ছোট্ট জামিলা বাবার কাছে অলি-আওলিয়া, জান্নাত, জাহান্নাম, হাশর, কিয়ামত আরও কত শত ধর্মীয় বিষয়ের গল্প শুনে শুনে রোজ ঘুমাত। আজ আর সে ছোট নেই, চার সন্তানের মা। তার স্বামীর স্থানীয় বাজারেই ছোট্ট একটি খাবারের হোটেল আছে। ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব পর্দানসীন। বাবা মসজিদের ইমাম হওয়ায় নামাজ, রোজা আর পর্দা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করতে অভ্যস্থ সে। নিজেও দাওরা হাদিস পাস করেছে। এখন বিয়ের পর গৃহঅভ্যন্তরে গৃহস্থালির কাজ আর চার সন্তানের দেখাশোনা করা, এই তার গণ্ডি। এই সংর্কীণ গণ্ডির বাইরে তিনি কখনও বিচরণ করেন নি, বিচরণের ইচ্ছাও জাগে নি। নারীর ঘরের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করাকে তিনি ঘোর শরিয়াহ বিরোধী মনে করেন। কঠোর পর্দা পালন করায় তিনি নিজেও আত্মপ্রসাদ লাভ করেন। তার বরণ করে নেওয়া জীবনসীমার গণ্ডির মাঝে হঠাৎ এক কালবৈশাখী এসে তার জীবনের গতিপথ সম্পূর্ণ পালটে দিল। সড়ক দুর্ঘটনায় মুমূর্ষু স্বামীর চিকিৎসায় জমিজমা যা ছিল, সবটাই বিক্রি করতে হলো। অবশিষ্ট রইল শুধু বাড়িভিটে, চার নাবালব সন্তান আর পঙ্গু স্বামী। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। আর জীবন বাঁচাতে ভাত চাই, পর্দা করতে বসন চাই, সংসার চালাতে পয়সা চাই! তাই স্বামী, সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার তাড়নায় সেই ছোট্ট দোকানটা আবার চালু করেছেন তিনি। সূর্যের আলোও যে হাতের দেখা পায়নি, সে হাতে এখন ভরা বাজারে মোজার পরিবর্তে রুটির বেলুনি, নেকাবের আড়ালে লুকিয়ে রাখা মুখখানিতে এখন রোদ, বৃষ্টি আর তপ্ত শিখার পারাপার, সাত লেয়ারের হেজাবের পরিবর্তে মাথায় কেবল শাড়ীর আঁচল। আজ জীবন!
সংসারের হাল ধরেছেন ঠিকই, দিনরাত রুটি সেঁকার আগুনের তাপও সহ্য হয়ে গিয়েছে, অথচ মনের মধ্যে কোথায় যেন একটা আগুন তাকে পোড়াতে থাকে। সে চিরকাল শরিয়াহ মোতাবেক কঠোর পর্দা মেনে চলতে চেয়েছে, আজ বাধ্য হয়েই ইসলামের নিয়ম ভাঙ্গতে হচ্ছে তাকে। বাজারে হাজারও মানুষের সমাগম, তাদের মধ্যে অধিকাংশই আবার পুরুষ। তিনি আজীবন তার এবং পুরুষদের মাঝে এক অদৃশ্য দেয়াল তুলে রেখেছেন, যে দেয়াল না ভাঙ্গা যেত, না টপকানো যেত। আর আজ নিজেই সেই ট্যাবু ভেঙ্গে পুরুষ সহকর্মীর সাথে কাজ করছেন, দোকানে শত শত পুরুষ খরিদদারদের সাথে কথা বলছে। সেই দেয়াল ভাঙ্গার দায়ে তাকে পরকালে জাহান্নামের আগুনে না আবার পুড়তে হয় সেই চিন্তা তাকে ইহকালেই পোড়াচ্ছে।
হ্যাঁ, ঠিক এভাবেই বাস্তবিক জীবনপ্রবাহ আর ধর্মানুভূতির মাঝে সংঘর্ষের দ্বিধা নিয়ে বেঁচে আছেন হাজারো মুসলিম নারী। আফগানিস্থান, পাকিস্থান, সিরিয়া, ইরান, ইরাক, ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশকিছু দেশের নারীরা এমন দোটানা নিয়ে জীবন পার করছেন।
আমাদের দেশে যদিও নারীরা এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে; রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অঙ্গনসহ এককথায় সর্বাঙ্গনে তাদের বিচরণ। তারা জনপ্রতিনিধি হচ্ছেন, পাইলট হচ্ছেন, সামরিক কর্মকর্তা হচ্ছেন, সফল ব্যবসায়ী হচ্ছেন, কণ্ঠশিল্পী, পুলিশ ইত্যাদি কত কি! কিন্তু প্রশ্নটা হলো, কর্মক্ষেত্রে এসব সফল নারীরা কীসের প্রতিনিধিত্ব করছেন? তাদের কিন্তু মানুষ মুসলিম নারীর আদর্শ হিসেবে বা যথার্থ ধার্মিক মনে করেন না। এমনকি তারা নিজেরাও কিন্তু ভাবে না যে তারা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছেন। মুসলিম নারীর আদর্শ মানেই যেন ঘরের চারদেয়ালের মাঝে আবদ্ধ থেকে শুধু নামাজ, রোজা আর স্বামীর আদেশ পালন করা। তারা নেতৃত্ব দিতে পারবে না, জাতীয় অঙ্গনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। একজন নারী হিসেবে কেউ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করলে মুসলিমদের কোন সমস্যা নেই। কলকাতার মমতা ব্যানার্জি বা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উভয়ের পেছনে দাড়িঁয়ে বাহবা দিতেও তারা কুণ্ঠিত বোধ করেন না। কিন্তু যথার্থ মুসলিম নারী হিসেবে কালো কাপড়ে আপাদমস্তক আবৃত না করে ঘরের বাইরে বের হওয়া নিয়েই তাদের যত মাথা ব্যাথা। তাদের মনবাসনা হলো মুসলিম নারী হিসেবে কেউই ঘরের বাইরে এসে ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে না, জীবিকার কাজ করতে পারবে না। এই হলো সমাজের একটি বৃহৎ অংশের মনোভাব। আবার কোনক্ষেত্রে কিছু মানুষ যদি জেনেও থাকে যে ইসলামে নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে কোনা বাধা-নিষেধ নেই, তবু তারা মুসলিম নারীর আদর্শ হিসেবে সেই গৃহবন্দী নারীকেই কল্পনা করে। তাদের ভাষ্যমতে পিতা বা স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় নারীরা কেন জীবিকার কাজ করবে! ফলে দেখা যায়, এখনও আমাদের দেশের হাজারও মুসলিম নারী বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ীর চাপে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে না অথবা তাদের সেই স্বপ্ন দেখাই বারণ।
অথচ বাংলাদেশ সংবিধানেও রয়েছে নারীর অধিকারের প্রতি এক অসাধারণ স্বীকৃতি। সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না’। সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদে আছে, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগের সমতা থাকবে।
নারীদের কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার ব্যাপারে ইসলামের কোনো বাধা নেই। প্রয়োজনের তাগিদে পুরুষের পাশাপাশি তারাও পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে পারবে। একজন শিক্ষিত নারী তার মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারের জন্য বয়ে নিয়ে আসবে সম্মান। ব্যবসা বাণিজ্যেও নারীরা এগিয়ে আসতে পারেন, হতে পারেন সফল উদ্যোক্তা। অর্থাৎ ইসলামের নীতি অনুযায়ী হালাল আয়ের উৎস ও কর্মক্ষেত্রে পর্দা মেনে একজন নারী যেকোন পেশাই গ্রহণ করতে পারেন। এই একই বিধান পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে সেই পর্দাও হবে কোর’আন অনুসারে সহজ সরলভাবে, এক্ষেত্রে কোনো বাড়াবাড়ি করা যাবে না। নির্দিষ্ট কোন লেবাস পরতে বাধ্য করা যাবে না।
এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, পুরুষ শারীরিক দিক থেকে নারীর চেয়ে শক্তিশালী, তার পেশী, বাহু, হাড়ের গঠন, মেরুদণ্ড এক কথায় তার দেহকাঠামো নারীর তুলনায় অধিক পরিশ্রমের উপযোগী, আল্লাহই তাকে রুক্ষ পরিবেশে কাজ করে উপার্জন করার সামর্থ্য বেশি দান করেছেন, তাই পুরুষের বুনিয়াদী দায়িত্ব হলো সে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ভূমি কর্ষণ করে, শিল্পকারখানায় কাজ করে উপার্জন করবে এবং পরিবারের ভরণপোষণ করবে। অপরদিকে নারীদেরকে আল্লাহ সন্তান ধারণের উপযোগী শরীরিক গঠন দান করেছেন। ফলে নারী প্রাকৃতিকভাবেই সন্তানবাৎস, সেবাপরায়ন, কোমল, মমতাময়ী, স্নেহশীল। ফলে সন্তানধারণ করা, তাদের লালন-পালন করা এবং অপেক্ষাকৃত কম পরিশ্রমের কাজ করা নারীর প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করতে নারীকে যেমন কেউ বাধ্য করার অধিকার রাখে না, তেমনি যোগ্যতা অনুসারে তার পছন্দনীয় পেশা গ্রহণ করা থেকে তাকে কেউ নিবৃত করার আধিকার রাখে না। অবস্থার প্রয়োজনে নারীকে প্রথম সারিতে গিয়ে জীবিকার লড়াইতে অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ আল্লাহ রেখেছেন। শোয়াইব (আ.) বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং তাঁর পুত্র সন্তান না থাকায় তাঁর দুই তরুণী কন্যা তাঁদের পশুপালের দেখাশোনা করতেন (সুরা কাসাস ২৩)। এছাড়া ইসলামের বিধান হলো স্বামীর উপার্জনের ওপর স্ত্রীর অধিকার রয়েছে, কিন্তু স্ত্রীর উপার্জনের উপর স্বামীর কোনো অধিকার নেই। এখানেও নারীর উপার্জন করার অধিকারকে সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করে নেওয়া হলো।
কিন্তু আজকে আমরা দেখছি নারীরা জীবিকার জন্য বাধ্য হয়ে কারখানায়, অবকাঠামো নির্মাণকার্যে, রাস্তাঘাটে, ক্ষেতে-খামারে পুরুষের মতোই সমান কায়িক পরিশ্রমের কাজ করছেন, ইট পাথর টানছেন, মাটি কাটছেন। এ কাজগুলো করতে গিয়ে তারা প্রায়শই তাদের সম্মানের সংকট অনুভব করছেন। গার্মেন্ট শিল্পের নারী শ্রমিকদের দুর্দশার ও নিগ্রহের কথা আমরা প্রতিদিনই পত্রিকায় দেখি। উদয়াস্ত কঠোর পরিশ্রমের কাজ করাকে এখন অধিকার বলে প্রচার করা হয়। মূলত এটি নারীর অধিকার নয়, বরং অধিকার হারানোর পরিণতি।
নারীর অধিকার হলো সে একটি পরিবার লাভ করবে যেখানে তার সকল মৌলিক চাহিদা পূরণের নিশ্চয়তা থাকবে। সে বাবা- মা, বিয়ের পর স্বামী এবং বৃদ্ধ অবস্থায় সন্তানের কাছে ভরণপোষণ, ভালোবাসা ও মর্যাদা লাভ করবে। যেহেতু নারী শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরুষ অপেক্ষা কোমলতর তাই জীবনের প্রতিটি অবস্থানেই তার সুরক্ষার আবশ্যকতা রয়েছে। তবে বর্তমানে আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে পরিবার ব্যবস্থা অনেকাংশে ভেঙ্গে পড়ায় প্রাণধারণ করতে অনেকক্ষেত্রেই নারীরা বাধ্য হচ্ছে তার সক্ষমতার অধিক কষ্টকর পরিশ্রমের দিকে পা বাড়াতে। যারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত তারা হয়তো একটু ভদ্রস্থ পরিবেশে কাজের সুযোগ পান, আর যারা সার্টিফিকেট যোগাড় করতে পারেন নি তাদের দিনমজুরের কাজ পর্যন্ত হতে হয়। ইসলাম এই অপ্রাকৃতিক পরিশ্রমে নারীদের নিরুৎসাহিত করে এবং এমন একটি পরিবার ব্যবস্থা গঠনের নির্দেশ দেয় যেখানে নারীর সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
যাইহোক, ইসলাম কিন্তু বৈধ কোনো কাজের ক্ষেত্রেই নারীর উপর কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করে নি। উপার্জনের যে কাজ পুরুষের জন্য বৈধ সেই কাজ নারীর জন্যও বৈধ। অথচ মুসলিমবিশ্বে মোল্লা শ্রেণি পদে পদে নারীদের ওপর ফতোয়ার জাল বিস্তার করে কার্যত সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে। নারীরা ঘরের বাইরে কোনো কাজে অংশগ্রহণ করলেই তারা, ‘বেগানা নারী, দাইয়্যুস নারী’ ইত্যাদি বলে মিথ্যা ফতোয়া দিতে থাকে।
এই ফতোয়াবাজ শ্রেণিটি কোর’আনে কী বলা আছে তা খুঁজে দেখার বা অনুধাবনের চেষ্টা করে না। অন্যথায় তারা দেখতে পেত যে আল্লাহ বলছেন, ‘আমি ব্যবসাকে হালাল করেছি এবং সুদকে হারাম করেছি (সুরা বাকারা ১৮৬)।’ আর এই আয়াতখানা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যেই সমভাবে প্রযোজ্য।
স্বাধীনভাবে পেশা নির্বাচনে নারী-পুরুষ উভয়ই যে ইসলামে সমান অধিকার ভোগ করে তা শুধু নীতি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নেই, বরং ১৪শ বছর আগেই মুসলিম সমাজে কর্মক্ষেত্রে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যা আমাদের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তৎকালে রসুলাল্লাহর অনেক নারী আসহাবের পরিবারে পুরুষ সদস্য না থাকায় বা পুরুষ সদস্যরা জেহাদে অধিক ব্যস্ত থাকায় নিজেরাই কৃষিকাজ করে, কুটির শিল্পের মাধ্যমে উপার্জন করতেন, অনেকে ব্যবসাও করতেন। এছাড়াও আম্মা খাদিজা (রা.) আরবের একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ছিলেন। রসুলের (সা.) আরেকজন সহধর্মিনী হযরত জয়নব (রা) নিজ হাতে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে তা থেকে আয় করতেন (সহিহ মুসলিম)। হযরত আবু বকরের (রা.) কন্যা আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) কৃষিকাজ করতেন (সহিহ বুখারি, হাদিস ৫২২৪)। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহর (রা) খালা তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পরে খেজুর বাগান থেকে খেজুর সংগ্রহ করতেন। রসুল (সা.) এটা জানতে পেরে বললেন, ‘এতে কোনো ক্ষতি নেই।’ মহিলা সাহাবি কিবলাহ (রা.) বাজারে ব্যবসা করতেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর স্ত্রী রায়িতা (রা.) ঘরে বসে শিল্পকর্ম করতেন এবং তা বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাতেন। রুফায়দা আল-আসলামিয়া (রা.) ছিলেন ইসলামের প্রথম মহিলা ডাক্তার ছিলেন। আশশিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.) মুসলিম মহিলাদের লেখাপড়া শেখাতেন। উম্মে মিজান নামক এক মহিলা মসজিদে ঝাড়ু দিতেন। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) এর সময় উম্মে শিফা বিনতে আবদিল্লাহ নামক এক আইনজ্ঞ মহিলা ছিলেন। ওমর (রা.) তাকে ইসলামী আদালতের কাজাউল হাসাবাহ (Accountability Court) ও কাজাউস সুক (Market Administration) ইত্যাদির দায়িত্বভার অর্পণ করেন (আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৫/৭৮)। স্পেনের অধিবাসী আয়েশা বিনতে আহমদ বিন কাদিম ছিলেন ক্যালিগ্রাফি শিল্পী। এমন শত শত দৃষ্টান্ত ইসলামের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে।
সুতরাং, নারী ও পুরুষ উভয়ই স্বাধীনভাবে পেশা বেছে নেওয়ার অধিকার রাখে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে আমাদের ইসলামের আদর্শ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। এতে করে কোনো নারী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে হীনম্মন্যতায় ভুগবে না আর সমাজের মানুষও বাঁকা চোখে তাকাবে না। ইসলামের নীতি মেনেই মুসলিম নারী হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে নারীরা কর্মজীবনে এগিয়ে যেতে পারবে।