রিয়াদুল হাসান: সম্পদ দুই প্রকার। জাগতিক সম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ। জাগতিক সম্পদ যার আছে সে দান করতে পারে, না থাকলে দান করতে পারে না। তেমনি আত্মিক সম্পদ যাঁর আছে সেই মহামূল্যবান সম্পদ তিনি অন্যকে দিতে পারেন। যার নেই সে দিতেও পারে না, তার কাছ থেকে কেউ নিতেও পারে না। মাননীয় এমামুয্যামান তাঁর জাগতিক সম্পদ সব আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিয়ে বলতে গেলে নিঃস্ব অবস্থায় আল্লাহর সাক্ষাতে চলে গেছেন। তাঁকে আল্লাহ দান করেছিলেন এক অদৃশ্য ধনভা-ার যা উপচে পড়েছিল আধ্যাত্মিক সম্পদে। সেটা তিনি হেযবুত তওহীদের সদস্যদের মাঝে অকাতরে বিলিয়েছেন। এমামুয্যামানের সততা, ওয়াদা, আমানতদারী, আতিথেয়তা, সত্যবাদিতা, ন্যায়নিষ্ঠতা, একাগ্রতা, মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, উদারতা, দানশীলতা, সাহসিকতা, আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কল, পাহাড়ের মতো অটলতা সবকিছু মিলিয়ে তিনি ছিলেন এমন এক মহামানব যাঁর সংস্পর্শে যেই এসেছে, তার ভেতরেই একটি পরিবর্তন এসেছে। তিনি কেবল কথা নয়, প্রাত্যহিক জীবনের অনেক ছোট-খাটো ঘটনার মাধ্যমেও তিনি আমাদেরকে বহুবিধ শিক্ষা প্রদান করে গেছেন। আজকে তেমন দু’একটি ঘটনা বলব।
দু’টি পাথর:
২০০১ সনের কোন এক সময়। নারায়ণগঞ্জে আল্লাহর তওহীদের বালাগ দেওয়ার সময় স্থানীয় ধর্মব্যবসায়ী মোল্লাদের অপপ্রচারে প্ররোচিত কতিপয় সন্ত্রাসীর আক্রমণের শিকার হই। আহত অবস্থায় আমরা কয়েকজন ঢাকা চলে আসি। তখন আমি এমামুয্যামানের বাসায় বেশ কিছুদিন ছিলাম। তাঁর চিকিৎসায় আমি যখন একটু সুস্থ হয়ে উঠেছি, একদিন সকালে কোন একজন মোজাহেদের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে ৭ নম্বর সেক্টরের ভেতরের দিকে চলে গিয়েছি। সেখানে একটি বাড়ি তৈরি হচ্ছিল, বাড়ির সামনে ইট বালি পাথর রাখা। ছোট বেলা থেকেই আমার গোল পাথর খুব ভালো লাগে। কোথাও সুন্দর পাথর দেখলেই আমি সংগ্রহ করতাম, জমিয়ে রাখতাম, পকেটে নিয়ে ঘুরতাম। আমাদের বাড়িতে গেলে হয়তো এখনও দু’একটি পাথর পাওয়া যাবে। তো সেই বাড়ির সামনে আমি কয়েকটি সুন্দর সুন্দর আকৃতির মসৃণ পাথর দেখতে পেলাম এবং নিয়ে আসলাম। ঐ দিন বা তার পরদিন আমি এমামুয্যামানের সঙ্গে ক্লিনিকে গিয়েছি। বিকাল বেলায় যখন চেম্বার শেষে এমামুয্যামান আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন দেখলাম এমামুয্যামানের টেবিলে পেপার ওয়েট নেই, কাগজপত্র উড়ে যাচ্ছে। এমামুয্যামান তাঁর সহকারী রাশেদ ভাইকে বললেন পেপার ওয়েট কেনার জন্য। তখন আমি আমার পকেট থেকে দুইটা পাথর বের করে এমামুয্যামানকে দিয়ে বললাম, ‘এইগুলি দিয়ে পেপার ওয়েটের কাজ চালানো যাবে।’ এমামুয্যামান মনোযোগ দিয়ে সেগুলি দেখলেন, তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথায় পেয়েছ এগুলি?’ আমি বললাম, ‘একটি বাড়ির কন্সট্রাকশানের কাজ চলছিল। তার সামনে ইট বালি পাথর রেখেছে, সেখান থেকে এনেছি’। এমামুয্যামান বললেন, ‘তারমানে তো এগুলির মালিক আছে। তুমি কি জিজ্ঞেস করে এনেছো?’ এমন প্রশ্নও যে উঠতে পারে তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। রাস্তার পাশ থেকে প্রায় মূল্যহীন দু’টো পাথর শখ করে এনেছি তাও জিজ্ঞেস করে আনতে হবে, আমি এতটা ভাবিই নি। আমি বললাম, ‘না, কাউকে বলে আনি নাই তো।’ তখন তিনি আব্দুল কাদের জিলানী (র:) এর বাবার জীবনের সেই বিখ্যাত ঘটনাটি বললেন। ভদ্রলোক একদিন ক্ষুধার সময় নদীতে ভেসে আসা একটি ফলের অর্ধেকটা খেয়ে ফেলেন। হঠাৎ তাঁর মনে হয়, এ আমি কার গাছের ফল খেলাম? এই ভেবে তিনি সঙ্গে সঙ্গে নদীর উজানের দিকে হাঁটতে লাগলেন। বহু পথ হেঁটে তিনি একটি বাগান দেখতে পেলেন যার কিছু ফলন্ত গাছ নদীর উপর ঝুঁকে আছে। তিনি বাগান মালিকের সাথে দেখা করে বিনা অনুমতিতে তার গাছের ফল খাওয়ার জন্য ক্ষমা চাইলেন। এই উদাহরণ দিয়ে এমামুয্যামান বললেন, ‘পাথরগুলি তুমি যেখান থেকে এনেছো, সেইখানে রেখে আসবে।’ আমি খুবই লজ্জিত হলাম এবং বললাম, ‘জ্বি এমামুয্যামান’।
স্বনির্ভরতা:
এমামুয্যামান নিজের ঘরের লোক ছাড়া অন্য কোন মোজাহেদ মোজাহেদাকে দিয়ে পারতপক্ষে কোন ব্যক্তিগত কাজ করাতেন না। কোন মিটিং-এ বসলে ফ্যানের রেগুলেটর বাড়ানো কমানোর জন্যও তিনি নিজেই উঠে যেতেন এবং এমনভাবে রাখতেন যে বাতাসের কোন আওয়াজ না হয়, কিন্তু ঘরও ঠা-া হয়। তিনি যখন অত্যন্ত অসুস্থ, আমি গিয়েছি কাজ করতে। বিছানায় শুয়ে থাকেন। এমন অবস্থায় তিনি আশে পাশে ঘরের কাউকে খুঁজলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘এমামুয্যামান, আপনার কী লাগবে আমাকে বলেন।’ তিনি বললেন, ‘ফ্যানটা একটু কমিয়ে দাও।’ আমি ফ্যানের রেগুলেটর ঘুরালাম। তিনি যখন বললেন ঠিক আছে, তখন রাখলাম। এমামুয্যামান বললেন, ‘যাজাকাল্লাহ (আল্লাহ তোমাকে প্রতিদান দিন)’। আমি ‘শুকরিয়াহ’ বললাম।
ইন্তেকালের চারদিন আগে:
এমামুযযামানের ইন্তেকালের দশদিন আগের ঘটনা। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে টেস্ট করেও তেমন কিছু ধরা পড়ছে না, অথচ তিনি কয়েক মাস পূর্ব থেকে খাওয়া-দাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। ফলে আমরা সবাই মিলে অনেক অনুরোধ করে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজি করলাম। বিমানের ফ্লাইট দুপুর ১২ টায়। দশটার দিকে তাঁকে তাগাদা দেওয়া হলো যে- এমামুযযামান, বিমানের সময় হয়ে এসেছে, এখনই রওনা দিতে হবে। এমামুযযামান তখন শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল। আমরা বললাম- এমামুযযামান, আপনি আমাদের কাঁধে ভর দিয়ে নিচে নামুন, নইলে পড়ে যেতে পারেন। তিনি বললেন, না না, আমি একাই পারব। উপায়ান্তর না দেখে তাঁর স্ত্রী এগিয়ে গেলেন, বললেন, তার কাঁধে ভর দিয়ে নামতে। তিনি তার কাঁধেও ভর দিলেন না। একাই সিড়ির রেলিং ধরে ধরে ধীরে ধীরে নামতে লাগলেন।
স্বল্পাহারী এমামুয্যামান:
আমার দেখা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বিস্ময়কর মানুষ হলেন এমামুয্যামান। এত অল্প খেয়ে কীভাবে জীবনধারণ করে তা চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। আমার বহুবার এমামুয্যামানের সঙ্গে খেতে বসার সুযোগ হয়েছে। তিনি এক চামচ ভাত নিতেন, তারপর সেটুকু ধীরে ধীরে খেতেন। তরকারি এক বা দুই পদের বেশি নিতেন না। তাকে দুটো খেজুর বা বিস্কুট খেতে দেওয়া হলে দেখা যেত তিনি একটা খেয়েছেন, একটা রেখে দিয়েছেন। নফসকে নিয়ন্ত্রণের কাজটা কত কঠিন! আমরা প্রায়ই বলতাম, এত অল্প খেয়ে কীভাবে থাকেন? উনি বলতেন, ‘এটা ছোট বেলা থেকে করা অভ্যাস। এটা হঠাৎ করে পারবে না। আমার বাবা-দাদা সবাই আমার চেয়েও কম খেতেন। শোনো, আমার চিকিৎসা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে একটা কথা বলি, মানুষ আসলে না খেয়ে মরে খুব কম, খেয়েই বেশি মরে। যারা বেশি খায় তারা রোগ-বালাইতে বেশি আক্রান্ত হয়। তাদের আয়ু হ্রাস পায়। এজন্য সব ধর্মের আধ্যাত্মিক সাধকগণ কামেলিয়াত অর্জনের একটা তরিকা হিসাবে কম খেয়ে থাকেন।” এমামুয্যামান আমাদেরকে প্রায়ই রসুলাল্লাহর নসিহতের কথা বলতেন যে, তোমরা পেটকে তিন ভাগ করে এক ভাগ খাদ্য, এক ভাগ পানি আর এক ভাগ খালি রাখবে। আরো বলতেন, মো’মেন খায় এক পেটে আর কাফের খায় সাত পেটে। যারা গলা পর্যন্ত আহার করে আল্লাহ তাদের ঘৃণা করেন। যারা বেশি আহার করে এমামুয্যামান তাদেরকে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো বুঝিয়ে বলতেন এবং অল্প্ খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন।
সাহসিকতা:
হেযবুত তওহীদের যাদের মধ্যে তিনি সাহসিকতার অভাব লক্ষ করেছেন তাদের সব সময় ভর্ৎসনা করতেন, তিরস্কার করতেন। এমামুয্যামানের বকা খাওয়ার ভয়ে তারা তাঁর সামনেও আসতে পারত না, মিটিংয়ের কোনায় গিয়ে বসে থাকত। আর যেখানে যারা সাহসীকতা নির্ভয় সাহস রেখে গেছেন তাদেরকে তিনি উৎসাহ দিয়েছেন প্রশংসা করেছেন। তারা সবসময় তাঁর নিকটে অবস্থান করতেন। তিনি সবসময় কাপুরুষতা থেকে আল্লাহর নিকট পানা চাইতেন আর বলতেন কৃপণতা আর কাপুরুষতা – এ দুইটা জিনিস হলো মো’মেন হওয়ার প্রধান অন্তরায়। তোমরা সাবধান থেকো। মো’মেন কেবল আল্লাহকে ভয় পাবে। বান্দা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করবে এটা তিনি পছন্দ করেন না।
তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একটা ঘটনা প্রায়ই বলতেন। এমামুয্যামান ভারতীয়দের একটি মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন যেখানে হিন্দু-মুসলিম সবাই অংশ নিয়েছিল। এক পর্যায়ে মিছিলে ব্রিটিশ সৈন্যরা গুলি চালিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল, সবাই দৌড়াদৌড়ি করতে শুরু করল। এমামুয্যামানও তাদের সঙ্গে দৌড় দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি ভাবলেন, আমি পাঠান। আমি পিঠে গুলি খেতে পারি না। তিনি বুক টান টান করে গুলি বর্ষণকারী সেপাইদের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তাঁর চার পাশে তখন বৃষ্টির মত গুলি বর্ষণ হচ্ছে। অনেকের গায়েই গুলি লাগল, কিন্তু আল্লাহর রহমতে এমামুয্যামানের গায়ে কোনো গুলির আঁচড়ও লাগল না। তিনি সেদিন উপলব্ধি করেন যে আল্লাহ তাঁকে বাঁচিয়ে রাখলেন নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য। যখন মিছিল ভেঙে গেল, সৈন্যরা গুলি থামাল। একজন ব্রিটিশ সৈন্য এমামুয্যামানের কাঁধে চাপড় দিয়ে বলল, “তুমি খুব সাহসী মানুষ।” তিনি জীবনে অনেক বাঘ শিকার করেছেন। শিকারের সময় যারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন দেখা গেছে বাঘের হুঙ্কার শুনে অনেকেই দৌড় দিয়ে গাছে উঠেছেন। বহুবার বাঘ শিকার করতে উনার সঙ্গে অনেকে গিয়েছেন কিন্তু বাঘের হুঙ্কার যখন হয়েছে তখন অনেকে পালিয়ে গাছে উঠেছে। কিন্তু তিনি স্থান ত্যাগ করেন নি। বাড়িতে তাঁর নিজের একটা পোষা চিতাবাঘ ছিল যা সরকারি আইন জারি হওয়ার পর বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
বিনিময় গ্রহণ না করা:
দীনের বিনিময় না নেওয়ার বিষয়ে এমামুয্যামান ছিলেন অত্যন্ত কঠোর। কোনোভাবেই যেন আন্দোলনের কাজ করে কেউ কোনো পার্থিব স্বার্থ বা বিনিময় গ্রহণ না করে এ বিষয়ে তিনি সবাইকে বারবার সাবধান করে দিয়েছেন। তওহীদের প্রচার করতে গিয়ে কোনো মানুষের থেকে কিছু খেতেও নিষেধ করেছেন। দীন শিক্ষা দেওয়ার এই দীর্ঘ পথে তিনিই সবাইকে খাইয়েছেন, নিজে কারো থেকে খান নি। যারাই তাঁর বাড়িতে গেছেন, না খেয়ে কেউ ফেরে নি। তিনি সবাইকে মৌখিক ও লিখিত নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ‘কেউ আমার বাসায় আসলে কোনো কিছু কিনে আনবে না।’ কেউ যদি কিছু কিনে নিয়ে যেত তাহলে তিনি তার দাম দিয়ে দিতেন। বলতেন, ‘আমি পীর সাহেব না, এটা পীরের দরবারও না।’ তিনি বলতেন, ‘আল্লাহ তোমাদের হাত দিয়েছেন কর্ম করে খাওয়ার জন্য। কখনো বেকার থাকবে না, কারো উপর নির্ভরশীল হবে না।’ তিনি পূর্বপুরুষের অঢেল সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও পরিশ্রম করে উপার্জন করেছেন। পেশায় তিনি ছিলেন চিকিৎসক। এন্তেকালের সময় তাঁর বয়স হয় ৮৬ বছর। তখনও তিনি নিয়মিত রোগী দেখতেন এবং সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতেন। অনেক রোগীকে তিনি বিনামূল্যেই চিকিৎসা করতেন। কেউ কোনো সমস্যায় পড়ে তাঁর কাছে সাহায্য চাইলে তিনি তাকে অবশ্যই সাধ্যমত সাহায্য করতেন। তিনি মাঝে মধ্যে বলতেন, “আমি সারাজীবনে মানুষকে যে পরিমাণ টাকা-পয়সা ধার দিয়েছি তারা যদি ফেরত দিত তাহলে বাকি জীবন কোনো কাজ করা লাগত না।” তাঁর পূর্বপুরুষগণ বঙ্গের সুলতান ছিলেন। তাঁর বাবা-দাদারা ব্রিটিশ যুগের জমিদার ছিলেন বলে কলকাতায় পড়াশোনা করার সময় তাঁকে লোকেরা প্রিন্স বলে ডাকত। বিপুল বিলাস-ব্যাসনের সুযোগ পেয়েও কীভাবে তিনি কেমন করে একজন সাধক পুরুষের মত দুনিয়ার প্রতি এমন নিরসক্ত ও নির্মোহ জীবনযাপন করলেন সেটা সত্যিই বিস্ময়কর।
এভাবেই একজন মহান পুরুষ তাঁর নীরবে নিভৃতে তাঁর দৃশ্যমান ও অদৃশ্য সম্পদ মানুষের জন্য উজাড় করে দিয়ে গেছেন। আজ তাঁকে না জেনে বহুজনে বহুরকম মন্তব্য করেন। এটা তাদের অজ্ঞতা আর শাস্ত্রে একটি কথা আছে- অজ্ঞতা বড় পাপ। আমরা বিশ্বাস করি অজ্ঞতার এই অন্ধকার একদিন কেটে যাবে, সত্য উদ্ভাসিত হবে। তখন মানুষ তাঁকে জানবে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে। তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ, শিক্ষা বিশ্ববাসীকে শান্তির পথ দেখাবে।