আমরা এমন একটি দেশে বসবাস করছি যা বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার জন্য সংগ্রাম করছি। আমি এমন একটি সমাজের নারী যেখানে ৯০% লোক মুসলমান। যেখানে অসংখ্য সঙ্কটের মধ্যে অন্যতম হল, নারীদের প্রতি অসহযোগিতামূলক আচরণ। সেটা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও, আবার সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও। এখানে মনে করা হয় নারীরা সকল কাজের অযোগ্য, তাদের কোন যোগ্যতা নাই। শত শত বছর ধরে এখানে এই সামাজিক অবস্থা চলে এসেছে। কিছু দিন আগে বিবিসি তে মি টু নামক একটি প্রোগ্রামে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী শিল্পী তার সমস্যার কথা বলতে আসেন। সেখানে তিনি বলেন, “কী হবে সমস্যার কথা বলে? যদি জানতাম বললে সমস্যার সমাধান হবে, তাহলে বলতাম। কিন্তু এখন সমস্যার কথা বললে তো আমার জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।”
এভাবেই এ সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীরা অবহেলিত হয়ে আছে। এই প্রথম হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমাম এমামুযযামান জনাব মোহাম্মাদ বায়াজীদ খান পন্নীর মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নারীর প্রকৃত অধিকার ও প্রকৃত মর্যাদা কী। জানতে পারলাম অতীতেও আল্লাহর রসুলের সময়ে কিভাবে নারীরা মুক্তির জন্য, সমাজ পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম করেছে, জানতে পারলাম নারীরাও তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারে। মাননীয় এমামুযযামান যে সত্য আমাদের দিয়ে গেছেন, হেযবুত তওহীদের সদস্যরাই হলেন সেই সত্যের সারথী, সত্যের সৈনিক। তারাই এ সত্যকে সকলের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সকলেই এ কাজ করতে গিয়ে অনেক অবহেলা, অপমানের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এতে আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই, কারণ এই অপমানের মধ্যেও অনেক আশার আলো রয়েছে।
আমরা হেযবুত তওহীদের মেয়েদের মধ্যে যারা বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক, সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাৎ করে হেযবুত তওহীদকে উপস্থাপন করেছি, আমরা দেখেছি কিছু কূপমণ্ডুকতা শ্রেণির মানুষের বিদ্রূপ ও কটাক্ষের সম্মুখীন হলেও বেশিরভাগ মুক্তমনা, সুশীল মানুষ আমাদের এই কাজের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন, আমাদেরকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তারা চান আমরা যেন এই কথা নিয়ে অনেকদূর এগিয়ে যাই। মাননীয় এমামের নেতৃত্বে আমরা মানবতাবোধের যে নব জাগরণ সৃষ্টির সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছি। আমরা যদি দৃঢ়পদ থাকি তবে আমরা হেযবুত তওহীদের প্রত্যেক নারীই হবো একেকজন বীরাঙ্গনা ইনশাল্লাহ্।