[মো. ফরহাদ হোসেন দোদুল এমপি, মেহেরপুর-১]
‘ধর্মব্যবসায়ীরা বৈদেশিক লুটেরাদের সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরহাদ হোসেন দোদুল। গত শনিবার মেহেরপুরের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগে আয়োজিত ‘এক জাতি এক দেশ, ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কতিপয় দল ইহুদিদের দোসর হয়ে ইসলামের ক্ষতি করছে। তাদের কর্মকাণ্ড কোন ইসলামী দলের কর্মকাণ্ড নয়। এরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ পথে টাকা এনে দেশের জঙ্গিবাদকে মদদ দিচ্ছে। তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে, গাছ কাঁটছে, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। কোর’আন-হাদিসের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মিথ্যা বলতে তাদের মুখে আটকায় না। ঈমান আকিদা বলতে তাদের কিছু নাই। মানুষের মধ্যে আল্লাহর নূন্যতম ভয় থাকলে এই ধরনের অন্যায় কেউ করতে পারে না। তাদের কথাবার্তা এবং আচরণে ইসলামের কোন আলামত নেই। বাংলাদেশের সম্পদ দখল করার জন্য এরা বর্হিবিশ্বের লুটেরাদের সাথে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’ তিনি এ ব্যাপারে দেশের সাধারণ জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মব্যবসা এবং ধর্মের নামে অপ-রাজনীতি করে আজ এই দলগুলো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। তাদের হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক বেতনে নিয়োগপ্রাপ্ত অসংখ্য নারী সদস্য দেশের সর্বস্থানে ধর্মপ্রচারের নামে সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করে কোমলমতি মা-বোনদের ভুল বোঝাচ্ছে। মানুষের ভিতর ধর্মের ব্যাপারে একটা দুর্বলতা থাকে, আকর্ষণ থাকে। সেই আকর্ষণের সুযোগ নিয়েই তারা ব্যবসা করে। গত নির্বাচনে জামাতের প্রার্থীরা বিএনপির প্রার্থীদের চেয়েও বেশী ভোট পেয়েছে। অতএব আ’লীগের ভোটও তারা পেয়েছে। এটা প্রমাণিত। সরকারের অসংখ্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পরেও মা-বোনেরা নির্বাচনে তাদের ভোট দিচ্ছে। এমনকি তাদের ক্রমাগত অপপ্রচারের ফলে অনেকেই নিজের ঘরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। তাই এ বিষয়গুলোকে অনুধাবন করতে হবে এবং যারা ধার্মিক, যারা ধর্মচর্চা করেন তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন দেশ সবদিক দিয়ে উন্নত হয় আর পরবর্তীতে একটি চক্র দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে রূপান্তরিত করে। তাদের শাসন আমলে দেশের আকাশে বাতাসে শ্লোগান দেয়া হয় ‘আমরা হবো তালেবান বাংলা হবে আফগান’। তিনি এ ব্যাপারে দেশের প্রতিটি নাগরিককে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। সাংসদ বলেন, ‘আজ দেশে ধর্মব্যবসা এবং ধর্ম নিয়ে অপ-রাজনীতি থামাতে হলে তাদের অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে। সরকারকেও এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। তারা কোনদিনও এ দেশের স্বাধীনতা চায় নি, তারা ইসলামী দল নয়, তারা ইহুদিবাদী দল। তাই তাদের সর্বাবস্থায় প্রতিহত করতে হবে। আজ আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী এবং দেশেরপত্রের কর্মীবৃন্দকে একসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দেশের সকল জঙ্গিবাদ এবং ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তবেই একটি সুন্দর, শান্তিময় ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।’