্য উৎসর্গ করে তখন ওই কোটি কোটি ব্যক্তির পুঞ্জীভূত জীবন ও সম্পদের দ্বারা একটি বিরাট শক্তিতে পরিণত হয়। সামরিক শক্তি ও অর্থনৈতিক শক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে সেই জাতিটি পরিণত হয় পরাশক্তিতে। তাদের শক্তির সামনে পৃথিবীর অপর কোনো শক্তি আধিপত্য বিস্তার করতে পারে না। আর এজন্যই আল্লাহ মো’মেনের সংজ্ঞাতেই জীবন ও সম্পদ দিয়ে সংগ্রাম করাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং তাদেরকে পৃথিবীর নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব ও শাসনক্ষমতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি দিয়েছেন পরকালে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি।
আমাদের রসুলে পাক (স.) এর উপাধী হচ্ছে ‘রহমাতালল্লিল আলামিন’, সমস্ত বিশ্ব জাহানের জন্য তিনি রহমতস্বরূপ। পৃথিবীতে তার আগমনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে সমস্ত পৃথিবীতে ন্যায়, সুবিচার, শান্তি, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা। আর এ কাজকে সম্পূর্ণ করার জন্যই তিনি গড়ে তুলেছিলেন উম্মতে মোহাম্মদী নামক এক মহাজাতি। আজ আমরা নিজেদেরকে সেই জাতি বলে বিশ্বাস করি। অথচ পৃথিবীতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা আমাদের নিজেদের জীবনের নিরাপত্তাই নেই। আমাদের নিজেদের সমাজই আজকে পৃথিবীতে সবচেয়ে অন্যায়-অশান্তিতে নিমজ্জিত। আমরা আজকে অপরাপার সমস্ত জাতির দ্বারা মার খাচ্ছি। আমাদের মা-বোনেরা ধর্ষিত হচ্ছে। আমাদের শিশু-সন্তানদের বুটের তলায় পিষ্ট করে হত্যা করা হচ্ছে। আমাদের ভূখণ্ডগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ন্যায় ও সত্যের পক্ষে ইস্পাতকঠিন ঐক্যবদ্ধ জাতিসত্তা গড়ে তুলতে হবে। আমাদের অবস্থান হবে সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই অন্যায় যেই করুক, তার ধর্ম-বর্ণ-জাত-পরিচয় যাই হোক, আমরা তা দেখবো না। আমরা হবো ন্যায়ের সৈনিক, আমরা হবো নিঃস্বার্থ, মানবতার কল্যাণে নিবেদিত। পৃথিবীতে আজ ধর্মের নামে যে অধর্ম চলছে, মানবতার নামে যে প্রদর্শন ও প্রতারণা চলছে, সন্ত্রাস দমনের নামে যে মানবতাবিধ্বংসী যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমরা তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবো। এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব, এটাই ধর্মের মূল শিক্ষা।
পাশাপাশি এতবড় সংকট থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হলে আমাদেরকে দেশপ্রেমের চেতনায়ও উদ্বুদ্ধ হতে হবে। এ দেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। এ দেশের আলো বাতাস গায়ে মেখে আমরা বড় হয়েছি, এই ভ‚মির ফল-ফসলে আমরা পুষ্ট হয়েছি। এ মাটিতে আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের স্বপ্নের বীজ বোনে। এই মাটিতেই মিশে আছে আমাদের পূর্বপুরুষদের অস্থিমজ্জা। তাদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আমাদের এ দেশেও যদি অন্য বহু মুসলিম ভূখণ্ডের মতো ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, এখানেও যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না। আমরা লাখে লাখে মরবো, আমাদের মা-বোন ধর্ষিত হবে, যারা বেঁচে থাকবে তাদের আশ্রয় হবে উদ্বাস্তু শিবিরে। আমাদের ধর্মীয়-রাজনৈতিক পরিচয়, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিকাজ কোনো কিছুই থাকবে না। আমাদের মসজিদ-মন্দির সবই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে। তখন না রক্ষা পাবে আমাদের জীবন, না রক্ষা পাবে আমাদের ধর্ম। যারা আজকে উদ্বাস্তু হয়েছে, তাদের মসজিদও নেই, মন্দিরও নেই, গির্জাও নেই। তাদের ধন-সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি, ইজ্জত-সম্মান, ধর্ম কোনোটাই রক্ষা পায় নি। তাদের আজকে সবার একটাই পরিচয়, তারা উদ্বাস্তু। বিশ্ব আজ চরম অস্থির পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যে কোনো সময় বেধে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। কিংবা যে কোনো সময় হামলা হতে পারে যে কোনো দেশে। বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো রয়েছে চরম অনিশ্চয়তায়। এই অনিশ্চয়তা থেকে যদি আমরা পরিত্রাণ চাই, নিজেদের ভবিষ্যতকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিকতা ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই ঐক্যের ডাকই দিয়ে যাচ্ছে হেযবুত তওহীদ।
রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা। এতদিন সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে যা ঘটেছে তা ছিল বহু দূরের সংবাদ। এ ভেবে আমরা আস্বস্ত থেকেছি। কিন্তু আজকে যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তা আমাদের সীমানার অদূরে। আর এর সাথে প্রত্যক্ষভাবে আমরাও জড়িয়ে যাচ্ছি। সুতরাং আমাদের কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। আজ দশ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমের উপর যে অবর্ণনীয় দুর্দশা নেমে এসেছে তার পরিত্রাণে যেমন কেউ এগিয়ে আসছে না, আগামীকাল দশ কোটি বাঙ্গালি মুসলিমের উপর সেই একই দুর্দশা নেমে আসলেও কেউ এগিয়ে আসবে না। জাতিসংঘ হয়তো একটু নিন্দা করবে, উদ্বাস্তুর সংখ্যা, নিহতের সংখ্যা গণনা করবে, কোনো কোনো দেশ বিবৃতি দেবে, ব্যস। এটাই হয়ে আসছে বিগত কয়েক দশক ধরে। অবশ্য আমরা যে উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নেব সেই সুযোগই বা কতটুকু আছে? আমাদের একদিকে অথৈ সমুদ্র, আর তিনদিকে দুর্ভেদ্য কাঁটাতারের প্রাচীর। জায়গায় জায়গায় মাইন পুঁতে রাখা। প্রহরী প্রস্তুত মেশিনগান নিয়ে। সুতরাং আমরা এভাবে নিশ্চিন্তে দিন পার করে দিতে পারি না। যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় আমাদেরকে পূর্ণ সচেতন থাকতে হবে, হতে হবে ঐক্যবদ্ধ। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি তাহলে আমাদের কারো সহায়তার মুখাপেক্ষী হয়ে বেঁচে থাকতে হবে না। আমাদের আছে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ, সোনা ফলানো মাটি, বিরাট জনশক্তি আর প্রচণ্ড মেধাবী কোটি কোটি তরুণ। আমরা যদি কেবল ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, কেবল এই একটি শর্ত পূরণ করতে পারি তবেই আমরা ইনশাল্লাহ যে কোনো আগ্রাসনকে রুখে দিতে পারব।
(লেখক: সাধারণ সম্পাদক, হেযবুত তওহীদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব)