বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বৈশ্বিক সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের করণীয়
ছাত্রদের জীবনের উদ্দেশ্য নির্ধারণ
বর্তমানে যারা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে তারা নিজেদের জীবনের একটা উদ্দেশ্য ঠিক করে নেয়। তাদের সমস্ত ধ্যান-জ্ঞান কেবল পেশাগত ক্যারিয়ারের প্রতি। ক্যারিয়ারই তাদের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ছোটবেলা থেকেই আমাদের রচনা পড়ানো হয় The Aim in Life, আমার জীবনের লক্ষ্য। ছাত্রদের জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কেউ বলে আমি ডাক্তার হবো, কেউ বলে আমি ইঞ্জিনিয়ার হবো, কেউ বলে আমি প্রফেসর হবো, সরকারি কর্মকর্তা হবো, ব্যাংকার হবো ইত্যাদি। জীবনের উদ্দেশ্যকে এমন ক্যারিয়ার-কেন্দ্রিক করে ফেলার কারণ বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। আসলে একটি পেশা কখনোই মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য হতে পারে না। ছাত্রছাত্রীরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যা-ই হোক না কেন তাদের একটি বুনিয়াদি বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে। সেটা হলো পৃথিবীতে একজন মানুষের আগমনের একটি মুখ্য উদ্দেশ্য রয়েছে। তাকে স্রষ্টা মহা-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, উদ্দেশ্যহীনভাবে সৃষ্টি করেননি। মানুষের জীবনের সেই উদ্দেশ্যটি হচ্ছে দুনিয়াতে আল্লাহর খেলাফত করা বা প্রতিনিধিত্ব করা, এটাই মানুষের মূল এবাদত, মুখ্য কর্তব্য। আল্লাহ মানুষকে নিজের রুহ্ থেকে ফুঁকে দিয়ে শক্তিশালী করেছেন, মহিমান্বিত করেছেন, যেন মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে দেওয়া পাওয়ার অব আ্যটর্নি বা আইনসম্মত প্রতিনিধি নিয়োগের ঘোষণা। অর্থাৎ মানুষ হিসাবে ছাত্রছাত্রীদেরও জীবনে উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর খেলাফত করা। যে আল্লাহর খেলাফত করবে না তার পুরো জীবনটাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে, তার পেশাগত ক্যারিয়ার যত সফলই হোক না কেন।
আল্লাহর খেলাফত কীভাবে করবে?
আল্লাহর খেলাফত করার জন্য আল্লাহ হুকুম-বিধান পাঠিয়েছেন। সেই আইন-কানুন, হুকুম-বিধান মেনে নেওয়ার অঙ্গীকারই হলো তওহীদ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। একজন শিক্ষার্থী তার জীবনে আল্লাহর দেওয়া ন্যায়-অন্যায়, বৈধ-অবৈধ, জায়েজ-নাজায়েজের মানদণ্ডের বাহিরে যাবে না; এভাবে সে দুনিয়াতে আল্লাহর খেলাফত বা প্রতিনিধিত্ব করবে। এই খেলাফতের উদ্দেশ্য হলো, এর মাধ্যমে সমাজে শান্তি, সুবিচার, ন্যায় থাকবে এবং অন্যায়, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, জুলুম, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার ইত্যাদির অবসান ঘটবে। এই কাজটি যারা করবে তাদের জন্য পরকালে রয়েছে জান্নাত। মানুষ পৃথিবীতে পেশাগতভাবে যে কাজই করুক না কেন তাকে সর্বদা মনে রাখতে হবে, তার একজন স্রষ্টা রয়েছে সেই স্রষ্টার আনুগত্য করা তার কর্তব্য। পুঁথিগত শিক্ষালাভ করে কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারলেই সফল নয়। প্রকৃত সফলতা হবে তখন, যদি সেই ডাক্তার মোমেন ডাক্তার হয়, মোমেন ইঞ্জিনিয়ার হয়, মোমেন ব্যবসায়ী, মোমেন শিক্ষক ইত্যাদি।
আল্লাহ এককভাবে মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দেননি, প্রতিপক্ষ হিসেবে ইবলিশকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য। ইবলিশ সার্বক্ষণিক চেষ্টা করে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার, যেন মানুষ আল্লাহর খেলাফত করতে না পারে। মানুষ যদি ইবলিশের আনুগত্য করে তাহলে সে অশান্তি ও অন্যায়ের মধ্যে নিমজ্জিত হবে, পরকালে জাহান্নামে যাবে। মানবজন্মের এই বুনিয়াদি কথাগুলো সকল শিক্ষার্থীর হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। তাদের শিখতে হবে কোনটা ন্যায়-কোনটা অন্যায়, কোনটা উচিত-কোনটা অনুচিত, কোনটা সত্য-কোনটা মিথ্যা। আর সেই প্রকৃত শিক্ষা নিয়েই দাঁড়িয়েছে হেযবুত তওহীদ। এই শিক্ষা ব্যতীত যত শিক্ষাই শিক্ষার্থীরা অর্জন করুক না কেন, সেটা হয়ে যাবে একপেশে ভারসাম্যহীন শিক্ষা, কেবল বস্তুবাদী দুনিয়াবি শিক্ষা, যে শিক্ষা দিয়ে শান্তি আসবে না।
শিক্ষাব্যবস্থায় পশ্চিমা দর্শনের প্রভাব
আজকে পশ্চিমা সভ্যতা দ্বারা আমরা শাসিত এবং শোষিত হচ্ছি। আমরা পশ্চিমা সভ্যতাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছি। তারা তাদের জীবন দর্শনের অনুরূপ জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি, জীবন দর্শন আমাদের শিখিয়েছে, দেখিয়েছে। পশ্চিমা সভ্যতা আল্লাহহীন, স্রষ্টাহীন, নাস্তিকতাবাদী একটা সভ্যতার জন্ম দিয়েছে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও দর্শন অনুযায়ী পরকাল বলতে কিছু নেই, আল্লাহর রসুল বলতে কিছু নেই। কোর’আন, আসমানি কেতাব এসব তাদের নিকট কোনো বিশ্বাসের ব্যাপার নয়। তাদের মতে দুনিয়ার সব ধর্মগ্রন্থ হলো বানানো, মানুষের তৈরি কেচ্ছা-কাহিনী, পৌরাণিক কাহিনী (গুঃয) ছাড়া কিছু নয়। এসব ধর্মগ্রন্থ, ধর্মের বাণী, নীতিকথা, উপদেশ আজকাল আর চলে না। আধুনিক যুগ হলো জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তির যুগ, মুক্তচিন্তা-গবেষণার যুগ, যুক্তির যুগ। এই পশ্চিমা ‘সভ্যতা’ দ্বারা আমরা সামরিকভাবে পরাজিত হওয়ার ফলস্বরূপ তাদের জীবন-দর্শন ও শিক্ষা আমাদের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষিত সমাজ মনে-মগজে পশ্চিমা ‘সভ্যতা’র আত্মাহীন জড়বাদী দর্শন ও ভাবধারা গেড়ে বসেছে। অনেকেই ছাত্র রাজনীতির ক্রীড়নকে পরিণত হয়ে জাতিবিনাশী কর্মকাÐে লিপ্ত হচ্ছে। এভাবে একজন মানুষ মহা শিক্ষিত হচ্ছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে সে স্বার্থের জন্য এমন কোনো কাজ নেই করতে পারে না। ডাক্তাররা রোগীর অসহায়ত্বকে পুঁজি করে বাণিজ্য করছে, উচ্চশিক্ষিত সরকারি কর্মকর্তারা ঘুষ ও দুর্নীতিতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছেন, রাজনৈতিক নেতারা জনগণের সম্পদ লুটপাটকে নিজেদের অধিকার মনে করছেন। বস্তুবাদী শিক্ষা তাদেরকে এ সকল অপরাধ থেকে ফেরাতে পারেনি।
প্রকৃত জ্ঞানার্জনের ধাপসমূহ
যারা পশ্চিমা সভ্যতার বস্তুবাদী দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ক্যারিয়ারকেই জীবনের মূল উদ্দেশ্য হিসেবে ভেবে নিয়েছেন সেসব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিচে শিক্ষার বা জ্ঞানের চারটা স্তর উপস্থাপন করা হলো:-
১. একজন মানুষের প্রথম কর্তব্য হলো নিজের সম্পর্কে জানা। সক্রেটিস বলতেন Know thyself- নিজেকে জান, তুমি কে। তুমি এখানে ছিলে না, কোথা থেকে তুমি এসেছ? আবার কোথায় তুমি যাবে? এখানে একজন মানুষ হিসাবে তোমার কী কাজ, কী কর্তব্য? প্রথমে নিজের সত্তাকে জান, তাহলেই নিজের কর্তব্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ হবে। এটাই জ্ঞান অর্জনের প্রথম ধাপ।
২. নিজেকে জানার পর কর্তব্য হলো নিজের স্রষ্টা সম্পর্কে জানা। সৃষ্টিকর্তা, তিনি কে? তাঁর সিফত কী? তাঁর ক্ষমতা কীরূপ? তিনি তোমার কাছে কী চান?
৩. জ্ঞানের তৃতীয় ধাপ হলো স্রষ্টার সৃষ্টি সম্পর্কে জানা। সমগ্র সৃষ্টিজগৎ, কঠিন-তরল-বায়োবীয়, বস্তু-অবস্তু, পাহাড়-পর্বত, গ্রহ-নক্ষত্র, মহাবিশ্ব, মহাকাশ সবকিছু সম্পর্কে জ্ঞান। কোনো বস্তু বা বিষয় সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞানই বিজ্ঞান। জ্ঞানের এই তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ বাস্তব জ্ঞান শেখার উদ্দেশ্য হল এই জ্ঞান জাগতিক জীবন যাপনের জন্য সহায়ক। সৃষ্টিজগতের বিভিন্ন বস্তু ও অবস্তুর পারস্পরিক সম্পর্ক, ব্যবহার, উপকারিতা-অপকারিতা ইত্যাদি জানা।
৪. জ্ঞানের চতুর্থ অংশ হলো ন্যায়-অন্যায়, বৈধ-অবৈধ, ভালো-মন্দ, সত্য-অসত্যের জ্ঞান। কোনটা উচিত, কোনটা অনুচিত, কোনটা কর্তব্য, কোনটা পরিত্যাজ্য, কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ, কোনটা ডান, কোনটা বাম, কোনটা মানবতার জন্য কল্যাণকর কোনটা ক্ষতিকর ইত্যাদি জানা।
জ্ঞানার্জনের মূলত এই চারটা বিষয় বা চারটা ধাপ।
শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করবে ভবিষ্যৎ বিশকে
প্রত্যেকটা রাষ্ট্র পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করে রাষ্ট্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের অনুক‚লে নাগরিকদের তৈরি করার জন্য। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি প্রতিষ্ঠিত ‘সভ্যতা’র অনুক‚লে তৈরি হবেন নাকি আল্লাহর প্রত্যাশার অনুক‚লে তৈরি হবেন, তা আপনার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। আপনাকে আগে জানতে হবে আপনাকে নিয়ে আল্লাহর চাওয়া কী? সরকারের পরিকল্পনার বিষয়টি অন্য প্রসঙ্গ। আমরা জানি আপনাদের মেধা আছে, অনেক জটিল জটিল বিষয়গুলোও আপনারা সমাধান করেন। আপনারাই আগামী দিনে জাতিকে নেতৃত্ব দিবেন। বিশ্বের পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। বিশ্ব এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। বর্তমান বিশ্বের প্রতিটা রাষ্ট্রের নাগরিকরা করের চাপে পিষ্ট হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠে গেছে সাধারণ মানুষের। মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। এছাড়াও রয়েছে পারমণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা। প্রতিটা রাষ্ট্রে আইন অমান্য করার হিড়িক, পারিবারিক সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, চুরি-ডাকাতি, খুন-রাহাজানি, খাদ্যে ভেজাল, ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ পাচার মহামারি আকার ধারণ করেছে। আগামীতে মানবাধিকার লঙ্ঘন আরও বাড়বে, চুরি-ডাকাতি বাড়বে, খুন-রাহাজানি আরও বাড়বে বৈ কমবে না। এখন আপনি শিক্ষিত মানুষ হয়ে শিক্ষা অর্জন করে, ভলিউম ভলিউম বই পড়ে কি বড় ঘুষখোর হবেন, অর্থ পাচারকারী হবেন, জালেম হবেন, রক্ত চোষা হবেন, খাদ্যে ও ঔষধে ভেজাল দিবেন, জাল সার্টিফিকেট তৈরি করবেন, মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ রাজনীতিবিদ হবেন, নাকি মানবতার কল্যাণকামী হবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে। কিন্তু প্রচলিত শিক্ষা আপনাকে আত্মাহীন দানবে পরিণত করবে, স্বার্থের পেছনেই ছোটাবে- আপনার মনুষ্যত্বকে কখনোই বিকশিত করবে না। কারণ এই শিক্ষার গোড়াতেই রয়েছে স্বার্থের মন্ত্র – লেখাপড়া করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে।
তরুণদের সামনে আদর্শের সংকট
একজন মানুষের পরিবর্তনের জন্য লাগে একটি আদর্শ। সেই আদর্শটা অবশ্যই হতে হবে আল্লাহর দেওয়া আদর্শ। আমরা হেযবুত তওহীদ সেই আদর্শের কথা বলছি। কেবল আদর্শ বা থিওরি থাকলেই হবে না, আরো লাগবে একটি অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। আজকে তরুণদের সামনে অনুসরণ করার মতো কোনো আইডল নেই, সেই আদর্শ ব্যক্তিত্ব নেই। তারা নানানভাবে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। তারা কোনো ক্রিকেটার, সিনেমার নায়ক, নায়িকাকে নিয়ে হুজুগে মেতে থাকে, তাদেরকেই অনুসরণ করতে থাকে। অথচ এদের অধিকাংশরই ব্যক্তিগত জীবনের নোংরা নোংরা কাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটি কোটি ভিউ হয়। এদের কোনো আদর্শ নেই। তবে কি ধর্মগুরুরা আদর্শ হবে! তারা তো নিজেরাই ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করছে। স্বার্থের জন্য ক্ষমতাবানের অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে আছে। তাদের কাছে জাতির জন্য দিকনির্দেশনামূলক কোনো বার্তাও নেই, তারা আছে কেবল ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি মাসলা-মাসায়েল আর দোয়া-কালাম নিয়ে। সুতরাং, তারাও কোনো আদর্শ দিতে পারবে না। হেযবুত তওহীদ শিক্ষার্থীদের সামনে সেই ভারসাম্যপূর্ণ আদর্শ ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব উভয়ই উপস্থাপন করছে।
শিক্ষার্থীদের নিকট আমাদের প্রস্তাব
শিক্ষার্থীদের সামনে আমাদের বক্তব্য এই যে, আগামী দিনে বিশ্ব আরও সংকটাপন্ন হবে। আমরা যদি এখন ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ হতে পারি একটা কথার উপরে যে, আমরা আল্লাহর দেওয়া বিধান ছাড়া আর কারও বিধান মানবো না, আমরা চ্যালেঞ্জ দিতে পারি যে আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে কেবল বাংলাদেশ নয়, সভ্যতায়-চরিত্রে, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, ঐক্য ও শৃঙ্খলায়, প্রযুক্তি ও আবিষ্কারে, এক কথায় সকল ক্ষেত্রে দুনিয়াকে নেতৃত্ব দিবেন ইনশাল্লাহ। আজকের শিক্ষার্থীদের শুধু বইয়ের পাতা উঁই পোকার মতো খেলে হবে না। আপনার মেধা আছে, আপনি সরকারি কর্মকর্তা হতে পারবেন, রাজনীতিবিদ হতে পারবেন, কিন্তু দিনশেষে যদি অমানুষ ও অন্যায়কারী হন, আপনার মেধা যদি মানবতার কল্যাণে কাজে না লাগে তবে উঁই পোকার মতো বই খেয়ে কী লাভ! এখন সময় হয়েছে এই ত্তটিযুক্ত, বস্তুবাদী, ভারসাম্যহীন, ধর্মহীন, পশ্চিমাদের তৈরি অসভ্য জীবনব্যবস্থা পরিবর্তন করে একটি মানবতাবাদী, ন্যায়নিষ্ঠ এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা মানবজাতিকে উপহার দেওয়ার। আর এটাকে বাস্তবায়ন করতে পারে আজকের শিক্ষার্থীরাই। আমাদের এই আহবানে সাড়া দিয়ে আপনিও মানুষ হিসেবে আপনার জীবনের আসল লক্ষ্য খুঁজে পান এবং নতুন সভ্যতা বিনির্মাণের সংগ্রামে অংশ নিন- এই শুভকামনা।