হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

রাজধানীতে হেযবুত তওহীদের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা

রাজধানীতে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘উগ্রবাদ, ধর্মব্যবসা ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম অপরিহার্য’ এই প্রতিপাদ্যের উপর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদ। শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টায় রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিভাগীয় আমির ডা. মাহবুব আলম মাহফুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতা এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।

মোখলেসুর রহমান সুমন ও জিনাত তাবাসসুমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চা নেতা এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। বৈষম্যমূলক এই অর্থ ব্যবস্থা, ভোগবাদী শাসন ব্যবস্থা, ইসলামের নামে উগ্রবাদ, ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতির কড়া সমালোচনা করে করে সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

 

বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে হেযবুত তওহীদের এই নেতা বলেন, আল্লাহর দেওয়া বিধান না মানার ফলে আজ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি, অবিচার, অন্যায়, জুলুম বৃদ্ধি পেয়েছে। আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থার বিপরীতে মানুষ আজ পর্যন্ত যত তন্ত্র-মন্ত্র, বাদ-মতবাদ নিজেরা তৈরি করে প্র্যাকটিস করেছে সবগুলোই অনিবার্যভাবে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও হিংসা-বিদ্বেষকে উস্কে দিয়েছে, সমাজে অশান্তির সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিনি সবাইকে জান ও মাল আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করে সংগ্রাম করার তৈরি হওয়া পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক, সেক্যুলার আদর্শনির্ভর রাজনৈতিক দলগুলোর হানাহানি, সংঘাত, অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেশকে তীলে তীলে শেষ করে দিচ্ছে। এদিকে পবিত্র ধর্ম ইসলামকে আশ্রয় করে তৈরি হওয়া বিভিন্ন দল-উপদল নিজেদের মধ্যে হানাহানি-রক্তারক্তিতে লিপ্ত। কয়েকদিন পরপর একেকটা ইস্যু সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে। সেইসব ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য হামলা, জ্বালাও পোড়াও ইত্যাদি ঘটনা নিত্য ঘটে চলেছে। এমনি একটি পরিস্থিতিতে সত্যের মশাল নিয়ে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে হেযবুত তওহীদ।

দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী তাদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতিকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে কামড়াকামড়ির এই রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির এই রাজনীতি বন্ধ না হলে জাতির ধ্বংস অনিবার্য। বিশ্বজুড়ে চলমান এই ভোগবাদী শাসন ব্যবস্থা, বৈষম্যমূলক অর্থ ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করে বিশ্বময় চলমান যুদ্ধাবস্থা ও এর কারণে সৃষ্ট সঙ্কটময় পরিস্থিতির জন্য জাতিকে সতর্ক সচেনত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ইসলামের স্বর্ণযুগে নারীদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, রসুলের যুগে নারীরা মসজিদ থেকে শুরু করে যুদ্ধের ময়দান পর্যন্ত গিয়েছেন। তারা শালীনতার সাথে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সকল কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি করে নারীদের ঘরবন্দী করেছে। ইসলাম নারীদের যে অধিকার মর্যাদা দিয়েছে তা হরণ করেছে। সকল মজলুম, অত্যাচারিত, নিপীড়িতদের প্রকৃত অধিকার ফিরিয়ে দিতে হেযবুত তওহীদের আগমন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই বক্তা।

এসময় তিনি সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং হেযবুত তওহীদের সদস্যদের আরও অগ্রগামী হওয়ার নির্দেশ দেন। সবশেষে তিনি উপস্থিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

 

 

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...