ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি গোলটেবিল কক্ষে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে হেযবুত তওহীদের আমীর ধর্মবিশ্বাসকে কীভাবে ধর্মবিশ্বাসকে জাতির উন্নতি ও প্রগতিতে কাজে লাগানো যায় তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে ধর্মবিশ্বাস এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক শতাব্দী ধরে পাশ্চাত্য বস্তুবাদী সভ্যতা মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে মানুষের জীবন থেকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়ে ব্যক্তি জীবনের সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু ঐ সংকীর্ণ গণ্ডিতে মানুষের ধর্ম বিশ্বাস থাকেনি বরং ধর্মব্যবসায়ীদের হাতে পড়ে বারবার ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয়েছে। যার ফলে মানুষের ধর্মবিশ্বাস, ঈমান, জাতীয় ঐক্য, উন্নতি, অগ্রগতি ও প্রগতির পরিবর্তে ধ্বংসাত্মক কাজে বার বার ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে বর্তমানে রাষ্ট্রের কর্ণধারগণ, সমাজের সচেতন মানুষের কাছে বৃহত্তর শ্রেণির ধর্ম বিশ্বাস মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা না পারছে বিষয়টির সাথে রাষ্ট্র পরিচালনায় খাপ খাওয়াতে, না পারছে বৃহত্তর ধর্ম বিশ্বাসী এই জনসাধারণের ধর্ম বিশ্বাসকে খাটো করে দেখতে, আর না পারছে ধর্মকে সম্পূর্ণরূপে ছুঁড়ে ফেলে দিতে, অর্থাৎ অস্বীকার করতে। কারণ এই জনসংখ্যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ভোটার। তাদের ভোটেই সরকার পরিবর্তন হয়। এখন এই ধর্ম বিশ্বাস অর্থাৎ ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে কী করা হবে? আমরা বলতে চাই মানুষের এই ধর্ম বিশ্বাস বা ঈমানকে জাতির উন্নতি, প্রগতির পথে ব্যবহার করা সম্ভব। সেই সম্ভাবনার পথ উন্মোচন করেছেন এমামুয্যামান মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। তিনি প্রমাণ করেছেন ধর্মব্যবসায়ীদের হাতে পড়ে সকল ধর্মই তার অনাবিল রূপ হারিয়ে ফেলেছে। তারা ধর্মকে মানবতার কল্যাণে কাজে না লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করছে। অথচ স্রষ্টার পক্ষ থেকে ধর্ম এসেছে মানুষকে শান্তি দেওয়ার জন্য। কিভাবে সেটা সম্ভব তা আমরা জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই। এ বিষয়গুলি আমরা বিভিন্ন প্রবন্ধ, নিবন্ধ, বই, হ্যান্ডবিল লিখে আমাদের সাধ্যমতো মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন এ ব্যাপারে সরকার, গণমাধ্যমকর্মীগণ ও সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে উদ্যোগী হওয়া জরুরি।
তিনি তার বক্তব্যে আরও যে বিষয়টি তুলে ধরেন তা হলো বর্তমানে পৃথিবীময় যে ইসলাম চলছে এটা প্রকৃত ইসলাম নয়, এটা ইসলামের বিকৃত রূপ। এজন্যই ইসলামসহ সকল ধর্মই এখন উপাসনাসর্বস্ব হয়ে গেছে। মানুষের কল্যাণে এগুলি তেমন কোনো অবদান রাখতে পারছে না। কিন্তু প্রতিটি ধর্মের আবির্ভাবই হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। যে ধর্ম মানুষের কল্যাণ করতে পারে না, জাতির উন্নতি ও প্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেটি কখনো সত্যিকার ধর্ম হতে পারে না। প্রকৃত ইসলাম কী, প্রকৃত ধর্ম কী, ধার্মিক কারা, ইবাদত কী, মানবজনমের সার্থকতা কিসে, কী কাজে আল্লাহ খুশি হন ইত্যাদি বিষয়গুলি মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
তিনি এ সঠিক ও সত্য ব্যাখ্যাগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরে ধর্মবিশ্বাসকে জাতির উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য ভূমিকা রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।