হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

টাঙ্গাইল জেলা পাবলিক হলে আলোচনা সভা

গত ২৩ মে ২০১৫ টাঙ্গাইল জেলা পাবলিক হলে এক আলোচনা সভায় হিজবুত তাওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সন্ত্রাস দমনে জনসম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। প্রধান অতিথি হিসাবে চলমান সঙ্কট থেকে জাতিকে উদ্ধারের জন্য দিকনির্দেশনামূলক প্রাঞ্জল বলিষ্ঠ বক্তব্য রাখেন হিজবুত তাওহীদের এমাম। কানায় কানায় পূর্ণ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দর্শক-শ্রোতাগণ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তার আলোচনা শুনেন।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ পৃথিবীকে এক মহাযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছে। বাংলাদেশেও একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করার হীন উদ্দেশ্যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। এই পরিস্থিতে জাতি ও দেশকে নিরাপদ রাখতে ষোল কোটি মানুষ সকল প্রকার সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-ধর্মব্যবসা-অপরাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া অপরিহার্য। সে লক্ষ্যে বিগত বিশ বছর যাবৎ দেশের জনগণকে সেই সঠিক আদর্শের ভিত্তিতে ধর্মীয় কর্তব্যবোধ এবং দেশপ্রেমের প্রেরণায় উজ্জীবিত করে যাচ্ছে হিজবুত তাওহীদ। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল “বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়, সন্ত্রাস দমনে জনসম্পৃক্ততার বিকল্প নেই” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হিজবুত তাওহীদ এবং মিডিয়া পার্টনার হিসাবে সহযোগিতা করে ‘দৈনিক বজ্রশক্তি’, ‘বাংলাদেশেরপত্র.কম’ ও ‘জেটিভি অনলাইন’।

অনুষ্ঠানে ভিডিও

 

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত বিশ্বের বহু দেশ। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি এই বাংলাদেশকে নিয়ে ভেতরে বাইরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। যদি কোনোভাবে এই দেশকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেওয়া যায় তবে ষড়যন্ত্রকারী স্বার্থান্বেষীদের উদ্দেশ্য সফল হবে। তাই এই মুহূর্তে করণীয় হলো আগে এই সঙ্কট অনুধাবন করা এবং দেশের আপামর জনগণকে সঙ্কটের বিরুদ্ধে ইস্পাতকঠিন ঐক্যবদ্ধ করা। এ জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক আদর্শের। দেশের জনগণকে সেই সঠিক আদর্শের ভিত্তিতে ঈমানী চেতনা এবং দেশপ্রেমের প্রেরণায় উজ্জীবিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে হিজবুত তাওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আজ সমগ্র পৃথিবী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসেছে, বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলো ১৬ হাজারের বেশি পারমাণবিক বোমা ও হাইড্রোজেন বোমা মজুদ করেছে মানবজাতিকে ধ্বংস করার জন্য। অন্যদিকে পৃথিবীব্যাপী চলছে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ। এই জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটিয়েছে ঐ পশ্চিমা পরাশক্তিধর দেশগুলো। অস্ত্রব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য একদিকে তারা জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটাচ্ছে অন্যদিকে সন্ত্রাস দমনের নামে সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার ঘটাচ্ছে। এখন তারা পৃথিবীকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। এখন যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয় তবে সমগ্র মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এদিকে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থাও ভয়ানক। একদিকে সামাজিক অন্যায়-অবিচার জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে, অপর দিকে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটানোর নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এই অবস্থায় শুধুমাত্র শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এই জঙ্গিবাদ ও সামাজিক অপরাধ দূর করা সম্ভব নয়, শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজন একটি নির্ভুল আদর্শ। সেই আদর্শ মহান আল্লাহ দয়া করে হিজবুত তাওহীদকে দান করেছেন। এখন এই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সামাজিক অপরাধ দূরীকরণে জনসম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। জনগণের কাছে এই সঠিক আদর্শটি তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। সর্বোপরি জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে দেশরক্ষার এই মহতী কাজে।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...