১. আল্লাহ যেমন একজন, তাঁর শেষ কেতাবও একটি – আল কোরআন, শেষ নবী মোহাম্মদ (সা.) একজন। কাজেই সমগ্র মুসলিম জাতি হবে এক জাতি। তাই মুসলমানদের মধ্যে কোনো প্রকার অনৈক্য কাম্য নয়। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার একটিমাত্র উপায় হলো কলেমায়ে তওহীদ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রসুলাল্লাহ (সা.) অর্থাৎ আল্লাহর হুকুম বিধান ছাড়া অন্য কারো হুকুম বিধান না মানা। এই কথার দিকেই আমাদের আহ্বান।
২. মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি (খলিফা)। আল্লাহর হকুম, বিধান মানার মাধ্যমেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
৩. ধর্মীয় কোনো কিছুর বিনিময়ে স্বার্থোদ্ধার করা ইসলামে বৈধ নয়।
৪. ইসলাম নারীকে সমাজের সকল কাজে অংশ নেওয়ার অধিকার দিয়েছে। নারী যথাযথ শালীনতা বজায় রেখে তার যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুসারে সমাজের সর্বক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। ইসলাম নারীকে এই কাজে উৎসাহিত করে।
৫. অশ্লীলতামুক্ত, মিথ্যামুক্ত সুস্থ সংস্কৃতি ও শিল্পচর্চা ইসলামে বৈধ।
৬. নামাজ (সালাত) হচ্ছে মো’মেনদের চরিত্র গঠনের একটি প্রশিক্ষণ যা তাদেরকে ঐক্য, শৃঙ্খলা, আনুগত, সময়ানুবর্তিতা, পরিচ্ছন্নতা শিক্ষা দেয় এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি করে তোলে।
৭. ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা যার মূলনীতিগুলো পবিত্র কোর’আনে বর্ণিত হয়েছে, যে কেতাব সম্পূর্ণ অবিকৃত রয়েছে। কিন্তু রসুলাল্লাহর (সা.) ইন্তেকালের কয়েকশ বছর পরে শরিয়তের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মাসলা মাসায়েল নিয়ে অতিব্যাখ্যা করে, বাড়াবাড়ি করে জটিল ও দুর্বোধ্য করে ফেলা হয়েছে।
৮. জঙ্গিবাদীরা ইসলামের জেহাদের অপব্যাখ্যা করে, মুসলমান তরুণদের ঈমানকে হাইজ্যাক করে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে থাকে। কিন্তু জেহাদ, কেতাল ও সন্ত্রাস সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। এই জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য কেবল শক্তিপ্রয়োগ যথেষ্ট হয়, পাশাপাশি তাদের বক্তব্যকে কোর’আন, সুন্নাহ ও ইতিহাসের আলোকে একটি পাল্টা সঠিক আদর্শ দ্বারা ভুল বলে প্রমাণ করতে হবে। সেই আদর্শ আছে হেযবুত তওহীদের কাছে।
৯. জুমার নামাজ শুধুমাত্র কোনো ব্যক্তিগত আমল নয়। এটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের একটি আমল। সপ্তাহে একদিন মুসলমানেরা জুমা মসজিদে জমায়েত হয়ে দুই রাকাত নামাজ যেমন পড়বেন তেমনি তাদের সমাজে বিরাজিত সমস্যাদি নিয়ে আলোচনা করবেন ও সমাধান করবেন। নারী নির্যাতন, ইভ টিজিং, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক, সুদ, ঘুষ, চুরি ডাকাতি ইত্যাদি বাস্তব সংকটগুলোর সমাধানের জন্য সেখানে আলোচনা করা হবে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে জুমার নামাজ এমনই ছিল। হেযবুত তওহীদ চেষ্টা করছে এই শিক্ষার অনুসরণ করতে।
১০. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো, হুজুগ সৃষ্টি করা, মানুষের ধর্মীয় আবেগকে উত্তেজিত করে দাঙ্গা বাঁধিয়ে কোনো গোষ্ঠীর উপর হামলা করা, সাম্প্রদায়িক ঘৃণার বিস্তার ঘটানো ইত্যাদি কাজকে ইসলাম অনুমোদন করে না।