রিয়াদুল হাসান
এক বাবার তিন ছেলে। একজনকে দিয়েছেন সাধারণ সরকারি স্কুলে, একজনকে দিয়েছেন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। বংশে একজন আলেম থাকা দরকার তাই ছোট ছেলেকে দিয়েছেন মাদ্রাসায়। দেখা গেল পড়াশুনা শেষে তিন ছেলে হয়ে গেছে তিন রকম। তাদের স্বভাব চরিত্র তিনরকম, ভাষা তিন রকম, রুচি-অভিরুচি তিন রকম, জীবনের লক্ষ্য তিন রকম, তাদের মূল্যবোধ তিনরকম, ধর্ম-দেশ-মানুষ নিয়ে তিনরকম তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। একসঙ্গে থাকে কিন্তু তাদের মাঝখানে লক্ষ যোজন ফাঁক। যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা উঠলে তাদের তিনজন তিনরকম মত দেয়, শেষে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়, কোনো বিষয়েই একমত হতে পারে না। বাবা-মা কোনোভাবেই তাদেরকে বোঝাতে পারেন না যে তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা কতটা জরুরি। তারা বুঝতে পারেন এই সমস্যার পেছনে রয়েছে তাদের শিক্ষার বৈপরীত্য।
আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা বলা হয়ে থাকে। কারণ শিক্ষাজীবনের সূচনাতেই আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পৃথক পৃথক পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান শুরু করা হয়। যেমন আমাদের দেশে সাধারণ, মাদরাসা, ইংরেজিসহ নানা মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আছে সরকার পরিচালিত সাধারণ প্রাথমিক শিক্ষা। পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষার মধ্যে একটা হলো কওমি, আরেকটা আলিয়া। বিত্তশীলদের জন্য আছে ইংরেজি মাধ্যম। কোনো কোনো ইংরেজি মাধ্যম আবার বিদেশি শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে; যেমন অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে পৃথক পৃথক কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রম। আবার বাংলাদেশের ইংলিশ ভার্সনও চালু আছে।
এভাবে বহুমুখী শিক্ষার দ্বারা জাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি হচ্ছে যার সুদূরপ্রসারী কুফল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কিছুদিন পর পর ধর্মীয় ইস্যুতে বাঁধে ভয়াবহ দাঙ্গা। হিন্দু পল্লীতে জ্বলে আগুন, কখনও কোর’আন অবমাননার অজুহাতে পিটিয়ে মানুষ মারা হয়। অধিকাংশ মানুষ থাকে দর্শকের ভূমিকায়। কেউ করে ধর্মীয় রাজনীতি, কেউ করে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি। আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা যে ধর্মীয় রাজনীতি করেন, কওমী ছাত্ররা সেটা করেন না। তাদের নীতি আলাদা। তাদের ওয়াজ আলাদা, খোতবা আলাদা, আন্দোলন আলাদা। কোনো সংকট, কোনো জাতীয় উদ্যোগ, কোনো সামষ্টিক স্বার্থেও তারা এক হতে পারেন না। টালমাটাল বিশ্বপরিস্থিতিতে এই অনৈক্য জাতির অস্তিত্বের জন্য অশনিসংকেত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থার কুফলগুলো নিয়ে বহুদিন থেকেই শিক্ষাগবেষকগণ কথা বলে আসছেন। ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে একমুখী শিক্ষার ওপর গুরুত্বও দেওয়া হয়েছিল। তাতে স্পষ্ট বলা আছে, মৌলিক শিক্ষা হবে একমুখী, সবার জন্য বাধ্যতামূলক। স্বভাবতই মৌলিক শিক্ষার পর কিছুটা বিভাজন হতে পারে। কিন্তু সেই শিক্ষানীতি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
ছোটবেলায় আমাদের একটি কথা শেখানো হয়, ‘লেখাপড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’। অর্থাৎ শুধু অর্থের জন্যেই লেখাপড়া করা এই মন্ত্রটি আমাদের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে জন্মের পর থেকেই ঢোকানো হয়েছে। এই বোধ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের পিছু ছাড়ে না। তাই সারাজীবনই আমাদের মূলমন্ত্র হলো- ‘চাই চাই আরও চাই’। এই বস্তুকেন্দ্রিক সুখের অন্বেষণ, উন্নত জীবনমানের পেছনে ছোটার শিক্ষা এটা পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতার অনুকরণের ফল। অনেকেই হয়ত অবগত নন যে, বর্তমানে প্রচলিত বহুমুখী শিক্ষার গোড়ায় ছিল ব্রিটিশ শাসনবুদ্ধি ও প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা, তাদের রোপিত ডিভাইড এন্ড রুল নীতির বিষবৃক্ষই দশদিকে এত ডালপালা বিস্তার করেছে।
ব্রিটিশ আমলের আগে মুসলিম শাসকদের তৈরি ব্যবস্থা অনুযায়ী এই দেশের সরকারি কার্যক্রম পরিচালিত হত। সেই ব্যবস্থাগুলো ব্রিটিশ শাসকরা ধীরে ধীরে নিজেদের সুবিধামত বদলে নেয়। ব্রিটিশ ভারতের গভর্ণর জেনারেল লর্ড ওয়ারেন হেস্টিং অক্টোবর ১৭৮০ সালে রাজধানী কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন ক্যালকাটা মাদ্রাসা, যার বর্তমান নাম আলিয়া মাদ্রাসা। আলিয়া মাদ্রাসায় পর পর ২৬ জন অধ্যক্ষ ছিলেন ইংরেজ খ্রিষ্টান যারা প্রত্যেকেই ছিলেন প্রাচ্যবিদ। এ মাদ্রাসার প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন ড . এ . স্প্রেঙ্গার (১৮৫০-৫৭)। সর্বশেষ ইংরেজ অধ্যক্ষ ছিলেন আলেকজান্ডার হেমিলটন হার্লি (১৯১১-২৩ এবং ১৯২৫-২৭) । ১৮৫০ সালে প্রথম অধ্যক্ষ নিয়োগের পূর্বে (১৭৮০-১৮৫০ ) আলিয়া মাদ্রাসার প্রধান নির্বাহীর পদবী ছিল সেক্রেটারী। ক্যাপটেন আয়রন (ঈধঢ়ঃ . ওৎড়হ) ছিলেন প্রথম সেক্রেটারী। আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ১৪৬ বছর পর ১৯২৭ সনে যখন ইংরেজরা এটা বুঝতে পেরেছে তাদের তৈরি বিকৃত ইসলামটা তাদের তৈরি মাদ্রাসায় পড়া মুসলমানদের মনে-মগজে গেড়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে, তখন তাদেরই ছাত্র শামসুল উলামা কামালুদ্দিন আহমদকে (আই.ই.এস.) প্রথম মুসলিম অধ্যক্ষ (১৯২৭-২৮) হিসাবে নিয়োগ করা হয়। ইংরেজদের স্বার্থে ইসলামের প্রকৃত চেতনাকে কবর দেওয়ার লক্ষ্যে এ দেশে এ ধরনের শিক্ষা চালু করা হয়। (সূত্র: মাদ্রাসা শিক্ষা: এ জেড এম শামসুল আলম)
মুসলিম শাসনের সোনালি যুগে মাদ্রাসাগুলোতে জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা-সংস্কৃতি, স্থাপত্য, রাষ্ট্রনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, পররাষ্ট্রীয় বিষয়, অর্থনীতি, সমর বিজ্ঞান ইত্যাদি সকল বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হতো। মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রে মুসলিম জাতি বিশ্বে ছিল অপরাজেয়। সেকালে বৈষয়িক ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে মসজিদকেন্দ্রিক মাদ্রাসাগুলো ছিল শিক্ষার মূল ভিত্তি। আল-আজহার মসজিদে প্রথম দিকে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষাদান পদ্ধতি শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তা আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়, যেখানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অমুসলিম শিক্ষার্থীরাও বিদ্যা অর্জন করতেন। বর্তমানে মুসলিম বিশ্বে অগণিত মাদ্রাসা আছে, কিন্তু নানা কারণে মাদ্রাসা শিক্ষা শুধু আরবি ভাষা ও বিভিন্ন মাজহাবের মাসলা-মাসায়েলের শিক্ষাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর ফলে মুসলিমগণ হারিয়েছে অর্থনৈতিক শক্তি, সামরিক শক্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতা। আর মাদ্রাসাগুলো থেকে যারা বেরিয়ে আসছেন তারা জীবিকার মাধ্যম হিসাবে নামাজ পড়ানো, কোর’আন খতম করা, মিলাদ পড়ানো, ওয়াজ করা ইত্যাদি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ ধর্মীয় কাজ করে, মানুষকে ইসলাম শিক্ষা দিয়ে পার্থিব স্বার্থ গ্রহণকে আল্লাহ হারাম করেছেন।
আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ৮৬ বছর পর ১৮৬৬ সনে ভারতের তদানীন্তন যুক্তপ্রদেশের দেওবন্দে প্রতিষ্ঠিত হয় দারুল উলুম দেওবন্দ। এর প্রভাবে মায়ানমার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানে দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুরূপ বহু কওমি মাদ্রাসা গড়ে ওঠে। এই মাদ্রাসাগুলো জনগণ তথা কওমের অর্থে পরিচালিত হয় বলে কওমি বলে পরিচিত হয়। এই মাদ্রাসার সিলেবাস ও কারিকুলাম আলিয়া থেকে পৃথক। কওমি মাদ্রাসার আলেমগণ ইংরেজি চর্চাকে হারাম মনে করতেন। এই মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রদের মধ্যে তাদের নিজ নিজ এলাকায় মাদ্রাসা স্থাপনের প্রবণতা সৃষ্টি করে দেওয়া হয়। এজন্য তাদেরকে নতুন মাদ্রাসা স্থাপনের ফজিলত শিক্ষাদানের পাশাপাশি মাদ্রাসা পরিচালনা পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আলিয়া বা কওমি মাদ্রাসায় অনুসৃত সিলেবাস পাঠ করে কারও পক্ষে তাজমহলের স্থপতি ঈসা আফেন্দি, চিকিৎসা-বিজ্ঞানী ইবনে সিনা, আল-রাজী, বৈজ্ঞানিক ফারাবি, সমাজবিজ্ঞানী ইবনে খালদুন, পরিব্রাজক ইবনে বতুতা, আল বিরুনি, ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক, দার্শনিক আল কিন্দি, ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কবি ফেরদৌসী, হাফিজ প্রমুখের মতো হওয়া সম্ভব নয় যারা তাদের যুগে জাগতিক সাফল্যের মাপকাঠিতে শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসাবে বিবেচিত ছিলেন।
ব্রিটিশরা মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল মূলত কেরানি সৃষ্টি করার জন্য। কারণ সরকারি প্রশাসনিক দপ্তরগুলোতে সাধারণ কাজগুলো করার জন্য এত জনশক্তি ইউরোপ থেকে নিয়ে আসা সম্ভব ছিল না। যারা ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হল তারা অস্থি-মজ্জায় ব্রিটিশ সভ্যতা ও সংস্কৃতির অনুসারীতে পরিণত হল। ইংরেজি শিক্ষার অহঙ্কারে তারা নিজেদেরকে মানুষের চেয়ে উচ্চস্তরের প্রাণী বলে ভাবতে লাগলেন। ব্রিটিশরা ভারতে তাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অনুকরণে কিছু রাজনৈতিক দল তৈরি করে সাধারণ শিক্ষিত শ্রেণির হাতে সেগুলোর দায়িত্ব তুলে দিল। সেই পদ্ধতির রাজনীতি আজও আমাদের দেশে মহাসমারোহে চলছে। রাজনীতি করতে গিয়ে জাতি আরো বহু দলে বিভক্ত হয়েছে।
এই আত্মাহীন নৈতিকতাহীন বস্তুবাদী শিক্ষাব্যবস্থা মানুষকে মানবেতর পশুতে পরিণত করছে। এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমলারা হচ্ছে দুর্নীতিবাজ। তারা দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। তাদের সন্তানদেরকে এদেশের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়িয়ে পড়াচ্ছে বিদেশে। তারা সেখানে তাদের ফ্ল্যাট কিনছে, বাড়ি করছে। এ শিক্ষায় শিক্ষিত রাজনীতিকরা ব্যক্তিস্বার্থে দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা কলমের খোঁচায় যেভাবে দেশের ক্ষতিসাধন করছে অশিক্ষিত মানুষেরা এই ক্ষতি করতে পারবে না। এই দুটো প্রধান ভাগের পাশাপাশি তৃতীয় আরেকটি শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের দেশে চালু আছে। সেটা হচ্ছে ইংরেজি মিডিয়াম। বিদেশী কারিকুলামে ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষার পুরোটাই বাণিজ্যিক। ইংলিশ মিডিয়ামের স্কুলগুলোতে দেখা যায় প্রায় ৯০ ভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলে আসে দামি গাড়িতে চড়ে, পরনে কেতাদুরস্ত পোষাক, চলনে সাহেবী ভাব। এদের বেশীরভাগই দেখা যায় বিজনেসম্যানের ছেলেমেয়ে বা এমপি/মন্ত্রীদের ছেলেমেয়ে বাদবাকি ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার বা অন্যান্য পেশাজীবীদের ছেলেমেয়ে, এককথায় সমাজের অনেক উঁচু স্তর থেকেই এরা আসে। তাদের স্বপ্ন ছেলেমেয়েকে চলনে, বলনে, মননে পুরোদস্তুর ইংরেজ বানিয়ে ফেলা। পড়াশুনা শেষ করে এদের অধিকাংশই স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ যায়। নিজের জীবন ও মেধাকে বিক্রি করে দেয় ডলারের বিনিময়ে। বাংলাদেশের ‘দুর্গন্ধযুক্ত’ পরিবেশে এরা আর মিশতে পারে না।
জাতির মধ্যে এই যে বিভাজন, এটি আমাদেরকে জাতি হিসাবে দুর্বল শক্তিহীন করে রেখেছে। ব্রিটিশ যুগে আমাদের প্রভু ছিল কেবল ব্রিটিশরা। আজ আমাদের বহু প্রভু। একদিকে চীন, একদিকে ভারত, একদিকে যুক্তরাষ্ট্র, একদিকে রাশিয়া। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দরজায় কড়া নাড়ছে। এমন একটি অস্থির সময়ে আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে যে অনৈক্য আমাদের মাঝে সৃষ্টি করা হয়েছে সেটা থেকে মুক্ত হতে আমাদেরকে এই সর্বনাশা শিক্ষাব্যবস্থার কুফল সম্পর্কে জানতে হবে, কথা বলতে হবে। আমাদেরকে অচিরেই এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে যা এই জাতিকে এক সূত্রে বেঁধে রাখবে। ধর্ম ও বিজ্ঞানকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে না। মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক না বানিয়ে মানবতাবাদী করবে, ধর্মান্ধ বা ধর্মবিদ্বেষী না বানিয়ে প্রগতিবাদী করবে।
[লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট, যোগাযোগ: ০১৬৭০১৭৪৬৪৩, ০১৭১১০০৫০২৫, ০১৭১১৫৭১৫৮১]