একটি শক্তিশালী, বহির্মুখী, গতিশীল জাতির জন্য প্রয়োজন সুস্থ, সবল, গতিশীল, উদ্দমী নাগরিক। অসুস্থ, রুগ্ন দুর্বল নাগরিকদের দিয়ে জাতির সামষ্টিক উন্নতি আশা করা যায় না। একটি জাতির ক্ষুদ্রতম একক হল ব্যক্তি। ব্যক্তির সম্মিলিত শক্তিই হলো একটি জাতির শক্তি। আর সুস্থ, সবল নাগরিক গড়ে তুলতে খেলাধুলা ও শরীর চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
কাজেই হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের সদস্যদের মধ্যে শারীরিক সুস্থতা, ক্ষিপ্রতা, গতিশীলতা, সাহসিকতা ইত্যাদি বৃদ্ধির জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে দেশীয় বা আন্তর্জাতিক বহিরাঙ্গনের (আউটডোর) খেলা যেমন কাবাডি, হা-ডু-ডু, ফুটবল, দৌঁড়, সাতার, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যেসব খেলা মানুষকে অন্তর্মুখী ও স্থবির করে ফেলে সেগুলো নিরুৎসাহিত করা হয় এবং যে কোনো খেলায় অসুস্থ প্রতিযোগিতা, অর্থের লেনদেন, জুয়া বা বাজি ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে বলা হয়।
ইসলামে শরীর গঠনমূলক খেলাকে যথেষ্ট উৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহর রসুল (স.) স্বয়ং মসজিদে নববীর সামনে খেলাধুলার আয়োজন করতেন, কুস্তি, তীর বা বর্শা নিক্ষেপ, ঘোড়দৌড় ইত্যাদিতে নিজে অংশ নিতেন এবং তাঁর আসহাবদেরকেও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন।
মহামান্য এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী নিজেও একজন জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ ছিলেন। তিনি মানুষখেকো বাঘসহ বহু হিংস্র প্রাণী শিকার করেছেন। তিনি ফুটবল, কাবাডি খেলতেন। রায়ফেল শ্যুটার হিসাবে তিনি বিশ্ব অলিম্পিকে মনোনীত হয়েছিলেন।
যুব সমাজকে সুস্থ বিনোদনে উৎসাহী করার জন্য এবং বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডিকে আবার জনপ্রিয় করে তোলার জন্য তিনি তাঁর জীবনদ্দশায় ‘তওহীদ কাবাডি দল’ প্রতিষ্ঠা করেন যার মাধ্যমে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা সারা দেশে অসংখ্য কাবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজন করে আসছেন। তওহীদ কাবাডি দল জাতীয় কাবাডি ফেডারেশনের সদস্য হিসাবে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে কৃতিত্বের পরিচয়ও দিয়েছে। মহামান্য এমামুয্যামানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাননীয় এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমও ‘তওহীদ ফুটবল ক্লাব’ গঠন করেছেন।