[মো: নুর হোসেন নিলয়]
১৪০০ বছর পূর্বে আল্লাহ্ তাঁর শেষ রসুল, আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (দ:) কে পাঠালেন সমস্ত দুনিয়ায় আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি পৃথিবীতে এলেন দু’টি জিনিস নিয়ে হেদায়াহ ও সত্যদীন। তিনি তার সমস্ত জীবন উৎসর্গ কোরলেন একটি মাত্র কাজে, আর সেটি হোল সমস্ত দুনিয়াময় আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠা করা। তাঁর অবর্তমানেও যেন এই কাজ অব্যাহত থাকে এজন্য তিনি সারা জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম কোরে তৈরি কোরলেন এক অপরাজেয়, দুর্ধর্ষ যোদ্ধা জাতি। তাঁর হাতে তৈরি এ জাতি তাঁর কাছ থেকে ইসলামের প্রকৃত রূপ, লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য এমনভাবে শিখলেন ও বুঝলেন যে তারাও হোয়ে গেলেন রসুলাল্লাহর আদর্শের মূর্তপ্রতিক। তারা তাদের সমস্ত জীবন-সম্পদ, পুত্র-পরিজন ত্যাগ কোরে আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রামে ছড়িয়ে পড়লেন সমস্ত পৃথিবীর বুকে। এভাবে পৃথিবীর অর্ধেক ভূখণ্ড আল্লাহর সত্যদীনের ছায়াতলে এল। এই মহান দায়িত্ব পালন কোরতে গিয়ে উম্মতে মোহাম্মদী নিজদের সমস্ত কিছু কোরবান করেন এবং অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করেন। নবীজি (দ:) এবং তাঁর আসহাবদের একটাই লক্ষ্য ছিলো, শুধু মাত্র সমস্ত পৃথিবীতে আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমস্ত মানবজাতিকে এক জাতিতে ঐক্যবদ্ধ কোরে আল্লাহর সত্যদীনের মাধ্যমে শান্তি প্রদান করা। সাহাবা (রা:)-রা যখন নবীজির ওফাতে ৬০/৭০ বছর পর তাদের লক্ষ্য উদ্দ্যেশ ভুলে গেল, তাদের নেতার শেখানো সংগ্রাম ছেড়ে দিলো তখন থেকে আবার এ দীনের বিকৃতির শুরু হোল। সে বিকৃতির হোতে হোতে আজকের এ পর্যন্ত এলো। এ পর্যন্ত আসতে আসতে মহান আল্লাহ তার রসুল (দ:) কে দেওয়া হেদায়াহ হারিয়ে গেল, সে সত্য দীনের রূপ, লক্ষ্য উদ্দেশ্য বিকৃত হোয়ে গেলো। আর আমরা যা বর্তমানে পালন কোরছি তা সম্পূর্ণ বিপরীত, নবীজির (দ:) সেই প্রকৃত ইসলাম নয়।
কারণ যদি নবীজি (দ:) প্রকৃত ইসলাম আর বর্তমানের আমরা যে ইসলাম পালন কোরছি সে ইসলাম এক হোত তাহলে এতো অশান্তি দুনিয়াময় চলতো না। যেহেতু ১৪০০ বছর আগে নবীজি (দ:) এর প্রকৃত ইসলাম অর্ধ দুনিয়াতে এক অনাবিল শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিল, এবং মানুষ সুখে শন্তিতে বসবাস কোরেছিল সেহেতু বর্তমানেও ঠিক সেই রূপ অনাবিল শান্তি প্রতিষ্ঠিত থাকত এবং মানুষ সেই পূর্বের মতো পৃথিবীতে বসবাস কোরত।
বর্তমান পৃথিবীতে এক নজর তাকালেই আমরা দেখতে ও বুঝতে পারব মানুষ আজ এতো অন্যায়, অবিচার আর রক্তপাতের মুখোমুখি হোয়েছে যেমনটি অতীতে মানবজাতি আর কখনও হয় নাই। পৃথিবীর একজন ব্যক্তিও আজ নিরাপদে নেই। মানবজাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আবার মহান আল্লাহ্ তার হেদায়াহ ও সত্যদীন এবং এর প্রকৃত রূপ ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য এ যামানার এমাম, এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীকে বুঝিয়ে দিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠা কোরলেন হেযবুত তওহীদ নামক একটি আন্দোলন। এবং এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আবার সেই রসুল (দ:) এর প্রকৃত দীন মানবজাতিকে বুঝানোর চেষ্টা কোরছি। সে দীন পৃথিবীময় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা কোরছি এবং এই কাজ কোরতে গিয়ে আমরা প্রত্যেকটি পদে পদে বাধার সম্মুখীন হোচ্ছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের অবর্ণনীয় নির্যাতনের স্বীকার হোয়েছে এবং হোচ্ছে আমাদের আন্দোলনের ভাই ও বোনেরা। অনেকে আমরা আমাদের সব কিছু হারিয়েছি, মার খেয়েছি, পথে ঘাটে মানুষের কুমন্তব্য শুনেছি, বাড়ি-ঘর, টাকা-পয়সা, জীবন-সম্পদ, এক কথায় সব উজাড় কোরে সংগ্রাম কোরে যাচ্ছি একটি মাত্র উদ্দেশ্যে, আর তা হোল সমস্ত মানবজাতির মুক্তির জন্য, মানবতার কল্যাণের জন্য। আমরা নির্দ্বিধায় বোলতে পারি “মানবজাতির মুক্তির ব্রত গ্রহণকারী হেযবুত তওহীদের মতো এমন নিস্বার্থ আন্দোলন আর নেই”।
[লেখক: যামানার এমামের অনুসারী, হেযবুত তওহীদের সদস্য]