ভারতবর্ষ মানব ইতিহাসের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেই প্রাচীনকাল থেকেই এ ভারতবর্ষে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী বসবাস করে আসছে। শিকারি জীবন যাপন থেকে শুরু করে মৎস্য, কৃষি ইত্যাদি ছিল এ অঞ্চলের মানুষের জীবনধারণের প্রধান উপকরণ। পদ্মা-মেঘনা-গৌরী, ভাগীরথী, ব্রহ্মপুত্র ও সিন্ধু নদীর অববাহিকায় বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী আবহমান কাল ধরে বসবাস করে আসছে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী হাজার হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসলেও তাদের মাঝে ছিল ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, পরস্পরের প্রতি মায়া মমতা ভালবাসা আর দুঃখ কষ্ট ভাগাভাগি করার জীবন্ত উদাহরণ। রাজ্য শাসন নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও কখনোই ভারতবর্ষের জাতিগোষ্ঠী ধর্ম কিংবা গোত্র নিয়ে হানাহানি করেনি। পৃথিবীতে যতগুলো সভ্যতার জন্ম হয়েছিল তার মধ্যে ভারতবর্ষ ছিল অন্যতম। বংশানুক্রমিক শাসন যেমন পাল বংশ, সেন বংশ, মুসলিম শাসনামলে কখনোই ধর্মীয় দাঙ্গা কিংবা বিদ্বেষ সৃষ্টি হয় নি। সর্বশেষ ব্রিটিশ শাসনামলের মধ্য দিয়ে এই ভারতবর্ষের হাজার হাজার বছরের যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, সহমর্মিতা, অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীলতা সব নিমেষেই মলিন হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে ধর্মের নামে হানাহানি আর বিদ্বেষ। যার ফলে শুরু হয়েছে ধর্মীয় দাঙ্গা, এতে ব্রিটিশ যুগের শেষ দিকে প্রায় ১ কোটি মানব সন্তান নিহত হয়েছে যারা কেউ ছিল হিন্দু আর কেউ ছিল মুসলিম। এদের অনেককেই শ্মশান কিংবা কবরে দেওয়া সম্ভব হয় নি। ১৯৪৭ সালের পর যখন ব্রিটিশরা তাদের সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশগুলোকে বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশকে তথাকথিত স্বাধীনতা দিয়ে চলে যায় তখনই শুরু হয়েছে ধর্মের নামে রাষ্ট্রীয় শত্রুতা, পাকিস্তান-ভারত-বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপক চর্চা। যার পরিণাম শত শত ধর্মীয় দাঙ্গা। সেই হানাহানি আর বিভেদেরই ফলাফল আজকের এই প্রশ্ন? ভারতবর্ষ আসলে কাদের? হিন্দু নাকি মুসলিমদের? সম্প্রতি এনআরসি আর ক্যাব এর বিষয়গুলো এখন ভারতের প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।এ বিষয়টি যদি পরিষ্কার করতে হয় তাহলে শুরুতেই আমাদেরকে মূলে চলে যেতে হবে। কোথা থেকে আমাদের পথ চলা শুরু হয়েছিল।
এই ‘হিন্দু’ শব্দটা কোথা থেকে আসলো সেটা আগে আমাদের জানা দরকার। এই ভারতীয় এলাকায় হিন্দু বলতে কোনো জাতির নাম বা এমন কোনো শব্দ ছিল না। সিন্ধু নদীর অববাহিকায় যারা বসবাস করে তারাই হচ্ছে হিন্দু। এই সিন্ধু থেকে হিন্দু শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। এই নামটা পারসিকরা এবং আরবরাও ব্যবহার করতো। কিন্তু ধর্ম পরিচয়ে এখানে হিন্দু কোনো নাম নেই, যেটা আছে সেটা হচ্ছে সনাতন যার অর্থ চিরন্তন, শাশ্বত, চিরসত্য, যা আগে ছিল এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ইসলামের ধারণা মোতাবেক যুগে যুগে প্রত্যেকটা অঞ্চলে নবী এসেছেন। সে হিসেবে এই ভারতবর্ষেও নবী রসুল এসেছেন। কাজেই এই সনাতন ধর্মের অনুসারীরাই ভারতবর্ষের আদি অধিবাসী। প্রকৃত সত্য হলো, নবী-রসুলগণ আল্লাহর দীনের পতাকাতলেই মানুষকে ডাকেন, ঐক্যবদ্ধ করেন। ভারতবর্ষে প্রাচীনকালে যে নবী-রসুলগণ এসেছেন তারাও আল্লাহর দীনকেই সমুন্নত করেছেন, প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যারা তাদের অনুসারী তাদেরকে বিধর্মী, অমুসলিম, কাফের বলার কোনো সুযোগ নেই। পরবর্তীতে সব ধর্ম, দীনই পুরোহিত ও ধর্মব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিকৃত হয়ে গেছে, ফলে জাতিও পথ হারিয়েছে। তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আবার এসেছেন নতুন নবী। সকল নবীর আনীত দীন তো একই দীন- ইসলাম, সুতরাং সকল নবীর উম্মতই মুসলিম। যখন তাদের দীন বিকৃত হয়ে গেছে তখন তাদেরকে আমরা হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, ইহুদি, জৈন, পারসি ইত্যাদি বহুনামে চিনে থাকলেও আদিতে সকলেই এক আল্লাহর পাঠানো দীনেরই অনুসারী।
যখন নবী-রসুল আসার ধারাবাহিকতায় শেষ নবী মক্কায় যে আদর্শ নিয়ে আসলেন সেটাও ইসলাম। সেই আদর্শ নিয়ে মো’মেনরা যখন দুনিয়াতে বেরিয়ে পড়লেন তখন তাদের সঙ্গে অর্ধ পৃথিবীর রাজা-বাদশাহরা সামরিক সংঘর্ষে টিকতে পারে নি। এভাবে রাজনৈতিক ও নির্বাহী ক্ষমতা লাভ করে মুসলিমরা আর হাজার-হাজার মানুষ এই সুমহান আদর্শের মাহাত্ম্য দেখে, সুবিচার দেখে স্বেচ্ছায় সেই আদর্শকে গ্রহণ করে নিয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে কোনো মানুষকেই জোর করে ধর্মান্তরিত করা ইসলামের মূলনীতিবিরুদ্ধ। সেই হিসেবে ভারতবর্ষে যখন ইসলামের আগমন হয়েছে তখন লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই ইসলামকে আলিঙ্গন করে নিয়েছেন। সুলতানি আমলের সুলতানরা এই এলাকায় এসেছেন ইসলাম নিয়ে। তাঁদের শাসনে ন্যায়বিচার, সুবিচার, সাম্য, মানবধিকার দেখে তখন লক্ষ লক্ষ মানুষ ইসলামে দাখিল হয়েছে। এখন এই ভারতবর্ষে যারা ইসলাম নেননি তারা হিন্দু অর্থাৎ সনাতন ধর্মে রয়ে গিয়েছে। ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক মানুষে মানুষে এবং ধর্মে-বর্ণে কোনো বৈষম্য ছিল না। মানুষের মূল্যায়নের একমাত্র মাপকাঠি ছিল তার চরিত্র। এজন্য আল্লাহও কোর’আনে বলে দিয়েছেন, “আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠ সেই ব্যক্তি যে মুত্তাকি” (সুরা হুজুরাত, ১৩)। মুত্তাকি হলো তারা যারা ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্য থেকে ন্যায়ের পন্থা অবলম্বন করেছেন।
এজন্য মানুষের ইতিহাসটাই মূলত ন্যায়-অন্যায় এবং হক-বাতিলের সংঘাতের ইতিহাস, একদিকে ধর্ম অন্যদিকে অধর্ম। মানুষের উচিত হলো ন্যায় এবং সত্যের পন্থা অবলম্বন করে সত্যের ধারক হওয়া, অন্যায়ের বিরোধিতা করা। যখনই মানবসমাজে অন্যায়ের বিস্তার ঘটে, সমস্ত মানুষ যখন অন্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করে, সেখানে আর কোনো ধর্ম পরিচয় এবং জাতপাতের মূল্য থাকে না। ঐ সমাজে মন্দির-মসজিদ, গির্জা-প্যাগোডা, পুরোহিত, আলেম-ওলামা, পীর-ঠাকুর কারো ব্যক্তিগত পূজা-সাধনা, ধ্যান-ধারণা, নামায-রোযা, প্রার্থনা কোনো কিছুর-ই কোনো মূল্য থাকে না। আল্লাহ চান মানুষ যেন ন্যায়ের পূজা করে, সত্যকে ধারণ করে। যখন এই বর্ণবাদী আচরণ শুরু হয়ে গেল তখন এই অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল।
যারা বৈদিক ধর্ম বিশ্বাস করেন, যারা বেদকে বিশ্বাস করেন তারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন এই ভারতবর্ষে শ্রীকৃষ্ণ এসেছেন, যাঁকে অনেকে বলেন অবতার, অনেকে বলেন ভগবান, আবার অনেকে অশ্লীল ভাষায় তাঁকে গালিগালাজও করেন। বিখ্যাত ব্যক্তিদের গালি দেওয়াটা ঈর্ষান্বিত অসফল ব্যক্তির স্বাভাবিক প্রবণতা। যারা সনাতন ধর্মের অনুসারী তারা বিশ্বাস করেন যে, এখানে একটা মহাযুদ্ধ হয়েছিল, এ যুদ্ধের নাম ‘কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ’। সেখানে যে লড়াই হয়েছিল সেটা ছিল ধর্ম-অধর্মের লড়াই। সেই যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল পুরো ভারতবর্ষকে ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করা, একটি শান্তিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আসা। গীতার ভাষায় এ বিষয়টি বিবৃত হয়েছে এভাবে,
পরিত্রাণায়ঃ সাধুনাম/ বিনাশায়ঃ চ দুষ্কৃতাম/ ধর্ম সংস্থাপনার্থায়ঃ সম্ভবামি যুগে যুগে।
অর্থাৎ দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের জন্য, ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য আমি যুগে যুগে আসি।
তাহলে এখন ভারতে কে হিন্দু, কে মুসলিম সেদিকে তাকানোর প্রশ্নই আসে না। ন্যায়-অন্যায়ের তুলাদণ্ডে পুরো ভারতবর্ষে এখন অন্যায় বিজয়ী। সেখানে চলছে দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার, দরিদ্রের ওপর ধনীর বঞ্চনা, রাজনীতির নামে ধান্দাবাজি, ধর্মের নামে ব্যবসা। এখানে ন্যায়ের কোন চিহ্ন নেই, ন্যায়নীতিবান মানুষকে আজ কথা বলতেও হাজারবার চিন্তা করতে হয়। কি হিন্দু, কী মুসলমান, কি খ্রিষ্টান – সারা দুনিয়া আজ ভয়াবহ অন্যায় অশান্তির বিজয়পতাকা উড়ছে। এ অন্যায় হ্রাসের কোনো সম্ভাবনা নেই বরং দিন দিন তা বেড়ে চলেছে ধাঁই ধাঁই করে। আগুনের লেলিহান শিখা যেমন মুহূর্তেই শুকনো কাঠকে গ্রাস করে ফেলে ঠিক তেমনি মিথ্যা আজ পুরো দুনিয়াকে গ্রাস করে ফেলেছে। ভারতে হিন্দুরা এখন রাজনীতিতে হিন্দুত্ববাদ ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাচ্ছেন। সাধারণ হিন্দু ধর্মালম্বী জনগণকে বোঝাচ্ছেন যে, আমরা মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি, আমাদেরকে ভোট দাও, আমরা হিন্দু ধর্ম প্রতিষ্ঠা করবো, রামরাজত্ব ফিরে আসবে। কিন্তু মোটেও তা নয়, আসলে ধর্মের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। নানা ধরনের ইস্যু সৃষ্টি করে মুসলমানদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে। মুসলমানকে বলির পাঠা বানিয়ে ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো সমৃদ্ধ দেশগুলোকে ধ্বংশ করেছে সাম্রাজ্যবাদী দাজ্জালীয় দেশগুলি। আর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি পাকিস্তানেও হচ্ছে, বাংলাদেশেও আমরা বিগত বছরগুলোতে তা দেখে এসেছি। আমাদের কথা হচ্ছে- এই ভারতবর্ষটা আসলে হিন্দুরও নয়, মুসলিমেরও নয়, বৌদ্ধেরও নয় – মানবজাতির হওয়া উচিত, সত্যের পাদপীঠ হওয়া উচিত, ন্যায়ের ভূমি হওয়া উচিত। আর এই ন্যায়ের দণ্ড ধারণ করার জন্য সত্যনিষ্ঠ মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। আর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্যই চিরন্তন, শাশ্বত, চিরসত্য যে বাণী তওহীদ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, স্রষ্টার বিধান ছাড়া আর কারো বিধান মানবো না। সেই শাশ্বত বাণীর ভিত্তিতে মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে হেযবুত তওহীদ।
আমরা মুসলমানরা আজ বিকৃত হয়ে যাওয়া ইসলাম ও সর্বপ্রকার অন্যায়ের ধারক-বাহক হয়ে আছি, আর হিন্দুরা তো সেই হাজার বছর আগেই সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্যায় ব্যবস্থায় বসবাস করছে। মানবজাতির জীবন পরিচালনার জন্য সহজ সরল পথ দিয়ে সর্বশেষে আল্লাহ মহানবীকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি ও তাঁর জাতি লড়াই করে, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করে অর্ধ পৃথিবীতে শান্তি ন্যায় সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার পর আমরা সেটা ত্যাগ করেছি। কাজেই প্রকৃতপক্ষে এই মাটি, এই পানি, এই বাতাস ভোগ করার অধিকার আমাদের কারোই নেই, কারণ আমরা প্রত্যেকেই অন্যায়ের উপর দণ্ডায়মান। কাজেই এখানে একটা ধর্ম-অধর্ম এবং ন্যায়-অন্যায়ের লড়াই অবশ্যম্ভাবী। এই লড়াইয়ে ন্যায় বিজয়ী হলেই এই ভারতভূমির হিন্দু, মুসলমান, জৈন, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সবাই সবার অধিকার ফিরে পাবে।
সুতরাং এই ভারতবর্ষ হিন্দুরও না মুসলমানেরও না, এই ভারতবর্ষ হলো আল্লাহর। আল্লাহ এই সমগ্র মানবজাতিকে তা আমানতস্বরূপ দিয়েছেন। আমরা যারা মুসলমান, আমাদের কর্তব্য হচ্ছে এই তওহীদ, হক, সত্য দিয়ে মানবজাতিকে পরিচালিত করা, এটা করতে পারলেই মানুষ মুক্তি পাবে। যদি আমরা সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে পারি তাহলে আল্লাহর সাহায্য আসবে, সকল মানুষ অধিকার ফিরে পাবে। আর না হলে হিন্দু-মুসলমানের এই শতবর্ষী দাঙ্গা অনর্থক। আমরা হেযবুত তওহীদ আন্দোলন, আমাদের পরিষ্কার দাবি হচ্ছে আমরা পুরো মানবজাতিকে সত্য দিয়ে পরিচালিত করতে চাই, আমরা সত্য-হক নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা মনে করি, রসুল (স.) আমাদেরকে যে আদর্শ দিয়ে গেলেন আমরা বর্তমানে যারা মুসলমান দাবি করছি সেই আদর্শকে প্রত্যাখান করেছি, সেই তওহীদ ত্যাগ করেছি। ফলে মুসলমানরা নিজেরাও বঞ্চিত হয়েছে এবং যে দীন তাদেরকে আল্লাহ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দিয়েছেন সেটা প্রতিষ্ঠা না করার কারণে দাজ্জালীয় সভ্যাতার জন্ম হয়েছে, ফলে অন্য জাতিও বঞ্চিত হয়েছে। এখন হেযবুত তওহীদ আন্দোলন শেষ নবীর আদর্শ কাঁধে তুলে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি যদি আমরা তওহীদের উপর ঐক্যবদ্ধ হতে পারি তাহলে এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, এই অশান্তি-হানাহানি, এই যুদ্ধ-রক্তপাত বন্ধ হয়ে ন্যায়-সুবিচার প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাল্লাহ।