সারকথা
চট্টগ্রাম, কোতোয়ালী থানার জিডি- ২০০৯, তারিখ- ৩১/১২/২০১০ ইং, ধারা- ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪।
সন্দিগ্ধ আসামী ১. মোঃ আতিকুর রহমান (২৭),
২. মোঃ রিয়াজ (২০) এবং
৩. মোঃ ইয়াছিন আলী (৩০)।
প্রকৃত ঘটনাঃ এ যামানার এমাম এমামুয্যামান, জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী’র অনুসারীত্রয় হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে চলমান কার্যাবলী বিষয়ক প্রকৃত সত্য সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের স্বার্থে অত্র থানাস্থ স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করে অতঃপর সম্পাদকের আহ্বানেই তার নিজ কার্যালয়ে গেলে উক্ত সম্পাদক হেযবুত তওহীদ আন্দোলন ও প্রকাশনা সমূহের বৈধতার সমস্ত কাগজাদি দেখে এবং বিস্তারিত বিষয় শুনে জঙ্গি তৎপরতার বা রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক কর্মকান্ডে বিরুদ্ধে হেযবুত তওহীদ কাজ করছে মর্মে বুঝেও পরিকল্পিতভাবে নিষিদ্ধ সংগঠনের জঙ্গি সদস্যরা আমার নিজ কার্যালয়ে এসছে বলে থানায় তথ্য দিলে থানা পুলিশ উক্ত কার্যালয়ের সামনে এসে অপেক্ষা করতে থাকে। হেযবুত তওহীদ সদস্যত্রয় সম্পাদকের সাথে কথা শেষ করে বের হতেই পুলিশ তাদের আটক করে সন্দিগ্ধ আসামী হিসাবে আদালতে সোপর্দ করে। উল্লেখ্য যে, ও/সি, কোতোয়ালী থানা, চট্টগ্রাম, হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠাতা ও এমাম, এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী রচিত বইসমুহের সনদপত্র (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত আই.এস.বি.এন পত্র) ও মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ প্রদত্ত (হেযবুত তওহীদ নিষিদ্ধ সংগঠন নয়) আদেশের কোন তোয়াক্কা না করে ঐ হলুদ সম্পাদককেই মূল্যায়ন করেছে।
পুলিশ ফরোয়ার্ডি-এর বক্তব্যঃ ……….. বেতার মাধ্যম জানতে পারি যে, প্রেসক্লাব এলাকায় ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের কিছু লোক অবৈধ লিফলেট ও বই-সিডি বিক্রি করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানাধীন জামাল খানস্থ প্রেসক্লাবের উত্তর পার্শ্বে এজি চার্চ স্কুলের সামেেন রাস্তায় রিক্সার মধ্যে ৩ জন লোককে অবৈধ লিফলেট বিক্রি করাবস্থায় আটক করি। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তাহারা হেযবুত তওহীদ নামের ইসলামী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ও প্রচারক। আসামীগণ তাহাদের সংগঠনের কোন বৈধতা ও সরকারি অনুমোদন সম্পর্কে সঠিক কোন কাগজ পত্রাদি প্রদর্শন করিতে পারেন নাই। তাহারা কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত বা রাষ্ট্রদ্রোহী কোন কর্মকান্ডে জড়িত এমনকি সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সাথে জড়িত মর্মে সন্দেহ হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহিত বিস্তারিত আলোচনা করিয়া তাহাদেরকে কাঃবিঃ আইনের ৫৪ ধারা মতে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনঃ আমার তদন্তকালে আসামীদের কর্তৃক প্রদত্ত নাম-ঠিকানা যাচাইকালে সংশ্লিষ্ট থানা হইতে আসামীদের স্বভাব চরিত্র ভালো বলিয়া জানায়। আসামীদের হেফাজত হইতে প্রাপ্ত ও জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা নিরীক্ষা পূর্বক দেখা যায় আসামীগণ কোন জঙ্গি সংগঠন ও জঙ্গি কর্মকান্ডের সহিত জড়িত নাই এবং হেযবুত তওহীদ সংগঠন ধর্ম ও রাষ্ট্র বিরোধী কোন কর্মকান্ডে জড়িত আছে মর্মে প্রাথমিকভাবে কোন তথ্য উপাথ্য পাওয়া যায় নাই। আমার ব্যাপক তদন্ত ও গোপনে এবং প্রকাশ্য অনুসন্ধানে হেযবুত তওহীদ নিষিদ্ধ কোন সংগঠন না হওয়ায় এবং প্রাথমিকভাবে তাহাদের কার্যক্রম বৈধ বলিয়া প্রকাশ পায়।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ০৩/০২/২০১১ ইং।