রিয়াদুল হাসান
ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলো যে প্রক্রিয়ায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাতে সারা পৃথিবীতেই এখন একটা আতঙ্কময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এদের জন্মদাতা সেই সুপার পাওয়ারগুলি যারা নিজেদের আধিপত্যকে নিরঙ্কুশ করার জন্য দুনিয়াব্যাপী দীর্ঘ এক যুগ ধরে কথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারি অস্ত্র-শস্ত্র, বোমারু বিমান, অকল্পনীয় সামরিক শক্তি ও প্রচুর অর্থ ব্যয় করে এই ইসলামী দলগুলির বিরুদ্ধে দমনমূলক অভিযানের কারণে এসব সংগঠনগুলো অতি কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তারা মরিয়া হয়ে আত্মঘাতী হামলা চালাচ্ছে। শত্রুকে দমন করতে গিয়ে বুকে বোমা বেঁধে শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে, গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শত্রুর সাথে নিজদেরকেও উড়িয়ে দিচ্ছে। পার্থিব কোন স্বার্থে তারা এসব করছে না। এর পেছনে তাদের অনুপ্রেরণা ধর্মীয় চেতনা। এই শ্রেণির প্রায় সবাই বিশ্বাস করেন তারা শাহাদাত বরণ করছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি সত্যিই শাহাদাত পাচ্ছেন কি না! আমরা জানি ইসলামে আত্মহত্যা একটি গর্হিত কাজ। এ ব্যাপারে আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে ধ্বংস করো না। আল্লাহ তোমাদের অবস্থার প্রতি করুণাশীল। যে ব্যক্তি সীমা অতিক্রম করে যুলুম সহকারে এরূপ করবে তাকে আমি অগ্নির মধ্যে নিক্ষেপ করবো (সূরা আন নিসা: ২৯-৩০)।
সুতরাং আত্মহত্যাকারীর ঠিকানা জাহান্নাম। রসুলাল্লাহর উপস্থিতিতে কোন এক যুদ্ধে একজন যোদ্ধা মারাত্মক আহত হয়ে যন্ত্রণায় কাতর হয়ে মৃত্যুকে তরান্বিত করার জন্য নিজের হাতের ধমনী কেটে ফেলেন। রসুলাল্লাহ তাকে আত্মহত্যার দায়ে জাহান্নামী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। মনে রাখতে হবে আল্লাহ মানুষকে তাঁর রুহ থেকে ফুঁকে দেওয়া আত্মাকে বলেছেন ‘আমার আমানত’। সুতরাং এই আত্মার একমাত্র মালিক স্বয়ং আল্লাহ। এটা দেওয়া এবং নেওয়ার অধিকারী একমাত্র তিনিই। তাঁর ইচ্ছা অনিচ্ছায় একে ব্যয় করতে হবে। তাই একজন মো’মেন কিংবা মুসলিম কিছুতেই নিজের পার্থিব ব্যর্থতা, হতাশার জন্য নিজেকে নিঃশেষ করে দেওয়ার অধিকার রাখেন না। দুঃখের বিষয় এই যে, এখন দেখা যায় মুসলিম দাবিদাররা সাধারণ তুচ্ছ ঘটনায় হতাশ হয়ে, পারিবারিক কলহের জের ধরে, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে, এমনকি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করছে। সে দৃষ্টিতে আত্মঘাতি হামলার সাথে জড়িত সংগঠনগুলোর কার্যক্রমও আত্মহত্যার পর্যায়ে পড়ছে। এর কারণ তাদের এই আত্মদান মানবজাতির জন্য কোন সুফল বয়ে আনছে না, বরং তা দিন দিন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এবং মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অশান্তি বৃদ্ধি করেছে। তার মানে আমরা বলছি না যে যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করে প্রাণ দেওয়াটাই আত্মহত্যার শামিল। অবশ্যই যারা আল্লাহর রাহে, আল্লাহর হুকুমকে, তওহীদকে সমুন্নত করতে গিয়ে শত্রুর সাথে মোকাবেলা করে নিজেদেরকে উৎসর্গ করবেন তারা শহীদ, আল্লাহ তাদেরকে মৃত বলতে নিষেধ করেছেন। এমন কি তিনি বলেছেন, তারা আমাদের (জীবিতদের) মতই তাঁর কাছ থেকে রেজেকপ্রাপ্ত (সুরা বাকারা ১৫৪, আল এমরান ১৬৯)। এছাড়াও রসুলাল্লাহ বলেছেন, তাঁদের প্রথম রক্তবিন্দু মাটিতে পড়ার সাথে সাথেই জান্নাতে তাঁদের স্থান নির্ধারিত হয়ে যায়।
রসুলাল্লাহ তাঁর মক্কী জীবনে কোন যুদ্ধ করেন নি। এমন কি নিজের চোখের সামনে প্রাণপ্রিয় অনুসারীদেরকে তৎকালীন কাফের মোশরেকদের হাতে নির্যাতনে আঘাতের পর আঘাতে যন্ত্রণাময় মৃত্যু ঘটলেও তিনি সবর অবলম্বন করেন। কারণ তিনি জানতেন তখন লড়াই করতে যাওয়া আত্মহত্যার শামিল। সে সময়ে তাঁর হাতে কোন ক্ষমতা ছিল না। কিন্তু যখনি তিনি মদীনায় একটি রাষ্ট্র গঠন করতে সক্ষম হলেন এবং সার্বভৌমত্বের অধিকারী হলেন, তখন তিনি দ্রুততার সাথে বাহিনী গঠন করে একটার পর একটা যুদ্ধের মাধ্যমে আল্লাহর দেওয়া সত্যদীন প্রতিষ্ঠা করতে লাগলেন। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি তাঁর অনুসারীদেরকে এমনভাবে অনুপ্রাণিত করলেন যে তাঁরা প্রত্যেকেই একজন শুধু মৃত্যুভয়হীন দুর্ধর্ষ যোদ্ধা-ই হলেন না, তাঁরা প্রত্যেকেই মৃত্যু কোথায় তা খুঁজে বেড়াতেন। প্রাচ্যের ঐতিহাসিক পি.কে.হিট্টি রসুলাল্লাহ এবং তাঁর আসহাবদের অবিশ্বাস্য বিজয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে বলেছেন, তাঁদের ছিল মৃত্যুর প্রতি চরম অবজ্ঞা, টঃঃবৎ ঈড়হঃবসঢ়ঃ ড়ভ উবধঃয. কিন্তু যামানার এমাম, এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী এ ব্যাপারে বলেছেন, হিট্টি ছিলেন একজন খ্রিস্টান। তিনি ইসলামের প্রকৃত মর্ম অনুধাবন করতে পারেন নি। প্রকৃতপক্ষে শুধু মৃত্যুর প্রতি চরম অবজ্ঞাই নয়, বরং এ জাতিকে রসুলাল্লাহ এমনভাবে তৈরি করেছেন যে এ জাতির প্রতিটি সদস্য ছিলেন মৃত্যুর প্রতি লালায়িত, অর্থাৎ টঃঃবৎ উবংরৎব ভড়ৎ উবধঃয.
সে জাতির পরবর্তী ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি যুদ্ধে নিজেদের চেয়ে সংখ্যায়, অস্ত্র-শস্ত্রে কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী বাহিনীর সাথে তারা মোকাবেলা করেছেন। শাহাদাতের আকাঙ্খায় তারা শত্রু বাহিনীর গভীরে প্রবেশ করে যেতেন যাতে শাহাদাত নিশ্চিত হয়। সে জাতির সদস্যরা যোদ্ধা হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে জাতির এই যুদ্ধাভিমুখী কার্যক্রমকে আমি কেন আত্মঘাতি বলছি তার ব্যাখ্যা দিচ্ছি।
প্রথমত, আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, রসুল্লাল্লাহ মক্কায় থাকা অবস্থায় কোন যুদ্ধ করেন নি। মক্কা থেকে মদীনায় গিয়ে তিনি যখন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হলেন তখনই যুদ্ধের আদেশ দিলেন। আর তাঁর অনুসারীরা এমন যোদ্ধায় পরিণত হলেন যাদের মধ্যে তিনি নিজেসহ কয়েকজন পৃথিবীর ইতিহাসে চির অপরাজিত সেনানায়কে রূপান্তরিত হলেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে আজকে যারা যুদ্ধ করছেন তারা এক বর্গ ইঞ্চি জমিরও সার্বভৌমত্বের অধিকারী নয়, তাই যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া তাদের জন্য বৈধ নয়। তাছাড়া তারা যে ইসলামটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছেন তা একটি বিকৃত এবং বিপরীতমুখী ইসলাম। দীর্ঘ তেরশ বছরে আল্লাহ এবং রসুলের ইসলাম থেকে এ জাতি দূরে সরে গেছে। আল্লাহ এবং রসুলের ইসলামের মূল লক্ষ্যই ছিলো মানবজাতির মধ্যে সকল প্রকার অন্যায়, অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এ জাতি ৬০/৭০বছর সংগ্রাম করার পর পৃথিবীর একটি বিশাল অংশ হাতে পেয়ে অন্যান্য রাজা বাদশাহদের মত রাজত্ব ও বাদশাহী করা শুরু করল। এতে করে তারা বাকী দুনিয়ায় আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ত্যাগ করে আল্লাহর লা’নতের বস্তুতে পরিণত হল (সুরা তওবাহ, আয়াত ৩৮-৩৯ দ্রষ্টব্য)। ফলশ্রুতিতে জাতি অন্যান্য জাতির হাতে সামরিকভাবে পরাজিত হয়ে গোলাম হয়ে গেল। তাদের এই ব্যর্থতার ফলে জন্ম হল ইহুদি-খ্রিস্টান যান্ত্রিক ‘সভ্যতা’ অর্থাৎ দাজ্জালের। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত এই ‘সভ্যতা’র কাছে আছে বিরাট বিশাল সামরিক শক্তি, এবং আছে প্রভূত পার্থিব সম্পদ। দাজ্জাল-বিরোধী অন্যান্য ক্ষুদ্র সংখ্যার কাছে ওসব কিছুই নেই, তাদের পার্থিব সম্পদ, তেল গ্যাস ইত্যাদিও তাদের হাতে নেই, সেগুলো তাদের সরকারগুলোর হাতে, যারা ইতোমধ্যেই দাজ্জালের পায়ে সাজদায় প্রণত হয়ে আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে কার্যতঃ অস্বীকার করে দাজ্জালের অর্থাৎ মানুষের সার্বভৌমত্বকে তাদের এলাহ বলে স্বীকার করে নিয়েছে।
আমি আল শাবাব, আল কায়েদাসহ অন্যান্য দলগুলোকে বলতে চাই, আপনারা মরিয়া হয়ে যে কাজ করছেন তা ভুল । আপনারা এখানে ওখানে বোমা ফাটাচ্ছেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলি ধ্বংস করছেন, আপনাদের দেশের সম্পদ নষ্ট করছেন। এসব করেও দাজ্জালের কোন ক্ষতি না হওয়ায় আপনারা শরীরে বোমা বেঁধে আত্মঘাতি হচ্ছেন। এতে দাজ্জালের কী ক্ষতি হয়েছে? ধরতে গেলে কিছুই না। বরং ক্ষতি যা হওয়ার তা আপনাদেরই হচ্ছে। বরং দাজ্জালের এতে লাভ হচ্ছে। আপনাদের কার্যক্রম দেখিয়ে সে পৃথিবীর মানুষকে সে বলছে যে- দ্যাখো! এরা কি রকম সন্ত্রাসী। এরা নিরীহ নিরপরাধ মানুষ, স্ত্রীলোক, শিশু হত্যা করছে আত্মঘাতি বোমা মেরে। এদের ধর, মার, জেলে দাও, ফাঁসি দাও। পৃথিবী দাজ্জালের এ কথা মেনে নিয়েছে এবং দাজ্জালের নির্দেশ মোতাবেক তাই করছে, কারণ ইংরেজি প্রবাদ বাক্য গরমযঃ রং ৎরমযঃ অর্থাৎ মহাশক্তিধরের কথাই ঠিক। এ প্রবাদ বাক্য যে সত্য তা এ থেকেই প্রমাণ হয় যে পৃথিবীর মানুষ টুইন টাওয়ারের দুই আড়াই হাজার মানুষ হত্যার জন্য দাজ্জালের আখ্যায়িত ‘সন্ত্রাসীদের’ ঘৃণা করে, কিন্তু হিরোশিমা নাগাসাকির কয়েক লক্ষ নর-নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা হত্যার জন্য দাজ্জালকে ঘৃণাতো করেই না বরং তার পায়ে সাজদায় প্রণত হয়ে আছে, তার একটু কৃপা পেলে নিজেদের ধন্য মনে করে। টুইন-টাওয়ারে শুধু কার্যক্ষম নর-নারী ছিলো, কিন্তু নাগাসাকি হিরোশিমাতে নর-নারী, শিশু, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, পঙ্গু, বিকলাঙ্গ, হাসপাতাল ভর্তি রোগী, স্কুল, কলেজ, সবই ছিলো এবং ঐ সবই দাজ্জাল আণবিক বোমা মেরে কয়েক মিনিটের মধ্যে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধোরে এই ‘সভ্যতা’র অনুসারীরা আফগানিস্তানে এবং ইরাকে প্রায় প্রতিদিন বেসামরিক মানুষ, নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, পঙ্গু, রোগী হত্যা করে চলেছে। এগুলোর মোট সংখ্যা ‘আপনাদের’ বোমা এবং আত্মঘাতি হামলায় বেসামরিক নর-নারী শিশুর হত্যার সংখ্যার হাজার গুণ বেশি। এ কাজের জন্য কেউ দাজ্জালকে সন্ত্রাসী বলে না, তাকে ঘৃণাও করে না, তার তাবেদারি করতে পারলে গদ গদ চিত্ত হয়ে যায়। কেন? ঐ প্রবাদ বাক্য- গরমযঃ রং ৎরমযঃ, শক্তিই হল ন্যায়-অন্যায়ের মানদণ্ড।
দ্বিতীয়ত, ভুল ধারণা এবং অতি ধার্মিকদের প্রয়াসের ফলে আপনাদের নিজেদের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে হাজারো বিভক্তি। আপনারা নিজেরা নিজেরাই পরস্পর কোন্দলে লিপ্ত; শিয়া, সুন্নি, মালেকী, হাম্বলী, ওয়াহাবী ইত্যাদি নানা ফেরকায় বিভক্ত। আপনাদের নিজেদের কোন একক কর্তৃপক্ষ নেই- যিনি যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন। কোন একক এমাম বা নেতা ছাড়া, সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ ছাড়া জেহাদ বা যুদ্ধ ঘোষণার কোন এখতিয়ার কারও নেই। করলে তারা সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেই পরিচিত হবেন। বর্তমানে যুদ্ধরত এসব সংগঠনগুলোর পরিচালিত এই যুদ্ধ সেই অর্থেই আল্লাহর দৃষ্টিতে অবৈধ। এছাড়াও যে আত্মদানে কোন সুফল আসে না, বরং উল্টো ফল আসছে তা কোনমতেই আত্মদান বা আত্ম উৎসর্গ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে না। সেটা নিছক আত্মহত্যা।
তাই এখন আপনাদের সবচেয়ে বড় কাজ হবে নিজেদের অনৈক্য ও বিভেদ দূর করে একজন মাত্র নেতার অধীনে ঐক্যবদ্ধ থেকে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতি আহ্বান করে যাওয়া। এটাই আপনাদের জেহাদ হবে। আপনারা নিজেদেরকে হত্যা করতে পারছেন অতি সফলতার সাথে, কিন্তু মুসলিম জাতিকে এক ছাতার নিচে আনতে আপনারা ব্যর্থ হচ্ছেন। অথচ এটাই ছিল আপনাদের প্রথম কর্তব্য। রসুলের আদর্শ ত্যাগ করে, ঐক্যহীনভাবে অসমর্থিত পদ্ধতিতে যুদ্ধ করে গেলে কোনদিনও আল্লাহর আল্লাহর সাহায্য পাবেন না, যেমন অতীতেও পান নি। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া ভয়ঙ্কর এই পাশবিক ‘সভ্যতা’র বিরুদ্ধে অসম লড়াই কখনওই বিজয় বয়ে আনবে না।
লেখক: সাহিত্য সম্পাদক, হেযবুত তওহীদ।