কুষ্টিয়ায় হেযবুত তওহীদের ৩ দিন ব্যাপী কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলা হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় শুরু হয় তিন দিন ব্যাপী এই সম্মেলন। পরে ২ মার্চ পাবনা, নাটোর ও রাজশাহী জেলা এবং সর্বশেষ ৫ মার্চ মেহেরপুর জেলা হেযবুত তওহীদের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিটি সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো থেকে আগত নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে উঠে অনুষ্ঠানস্থল। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বক্তব্য, কেন্দ্রীয় নেতাদের দিক-নির্দেশনা, ২০২৩ সালের কর্মপরিকল্পনা, প্রশ্নোত্তর সহ নানা পর্বে সাজানো ছিল প্রতিটি সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিরাজমান নানা সংকটের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিদ্যমান সংকট মোকাবেলায় সঠিক কোনো রূপরেখা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের কাছে নেই। ফলে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো সহ সারা বিশ্ব অন্যায় ও অশান্তিতে ডুবে আছে। কেবল স্রষ্টার দেয়া সঠিক আদর্শই এর রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি থেকে মানবজাতিকে মুক্তি দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, হেযবুত তওহীদ মানুষের সামনে ইসলামের সঠিক আদর্শ তুলে ধরলে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সত্যনিষ্ট এই আন্দোলনের বিরোধিতায় লিপ্ত হয়। ধর্মের লেবাসধারী এই গোষ্ঠীটি তাদের কায়েম করে রাখা স্বার্থ রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, হেযবুত তওহীদ যে মহাসত্য মানুষের সামনে তুলে ধরেছে, কোনো ষড়যন্ত্রই তা আড়াল করে রাখতে পারবে না। এ সময় ইসলামের প্রকৃত আদর্শ প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের প্রতি দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের এমাম।
হেযবুত তওহীদের খুলনা-২ বিভাগীয় আমীর মোতালেব খানের সভাপতিত্বে এই আয়োজনে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক রূফায়দাহ পন্নী, খুলনা-১ বিভাগীয় আমীর সামসুজ্জামান মিলন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় আমীর নিজাম উদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় আমীর ডাক্তার মাহবুব আলম মাহফুজ, খুলনা বিভাগীয় দপ্তর সমন্বয়ক শাহারুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ। নানা বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুদের অংশগ্রহণে প্রতিটি সম্মেলন হয়ে উঠে প্রাণবন্ত। উল্লেখ্য যে, সম্মেলনের প্রথম দিনে ৫৫ জন, দ্বিতীয় দিনে ৪৫ জন এবং তৃতীয় দিনে ৬০ জন নতুন সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফর্ম পূরনের মধ্য দিয়ে হেযবুত তওহীদে যোগদান করেন।